Breaking News

আম্মুর বান্ধবীর সিনিয়র মেয়ে । পর্ব - ০৯



অভ্রর হাত থেকে কুল ড্রিংক টা নিয়ে খেলাম

খাওয়া শেষে
অভ্র - মাথা ঠান্ডা হইছে
আমি- না চল আগে সিগারেট খেয়ে আসি যতক্ষণ না সিগারেট খাইছি ততক্ষণ মাথা ঠিক হবে না
তারপর সিগারেট কিনে চার টা মিলে চলে গেলাম কলেজের পিছনে তারপর সিগারেট খেতে ওদের সব খুলে বললাম রাক্ষসীর ব্যপারে সন শুনে অভ্র বলল

অভ্র- সব শুনে এটাই বুঝলাম আপু হয়তো তোকে মনে মনে পছন্দ করে
আমি - দেত আমাকে কোন দুঃখে পছন্দ করতে যাবে
অভ্র- দেখ আপু যদি তোকে ভাই মনে করতো ভাইয়ের চোঁখে দেখতো তাহলে কখনোই এভাবে রিয়েক্ট করতো না তোকে অন্য মেয়ের সাথে দেখে নিশ্চুই আপুর মনে তোকে নিয়ে কিছু একটা চলচ্ছে
আমি- দেত রাখ তোর ফালতু কথা যত্ত সব বাজে কথা
অভ্র- বাজে কথা না তুই একটু ভেবে দেখ বুঝতে পারবি
আমি- এতো ভেবে কাজ নেই আর পছন্দ করলেও আমার কিছু যায় আসে না আমি কখনোই সিনিয়র মেয়ের সাথে প্রেম করবো না ( আসলে আমারও মনে হয়েছিল আপুর ব্যবহারে যে আপু আমাকে পছন্দ করে আজ অভ্রও এই কথা বলল সত্যিই কি আপু আমাকে পছন্দ করে????)

সারাদিন অভ্রদের সাথে আড্ডা দিলাম সন্ধার সময়ও বাসায় গেলাম না কারন বাসায় গেলেই আম্মু বলবে পড়তে যা আমি তো আর ওই মেয়ের কাছে পড়তে যাবো নাই তাই একেবারে রাতে বাসায় গেলাম বাসায় যেয়ে কলিং বেল দেওয়ার সাথে সাথে দরজা খুলে গেলো
আম্মু আমার দিখে রাগী লুকে তাকিয়ে আছে
আমি- আম্মু এভাবে তাকাচ্ছো কেনো
আম্মু- তোর ফোন কই
আমি- ফোন তো পকেটে ( বলে পকেট থেকে ফোন বের করলাম ফোনের স্ক্রিনের দিখে তাকিয়ে দেখি আম্মু ৩৬ টা কল আজ আমার খবর আছে)
আম্মু- দেখ তোকে কত টা কল দিছি
আমি- সরি আম্মু ফোন সাইলেন্ট ছিলো
আম্মু- সারাদিন কই ছিলি

আমি- বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিচ্ছিলাম
আম্মু- এত রাত পর্যন্ত কিসের আড্ডা আর তোর ফোন সাইলেন্ট থাকবে কেনো (রেগে)
আমি- আম্মু এভাবে কথা বলচ্ছো ক্যান ভয় করচ্ছে তো (কান্না কান্না ভাব নিয়ে)
আম্মু- এই এই এত বড় দামরা ছেলে যদি কান্না করে তাহলে লোকে কি বলবে তোকে কি একটু রাগও দেখাতে পারবো না সারা দিন থেকে কই কই ঘুরচ্ছিস কল দিলে কল দরস না চিন্তা হয় না বাসায় আসবি না বা আসতে লেট হবে একটা কল করে বললেই তো হয় তাহলে তো আর চিন্তা হতো না
আমি- আমার সোনা আম্মু ভুল হয়ে গেছে আর কখনো এমন হবে না ( আম্মু কে জড়িয়ে দরে)
(আসলে কান্না কান্না ভাব টা করলাম আম্মুর রাগ ভাঙানোর জন্য)
আম্মু- হয়েছে এখন যা ফ্রেশ হয়ে আয় খাবার দিচ্ছি ( তারপর রুমে গেলাম যেয়ে ফ্রেশ হয়ে এসে খেতে বসলাম খাওয়া শেষে আম্মু বলল

আম্মু- তোকে একটা কথা বলতে একদমই ভুলে গেছি
আমি- কি কথা বলো
আম্মু- রুহি মামনির কি হয়েছে তুই কি কিছু যানিস মেয়েটা নাকি কলেজ থেকে এসে রুমে ডুকে দরজা বন্ধ করে বসে আছে কিছু খায় নি সারাদিন থেকে রুমের দরজাও খুলচ্ছে না ওর আম্মু কয়েক বার ডাকতে গেছিলো রাগ দেখিয়ে নাকি তারিয়ো দিছে
আমি ওসব বিষয় কিছু যানি না আমাকে এসব বলচ্ছো কেনো
আম্মু- যা না বাবা একবার যেয়ে দেখে আয় মেয়েটা ক্যান এমন করচ্ছে
আমি- আমি ক্যান যাবো আর আমি গেলেও আমাকে বলবে নাকি ক্যান এমন করচ্ছেওনি ওনার আম্মু কেই তো বলে নি

আম্মু- তাও একবার যা দেখে আয় মেয়েটাকে রুম থেকে বের করতে পারস কি না
আমি- আমি পারবো না এখন আমার ভালো লাগচ্ছে না
আম্মু- তুই না আমার সোনা ছেলে যা বাবা এমন করিস না (,পাম দিয়ে)( বাস্তবেও আমার আম্মু আমাকে এভাবে পাম দেয় যখন কোনো কথা শুনি না)
আমি- উফফ আম্মু এভাবে বলো না করতে পারবো না
আম্মু- চুপ ফাজিল ছেলে এখন যদি না যাস তাহলে মাইর খাবি
আমি- যাচ্ছি মাইর দিতে হবে না

ওই মেয়ের সাথে কথা বলার বা যাবার ওদের বাসায় কোনো টার ই ইচ্ছে নাই কিন্তু আম্মু বলছে তাই যেতে হবে বাসা থেকে বের হয়ে রাক্ষসীদের বাসার দিখে হাটা দিলাম বাসায় পৌঁছানোর পর দরজায় কলিং বেল দেওয়ার পর আন্টি এসে দরজা খুলে দিলো আমি সালাম দিতে যাবো তার আগেই আন্টি বলে উঠলো
আন্টি- তুমি এসেছো বাবা একটু দেখো না আমার মেয়েটার কি হয়েছে কলেজ থেকে এসে রুমের দরজা বন্ধ করে বসে আছে খুলচ্ছে না ( কান্না করে)
তার মানে বিষয় টা খুব সিরিয়াস কিন্তু আপু এমন করচ্ছে কেনো আমি থাপ্পড় দিছি তাই জন্য নাকি অন্য কিছু আপু হয়তো আমার থেকে থাপ্পড় টা আশা করে নি হয়তো অনেক কষ্ট পাইছে দেত কি সব ভাবচ্ছি অন্য কোনো কারণ ওতো থাকতে পারে

আন্টি- দেখো না বাবা হঠাৎ করে আমার মেয়েটার কি হলো
আমি- আচ্ছা আন্টি আমি দেখচ্ছি আপনি কান্না করবেন না ( বলেই আপুর রুমের কাছে চলে গেলাম যেয়ে দরজায় দুইটা টুকা দিলাম ভিতর থেকে কোনো সারা শব্দ পেলাম না আবার টুকা দিলাম তখন আপু ভিতর থেকে বলে উঠলো)
আপু- উফ আম্মু যাও তো আমার ভালো লাগচ্ছে নস আমাকে একটু একা থাকতে দাও
দরজায় টুকা দেওয়ায় আপু মনে করছে ওনার আম্মু তাই এখন ডাক দিলাম
আমি- আপু দরজা খুলুন

ভিতর থেকে কোনো সারা শব্দ এলো না আবার ডাক দিতে যাবো তখনই দেখলাম দরজা খুলে গেছে রুমের ভিতর তাকিয়ে দেখলাম একদম অন্ধকার আপু দরজা খুলে দিয়ে আবার যেয়ে শুয়ে পরছে রুমে ডুকে প্রথমে লাইটের সুইচ খুঁজতে লাগলাম রুমে লাইট জ্বালিয়ে বিছনার দিখে তাকালাম আপু অন্য পাশে মুখ করে শুয়ে আছে বিছনার কাছে গেলাম যেয়ে আপু কে বললাম
আমি- আপু আপনার কি হয়েছে সারাদিন থেকে রুমের দরজা বন্ধ করে শুয়ে আছেন কেনো ( এটা বলে অনেক বড় পাপ করে ফেলছি কারণ এটা বলার পর আপু হঠাৎ করে শুয়া থেকে উঠে আমাকে জড়িয়ে দরলো এত শক্ত করে জড়িয়ে দরছে মনে হচ্ছে চোর দরছে এমন ভাবে দরছে যাতে পালিয়ে যেতে না পারি আপু বলতে শুরু করলো

আপু- তুই আসতে এত লেট করলি ক্যান (কান্না করে)
আমার তো আসার কোনো প্লেনই ছিলো না আম্মু জোর করে পাঠাইছে তাই আসছি( মনে মনে)
আমি- আরে আপু আপনি কান্না করচ্ছেন ক্যান ( অনেক কষ্টে বললাম কথা টা কারণ আপু আমাকে এমন ভাবে জড়িয়ে দরছে যে কথা বলাও কষ্টের)
আপু- তুই জানস না ক্যান কান্না করচ্ছি (আমাকে ছেড়ে দিয়ে)
আপুর চোঁখের দিখে তাকিয়ে দেখলাম চোঁখ দুটো ফোলে গেছে মনে হয় সারাদিন শুধু কান্না করছে
আমি- না যানি না
আপু- আমি কখনো আশা করি নি তুই আমাকে ওভাবে থাপ্পড় দিবি ( বলেই আবার কান্না)
তারমানে আপু এই জন্যেই সারাদিন থেকে রুমের দরজা বন্ধ করে বসে আছে
আপু আবার বললো ক্যান এমন করলি বলেই আবার জড়িয়ে দরলো কান্না করতে করতে।

চলবে....

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com