Breaking News

মিথ্যা অপবাদে অপরাধী । পর্ব -০৯



কারণ সে হলো লিমা।

-- কেমন আসছ?(লিমা)
-- ভালো আছি। তুই কেমন আসছ (আমি)
-- হুম ভালো। তা তুই এই কলেজে?(লিমা)
-- হুম। কিন্তু তুই এখানে কেন?(আমি)
-- আরে আমিতো এখানেই ভর্তি হয়েছি (লিমা)
যেই ছেলেগুলো টিচ করতেছিল আমরা যাওয়ার পরে ওরা চলে যায়।
-- এখানে না দারিয়ে চল অন্য কোথাও কথা বলি। (আমি)
ওহ,আপনারা তো চিনতে পারছেন না লিমা কে? আচ্ছা চলেন ওর পরিচয় দেই। লিমা হলো আমার স্কুল লাইফের বেস্ট ফ্রেন্ড । SSC এর পরে অওর বাবার অন্য জায়গায় পোস্টিং হই এবং অরা সপরিবারে চলে যায়।এর পরে অর সাথে আর যোগাযোগ হইনি। অতিত শেষ এখন বর্তমানে ফেরা যাক।
আপনাদের সাথে পরিচয় দিতে দিতে আমাদের আড্ডার স্থানে চলে আছলাম।
--তা তোর সাথে অদের পরিচয় করিয়ে দেই(আমি)
-- তোর লাগবে না আমি হয়ে নিচ্ছি। হ্যালো আমি লিমা(লিমা)
-- সকলে পরিচয় হয়ে নিল।

-- তা আন্টি-আংকেল কেমন আছে?(আমি)
-- ভালো আছে। আচ্ছা তুই এখানে আছস চল আমাদের বাসাই যাবি আজকে।(লিমা)
-- না আজকে জাবো না।অন্যদিন(আমি)
(আসলে আগে যখন স্কুলে পড়তাম তখন অনেকবার গেছি ওদের বাসায় যে কারনে আন্টি - আংকেল আমাকে ভালো ভাবে চিনেন)
-- আচ্ছা ঠিক আছে।(লিমা)
তখন ঘন্টা বাজলো আর আমরা ক্লাসে গেলাম। তবে খেয়াল করলাম মেহেদী লিমার দিকে তাকিয়ে আছে 😬। আর আমি চুপিচুপি অরে বললাম কি দেখস।
-- মামা ক্রাশ নামক বাঁশ খাইছি (মেহেদী)
-- 😂😂😂(আমি)

যথারিতি ক্লাস করে বের হয়ে এলাম।
ওহ আপনাদের তো বলাই হইনাই রাহাত আর সামিয়ার হয়ে গেছে III mean relation 😶
তো রাহাত আর সামিয়া পিছে কথা বলতে বলতে আসতেছে। চলেন ওরা কি বলে শুনে আছি না থাক অন্যের কথা শুনা ঠিক না 😌

এদিকে আমরা যে যার মতো বাসাই চলে আছলাম।এসে ফ্রেস হয়ে খেতে বস্লাম। তখন শুনলাম অনন্যার খালোবোন নাকি আসবে আজকে তাই তাকে আনতে যেতে হবে। সেজন্য আমি আর অনন্যা রেডি হয়ে তাকে আনতে গেলাম বাসস্ট্যান্ডে। আমি আর অনন্যা কিছুক্ষন ওয়েট করার পর দেখলাম অনন্যা এগিয়ে যাচ্ছে তখন বুঝলাম হইতো ওর বোন আসছে। তখনি অনন্যা ওকে জরিয়ে ধরলো। আর আমার দিকে এগিয়ে আসছিল। এসে--
-- ও কে?(মাহি)
-- আমি উনাদের বাসার ড্রাইবার।(আমি)
-- ও(মাহি)
অনন্যার খালাতো বোনের নাম মাহি। আর হ্যা আমি অন্যের আশ্রয়ে থাকতে চাইনি।তাই আমি চলে যেতে চেয়েছিলাম।তাই আংকেল বলেছিলেন যে অনন্যার ড্রাইভার হয়ে থাকতে। এর জন্যে উনি আমার বেতন ও দেন।কোনো চাকুরির জন্য আমিও আর দিমত করেনি রাজি হয়ে গিয়েছি। এবার বর্তমানে আসি---
-- আপনি গাড়িতে উঠেন(আমি)
তখনই আমার গালে 2 টা থাপ্পড় পড়লো।

আমি নিচের দিকে তাকিয়ে ছিলাম আর চোখ দিয়ে জল পড়ছিলো।
-- ওই আমি কি নিজের হাতে গাড়ির দরজা খুলবো তুই আমাকে কিভাবে বলিস দরজা খুলতে আর আমাকে ম্যাডাম বলবি মনে থাকে যেন।(মাহি)
-- আচ্ছা ঠিক আছে(আমি)😥
আর অনন্যাও স্তব্ধ হয়ে গেছে মাহির ব্যাবহারে। সে মাহিকে বলল অই তোর থেকে বড় আর ওর সাথে ভাল ব্যাবহার করবি।
-- ইশ।ব্যাবহার তোর কাছ থেকে শিখতে হবে না। আর আমি ছোটলোক দের দেখতে পারি না। (মাহি)
-- ভুলে যাস না সবাই মানুষ(অনন্যা)
-- হুহ। তোকে জ্ঞান দিতে হবে না (মাহি)
আর আমি গাড়ির দরজা খুলে দিলাম আর মাহি গিয়ে বসলো। অন্যদিকে অনন্যা আমার পাশে এসে বসলো তখন মাহি বলল ওই ড্রাইবারের জন্য তোর এতো দরদ কেন?
-- কারন আমি অকে।
এই না না কিছু বলা যাবে না, মনে মনে।

তখন বলল
-- মানুষকে সম্মান দিতে হয় ❤(অনন্যা)
অনন্যা আমাকে বলল ওর কথাই কিছু মনে করো না অই অইরকম ই 😐
-- না ঠিক আছে।(আমি)
আর কেও গাড়িতে কোনো কথা বললাম না। প্রায় ৩০ মিনিট পড়ে আমরা বাসাই চলে আছলাম।আর গাড়ি থেকে নেমে গাড়ির পিছিনের দরজা খুলে দিলাম আর মাহি নেমে গেল আর আমি অর জিনিস পত্র নিয়ে গেলাম ওর রুমে। আমি আমার রুমে এসে ফ্রেস হলাম। বিকালে ছাদে গেলাম গিয়ে দেখি অনন্যা আর মাহি ২ জনি আছে। আমি আসে পড়ব তখন মাহি ডাক দিল।
-- এই ড্রাইভার এদিকে আই(মাহি)
-- আমি ওদের কাছে গেলাম
--তখন বলল তুই এখানে কেন?(মাহি)
-- আপনারা এখানে আছেন আমি জানতাম না তাহলে আর আসতাম না। (আমি)
-- নেক্সটে যেনো আর কখন ও এমন না হয়।(মাহি)
-- আচ্ছা হবে না।{আমি)

তখন
-- অই আসবে না মানে কি। ওই আসবে তাতে কোনো সমস্যা নাই(অনন্যা)
আমি কথা না বড়িয়ে নিচে চলে আসলাম।
এসে ভাবতে থাকলাম আমাদের তো অনেক জমি আছে তা তো এদের থেকেও বেশি আর মাহি আমাকে এতো অপমান করতেছে 😐। সবই আমার কপাল 😥।কিছু করার নাই। কিছুক্ষন পরে সন্ধা হয়ে গেলো তাই আমি নামাজ পড়ে পড়তে বসলাম। রাত্রে আংকেল অফিস থে এসে ফ্রেস হয়ে খাব খেতে বসল।এবং আমাকে ডেকে পাঠাল। আর আমি আসার পরে মাহি বলল
-- ওই ড্রাইভার আমাদের সাথে খেতে বসবে 😑(মাহি)
-- ওই তোমার থেকে বড় সম্মান দিয়ে কথা বলবে😠( আংকেল)
-- আচ্ছা ঠিক আছে 😩(মাহি)

মাহি মনে মনে, তোর জন্য আমাকে অপমান করলো আমি তোলে ছাড়বো না। আর আমি তোকে এই বাড়ি থেকে তাড়িয়ে ছাড়বো। এভাবে এক সপ্তাহ কেটে গেলো কিন্তু মাহি আমাকে সহ্য করতে পারে না। আর অপরদিকে অনন্যা আমার দিকে অনেকটা দুর্বল হয়ে পড়েছে।
পরের দিন কলেজে যাচ্ছিলাম তখন অনন্যা বলল আজকে কলেজ ছুটির পর একজাইগায় যাব। ওর সাথে কথা বলতে বলতে কলেজে চলে আসলাম। যথারিতি প্রতিদিনের ন্যায় আজকেও আর আড্ডার বিকল্প হল না। আমি আর লিমা একটু দুরে গিয়ে--

-- শুন। তোর কি বয়ফ্রেন্ড আছে (আমি)
-- নাহ নেই। কেন?(লিমা)
-- তাহলেতো ভালোই হলো। আর হ্যা মেহেদী তোরে লাইক করে তোরকি অরে ভালো লাগে। (আমি)
-- হুম করা যায়। খারাপ না। আচ্ছা অরে বলে দিস আমি রাজি 😁😁(লিমা)
-- আচ্ছা 😬(আমি)
একটু পরেই ঘন্টা পড়লো আর আমরা ক্লাসে চলে গেলাম। আর অনন্যা বলল
--অর সাথ্ব কি বলতেছিলে??(অনন্যা)
-- একটু ওয়েট কর।জানতে পারিবে 😬(আমি)

-- 😳😳(অনন্যা)
আমরা ক্লাস করার পর --
-- আজকে কেও যাবি না মেহেদী ট্রিট দিবে 😋(আমি)
আমার কথা শুনে সবাই খুশি।কিন্তু কেও জানে না কি কারনে ট্রিট এমনকি মেহেদীও জানে না।
-- কি কারনে আমি ট্রিট দিব (মেহেদি)
সকলে বলল হুম কারণ 😳
-- আরে মামা লিমা রাজি হয়ে গেছে (আমি)
তখন সবাই এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে আমার দিকে আর দেখলাম লিমা লজ্জায় নিচের দিকে তাকিয়ে আছে।
-- আরে এইভাবে তাকিয়ে থাকবি নাকি। ট্রিট নিবি।(আমি)
-- আরে অবশ্য্য নিব😋(সবাই)
অন্যদিকে রাহাত বলতেছে
-- আজকে তোর পকেট খালি করব। আমার বেলাই মনে আছে 😈(রাহাত)
-- 😂😂(আমরা)
-- 😩😩?(মেহেদী)

-- আমার কপালে আজকে খারাপই আছে 😩(মেহেদী)
তাই আমরা একটা রেস্টুরেন্টে গেলাম আর যে যার মতো খাবার অর্ডার করলাম। খাবার শেষে মেহেদী বিল দিল আর আমরা যে যার মতো বাসাই চলে আসলাম। আর পরেরদিন মাহি চলে গেলো আর আমি মনে মনে বললাম এতোদিনে আমার জিবনটা জাহান্নাম করে দিছে 😈।চলে যাওয়াতে বাচলাম।
আর এর মধ্যে চলতে থাকে আমার জীবন —— ( কলেজে যাওয়া,মাঝে মাজে ঘুরেতে যাওয়া, বাড়িতে মাঝে মাঝে কোনো কাজ করা)।

দেখতে দেখতে ২ মাস চলে যায়। এখন আংকেল - আন্টি আমাকে নিজের সন্তানের মতোই মনে করেন। যদিও আন্টি প্রথমে আমাকে একটু খারাপ নজরে দেখতেন কিন্তু এখন অনেক ভালো বাসেন।
অপরদিকে অনন্যার ভাব দেখে বুঝা যায় সে আমাকে ভালোবাসে কিন্তু মুখফুটে কখন ও বলেনি। যদিও, আমিও ওর প্রতি অনেকটা দুর্বল হয়ে পড়েছি কিন্তু তা কখন ও বলা যাবে না।কারণ আমার নিজেরই এখন কোনো অস্তিত্ব নেই সেখানে ওকে নিব কিভাবে।
যাক অনেক কথা বলে ফেলেচগি এখন গল্পে ফিরা যাক।
পরেরদিন সকালে উঠে আমি সারপ্রাইজ। কারণ--

চলবে...

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com