মিথ্যা অপবাদে অপরাধী । পর্ব -১২
পরেরদিন সকালে কলেজে যাওয়ার জন্য রেড়ি হয়ে নিচে আসলাম।তার কিছুক্ষন পর অনন্যা আসলো। আমি তার দিকে তকিয়ে অবাক। কারণ তাকে আজকে অনেক সুন্দর লাগছে কেননা তাকে শাড়ি পড়তে দেখিনি কখনো। আজ একটা নীল শাড়ি পড়েছে সাথে হাওল্কা মেকাপ। অনন্যা আমার সামনে এসে তুড়ি বাজাল৷ তখন আমার ধ্যান ফিরলো।আমি কিছুটা লজ্জা ফিল করলাম
-- আজকে এতো সাজ কি কারণে।?(আমি)
-- হি হি হি। পড়ে জানতে পাড়বে।(অনন্যা)
আমি আর অনন্যা বাসা থেকে বের হয়ে একটা রিক্সা নিয়ে কলেজে চলে আসলাম।
আজকে রেজাল্ট দিবে তা আপনারা আগে থেকেই হানেন। আমরা সবাই আড্ডা দিচ্ছিলাম।
কিছুক্ষন পরে রেজাল্ট বের হবে। তো কিছুক্ষন পড়ে রেসাল্ট দিলো।
আমরা সবাই ভালো রেজাল্ট ই হলো। যদিও আমি ১ম হয়েছি র অনন্যা ২য়।
আর বাকি যে কয়জন ছিলো সবার রেজাল্ট টপ ২০ এর মধ্যে।
আরো কিছুক্ষন আড্ডা দিয়ে কলেজ থেকে বের হলাম।
আর যে যার গন্তব্যে রওনা হলো। তখন
-- চলো আজকে একজায়গায় ঘুরতে যাবো। (অনন্যা)
-- কোথায় জাবে?(আমি)
-- গেলে্ই বুঝতে পারবে(অনন্যা)
-- আচ্ছা ঠিক আছে চলো।(আমি)
পরে একটা রিক্সা নিয়ে অনন্যার কথামতো একটা জাইগায় গেলাম।
আর তা ছিলো পার্ক।তা তুমি আমাকে এখানে নিয়ে আসলে কেন?
-- চলো ভিতরে।(অনন্যা)
আমি ভিতেরে গেলাম।
কিছুক্ষম কথা বলে
-- আচ্ছা তোমাকে একটা কথা বলি।কিছু মনে করো না।(অনন্যা)
-- হুম বলো কি বলবে?(আমি)
-- জানিনা তোমাকে কেন আমার এতো ভালো লাগে। তুমি কি দিবে তোমার হাতটা ধরে হাঁটতে।
প্রমিস ছেড়ে যাবোনা কখনো।
আমি সত্যি তোমাকে ভালোবেসে ফেলেছি পারবে কি আমাকে তোমার জীবনসঙ্গি করতে।
I LoVe YoU sO mUcH
অনন্যা এক নিঃশ্বাসে কথা গুলো বলল।
আমি ওর দিকে তাকিয়ে থাকলাম।আমিও ওর দিকে দুর্বল। কিছুক্ষন চুপ থেকে
-- আমাকে একটু ভাবতে দেও।(আমি)
-- আমি তোমার জন্য সারাজীবন ওয়েট করতে পারবো। (অনন্যা)
এটা বলে হাটতে শুরু করলাম। অনন্যাও আমার সাথে ছিলো।
আমি ওর সাতগে যতটা সম্ভব স্বাভাবিক আচরণ করলাম।
যদিও আমি আগেই বুঝতে পেরেছিলাম সে কিছু একটা করবে।
তারপর একই রিক্সাতে আবার বাসায় চলে আসলাম।সেদিনের মতো দিনটা ভালোই কাটলো।
রাতে আমি একটা চিঠি লিখলাম কি লিখলার তা অনন্যার কাস থেকেই পড়ে নিয়েন।
এদিকে আংকেল মনে মনে মনে
একজন বিশ্বাসী লোক পেয়েছি তার সাথেই আমি অনন্যার বিবাহ দিবো।
একদম আমার মনের মতো ছেলেটা।
পরেরদিন সকালে অনন্যা তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠে পড়ে।
আর আমার রুমের দিকে এসে দেখে আমার রুমের দিকে এসে
দেখে দেখে আমার রুম হালকা চাপানো ভিতর দিয়ে লক করা ছিলো না।
কৌতুহল বসত সে রুমে প্রবেশ করল। রুমে গিয়ে দেখে আমি নেই।
ওয়াসরুমের দরজা খুলা। সে ভাবলো এতো সকালে সে কোথায় গেলো।
তখন তার চোখ টেবিলের দিকে গেলো মোবাইলের নিচে একটা কাগজ আটকানো।
আর তাতে একটা নোট লেখা। আর অনন্যা নোট পড়তে লাগলো
আমি অনেক আগে থেকে তোমাকে লাইক করতাম।
আর তুমি যে আমাকে ভালোবাসো তা অনেক আগে থেকেই আমি জানতাম।
কিভাবে জানতাম?
আমি তোমার ডাইরিটা পড়ে জেনেছিলাম। আর হ্যা তুমি ওইদিন তোমার এক আত্নীয়ের বাড়িতে গিয়েছিলে। আর আমি একটা বই খুজতে তোমার রুমে গিয়েছিলাম আর শাথে ডাইরিটা পায়। তোমাকে না জানিয়ে ডায়েরিটা নেওয়ার জন্য স্যরি।
তোমার বাবা-মা যদি আমাকে না ও মেনে নেয় তুমি আমার সাথে যে কোনো জায়গায় যেতে প্রস্তুত। কিন্তু আমি এতটা সার্থপর নয় যে যারা আমাকে আস্রয় দিল তাদের সাথে বিশ্বাস ঘাতকতা করবো। আর হ্যা তুমি নিজের যত্ন নিও। আংকেলের কথা অনুযায়ী চলো।আর উনি যার সাথে তোমার বিয়ে ঠিক করেছেন তাকে বিয়ে করো বেচে থাকলে আবার দেখা হতে পারে । আমি চললাম অজানা কোনো গন্তব্যে।
ইতি, তোমার আবির
এটা পড়ে অনন্যা কাদতে থাকলো তখন আংকেল আসলেন
-- কাদছিস কেন?(আংকেল)
তখন অনন্যা আংকেলকে চিঠি টা দেয় আর বলে আবির চলে গেছে। আংকেল চিঠিটা পড়ে বসে পড়লেন। আর বললেন সে একবারো বলতে পাড়তো আর আমি তোর জন্যে যে ছেলেটা ঠিক করেছিলাম সে আর কেও নয় সে আবির। আমি কি জানতাম সে চলে যাবে।
-- আমি কিছু জানি না তুমি আমার আবিরকে আমার কাছে ফিরিয়ে দেও (অনন্যা)
-- চিন্তা করিস না সে তোর ভাগ্যে থাকলে এমনিতেই আসবে। আর আমি তাকে খুজে বের করব।(আংকেল)
-- তাই যেন হয়। (অনন্যা)
আর হ্যা কিছুদিন আগে-- আংকেল বলেন আমি তোর জন্যে একটা ছেলে ঠিক করেছি আর কোনো কথা বলবি না ছেলেটা অনেক ভালো তোর পড়ালেখা শেষ হলে বিয়ে দিব।
তখন অনন্যা দেখলাম খাইয়ার টেবিল থেকে চলে গেলো আর আংকেল মুছকি হাসলেন।
আমি ওদের বাসা থেকে বের হয়ে রওনা দিলাম অজানা গন্তব্যে। কোথায় যাবো জানিনা পরিচিত কোথাও যাওয়া যাবে না তাহলে অনন্যা জেনে যাবে। এইসব কথা ভাবছিলাম আর হাটতেছিলাম তখন একজনের সারহে ধাক্কা খেলাম আমি তার দিকে তাকিয়ে আছি......
-- আজবতো দেখে চলতে পারেন না।(ছেলেটা)
আমি কিছু বললাম না।
তখন ছেলেটি আমার দিকে তাকিয়েই
-- ভাই আপনি(ছেলেটা)
--হুম।
আপনারা তো বুঝছেন না ছেলেটা কে ছেলেটা হলো নাঈম ( ঐ সে ছেলেটা যে অনন্যার মোবাইল ছিনতায় করতে চেয়্বছিলো। এখন নিশ্চয় বুঝতে পেরেছে কে এই ছেলেটি?)
-- কেমন আছস তুই? আর আমাকে তুমি করে বলবি(আমি)
-- ভাই আল্লাহর রহমতে ভালোই আছি। আর তুমি যে টাকা দিয়েছিলে তা দিয়ে কতো দিন ওই কাজ করে এখন দুইটা দোকান দিয়েছি আর দুকানে দুইজন কর্মচারী আছে তবে আমিও মাঝে মাজে যাই।আর এখন আমি আর মা মোটামুটি একটা বড বাড়ি নিয়ে থাকি। তা তুমি কেমন আছ?(নাঈম)
-- আছি কোনরকম। আচ্ছা একটা থাকার জায়গা যোগাড় করে দিতে পারবি আর কোনো একটা কাজ খুজে নিবো।(আমি)
(আমি বাড়ি থেকে চলে এসেছি তা তাকে বলেছি আর কি কারণে এসেছি তা বলেনি)
-- অন্য কোথাও যাওয়া লাগবে না আমাদের সাথে থাকবে।তিন রুমের ফ্লাট 1 টা খালি পরে থাকে। তোমার অবশ্যয় কোনো চাকুরি হয়ে যাবে। আর মাকে তোমার কথা বলেছিলাম -মা তোমককে দেখতে চেয়েছেন। (নাঈম)
-- আচ্ছা চল(আমি)
নাঈম এখানে কোনো একটা কাজে এসেছিলো আর তার সাথে দেখা হবে আমি ভাবতে পারিনি।আমি আর নাঈম চলে আসলাম অদের বাসায়। এই বাসাটা অনন্যাদের বাসা থেকে অনেকটুকু দূরে। রিক্সাতে আসলে প্রায় ১ ঘন্টা লাগবে। এটা শহর এক বাসা থেকে অন্য বাসার লোকেদের চিনা যায় না আবার এতোদূরে তো কখন ও সম্ভবই না। আমি রুমে প্রবেশ করলাম।
-- মা দেখো কাকে এনেছি।(নাঈম)
-- কাকে এনেছিস (নাইমের মা)
ওইযে তোমাকে যার কথা বলতাম তোমাকে ওই ভাইটা। আন্টি আমাকে আপ্যায়ন করলেন।আর নাঈম বলল
-- সে বাসা থেকে রাগ করে এসে পড়েছে তাই আমাদের এখানে থাকবে।(নাঈম)
-- তাতে কোনো সমস্যা নেয়। তার যতদিন ইচ্ছা থাওকবে কোনো সমস্যা নেয়।
আর আমাকে আমার রুম দেখিয়ে দিলেন। দুপুরে খাওয়া-দাওয়ার পরে নাঈম আমাকে নিতে একটা দোকানে গেলো কিছুটা বড় দোকান। ওখান থেকে কয়েকটা প্যান্ট শার্ট নিল আর বলল এটা আমার দোকান।
-- তাহলে তো অনেক উন্নতি হয়েছে।(আমি)
-- সেদিন আপনি আমাকে এই পথ না দেখালে হইতো পারতাম না।(নাঈম)
তারপ্ল্রে নাসায় ভলে আসলাম।
পরেরদিন চাকুরি খুজতে বের হলাম।
চলবে....
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com