Breaking News

আপু যখন বউ । পর্ব - ১৩ এবং শেষ



আমিঃ আপনাকে বলতে হবে না! আপনি……(আর কিছু বলার আগেই আমার ফোনটা বেজে উঠলো)

তাকিয়ে দেখি মারিয়া ফোন দিয়েছে! মনে মনে খুশি হলাম! যাক এবার জান্নাত একটু জ্বালিয়ে নেই! কলটা ধরলাম।
আমিঃ হ্যা বেবি বলো!
মারিয়াঃ হুসাইন জান্নাত কি সামনে বসে আছে নাকি?
আমিঃ হুম বেবি! তোমাকে আমি অনেক ভালোবাসি!
তাকিয়ে দেখি জান্নাতের চোখগুলো রাগে লাল নীল হলুদ রং ধারণ করেছে! আর আমাকে কাচা খেয়ে যাবে এমন মনে হচ্ছে! আমি সেদিলে পাত্তা না দিয়ে নিজের মতো করে কথা বলতে লাগলাম!
মারিয়াঃ ওহ! তা কালকে ভার্সিটিতে একটু তাড়াতাড়ি আইসো কাজ আছে!
আমিঃ ওকে! তুমি চাইলে রিয়ার্সেল বাসায় করতে পারি!
যেভাবেই হোক এই কনটেষ্টে জিততে হবে আমাদের! বেবি!

মারিয়াঃ তাড়াতাড়ি আইসো! রাখি বাই?
আমিঃ ওকে বায়! লাভ ইউ! (বলেই ফোনটা রেখে দিলাম)
এদিকে জান্নাত রাগের শেষ সীমানায় পৌছে গেছে কখন যে কি বলে ফেলে কে জানে!
জান্নাতঃ তুই কিসের কনটেষ্টে এর কথা বলছিলিরে
আমিঃ ভার্সিটিতে একটা নতুন কনটেষ্টে হচ্ছে ঐটার!
জান্নাতঃ নাম কি!
আমিঃbest couple of the year!
জান্নাতঃ মানে? এমন কোনো কনটেষ্টে তো নেই আমাদের ভার্সিটিতে!
আমিঃ ছিলো না কিন্তু এবার হয়েছে! আর আমিও ঐটাতে জয়েন হয়েছি!
জান্নাতঃ তোর পার্টনার কে?

আমিঃ কে আবার “মাই লাভ মারিয়া!”
জান্নাত রাগে ফেটে যাচ্ছিল! তাও কিছু না বলে নিজের রুমে চলে গেলো!
সকালে ফোনের আওয়াজে ঘুম ভাঙ্গলো!
তাকিয়ে দেখি মেহেদী ভাইয়ের ফোন এসেছে তাই ফোনটা রিসিভ করলাম!
মেহেদী ভাইঃ হুসাইন তুই কোথায় এখনি ভার্সিটিতে আয়!
আমিঃ কেনো কি হয়েছে!
মেহেদী ভাইঃ আয় তারপর বলতেছি! তাড়াতাড়ি আয় (বলেই মেহেদী ভাই ফোনটা রেখে দিলো)
উঠে ফ্রেশ হয়ে রেডি হয়ে বাহির হতেই দেখি জান্নাত আমাকে দেখে মিটিমিটি হাসতেছে! ঐদিকে নজর না দিয়ে আমি সোজা চলে গেলাম ভার্সিটিতে!
মারিয়া মাথাটা নিচু করে বসে আছে! আর মেহেদী ভাইয়ের মুখে চিন্তার ছাপ ফুটে আছে
আমিঃ কি হয়েছে মারিয়া!

মেহেদী ভাইঃ মারিয়াকে ভার্সিটি থেকে T C দিয়ে বেড় করে দিয়েছে!
আমিঃ কেনো?
মেহেদী ভাইঃ জান্নাত হয়তো কোনো কিছু বলেছে ওর বাবার কাছে!
আর কোনোকিছু না বলে মারিয়াকে নিয়ে সোজা চলে গেলাম প্রিন্সিপ্যাল স্যার এর রুমে!
আমিঃ স্যার মারিয়াকে বেড় দেওয়ার কারণটা কি?
স্যারঃ দেখো তোমার শশুড় বলাতে আমাকে করতে হয়েছে! এতে আমি কিছুই জানি না!
আমিঃ ওকে!
ফোনটা বেড় করে জান্নাতের আব্বুকে ফোন দিলাম! রিং হওয়ার একটু পর ধরলো!
জান্নাতের আব্বুঃ হ্যা বাবা বলো!
আমিঃ আপনি এখনি আমার বাসায় গিয়ে জান্নাত নিয়ে ভার্সিটিতে আসেন!
একঘন্টার ভিতরে আসেন! (বলেই ফোনটা কেটে দিলাম)
তারপর গিয়ে সবার সাথে বসে রইলাম কেন্টিনে!

ঘন্টাখানেক পরে পিওন এসে ডেকে গেলো প্রিন্সিপ্যাল এর রুমে যাওয়ার জন্য!
মারিয়াকে নিয়ে চলে গেলাম প্রিন্সিপ্যাল এর রুমে! জান্নাত আর ওর আব্বু বসে আছে!
আমিঃ আঙ্কেল মারিয়াকে ভার্সিটি থেকে বেড় করে দেওয়া হয়েছে কেনো জানতে পারি!
জান্নাতের আব্বুঃ জান্নাত বলেছে ওর নাকি কি সমস্যা আছে তাই বেড় করে দিতে বললো! তাই আমি ওকে এখান থেকে অন্য ভার্সিটিতে টান্সফার করার ব্যবস্থা করেছি!
আমিঃ জান্নাত তোমার সাথে আমার কথা আছে! একটু ঐ রুমে আসো! (বলেই মারিয়া আর আমি পাশের রুমে চলে গেলাম)
কিছুক্ষণ পর জান্নাত আসলো!
জান্নাতঃ তুই রাগলে কিন্তু সেই লাগে তা জানিস!
আমিঃ মজা নিচ্ছেন!
জান্নাতঃ হুম!

আমিঃ আচ্ছা সোজা কথায় আসি! আপনি যদি মারিয়াকে ভার্সিটি থেকে বেড় করে দেন! তাহলে আমিও ওর সাথে চলে যাবো! শুধু ভার্সিটি থেকে না আপনার লাইফ থেকেও চলে যাবো! পরে কাউকে কিছু বলতেও পারবেন না!
জান্নাত আমার কথা শুনে হা করে আমার দিকে তাকিয়ে রইলো! চোখের কোণে পানি জমে টলমল করতেছে! হয়তো এখনই বৃষ্টি নামবে!
আমিঃ দেখুন যেই পাচ মাস আছে এটা যদি আপনি আমার সাথে থাকতে চান তাহলে মারিয়াকে ভার্সিটিতে শান্তিতে থাকতে দিন! নাহলে দেখবেন মারিয়ার সাথে আমিও উদাও! ভেবে দেখেন কি করবেন! (বলেই মারিয়াকে নিয়ে সেখান থেকে কেন্টিনে এসে পড়লাম)
বিকেলে মারিয়াকে প্রিন্সিপ্যাল স্যার ডেকে নিয়ে T C এর সবকিছু Cancel করে দেয়।
সন্ধ্যায় বাসায় গিয়ে কয়েকবার কলিং বেল দেওয়ার পরেও দরজা খুললো না! তাই বাধ্য হয়ে চাবি দিয়ে দরজা খুলে ভিতরে গেলাম!

ভিতরে গিয়ে জান্নাতের রুমে ওকি দিয়ে দেখি জান্নাত ঘুমাচ্ছে! জান্নাতের ঘুমেনো চেহারা অনেক সুন্দর তাই এটা দেখার জন্য একবার ওর রুমে গেলাম!
জান্নাত ঘুমিয়ে আছে ঠিকই কিন্তু দেখে মনে হচ্ছে প্রচুর কান্না করে ঘুমিয়েছে! চোখের কাজল গুলো লেপ্টে আছে মুখে! জান্নাতের এই চেহারাটা দেখে অনেক মায়া হতে লাগলো ওর প্রতি!
এভাবে কিছুক্ষণ ওর প্রতি তাকিয়ে থেকে রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নিলাম! তারপর ছাদে গিয়ে ঘুড়াফেরা করে রুমে চলে আসলাম!
এসে দেখি জান্নাত কারো সাথে কথা বলতেছে! আমাকে দেখেই আমার দিকে ফোনটা বাড়িয়ে দিলো! তাকিয়ে দেখি আম্মু কল দিয়েছে!
আমিঃ হ্যা আম্মু বলেন!
আম্মুঃ তোরা বাড়িতে আসবি কবে!
আমিঃ কেনো কোনো কাজ আছে নাকি!

আম্মুঃ তোর ভাবি তো মা হতে চলেছে! তাই একবার জান্নাত নিয়ে এসে দেখে যা তোর ভাবিকে!
আমিঃ আম্মু আমার তো ক্লাস এক্সাম চলতেছে! আমি জান্নাত পাঠিয়ে দিচ্ছি ওও গিয়ে নাহয় কিছুদিন ভাবির খেয়াল রাখুক
আম্মুঃ বউমা একা আসবে মানে! তুই পরিক্ষা শেষ হলে বউমাকে সঙ্গে নিয়ে একেবারে আসবি!
আমিঃ আমার পরিক্ষা শেষ হতে আরো ১৫ দিন লাগবে!
আম্মুঃ তখনই নাহয় বউমাকে নিয়ে একেবারে আসবি! ভালো থাকিস!
আমিঃ ওকে! (বলেই ফোনটা কেটে দিলাম)
জান্নাতঃ আমি চলে গেলে তুই শান্তিতে থাকতে পারবি তাই তো?
আমিঃ হুম! (বলেই রুমে চলে গেলাম)

এভাবে চলে গেলো আরো ১০ দিন! জান্নাত মুখ বুঝে এখন আমার সব কথা শুনে! জান্নাত দেখানোর জন্য মারিয়াকেও বাসায় নিয়ে আসি! আর জান্নাত কিছু বলতে না পেরে শুধু কান্না করে এগুলো দেখে আমি নিজের মনের সব কষ্ট আর দূর করি!
জান্নাত দেখলে এখন মায়া হয় কিন্তু পুরোনো কথাগুলো মনে হলে সবকিছু ভুলে যাই!
বিকেলে ক্লাস শেষ করে ভার্সিটিতে বসে সবাই আড্ডা দিতেছিলাম! তখনই মারিয়া বলে উঠলো!
মারিয়াঃ হুসাইন তুমি এবার জান্নাত আপুকে মেনে নাও! আপুর কি অবস্থা হয়েছে কেদে-কেদে দেখেছো একবার!
আমিঃ ওহ হ্যালো আমাকে আটমাস জ্বালিয়েছে আর আমি তো মাত্র একমাস! এত তাড়াতাড়ি হুসাইন কাউকে ক্ষমা করে না!

মারিয়াঃ তুমি দেখেছো জান্নাত আপু কতটা শুকিয়ে গেছে! ওনি ওনার ভুলটা বুঝতে পেরেছে আর যে তার নিজের ভুলটা বুঝতে পারে তাকে ক্ষমা করে দেওয়া মহৎ গুণ!
আমিঃমারিয়া প্লিজ জান্নাত কে আরো কিছুদিন জ্বলে নিক তারপর নাহয় বলবো! নাহলে এটা অনেক কম হয়ে যাবে! কয়েকদিন পরে নাহয় জান্নাত কে সব বলে দিবো!
মারিয়াঃ তোমাকে কিছুই বলতে হবে না! সময় হলে আমিই জান্নাত আপুকে সব বলে দিবো!
আমিঃ ওকে! কিন্তু আরো কিছুদিন এভাবে চলার পর বলবে?
মারিয়াঃ ওকে! তা তুমি না গ্রামে যাওয়ার কথা কবে যাবে!
আমিঃ কাল বিকেলে গিয়ে ভাবিকে দেখে আসবো ভাবতেছি! আর কিছুদিন থেকেও আসবো!
মারিয়াঃ ওকে! বেষ্ট অফ লাক!
আরো কিছুক্ষণ গল্প করে বাসায় চলে আসলাম!
পরেরদিন বিকেলে জান্নাত কে নিয়ে বাসায় চলে আসলাম!
সবার সাথে কথা শেষ করে রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নিলাম!

রাতে সবাই একসাথে খেতে বসলাম! তখনই ভাইয়া বলে উঠলো!
ভাইয়াঃ হুদা তোকে তো চাচা বানিয়ে দিলাম! এবার বল আমি আমার বাতিজার মুখ কবে দেখবো!
ভাইয়ার কথা শুনে কি বলবো বুঝতেছি না! সালার বেবি তো দূরের কথা আজ পর্যন্ত থাপ্পড় ছাড়া আর কিছুই পাই নি! এসব ভাবছিলাম তখনই জান্নাত বলে উঠলো
জান্নাতঃ খুব তাড়াতাড়ি পেয়ে যাবেন ভাইয়া!
ভাইয়াঃ যাক আলহামদুলিল্লাহ!
যাক প্রানে বেচে গেলাম! খাওয়া-দাওয়া করে আমি রুমে গেলাম! কিছুক্ষণ পর জান্নাত এসে লাইট অফ করে আমার পাশে শুয়ে পড়লো!
আমি উঠে সোফায় চলে যেতে লাগলাম তখনই জান্নাত বলে উঠলো!
জান্নাতঃ ভাইয়া কি বলেছে শুনিস নি!
আমিঃ কখন!

জান্নাতঃ ওনাকে যে একটা বাতিজা এনে দিতে বলেছে তুই শুনিস নি!
আমিঃ হুম শুনেছি তো কি করবো আমি!
জান্নাতঃ তুই চাইলে কিন্তু আমরা ওনার ইচ্ছাটা পূরণ করতে পারি!
আমিঃ প্লিজ এসব নাটকের কথা আমার সামনে বলবেন না! আমি আপনাকে আগেই আমার ডিসিশান শুনিয়ে দিয়েছি! তাই এসব ফাউল কথা বলবেন না প্লিজ!
জান্নাত আর কিছুই বললো না! আমি কাথা আর বালিশ নিয়ে চলে গেলাম সোফায়!
তারপর ঘুমানোর চেষ্টা করতে লাগলাম!
কিছুক্ষণ পর কানে কারো চাপা কান্নার হালকা আওয়াজ আসতে লাগলো!
বুঝতে বাকি রইলো না জান্নাত কান্না করতেছে!
খারাপ লাগছিলো তাও আমাকে কষ্ট দেওয়ার সব ফল ভোগ করিয়ে ছাড়বো!
এসব চিন্তা বাদ দিয়ে আরামে ঘুম দিলাম!
এভাবে চলে গেলো আরো ৭ দিন!
বিকেলে ভাইয়া আর আমি বসে ছিলাম তখনই ভাবি এসে বললো জান্নাত নাকি কি কারণে আমাকে ডাকতেছে রুমে যেতে! তারপর ওনাদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে রুমে চলে আসলাম!
জান্নাতের মুখ রাগে লাল হয়ে আছে! কি কারণে তাও বুঝতে পারতেছি না!
এসব ভাবছিলাম তখনই জান্নাত এসে ঠাসসসস, ঠাসসস (দুই গালে চড় বসিয়ে দিলো)
চড় খেয়ে টাসকি হয়ে বসে রইলাম! কেনো মেরেছে বা দোষটা কি কিছুই বুঝতেছি না! তাই জিঙ্গেস করলাম!
আমিঃ মারলেন কেনো!

জান্নাতঃ তুই এতদিন জেনে শুনে আমাকে কষ্ট দিয়েছিস!
বুঝে গেলাম মারিয়া সব বলে দিয়েছে তাই চুপ করে রইলাম!
জান্নাতঃ তুই আমাকে এতদিন….. (আর কিছু বলার আগেই জান্নাত কে আম্মু ডাক দিলো)
তাই চলে গেলো আর যাওয়ার সময় বলে গেলো!
জান্নাতঃ রাতে তোর খবর আছে শয়তান!
তারপর ফোনটা বেড় করে মারিয়াকে ফোন দিলাম!
আমিঃ মারিয়া তুমি কি সব বলে দিয়েছো!
মারিয়াঃ হুম! আপুকে অনেক জ্বালিয়েছো এখন প্লিজ মেনে নাও!
আমিঃ তুমি বলে দিয়ে এখন আমাকে বাশের চিপায় ফেলে দিয়েছো! এখন বলে গেছে রাতে আমার ক্লাস নিবে!
মারিয়াঃ কিসের ক্লাস নিবে তা তো জানি না! তবে আজকে তোমার বাসর রাত হবে এটা জানি!

আমিঃ বাসর রাত না শেষ রাত আল্লাই জানে!
মারিয়াঃ আরে ভয় পেয়ো না! আমি একটু বিজি আছি পরে কথা বলবো বাই!
বলেই ফোনটা কেটে দিলো! আমি কি করবো বুঝতেছি না!
রাতে খাওয়া-দাওয়া করে রুমে এসে শুয়ে গেলাম! কিছুক্ষণ পর জান্নাত রুমে আসলো
জান্নাতঃ জনাব উঠে বসেন আপনার সাথে আমার কথা আছে!
ভদ্র ছেলের মতো উঠে বসলাম! চুপ করে নিচের দিকে তাকিয়ে রইলাম!
তারপর কিছু না বলে রাগি চোখে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে তারপর বললো!
জান্নাতঃকাল ঢাকায় গিয়ে তোর ক্লাস নিবো আমি! তখন তোর তেল বেড় করবো আমি!
বলেই আমার পাশে গিয়ে শুয়ে পড়লো! আমি উঠে সোফায় যাবো বলে বালিশ হাতে নিতেই জান্নাত বলে উঠলো!
জান্নাতঃ যেখানে আছিস যেখানেই শুয়ে থাক নাহলে মেরে হাত পা ভেঙ্গে দিবো!
ভয়ে আর কিছু না বলে চুপচাপ ঐখানেই শুয়ে গেলাম!
পরেরদিন চলে আসলাম ঢাকায়! বিকেলে সবকিছু গুছিয়ে হালকা ঘুমিয়ে! নিলাম!
রাতে খাওয়া-দাওয়া করে নিজের রুমে চলে গেলাম! কিছুক্ষণ পর জান্নাত আসলো রুমে! চেহারায় ভিলেন এর হাসি!

জান্নাতঃ কিরে আজকে তোকে কে বাচাবে!
আমিঃ বাচানোর কি আছে! আপনি কি মারবেন নাকি?
জান্নাতঃ না তোকে চুমু খাবো! (বলেই আমার দিকে তেড়ে আসতে লাগলো)
আমিঃ প্লিজ মারবেন না! (বলেই ভয়ে দাড়িয়ে গেলাম)
এসেই সমানে কিল ঘুষি মারতে লাগলো! আর বলতে লাগলো!
জান্নাতঃ আমাকে কষ্ট দেওয়া শয়তান আজকে তোকে মেয়েই ফেলবো!
কিছু না বলে ভালোবাসার মার খেতে লাগলাম! কিছুক্ষণ পর জান্নাত চুপ হয়ে বসে গেলো!
আমিঃ আর মারবেন না!
হঠ্যাৎ জান্নাত হু হু কেদে উঠলো! আমি অবাক হয়ে গেলাম! আমাকে মেরে এখন নিজেই কাদতেছে! তাই ওনার হাটুর কাছে বসে গেলাম!
আমিঃ কি হলো কাদতেছেন কেনো?
জান্নাতঃ তুই আমাকে ভালোবাসিস না তাই না!
আমিঃ হুম!

জান্নাতঃ আমিই বোকা যে তোকে নিজের থেকে বেশি ভালোবেসে ফেলেছি!
আমিঃ আচ্ছা ভাইয়া যেই কথাটা বলেছিলো! আপনি চাইলে সেটার ট্রাই কিন্তু করতে পারি!
জান্নাত এবার অবাক হয়ে আমার দিকে তাকালো! মনে হয় কি যেনো শুনে ফেলেছে!
আমিঃ কি রাজি আছেন!
ব্যাস আমাকে আর কিছু বলতে না দিয়ে আমার ঠোটগুলোকে নিজের ঠোট দিয়ে আটকে দিলো! তারপর আর বাকিটা বলবো না!
কিছুক্ষণ পর জান্নাত আপু আমাকে জড়িয়ে ধরে শুয়ে ছিলো!
জান্নাতঃ তুই এমনটা করলি কেনো!
আমিঃ আমাকে যে কষ্ট দেয় আমি তাকে ছাড়ি না! কারণ আমার ভিতরে একরা ভিলেন আছে!
জান্নাতঃ রাখ তোর ভিলেনগিরি বেড় করছি!
বলেই আমার ঠোটগুলোকে…….. (আর বলতেই দিলো না)!


<>সমাপ্ত<>

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com