Breaking News

আম্মুর বান্ধবীর সিনিয়র মেয়ে । পর্ব - ০৭



যাক বাবা বাঁচা গেলো আস্তে আস্তে

আপু- বিড়বিড় করে বলচ্ছিস
আমি- কই কিছু না তো
আপু- আচ্ছা চল নিচে যাই

আমি আচ্ছা বলে হাটতে লাগলাম খেয়াল করে দেখলাম আপু এখনো ঠিক মতো হাটতে পারচ্ছে না তাই বললাম " কি দরকার ছিলো আপু এই অবস্থায় আমাদের বাসায় আসার
আপু- তুই বুঝবি না চল
তারপর আর কিছু না বলে রুমে চলে আসলাম আপুও আমার সাথে আমার রুমে চলে আসলো
আমি- কফি খাবেন
আপু- কে বানাবে তুই
আমি- আরে না আমি ওসব পারি না আম্মু কে বলবো বানিয়ে দিতে আপনি খেলে আপনার জন্যও নিয়ে আসবো
আচ্ছা ঠিক আছে নিয়ে আয়
আমি- আচ্ছা আপনি বসুন আমি নিয়ে আসচ্ছি
তারপর আম্মু কে যেয়ে বললাম দুটো কফি দিতে কিছু ক্ষন পর দুটো কফি নিয়ে রুমে গেলাম যেয়ে দেখি আপু আমার ফোন টিপচ্ছে আমাকে দেখে বলল
আপু- তোর ফোনে দেখি কোনো লক দেওয়া নাই
আমি- লক দিয়ে কি হবে ফোনে তো আর পারসোনাল কিছু নাই
তারপর আপু কে একটা কফি দিলাম যেই কফি তে একটু চুমুক দিতে যাবো ওমনি ফোন টা বেজে উঠলো অভ্র কল দিছে রিসিভ করলাম

অভ্র- কি রে কই তুই তোর তো আর কোনো খুঁজ খবরই নাই আজ
আমি- বাসা থেকে বের হই নি আজ সারাদিন গেম খেলে কাটিয়ে দিছি
অভ্র - ও আচ্ছা তো এখন বের হ সবাই মিলে একটু ঘুরতে যাওয়ার প্লেন করছি
আমি- না রে আজ আর কোথাও যাবো না কাল কলেজে দেখা হবে ( বলেই কল কেটে দিলাম এখন কল না কাটলে এখন বাসা থেকে বের হতে বাধ্য করতো)
আপু- কে কল করছিলো
আমি- অভ্র আমার বেস্ট ফ্রেন্ড
আপু- ও আচ্ছা
তারপর এভাবে এটা ওটা করে করে সন্ধা হয়ে গেলো আপু কে তার বাসায় দিয়ে আসলাম তারপর বাসায় এসে টিভি দেখে গেম খেলে সময় পার করলাম তারপর ডিনার করে ঘুমিয়ে পরলাম আর সিমরান কে বলে দিলাম সকালে ডেকে দিতে
সকালে ফোনের রিংটোনের শব্দে ঘুম ভাঙলো
আমি- হ্যাঁলো

-- এখনো ঘুমাচ্ছিস (ভয়েজ শুনে বুঝলাম এটা আপু)
আমি- হুম
রুহি- তাড়াতাড়ি উঠে ফ্রেশ হয়ে আমাদের বাসায় চলে আয় আমাদের এখানে নাস্তা করবি
আমি- কেনো আপু
রুহি- কেনো মানে কলেজ যাবি না
আমি- হুম যাবো
রুহি- তাহলে তাড়াতাড়ি উঠে ফ্রেশ হয়ে চলে আয় আমাদের বাসায়
আমি- নাস্তা করেই যাবো আপনাদের বাসায়
রুহি- তোরে বলছি না আমাদের বাসায় নাস্তা করবি বেশি কথা না বলে তাড়াতাড়ি উঠে ফ্রেশ হয়ে ১০ মিনিটের ভিতর আমাদের বাসায় আয়
যানি আর কিছু বললেও কাজ হবে না তাড়াতাড়ি উঠে ফ্রেশ হয়ে আপুদের বাসায় উদ্দেশ্যে হাটা দিলাম বাসায় পৌঁছানোর পর দরজায় কলিং বেল দিলাম আন্টি দরজা খুলে দিলো দিয়ে বলল
আন্টি- তুমি আসছো বাবা সেই কখন থেকে আমার মেয়েটা তোমার জন্য অপেক্ষা করচ্ছে সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে তোমার জন্য নিজের হাতে পিঠা বানাইছে তোমার আম্মুর কাছ থেকে শুনছে তুমি নাকি পিঠা অনেক পছন্দ করো

এই সব শুনে আমার মনে হচ্ছে আমি স্বপ্ন দেখচ্ছি আন্টি এসব কি বলচ্ছে রাক্ষসী পিঠা বানাইছে তাও আমার জন্য বিশ্বাস হচ্ছে না
আন্টি- কি ভাবচ্ছো বাবা
আন্টির কথায় চিন্তার জগৎ থেকে বের হলাম
আমি- কিছু না আন্টি
আন্টি- ভিতরে আসো
তারপর ভিতরে গেলাম যেয়ে দেখি সত্যি সত্যি আপু আমার জন্য বসে অপেক্ষা করচ্ছে আপুর চোখ পরলো আমার দিখে
আপু- এতক্ষণ লাগে আসতে তোর কখন থেকে অপেক্ষা করচ্ছি তোর জন্য আয় বস দেখ আমি তোর জন্য নিজের হাতে পিঠা বানাইছি
বসতে বসতে বললাম আসলে আপু হেটে হেঁটে আসছি তো তাই একটু লেট হইছে বলে টেবিলের দিখে তাকালাম

আমি- আপু করছেন কি এ তো দেখি আমার পছন্দের সব দরনেরই পিঠা এখানে আছে
আপু- তোর জন্যই তো বানাইছি সব
আমি- থ্যাংকস আপু
আপু- থ্যাংকস পরে দিস আগে খেয়ে বল কেমন হইছে
আর কিছু না বলে খাওয়া শুরু করলাম
আমি- আপু আপনার হাতে জাদু আছে এত মজাট পিঠা আমি জীবনেও খাই নি
আপু- হইছে আমি যানি তুই বারিয়ে বারিয়ে বলচ্ছিস
আমি- না আপু সত্যিই অনেক ভালো হইছে
আপু- আচ্ছা এখন কথা না বলে খা
আমিও চুপচাপ খাচ্ছি
হঠাৎ আপু বললো
আপু- তুই তো অনেক সার্থপর রে
আমি আবার কি করলাম (অবাক হয়ে)

আপু- তোর জন্য এত কষ্ট করে সকাল সকাল উঠে পিঠা বানালাম আর তুই এখন একা একা গিলচ্ছিস একটা বার বললিও না আমাকে খেতে
আমি- সরি আপু আসলে পছন্দের খাবার সামনে পেয়ে সব গুলিয়ে ফেলছি নিন আপনিও খান (আপুর দিখে এগিয়ে দিয়ে)
আপু- না সর লাগবে না তুই একাই গিল (অভিমানী কন্ঠে)
আমি- সরি বললাম তো আপু নিন খেয়ে নিন
আপু- লাগবে না
আমি - আচ্ছা ঠিক আছে এই নিন হা করুন আমি নিজের হাতে আপনাকে খাইয়ে দিচ্ছি (আসলে আপু আমার জন্য এত এত পিঠা বানাইছে আমি তো এইঠুকু করতেই পারি)
আপু- কি বললি আবার বল (আমার বিশ্বাস হচ্ছে পিচ্চি টা নিজের মুখে বলচ্ছে খাইয়ে দিবে মনে মনে)
আমি- এটাই বললাম হা করুন আমি খাইয়ে দিচ্ছি
আপু- সত্যি বলচ্ছিস তুই ( খুশি হয়ে)
আমি- হুম

আপু- আচ্ছা খাইয়ে দে (হা করে)
তারপর আপু কে খাইয়ে দিলাম খাওয়া শেষে আপু বলল
আপু- তুই একটু বস আমি রুম থেকে আসচ্ছি কলেজে যাবো
আমি- থাক না আপনার যাওয়ার দরকার নেই আপনার তো পা এখনো ঠিক হয় নি
আপু- কিছু হবে না তুই একটু দাড়া আমি আসচ্ছি
তারপর আপু রুমে গেলো একটু পর এসে বলল চল এখন যাই বাসা থেকে বের হওয়ার পর বললাম আপু কি ভাবে যাবো
আপু- ক্যান রিকশা করে
আমি- কিন্তু আপু
আপু- চুপ একদম শুরু করবি না ওই দিন কার মতো আমার সাথে এক রিকশায় বসলে কি হবে হ্যাঁ (রেগে)
আপু কে রাগতে দেখে বললাম কিছুই না এখন উলটা কিছু বললে ঠাসস করে পরবে গালে তাই
আপু- তো চুপচাপ চল

তারপর আপু একটা রিকশা ডাক দিলো রিকশায় উঠলাম তারপর আপু বলল
আপু- আচ্ছা তোর বাইক নাই
আমি- আছে
আপু- তাহলে বাইক নিয়ে কলেজে যাস না ক্যান
আমি- বাইক চালাতে এখন ভালো লাগে না তাই
আপু- কাল থেকে বাইক নিয়ে আসবি বাইকে করে কলেজে যাবো
আমি- আচ্ছা
তারপর এভাবে কথা বলতে বলতে কলেজ পর্যন্ত চলে আসলাম তারপর আপু তার ক্লাসে চলে গেলো আর আমি গেলাম অভ্র নিল আর জয়ের কাছে
আমি- কি কি অবস্থা
অভ্র - এতক্ষণ লাগে তোর আসতে কখন থেকে আমরা তোর জন্য অপেক্ষা করচ্ছি
আমি- আমার জন্য অপেক্ষা করচ্ছিস তার মানে আজ একটা গোলমাল হবেই
নিল- হ্যাঁ
জয়- আমরা চারটা মিলে আজ একটা গেম খেলবো
অভ্র - Truth dare সবাই ডেয়ার নিবে
আমি- না ভাই তোরা খেল আমি ওসব খেলবো না তোদের চেনা আছে কি করতে বলবি আল্লাহ যানে
তিনটা এক সাথে - এসব বললে কাজ হবে না খেলতে হবে
আমি- না ভাই আমি খেলবো না তোরা খেল আমি ক্লাসে যাই
তখন জয় বলে উঠলো আরে বাদ দে চল আমরা তিন জনই খেলাই ওর মতো ভিতুর ডিমের খেলা লাগবে না
আমি- কি বললি আমি ভিতু (রেগে)
জয় - হ্যাঁ তুই ভিতু গেমের নাম শুনেই তো ভয়ে কাঁপতে শুরু করছস
আমি- চল আমিও খেলবো আর আগে বলে রাখি জয়ের ডেয়ার টা আমি দিবো ( এবার বুঝবি চান্দু কারে ভিতু বলছস)
রাগের মাথায় তো খেলতে রাজি হয়ো হয়ে গেলাম না জানি হারামী গুলা কি আকাম করতে বলে।

চলবে....

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com