মিথ্যা অপবাদে অপরাধী । পর্ব -০৪
প্যাসেন্ট আউট অফ ডেন্জার। আপনার ছেলে ঠিক সময় মতো না নিয়ে আসলে হয়তো প্যাসেন্ট সারা জীবনের জন্য পঙ্গু হয়ে যেতেন (ডাঃ)
-কিহহহহহ? আমার ছেলে মানে আমার তো কোন ছেলেই নাই।(মহিলাটি)
-তাহলে ওনি কে?? যে আপনার ছেলেকে হসপিটালে নিয়ে এসেছিল? (ডাঃ)
-চিনিনা তো....??(মহিলাটি)
-ওহ এই জন্য বুঝি আপনার মেয়ে ছেলেটিকে থাপ্পড় মাড়লো? গুড, হয়তো আপনারা বড়লোক পোষাক আসাকে বলে দিচ্ছে। কিন্তু আপনারা ছোটলোক বলতে ও ঘৃণা হচ্ছে। (নার্স)
-........(মা ও মেয়ে কথা গুলা শুনে অবাক হয়ে গেছে)
-আপনি কি জানেন? ছেলেটি চিকিৎসার জন্য ৫ লাখ টাকা জমা দিছে। টাকাটা জমা না দিলে হয়তো এখন পযন্ত আপনার বেঁচে থাকতো না।
-মা ও মেয়ে নিশ্চুপ.....
-নিজের শরীর থেকে ২ ব্যাগ রক্ত দিয়েছে যা হয়তো আপনার নিজের ছেলে হলে করতো কি না সন্দেহ। এখন রোগীর কাছে যাওয়া যাবে না(ডাঃ)
ডাক্তার ও নার্স চলে যায়,,,,,,
এদিকে লাকি(মেয়েটির নাম)মনে অনেক কষ্ট পায় ও আম্মু কান্না শুরু করে দেয়।
- আম্মু আমি এটা কি করালাম আম্মু? কাঁদতে কাঁদতে বলতেছে লাকি। এই কাজের জন্য আমায় আল্লাহ্ হয়তো ক্ষমা করবে না।
- কাঁদিস না মা কখনো যদি দেখা হয়ে যায় ক্ষমা চেয়ে নিস(লাকির মা মহিলাটি)
তবুও লাকি তার অন্যায় বুঝতে পেরে চোখের পানি ঝরাচ্ছে।
অন্যদিকে আবির কে পুলিশ অনেক মারে। এদিকে সে কাগজটাও হারিয়ে ফেলছে। আবির কে এত মারার পর ও আবির ব্যথায় চিৎকার করতেছে না। এই ব্যথা তো ক্ষণিকের তার থেকে ও আবিরের মনে অনেক বেশি ব্যাথা।
অন্যদিকে আমান সাহেব বাসায় ফিরে আসে আর জানতে পারে কেউ একজন টাকা নিয়ে আসে আর 5 লাখ টাকা কম থাকায় তাকে তারা পুলিশে দিয়ে দেয়।
আমান সাহেব খুব ভালো মানুষ,,,,,
-এমনও তো হতে পারে ছেলেটি বিপদে পরে 5 লাখ কোথাও নষ্ট করছে তার যদি টাকার ই লোভ থাকতো তাহলে এতগূলা টাকা তো আর ফিরাই দিতে আসতো না। যাই গিয়ে ছেলেটিকে পুলিশের হাত থেকে ছাড়িয়ে আনি।
- আমান সাহেব থানায় গিয়ে আবির কে ছাড়িয়ে নেয়।
-বাবা তোমার নাম কি?(আমান সাহেব)
-আবির।
-আমার জন্য তোমার কি অবস্থা করছে পুলিশ। বাবা আমাকে মাফ করে দিও। (আমান সাহেব)
-নাহহহ আন্কেল আপনি কেন মাফ চাচ্ছেন। আমি আপনার 5 লাখ টাকা দিয়ে একটা এক্সিডেন্ট হওয়া ব্যাক্তিকে চিকিৎসা করিয়েছি। চিন্তা করবেন না আন্কেল আমি আপনার টাকা শোধ করে দিবো।(আমি)
-নাহ বাবা লাগবে লাগবে না, আর তুমি তো টাকাটা নাও নি একজন কে সাহায্য করছো ।
- নাহহহ আন্কেল আমি আমি কারো কাছে রিনি থাকতে চাইনা। আমার চাকরি হয়ে গেলে আপনার টাকা পরিশোধ করে দিবো।
-তো কি চাকরি করবা?
-দেখি কি চাকরি করা যায়। আর আমি সবে মাত্র ইন্টার পরীক্ষা দিছি এখানো রেজাল্ট হয়নি। তবে আন্কেল আমি কার চালাতে পারি।
-ওহ, তাহলে আমার বাসার ড্রাইভার হয়ে যাও। মাসিক ২৫ হাজার করে বেতন পাবা।
-ধন্যবাদ আন্কেল আপনি আমার অনেক উপকার করলেন।
আন্কেল ওনার বাসায় নিয়ে গেলেন,,,,
-বাপি তুমি ঐ চোর টাকে বাসায় নিয়ে আসলে কেন? (আমান সাহেবের মেয়ে)
- না মামুনি আবির চোর নয় ও একটা লোককে বাঁচাতে টাকাটা ডাঃ কে দিয়েছে।
- ছোটলোক টা বানিয়ে বললো আর বিশ্বাস করলে বাপি(অনন্যা মেয়েটির নাম)
- নাহহহ রে মা । বাবা তুমি ঐ রুমে যাও এখন থেকে ওখানে থাকবে।
-বাপি,,,,?
অনন্যা রাগ করে চলে যায়। আর মনে মনে ভাবে আমাদের বাসায় থাকবে মনু বুঝাবো মজা কাকে বলে।
এদিকে আবির গিয়ে নিজের রুমটা গুছিয়ে নিয়ে নেয়। আর বিছানায় শুয়ে শুয়ে বাসার সবার কথা ভাবতে থাকে। কোন এক সময় ঘুমিয়ে পরে মাঝরাতে তার শরীরে প্রচন্ড জ্বর আসে। আবির কাঁপতে কাঁপতে ফ্লরে পরে যায়।
পরেরদিন সকালে কাজের লোক নাস্তা দিতে এসে দেখে আবির ফ্লরে পরে গোঙাতে লাগছে।
- সাহেব ছেলেটা ফ্লোরে পরে গোঙাছে মনে হয় অসুস্থ হয়ে গেছে ।
আন্কেল এসে তারাতারি করে আবিরকে হাসপাতালে ভর্তি করে।
কিছুক্ষণ পর,,,,,
ওনার শরীরে তো অনেক ক্ষত হয়েছে। গল্প পরতে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠান ।তাই ব্যাথায় শরীরে জ্বর আসে। কিছু দিন রেস্ট ও ঔষধ ঠিক ভাবে খেলে সুস্থ হবে যাবে । আপনারা চাইলে কালকেই বাসায় নিয়ে যেতে পারেন।
পরের দিন আমায় বাসায় নিয়ে আসলেন
বাসার ভিতরে যেতেই লক্ষ করলাম সেদিনের ঐ মেয়েটি। যার বাবাকে মেডিকেল এ ভর্তি করছি।
আমাকে দেখে দৌড়ে আসে লাকির,,,,
চলবে.....
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com