আম্মুর বান্ধবীর সিনিয়র মেয়ে । পর্ব - ০৮
আমি- চল আমি খেলবো আগেই বলে রাখি জয়ের ডেয়ার টা আমিই দিবো ( এবার বুঝবি চান্দু কারে ভিতু বলছস)
রাগের মাথায় তো রাজি হয়ে গেলাম না যানি হারামী গুলা কি আকাম করতে বলে
অভ্র - তাহলে শুরু করা যাক নাকি (সবার উদ্দেশ্যে)
তারপর সবাই সম্মতি তে খেলা শুরু হলো প্রথমেই অভ্রর কপালে ঠাডা পরলো মানে এখন অভ্র কে ডেয়ার দেওয়া হবে সেটা ওকে পূরণ করতে হবে হঠাৎ নিল বলে উটলো
নিল- গাইজ অভ্র ডেয়ার টা আমি দেই দারুণ একটা কাজ দিবো
অভ্র- প্লিজ দোস্ত সহজ কোনো কাজ করতে বলিস কঠিন কিছু বলিস না যেটা পারবো না
নিল- আরে ধুর তুই না আমার কলিজার বন্ধু তোকে আমি কঠিন কিছু করতে বলতে পারি বেশি কিছু না শুধু যাবি হাতে একটা ইট নিবি আর প্রিন্সিপালের রুমের কাঁচের জানালা টা ভেঙে দিয়ে চলে আসবি ব্যাস তোর কাজ শেষ
এমন ভাবে কথা টা বলল নিল মনে হচ্ছে এটা খুব সহজ কাজ আর ওইদিখে অভ্র বেচারার গলা শুকিয়ে কাট হয়ে গেছে ভয়ে
অভ্র: শালা আমাকে কলেজ থেকে বের করার প্লেন করচ্ছিস ওই টাকলা আমাকে লাত্তি দিয়ে কলেজ থেকে বের করে দেবে আমি পারবো না এটা অন্য কিছু বল
নিল- তা বললে কাজ হবে না ডেয়ার পূরণ করতেই হবে প্রিন্সিপালের রুমের পিছব দিখের জানালা টা ভাঙাবী মুখ ডেকে যাবি জানালা টা ভেঙেই কলেজের পিছন গেট দিয়ে দৌড়ে পালাবি এই দিখ টা আমরা সামলে নিবো
অভ্র - না ভাই আমি এসব করতে পারবো না যদি দরা খাই তাহলে সব শেষ তোরা তো বেঁচে যাবি আমি ফেঁসে যাবো
আমি- কিছু করার নাই চান্দু তোমাকে ডেয়ার পূরণ করতেই হবে এই খেলাটার কথা তোমার মাথায়ই আসছিলো এখন ঠেলা সামলাও
অভ্র কোনো ভাবেই রাজি হয় না অনেক কষ্টে তিনটা মিলে রাজি করাইছি
অভ্র- আমি যদি বাঁশ খাই তাহলে তোদের ও নাম বলে দিবো
আমি- আচ্ছা যা বলে দিস আশা করি আজ বেঁচে গেলে আর জীবনে এই গেম খেলার কথা মুখে আনবি না
তারপর অভ্র ভয়ে ভয়ে এগিয়ে গেলো আমরা ওর পিছন পিছন গেলাম দূরে দাড়িয়ে দেখতে লাগলাম কি করচ্ছে হঠাৎ করে ঠাসস করে একটা শব্দ হলো আর অভ্র দিলো দৌড়
তারপর অনেক কাহিনী হলো যা বললাম না কিন্তু অভ্র বেঁচে গেছে ওরে কেউ দেখে নি দু একজন দেখলে ও চিনতে পারে নি
তারপর জয়ের পালা
আমি- তোর জন্য জোস একটা ডেয়ার রাখছি বাট এটা এখানে কলেজে হবে না অন্য জায়গায় তোর টা এখন থাক সবার ডেয়ার পূরণ করা হয়ে গেলে তোরে ওই জায়গায় নিয়ে যাবো তারপর আসলো নিলের পালা নিলকে ডেয়ার দিলো অভ্র তারপর সব শেষে আমার পালা আমি তো ভাবছিলাম জয় বলবে ও আমাকে ডেয়ার দিবে বাট হলো উলটা
অভ্র - তোর জন্য আমরা আগে থেকেই একটা ডেয়ার ঠিক করে রাখছি
আমি - তার মানে আমি আসার আগেই আমাকে কি ভাবে বাঁশ দিবি সেটা ঠিক করে রাখছস
তারপর অভ্র বললো
অভ্র - জীবনে তো একটা প্রেম করলি না কোনো মেয়ের দারে কাছেও যাস নাই কোনো দিন কালকের একটা দিন বাসা থেকে বের হলি না তাই তোর ডেয়ার হলো আমরা যে মেয়েকে প্রপোজ করতে বলবো ওই মেয়েকে যেয়ে প্রপোজ করবি
আমি- দেখ অভ্র তুই তো ভালো করেই জানিস আমি একদম এসব পছন্দ করি না আী প্রপোজ কি ভাবে করেত হয় তাও যানি না আমি এসব করতে পারবো না অন্য কিছু করতে বল করবো
অভ্র- যানি বলেই এটা করতে বলচ্ছি না করলে কাজ হবে না
আমি- না পারবো না
অভ্র- একটু আগে আমিও এই কথা বলছিলাম তুই ই বেশি জোর করছস ওই কাজ করতে এখন তোকে এমনি এমনি ছেড়ে দিবো কি করে ভাবলি যা বলছি করতেই হবে
আমি- দেখ ভাই প্লিজ আমি এসব পারবো না অজতা কোনো মেয়ের হাতে থাপ্পড় খেতে পারবো না
জয়- আরে বেটা ভয় পাচ্ছিস কেনো বন্ধত্বের খাতির না হয় একটা থাপ্পড় খেলি তাতে কি এসে যায়
তারপর অনেক জোর করে রাজি করালো
আমি- প্রপোজ করতে তো গোলাপ লাগবে কিন্তু গোলাপ তো নাই আর আমি গোলাপ ছাড়া প্রপোজ করতে যাবো না কোনো মেয়েকে ( মনে মনে আল্লাহ এই যাত্রায় বাঁচিয়ে নাও)
অভ্র- আরে প্যারা নাই চিল এত চিন্তা করস ক্যান আগে থেকে যেমব প্লেন করে রাখছি তেমনই আগে থেকে একটা গোলাপ ও এনে রাখছি তোর জন্য ( পিছন থেকে একটা গোলাপ বের করে)
চুপচাপ গোলাপ টা নিলাম
আমি- নিল এটা একটু দর তো (গোলাপ টা ওর হাতে দিয়ে)
তারপর কোনো কথা নাই উরা দুরা কিল গুষি লাগালাম অভ্র কে (এখন আমি বুঝতে পারচ্ছি গেমটা আমাকে বাঁশ দেওয়ার জন্যই প্লেন করছে ও)
নিল আর জয় মিলে আমাকে ছাড়িয়ে নিলো
নিল- কি রে হঠাৎ করে ওরে এভাবে মারলি ক্যান
আমি - মারলাম কই আমি তো ওকে ধন্যবাদ দিলাম কত ভাবে আমার কথা
অভ্র - লাগবে না তোর এমন ধন্যবাদ উহ কি ব্যাথা দাঁত চার পাঁচটা মনে হয়ে ভেঙে গেছে ( গালে হাত দিয়ে)
আমি- চুপ শালা নাঠক করবি না ওতো জোরে মারি নি বেশি অভিনয় করলে এখন সত্যি সত্যি কয়টা লাগিয়ে দিবো (,বলতেই গাল থেকে হাত সরিয়ে নিলো)
তারপর অভ্র বললো
অভ্র- মেয়ে পছন্দ করা শুরু কর আমাদের হিরু কে দিয়ে কোন মেয়েরে প্রপোজ করাবি দেখ ( নিল আর জয় কে উদ্দেশ্য করে)
তারপর কিছু ক্ষন ওরা এদিখ সেদিখ মেয়ে খুঁজে নিজেদের মধ্যে কথা বলে সবার সম্যতি তে একটা মেয়ে সিলেক্ট করে আমাকে বলল
অভ্র- ওই দেখ নিল জামা পরে নিল পরি আসচ্ছে এদিখে ওকে দার করিয়ে হাঁটু গেরে বসে প্রপোজ করবি
আমি অসহায় দৃষ্টিতে ওদের দিখে তাকিয়ে বললাম এবার কার মতো ক্ষমা করে দে সত্যি বলচ্ছি তোদের ভালো রেস্টুরেন্টে নিয়ে যা চাইবি তা খাওয়াবো সব বিল আমি দিবো তাও এই কাজ করতে বলিস না আমি পারবো না
অভ্র - লোভ দেখাচ্ছিস কাজ হবে না যা ওই মেয়েকে যেয়ে প্রপোজ কর
বুঝেছি কাজ হবে না প্রপোজ করতেই হবে যাই হোক মেয়ে থাপ্পড় দেওয়ার আগেই বলে দিবো যে এটা একটা গেমের টাস্ক ছিলো
আস্তে আস্তে হেটে মেয়েটার কাছে যেতে লাগলাম মেয়েটার দিখে তাকিয়ে চিনতে পারলাম এটা আমাদের ক্লাসেরই যাই হোক মেয়েটার কাছে গেলাম
আমি- Excuse me
মেয়েটা - হ্যাঁ বলুন
আমি-আই লাভ ইউ (গোলাপ টা মেয়েটার দিখে দরে + হাটু গেরে বসে হাটু গেরে বসলাম কারণ যাতে মেয়েটা থাপ্পড় দিতে না পারে)
আমি ভাবছিলাম মেয়েটা আমাকে থাপ্পড় দিবে + এতগুলা কথা শুনাবে কিন্তু না মেয়েটা চুপ করে শুধু হা করে তাকিয়ে আছে আমার দিখে
আর ওই দিখে দূর থেকে দাড়িয়ে কেউ একজন সব কিছু দেখচ্ছে আর রাগে ফুস ফুস করচ্ছে ফুস ফুস করতে এদিখেই এগিয়ে আসচ্ছে
আমি গেলাপ দরে বসেছিলাম হঠাৎ করে কে এসে আমার শার্টের কলার দরে আমাকে দার করালো
মানুষ টার দিখে তাকিয়ে দেখলাম এটা আর কেউ না আপু রাগে চোঁখ মুখ লাল হয়ে আছে মনে হচ্ছে আমাকে খুন করবে কিছু বুঝে উটার আগেই ঠাসসসসসসসস ঠাসসসসস করে আমার দুই গালে দুইটা থাপ্পড় পরলো
পুরা কলেজ আমাদের দিখে তাকিয়ে আছে
রুহি- কি বলছিলি তুই আমাকে মেয়েদের থেকে ১০০ হাত দূরে থাকস তোর কোনো গার্লফ্রেন্ড নাই তাহলে এসব কি এখন ক্যান একটা মেয়েকে প্রপোজ করচ্ছিস
আমি গালে হাত দিয়ে চারিদিখে তাকাচ্ছি পুরো কলেজ আমার দিখে তাকিয়ে আছে আর আমার বন্ধুরাও অবাক দৃষ্টি তে তাকিয়ে আছে রাগে লজ্জায় ইচ্ছে করচ্ছে মরে যাই কলেজে কখনো কেউ থাপ্পড় দেওয়া তো দূরে থাক কখনো সিনিয়র রাও গলা উচু করে কথা বলার সাহস পায় নি থাপ্পড় আমার মা বাবাও কখনো আমাকে মারে নি ওনি কে আমাকে থাপ্পড় দেওয়ার ( চুপচাপ দাড়িয়ে এসব কথা ভাবচ্ছিলাম হঠাৎ আপু বলল)
রুহি- কি হলো বল এসব কি (কলার দরে)
আমি- কলার ছাড়ুন ( সান্ত ভাবে বললাম)
রুহি- তুই আগে আমার কথার উত্তর দে এসব কি কাল না হয় একটা বাহানা দিয়ে বেচে গেছস আজ কি বাহানা দিবি আর আমার সামনে এত ভালো সাজার অভিনয় করস ক্যান
আর কিছু না বলে জোর করে আমার কলার থেকে হাত ছাড়িয়ে ঠাসস করে একটা গালে বসিয়ে দিলাম
আমি- এই আপনি আমার কি হন যে আপনাকে সব কথার কৈফিয়ত দিতে হবে আমার যা ইচ্ছে আমি তাই করবো যাকে ইচ্ছে থাকে প্রপোজ করবো তাতে আপনার কি অনেক সহ্য করেছি আর না এত কিছু সহ্য করেছি শুধু আপনি আমার আম্মুর বান্ধবীর মেয়ে বলে চুপচাপ এখান থেকে চলে যান আর থাপ্পড় খেতে না চাইলে ( একদমে কথা গুলা বললাম)
আপু কান্না করতে করতে চলে গেলো ওখান থেকে আর ওই মেয়েটা এখনো এখানেই দাড়িয়ে
আছে গোলাপ টা এখনো আমার হাতে গোলাপ টা হাত থেকে ছুড়ে ফেলে দিলাম
অভ্র নিল জয় আমার কাছে আসলো আমাকে ওখান থেকে নিয়ে গেলো কলেজের কেন্টিনে
ওখানে যেয়ে এক জায়গায় বসলাম সবাই চুপ করে আছে আমাকে রাগতে দেখে কাউ কিছু বলচ্ছে না
অভ্র উটে গেলো হাত করে একটা ঠান্ডা নিয়ে আসলো
অভ্র - নিন এটা খেয়ে নিজে কে ঠান্ডা করে নিন
জনপ্রিয় পোষ্ট সমূহঃ
আমি অভ্রর দিখে রাগি লুকে তাকালাম "আপনি করে কেন বলচ্ছিস দেখ একদম মজা করবি না এমনিই মাথা গরম হয়ে আছে
অভ্র- তুই তো রেগে আছস তুই করে বললে যদি আরো রেগে যাস তাই আপনি করে বললাম
আর কিছু না বলে ওর হাত থেকে কুল ড্রিংক টা নিয়ে খেতে শুরু করলাম চিল্লাতে চিল্লাতে গলা শুকিয়ে গেছে।
চলবে....
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com