খালাতো বোন মিশ্মির প্রতি ক্রাশ । পর্ব - ০৬
ভাইয়ার ইশারা দেখে আর ঠিক থাকতে পারলাম না।
ঠাসস করে ভাইয়া গালে একটা চড় বসিয়ে দিলাম।
ভাইয়া অবাক হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। হয়তো ভাইয়া কপ্লনাও করেনি আমি তাকে এভাবে থাপ্পড় দিবো
আশে পাশে সবাই তাকিয়ে আছে আমাদের দিকে। সেদিকে আমার খেয়াল নেই।
ভাইয়ার দিকে তাকিয়ে বললাম।
এতোদিন ভাবতাম তুমি আমাকে বোন ভেবে সবসময় আমাকে শাসন করো।কিন্তু না তোমাকে তোমার বন্ধু দায়িত্ব দিছে বলে সেগু পালন করতে।
তোমাকে ভাই ভেবে সম্মান করতাম বলে এতো দিন তোমার সব অত্যচার মেনে নিতাম।কিন্তু এখন তোমাকে ভাই বলতে আমার ঘৃণা লাগে।
আর যাই হোক কোন ভাই কোনোদিন এভাবে নিয়ে এসে অন্য ছেলে প্রপোজ একসেপ্ট করতে বলবে।
তোমার বন্ধু বলছে বলে তুমি এভাবে আমাকে এখানে নিয়ে আসলে একবারও ভাবলে না আমার তো খারাপ ও লাগতে পারে।
এই বলে ওখান থেকে চলে আসলাম।রোদ ভাইয়া আমাকে ডাকছে কিন্তু আমি তা অগ্রাহ করেই চলে আসলাম।
ভাইয়া আমার কথা গুলো মাথা নিচু করে নিরবে শুনছে।
মাঝ রাস্তা এসে পা ব্যাথা করতে লাগলো।
কেনো যে রাগ দিখিয়ে চলে আসতে লাগলাম।এখন নিজের কষ্ট হচ্ছে।
কিন্তু আমিই বা অরকম করবো না কেনো?
ঐসব দেখে ভাইয়ার সেইদিনের ফোনে কথা গুলো মানে বুঝতে তেমন অসুবিধা হয়নি
রোদ ভাইয়া বলছে বলেই এতোদিন ভাইয়া আমাকে পড়িয়েছন।
আর আমার কোন ক্ষতি হতে দেননি শুধুমাত্র রোদ ভাইয়কে কথা দিয়েছে বলে।রাস্তায় বসে ভাইয়ার গাড়ির অপেক্ষা করছিলাম।গাড়ি আসতে দেখে থামাতে বললাম।ভাইয়া গাড়ি থামালো।আমি গিয়ে পিছনের ছিটে বসলাম।আমাকে পিছনে বসতে দেখে রোদ ভাইয়াও পিছনে এসে বসলো।আর ভাইয়া নিরবে গাড়ি চালাতে লাগলো।
ভাইয়াকে দেখে এখন ড্রাইভার ড্রাইভার লাগছে বলে আমি হেসে উঠলাম।আমাকে হাসতে দেখে রোদ ভাইয়া বললো।
জানো পরী তোমাকে হাসলে অনেক সুন্দর লাগে।
আমি একটু রাগ দেখিয়ে বললাম।আমার একটা নাম আছে, একদম পরী বলবে না।সারা রাস্তা রোদ ভাইয়া অনেক বক বক করেছে।বাসায় এসে গাড়ি থেকে নেমে বাসায় ঢুকতে যাবো তখন রোদ ভাইয়া আমাকে ডেকে বললেন,
একবার ভেবে দেখো পরী।আমার মতো অভাগে ভালোবাসা যায় কি না।
আমি চোখ গরম করে চলে আসলাম।রুমে এসে যখন একটু রাগ কমলো।তখন মনে পরে গেলো রাগের মাথায় ভাইয়াকে চড় মেরে ফেলেছি।যে ভাইয়া মুখের উপর কোন দিন কথা বলিনি আজ থাকে চড় মারলাম।ভাইয়া যদি মা বাবা কে বলে দেয়। তাহলে আর আমাকে এ বাসায় থাকা লাগবে না।সোজা ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বাসা থেকে বের করে দিবে।
সন্ধ্যায় সবাই চলে আসলো।
শপিং য়ে নিয়ে না যাওয়ার কারণে কারো সাথে কথা বললাম না।কেউ আমার রাগ ভাঙ্গানো কোনো চেষ্টা করলো না দেখে নিজের থেকে কথা বললাম।রাতে খাবার টেবিলে ভাইয়াকে না দেখে রিয়াকে জিগ্যেস করলাম।
ভাইয়া কোথায়?
রিয়া বললো।
ভাইয়া তো রোদ ভাইয়ার বাসায়। অনেক দিন পর রোদ ভাইয়া ফিরছে তো তাই আজ ভাইয়া রোদ ভাইয়ার বাসায় থাকবে।
এটা শুনে আমার মন খুশিতে ভরে গেলো তার মানে আজ ভাইয়া আমাকে পড়াতে আসবে না।
রাতে নিশ্চিতে ঘুমাচ্ছিলাম, তখন রোদ ভাইয়া ফোন দিয়ে বিরক্ত করা শুরু করলো।নিশ্চয়ই ভাইয়ার থেকে নাম্বার নিয়েছে।বিরক্ত হয়ে ফোন টা বন্ধ করে রেখে দিলাম।
কিন্তু রোদ ভাইয়া এখানেই থেমে যায়নি।সকালে তার বাবাকে নিয়ে হাজির হয়েছে।
রোদ ভাইয়া পাএ হিসাবে ভালো দেখে বাবা মা বিয়ে প্রস্থাবে রাজি হয়ে যায়।আমি না করায় মা আমাকে বলে তুই তো আর কাউকে ভালোবাসিস না তাহলে রাজি না হওয়ার কি আছে।
রোদ পাএ হিসাবে ভালো।আমার কোন কথা না শুনেই একপ্রকার জোর করেই আমার বিয়ে ঠিক করল।আপুর যেদিন বিয়ে সেদিন আমার সেই ছোট বেলা থেকে কত স্বপ্ন ছিলো আপু বিয়েতে অনেক মজা করবো। কিন্তু সব আশা ভেঙ্গে গেলো।
বিয়ে ঠিক হওয়ার পর থেকে রোদ ভাইয়ার সাথে প্রতিদিন কথা বলা শপিং য়ে যাওয়া সব কিছু বিরক্ত লাগতো।
এতোকিছুর মাঝে ভাইয়া একবারও আমার সামনে আসেনি।এতো কিছুর মাঝে ভাইয়াকে অনেক মিস করা শুরু করলাম।
এখন রোজ পড়ার টেবিলে ভাইয়ার জন্য অপেক্ষা করি কিন্তু ভাইয়া আসে না।কলেজে না গেলেও কেউ বলতে আসে না।সবসময় একা থাকতে হয়।ভাইয়াকে দেখার জন্য খুব মন চাইছিলো।
তাই আজ ৩দিন পর ভাইয়ার রুমে আসলাম।রুমে গিয়ে ভাইয়াকে দেখতে না পেয়ে চলে আসছিলাম।তখন ভাইয়ার সেই ডায়রিটার দিকে চোখ পড়লো।মন খারাপ করে পরতে লাগলাম।কিন্তু ডায়রিটা পড়ে আমার চোখে পানি চলে আসলো ডায়রিটা পড়ে এটা বুঝতে পেরেছি ভাইয়া আমাকে সেই ছোট বেলা থেকে ভালোবাসে।আর ভালোবেসেই ছোট বেলা থেকেই আমাকে সেভ করে আসছে।
কিন্তু ১বছর আগে বার্থডে দিন আমাকে সাদা ড্রেসে দেখে রোদ ভাইয়া আমার উপর ক্রাশ খায় আর পরে তা ভালোবাসার রুপ নেয়।
ভাইয়াকে বলায় অনিচ্ছা সত্ত্বেও ভাইয়া খুব আমাকে ভুলে যাওয়া চেষ্টা করে কিন্তু ভুলতে পারে না।নিজের ভলোবাসার কথা নিজের মনের কোণে রেখেই ভাইয়া আমাকে পেতে হেল্প করে।
নিজে আজ বড্ড বোকা মনে হচ্ছে।
জনপ্রিয় পোষ্ট সমূহঃ
এতোদিন এতো কাছে থেকে একজন মানুষ আমাকে পাগলের মতো ভালোবাসচ্ছে আর আমি কি না একটা বারের জন্য বুঝতে পারলাম না।কিন্তু এখন আমার কি করা উচিত?
এখন যে অনেক দেরি হয়ে গেছে।অনেক চেষ্টা করার পরও মা বাবা কে কিছু বলতে পারলাম না।
দিনগুলো অনেক তাড়াতাড়ি চে যাওয়া শুরু করলো।
এখন আমি বুঝতে পারি ভাইয়াকে আমি ভালোবেসে ফেলেছি, কিন্তু আমার কিছু করার নেই। বিয়ের দিন ভাইয়াকে দেখতে পেলাম।অনেক শুকিয়ে গেলে ভাইয়া।চোখের নিচে কালি পরে গেছে।বুঝা যাচ্ছে ভাইয়া রাতে ঘুৃমাতে পারে না।
কাজী এসে বিয়ে পড়ানো শুরু করলো। আপুর বিয়ে হয়ে গেলে। আমার কাছে এসে আমাকে বলতে বলে কবুল
চলবে.....
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com