Breaking News

খালাতো বোন মিশ্মির প্রতি ক্রাশ । পর্ব - ০৫

অনেক বলার পরেও ভাইয়া আমাকে যেতে দেয়নি।আপুর বিয়ের শপিং য়ে যেতে না পারায় রাগে দুঃখে মোবাইলে গেম খেলতেছিলাম।ঠিক ২০মিনিট পর ভাইয়া একটা শপিং এর প্যাকেট নিয়ে ফিরে এলো।

ভাইয়াকে দেখে অবাক হয়ে বললাম।এতো তাড়াতাড়ি ফিরে এলে যে।
ভাইয়া বললো,
বেশি কথা না বলে এই ড্রেসটা পরে আয়।আমি মনে মনে ভাবলাম হয়তো আমাকে এখন শপিংমলে নিয়ে যাবে।
কথা না বাড়িয়ে রেডি হতে গেলাম।কিন্তু ওয়াশ রুমে গিয়ে প্যাকেট টা খুলে সাদা কালারের গাউন দেখে আর এক দফা অবাক হলাম।
যে কালারের জন্য আজ আমার সাথে হিংস্র ব্যবহার করলো এখন সেই কালারের ড্রেসই পড়তে বলছে।রেডি হয়ে ভাইয়ার রুমে গেলাম।ওয়াশ রুম থেকে শব্দ পেয়ে চিল্লিয়ে বললাম।
ভাইয়া তুমি কি ফ্রেশ হচ্ছো।

ভাইয়া বললো,
হুম, তুই ৫মিনিট অপেক্ষা কর?ভাইয়ার কথা শুনে আমি খাটে গিয়ে বসে ভাইয়ার জন্য অপেক্ষা করছিলাম।
হঠাৎ বালিশের কাছে ডায়েরি দেখে মনে মনে বললাম।
এখানে নিশ্চয়ই ভাইয়ার গার্লফ্রেন্ড এর সম্পর্কে কিছু লেখা আছে।
এই ভেবে খুশি মনে ডয়রির প্রথম পাতা খুললাম কিন্তু কিছু লেখা না দেখে হতাশ নিয়ে দ্বিতীয় পাতা খুলতেই সেখানে দেখতে পেলাম বড় বড় করে লেখা।
আমি তো ওকে, ভালোবেসে ভুল করিনি,আমি ওর ভালোবাসর মাঝে আসিনি বরং ঐ এসে আমার ভালোবাসার মাঝে।
পরের পাতা খুলতে জাবো ঠিক সেই সময় ভাইয়া এসে আমার হাত থেকে ডায়রি টা কেড়ে নিয়ে বললো,
এ রকম বেয়াদবি যেনো আর না দেখি অন্যের ডায়রি না বলে পড়তে হয় না তুই জানিস না।
আমি আমতা আমতা করে বললাম,সসরি ভাইয়া আর পড়বো না।
ভাইয়া বললো এখন তাড়াতাড়ি গিয়ে গাড়িতে বস।আমি ভাইয়ার কথা শুনে রুম থেকে বের হয়ে গাড়িতে গিয়ে বসলাম।

কিছুক্ষণ পর ভাইয়া এসে গাড়ি স্টটাট দিলো।আমি একটা জিনিস খুব ভালো ভাবে লক্ষ করছি, ভাইয়া আমার দিকে ভুলে একবারও তাকাচ্ছে না।আর ভাইয়ার চোখ গুলো ফুলে গেছে।
গাড়িটা যখন ইয়ারপোটের দিকে যাচ্ছিলো তখন আমি ভাইয়াকে বললাম।
ভাইয়া এদিকে কেনো যাচ্ছো।
ভাইয়া বললো,
তোকে আজ আমেরিকার পাঠাবো।
আমি ভয়ে ভয়ে বললাম।
আপুর বিয়ে না খেয়ে আমি কোথাও যাবো না। আর আমেরিকার তো আমি আমার বরের সাথে হানিমুনে যাবো।
এখন একা যাবো না আমি।
এই বলে কাঁন্না শুরু করলাম।
ভাইয়া আমাকে ধমক দিয়ে বললো,
একদম আমার সামনে নেকা কান্না করবি না।
ভাইয়ার ধমক শুনে আমি চুপ হয়ে গেলাম।
এয়ারপোর্টে এসে ভাইয়া গাড়ি পাকিং করলো।আমি মনে মনে ভাবছি সত্যি কি ভাইয়া আমাকে বিদেশ পাঠিয়ে দিবে।

গাড়ি থেকে নামা মাত্রই একটা ছেলে দৌড়ে এসে ভাইয়াকে জরিয়ে ধরলো।
ছেলেটাকে চিনতে বেশি সময় লাগলো না।
কারণ ছেলেটা ভাইয়ার বেস্ট ফ্রেন্ড রোদ ভাইয়া।
ভাইয়া বাবার ব্যবাসার কাজে বিদেশ গিয়ে ছিলো এক বছর আগে।
কিন্তু তার তো আরও কিছু মাস পর ফিরার কথা ছিলো এতো তাড়াতাড়ি ফিরলো কেনো?
রোদ ভাইয়া আমাকে দেখে ভাইয়াকে বললো।
থ্যাংকস দোস্ত, আমার পরীকে এভাবে আনার জন্য।
এই বলে এয়ারপোর্টে সবার সামনে হাটু গেড়ে আমাকে প্রপোজ করলো।
এই সবের আগা মাথা না বুঝে ভাইয়ার দিকে তাকিয়ে দেখলাম ভাইয়া ইশারায়
রোদ ভাইয়ার প্রপোজ একসেপ্ট করতে বলছে।

চলবে...

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com