Breaking News

আম্মুর বান্ধবীর সিনিয়র মেয়ে । পর্ব - ০৩



সিগারেট দড়িয়ে দুটো টান দিলাম তখনই পিছন থেকে কেউ নাম দরে ডাক দিলো

রুহি- রিয়াদ
আমি পিছনে থাকিয়ে বললাম" আপু আপনি এখানে"
রুহি- আমারো একি প্রশ্ন তুই এখানে কি করচ্ছিস ক্লাস রেখে
আমি- এমনিই ভালো লাগচ্ছিলো না তাই দুটো ক্লাস করে এসে এখানে বসে আছি
রুহি- তোর হাতে ওটা কি
আমি সাভাবিক ভাবে বললাম সিগারেট তখনই ঠাসসসসসসসস
হ্যাঁ ঠিকই দরছেন আমার গালেই পরছে আমি চুপ হয়ে গালে হাত দিয়ে দাড়িয়ে আছি গাল টা একদম ফাটিয়ে দিছে কি

সে তো আগে থেকেই যানে আমি সিগারেট খাই তাহলে এমন করলো কেনো
রুহি- এই তুই সিগারেট খাস কেনো যানস না সিগারেট খাওয়া সাস্থের পক্ষে ক্ষতি কর(রেগে)
আমি- হুম যানি
রুহি- তাহলে খাস ক্যান
আমি- ভালো লাগে তাই
রুহি- আঙ্কেল আন্টি যানে
আমি- না
রুহি- বলবো আঙ্কেল আন্টি কে
আমি- না না আপু প্লিজ বইলেন না
রুহি- বলবো না এক শর্তে
আমি- কি শর্ত
রুহি- তুই আজ থেকে সিগারেট খাবি না
আমি- ঠিক আছে খাবো না কিন্তু প্লিজ আব্বু আম্মু কে বইলেন না(ডাহা মিছা কথা ঠিকি লুকিয়ে লুকিয়ে খাবো)
রুহি- ওকে চল আমার সাথে
আমি- কোথায়
রুহি- জাহান্নামে এত প্রশ্ন করস ক্যান চল (রেগে)
তারপর আর কিছু না বলে শুভ্র থেকে বিদায় নিয়ে আপুর সাথে গেলাম কলেজের বাহিরে

রুহি- একটা রিকশা ডাক দে
আমি- আপনি বাসায় যাবেন
রুহি- না তোকে নিয়ে ঘুড়তে যাবো
আমাকে নিয়ে ( অবাক হয়ে)
হ্যাঁ ক্যান যাবি না নাকি
আমি- সেটা আবার কখন বললাম
রুহি- তাহলে এত কথা না বলে একটা রিকশা ডাক দে
আমি- একটা কেনো আমরা তো দুজন
রুহি- এক রিকশায় কি দুজন যাওয়া যায় না
আমি- কিন্তু আপু
রুহি- চুপ একদম চুপ আমিই রিকশা ডাকচ্ছি তোর ডাকতে হবে না(রেগে)
তারপর রুহি একটা রিকশা ডাক দিলো

রুহি- উঠ (প্রথমে আমাকে উঠতে বলল)
আমি চুপ চাপ দাড়িয়ে আছি
রুহি- তুই উঠবি কি না( চোঁখ রাঙিয়ে)
আমি- উঠচ্ছি তো এভাবে ভয় দেখান ক্যান (বেঁচে গেলি রে মেয়ে তুই যদি আম্মুর বান্ধবীর মেয়ে না হতি তাহলে তোরে এতক্ষণে)
তারপর রিকশায় উঠলাম তারপর আপুও উঠলো একেবারে আমার গা ঘেঁষে বসলো আমি ঠাসস করে এক সাইডে সরে গেলাম
রুহি- পরে যাবি তো এত সাইডে বসছস ক্যান
আমি- না না আপু ঠিক আছে পরবো না
তারপর রুহি কিছু না বলে আমার হাত দরে একদম তার গা সাথে গা লাগিয়ে বসালো আমার তো লজ্জা লাগচ্ছে প্রথম বার কোনো মেয়ের এত কাছাকাছি বসে আছে
রুহি- মামা চলেন

তারপর রুহি বলল " আমি রাগ করলে বুঝি তুই ভয় পাস"
আমি- হুম
রুহি- তো আমি একবার এক কথা বললে শুনস না ক্যান তাহলে তো রাগ করতাম না
আমি চুপ করে আছি কি বলবো
রুহি- থাপ্পড় টা কি বেশি জোরে লেগেছে (আমার দিখে মায়াবী নজরে থাকিয়ে)
কি ভাবচ্ছেন না বলবো আমি বললাম" হ্যাঁ অনেক জোরে লেগেছে ব্যাথা করচ্ছে এখনো"
রুহি- এদিখে থাকা
আমি থাকালাম
রুহি আমার দু গালে হাত দিয়ে বলল সরি রে তোর হাতে সিগারেট দেখে রাগ উঠে গেছিলো তাই থাপ্পড় দিছি
আমার ওই দিখেে খেয়াল নেই তুলার মতো নরন নরম হাতের ছোঁয়া পেয়ে আমি অন্য জগৎ তে চলে গেছি সব ব্যাথাও দূর হয়ে গেছে মেয়েদের হাত এত নরম হয় আমার জানা ছিলো না
রুহি- কিরে কথা বলচ্ছিস না ক্যান ( আমাকে চুপ থাকতে দেখে বলল)

ভাবনার জগৎ থেকে বেরিয়ে মুখ ফসকে বলেই ফেললাম " আপু আপনার হাত এত নরম কেনো"
আপু তাড়াতাড়ি তার হাত সরিয়ে নিলো মনে হয় লজ্জা পাইছে
আমিও জিহ্বায় কামড় দিলাম দেত মুখ ফসকে কি বলে ফেললাম
তারপর রিকশা দাড়িয়ে গেলো রিকশা থেকে নেমে আপু ভাড়া দিলো আমি জোড়াজুড়ি করলাম না কারণ নিয়ে আসছে সে আমারে আমি নিয়ে আসি নাই যে আমি ভাড়া দেবো
তারপর আপু আমাকে নিয়ে পার্কের ভিতর গেলো একটা ব্রেঞ্চিতে বসতে বলল একটু দূরত্ব বজায় রেখে বসলাম
তখন আপু প্রশ্ন করলল
আপু- আচ্ছা রিয়াদ তোর গার্লফ্রেন্ড আছে
আপুর এমন প্রশ্ন শুনে একটু অবাক হলাম

আমাকে চুপ থাকতে দেখে আপু বলল কি হলো বল
আমি- না আপু আমার কোনো গার্লফ্রেন্ড নেই মেয়েদের থেকে গুনে গুনে ১০০ হাত দূরে থাকি
রুহি- সত্যি নাকি মিথ্যা তুই তো আবার ভাব একটু বেশি নেস
আমি- মিথ্যা বলতে যাবো কোন দুঃখে
আপু- তাহলে তো ভালোই
আমি- হুম
আপু- এখন থেকে কোনো মেয়ে দিখে থাকাবিও না
আমি- এমনি তেই থাকাই না
রুহি- আচ্ছা চল ফুসকা খেতে ইচ্ছে করচ্ছে
তারপর ফুচকার দোকানের সামনে গেলাম
আপু- মামা দু প্লেট ফুচকা দিন
আমি- আপু আমি এসব খাই না

আপু আর কিছু না বলে এক প্লেট ওর্ডার দিলো
তারপর আপু খাচ্ছে আর আমি থাকিয়ে থাকিয়া খাওয়া দেখচ্ছি
এই প্রথম বার আপুর দিখে ঠিক করে থাকালাম টানা টানা চোঁখ আবার হাল্কা করে চোখে কাজল দেওয়া ঠোঁটে লাল লিপস্টিক পরনে নিল কালারের একটা ড্রেস জাস্ট ওয়াও সব মিলিয়ে কোনো নাইকার থেকে কম না আপুর কথায় হুস ফিরলো
আপু- কিরে ওভাবে কি দেখচ্ছিস
আপুর কথায় লজ্জা পেয়ে গেলাম
আমি- কিছু না আপু
তারপর আবার বললাম
আমি- আপু একটা কথা বলবো
রুহি- হুম বল
আমি- আপনাকে অনেক সুন্দর লাগচ্ছে আজ
আপু- হায় এতক্ষণে তোর চোঁখে পরলো আমাকে( মনে মনে)
আপু- তাই বুঝি ( হাল্কা লজ্জা পেয়ে)
আমি- হুম

আপু- হা কর ( আমার মুখের সামনে ফুচকা দরে)
আমি এসব খাই না
আপু- একটা খেলে কিছু হবে না হা কর
আমি- না আপু আমি খাবো না
আপু- তোরে হা করতে বলছি এখন হা না করলে আবার থাপ্পড় খাবি (রেগে)
থাপ্পড় খাওয়ার ভয়ে হা করে নিলাম একটা মুখে পুরে দিলো
আমার খাওয়া শেষে
আপু- দর( ফুচকার প্লেট হাতে দিয়ে)
আমি- আপু আমি আর খাবো না
আপু- তোকে খেতে কে বলছে আমাকে খাইয়ে দে
আমি খাইয়ে দিবো(অবাক হয়ে)
আপু- হ্যাঁ আমি তোকে খাইয়ে দিলাম আর তুই দিবি না
আমি- কিন্তু আপু

রুহি- কোনো কিন্তু না খাইয়ে দে( চোঁখ রাঙিয়ে)
আমি আর কিছু না বলে একটা ফুচকা নিয়ে আপুর মুখের সামনে দরলাম আপু হা করলো ফুচকা তো মুখে নিলোই আবার আমার হাতে কামড় দিলো
আমি- উফ কামড় দিলেন ক্যান
আপু মুখের ফুচকা টা শেষ করে বলল এটা তোর সাস্তি বেশি কথা বলার
কি মেয়েরে বাবা থাপ্পড় ত দেয় ই আবার কামড় ও দেয়
তারপর ফুচকা খাওয়া শেষ হলে এবার আপুর আগে আমি বিল টা দিয়ে দিলাম নিজের একটা মান সম্মান আছে তো এখনো যদি আপু বিল দেয় তাহলে কেমন দেখায়

তারপর বিল দেওয়া দেখে আপু বলল
আপু- তোকে কে বলছে পাকনামি করে বিল দিতে(রেগে)
আমি- ইয়ে মানে আপু(আপু কে রাগতে দেখে আমার মুখ বন্ধ হয়ে গেছে)
আপু- আমার সাথে আসলে এমন পাকনামি করবি না নয়তো মার খাবি
আমি- হুম
আপু- এখন চল বাসায় যাবো
তারপর আবার আপু একটা রিকশা নিলো রিকশায় উঠে ওনাদের বাসার কাছে গেলাম
আমি- না আপু আপনি যান আমি বাসয় যাই
আপু - একটু বসে যা আমাদের বাসায়
আমি- না আপু এখন না
আপু- আচ্ছা ঠিক আছে আর শুন বিকাল তো হয়েই গেছে সন্ধা পরে বই নিয়ে আমাদের বাসায় আসবি
আমি- হুম
আপু- আসবি কিন্তু অপেক্ষা করবো
আমি- আচ্ছা
আপু- এই তোর নাম্বার দে
তারপর আপু কে নাম্বার দিয়ে বাসায় চলে আসলাম।

চলবে...

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com