মিথ্যা অপবাদে অপরাধী । পর্ব -১১
কয়েক মাস পর আজকে অনন্যাদের বাসা থেকে বের হয়ে অজানা গন্তব্যে হেটে চলেছি। তো কয়েক মাস আগের ফ্লাসব্যাকে ঘুরে আসি কি হয়েছিলো তখন৷
আমি অয়নকে বা নতুন ম্যানেজারকে কাজ বুঝিয়ে দিয়ে বাসায় আসলাম।আজ শরির টা ক্লান্ত লাগছিলো যে কারণে বাসায় এসে ফ্রেস না হয়েই সুয়ে পরি সন্ধায় ঘুম ভাঙলে ফ্রেস হয়ে পড়তে বসলাম।পরের দিন অফিসে না গিয়ে কলেজে গেলাম আর বলে রাখি আমি যেইদিন অফিসে যাই সেদিন আংকেল অফিসে যান না।তাই আজকে আংকেল অফিসে গেছেন।
গল্পে আসি--
আমি কলেজে গিয়ে আড্ডা দিচ্ছিলাম তখন একজন বলল আমরা সবায় কোনো এক জাইগা থেকে ঘুরে আসি। আমি অনন্যার দিকে তাকালাম সে বলল যাবে তাই আমিও বললাম কোন জায়গায় যাবি।
সবাই বলল কক্সবাজার জাবে।তাই আমি কিছু বললাম না।যদিও আমি কক্সবাজারের অনেক জাইগায় চিনি কিন্তু কিভাবে চিনি তা এখন বলব না।আসতে আসতে জান্তে পারবেন।
তাই কবে যাওয়া জাই তা ঠিক করতে লাগলাম।আমরা বেশ কয়েকজন -- আমি,অনন্যা,লাকি,রাহাত,মেহেদী, রাফি,সায়মা,সারা,রিতা,লিমা এই ১০ জন যাবো।
তা সবায় ঠিক করলাম ১ সপ্তাহ পরে যাবো। সেইদিনের মতো ক্লাস করে বাসায় আসার সময় দেখলাম একটা ছোট মেয়ে বয়স ১০-১১ হবে ফুল বিক্রি করছে। আমি অর কাছে গেলাম দেখলাম রজনী গন্ধা ফুল৷
-- ভাইজান ফুল নিয়ে যান একদম টাটকা ফুল। নিয়ে জান ভাইজান। (মেয়েটি)
-- ওর কাছে কয়েকটা ফুল ছিলো কিন্তু আমি ওর কাস থেকে ৫ টা ফুল নিলাম। আর অরে টাকা বেশি দিলাম।তবে হ্যা অনন্যা আমার পাসেই ছিলো। আর আমি ফুলগুলো ওর জন্যই নিয়েছি।
ফুলগুলো নিয়ে হাটতে লাগলাম।তখন
-- আচ্ছা ফুলগুলো নিলে কেন?(অনন্যা)
-- তোমার জন্য নিয়েছি। আর এটাতো তোমার প্রিয় ফুল।(আমি)
-- এই ১ মিনিট। তুমি জানলে কিভাবে।(অনন্যা)
-- তোমার মনে আছে যেইদিন তোমার বাসার ছাদে প্রথম যাই সেইদিন তুমি বলছিলে তোমার প্রিয় ফুল রজনী গন্ধা। কিন্তু তোমার কাছে এই ফুল নেই কারন তুমি লাগানোর পরো মারা গিয়েছিল।
-- অহ।(অনন্যা)
আমি তাকে ওই ফুলগুলো দিলাম আর তাকে দেখে বুঝা যায় সে অনেক খুশি হয়েছে। ওর সাথে কথা বলতে বলতে বাসায় চলে আসলাম। এরপর কয়েকদিন কলেজে গেলাম না তাই অফিসে গেলাম। এখন কর্মীরা তাদের কাজে গতি প্রায় দ্বিগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে।আর আমি আংকেলের সাথে কথা বলে সবার বেতন আর দুইহাজার বাড়িয়ে দিলাম। ৬ দিন পর আজকে কলেজে গেলাম আর বললাম কালকে **** ঠিকানায় আসতে বললাম। তো পরেরদিন সবাই ঠিক মতো চলে আসল।আমরা ছোট একটা মিনি বাস ভাড়া করেছিলাম অটাতে গিয়ে উঠলাম।আমি মাঝামাঝি একটা সিতে বসেছি।আমার সাথে অনন্যা বসেছিলো। আর সে বসেছিলো জানালার পাসে।জার্নি করার সময় কখন যে গুমিয়ে পড়েছি নিজেও জানি না। যখন ঘুম ভাঙল তখন দেখলাম আমার মাথা অনন্যার কাধে
-- স্যরি (আমি)
-- স্যরি কেন? আমার কাধেইতো দিয়েছ (অনন্যা)
।
আমরা আমাদের গন্তব্যে চলে আসলাম। আর একটা হোটেলে উঠলাম।(যেহেতু রুম অনলাইনে বুক করা ছিলো তাই আর সমস্যা হয়নি।)
১ রুমে ২ জন করে।মেয়েদের 4টা আর ছেলেদের 2 টা।আমরা রুমে গিয়ে ফ্রেস হয়ে নিলাম। তারপর দুপুরের খাবার খেলাম। তার পর এক ঘুম।
তার আগে প্ল্যান ছিল কালকে বের হব ঘুরতে।
অপরদিকে আগে যেই কলেজে পড়তাম ওখান থেকে বাস এসে থাকে হোটেলের সামনে। কেননা তারা কলেজ থেকে ৩ দিনের বনভোজনে চট্টগ্রামে এসেছে। তদের এখানে আসতে বিকাল হয়ে যায়। আর যে যার মতো রুমে চলে যায়।
এদিকে চোখ মিলে দেখি সন্ধা হয়ে গেছে আর আমার সাথে ছিলো রাহাত।
-- ওই হারামি উঠস না কেন? কয়টা বাজে দেখ {আমি)
-- কয়টা বাজে (রাহাত)
সন্ধা হয়ে গেছে আর তুই এখনো উঠস না। উঠ নাহলে পানি মারবো হালা গুম পাগল
-- আরে উঠতেছি পানি কেন আবার (রাহাত)
ফ্রেস হয়ে সবায় ছাদে গেলাম।আমাদের এখান থেকে সমুদ্র সৈকত কাছাকাছি।যে কারণে ছাদে উঠলে উত্তাল সমুদ্র কিছুটা দেখা যায়। আমরা ছাদে আড্ডা দিয়ে বললাম আজকে তারাতারি ঘুমিয়ে পরবি কালকে সকালে সৈকতে যাব। আমরা নিচে নেমে খেয়ে যে যার রুমে চলে গেলাম।সকালে রেড়ি হয়ে নিলাম আর আমাদের আনা DSLR টা নিতে নিলাম।
অপরদিকে বনভোজনে আসা তারাও বের হলো সৈকতের দিকে।
আমরা এগিয়ে যাচ্ছিলাম তখন কয়েকটা পরিচিত মুখ আমার সামিনে ভেসে উঠলো। আমি অনন্যাকে বললাম অন্যদিকে চলতে তাই তখন
-- কেন কি হয়েছে?(অনন্যা)
-- কানে কানে, এখানে আমার আগের কলেজের ছাত্র, শিক্ষকদের দেলহা যাচ্ছে আর তার সাথে জান্নাত ও আছে। তখন আমরা অন্যদিকে মোড় নিলাম।
কথায় আছে যেখানে বাগের ভয় সেখানে সন্ধা হয়।
আমি পড়ে গেলাম পুরনো বন্ধুদের সামনে আর তাদের সাথে জান্নাত।।
-- কিরে আবির কেমন আছস। তোরে দেখিনা কতদিন ধরে৷তুই নাকি তোর ভাইয়ের সাথে রাগারাগি করে চলে আসছস।(একজন)
-- না মানে এমনি।(আমি)
খেয়াল করলাম জান্নাত নিচের দিকে তাকিয়ে আছে। তাকে ১মে দেখে মনে হয়েছিলো সে হাসিখুশি। কিন্তু এখন দেখে মনে হচ্ছে মন্টা অনেক খারাপ। সত্যি বলতে মেয়েদের মন বুঝা কঠিন।
-- ভালোই আছি তা তোদের খবর কি?( আমি)
কিছুক্ষন পড়ে আমার ফোনে একটা কল আসলো আমি বললাম আমি আসতেছি।
কিছুসময় আগে আমার বন্ধুদের সামনে যখন পরি------
-- আমাকে কুছুক্ষন পরে একটা কল দিবা।(আমি)
-- ওকে(জান্নাত)
আর জান্নাত আমার সাথে যারা এসেছিলো তাদের নিয়ে চলে যায় কিছুটা দুরে।
এখন বর্তমান---
আমি আসিরে এখানে একটা কাজে এসেছিলাম বসে ফোন দিছে তাই যেতে হবে।-( মিথ্যা বললাম)
আসার সময় জন্নাত কিছু বলতে চেয়েছিলো কিন্তু আমি শুনিনি অযথা তার মায়ায় পড়ে লাভ নেই সেতো ছলনাময়ী আর তাকেতো আমি ভালোবাসতাম কিন্তু এখন ঘৃণার বসবাস।
আমি চলে আসলাম আমার বন্ধুদের কাছে।তারা জানতে চেয়েছিলো কে ওরা
আমি বলেছিলাম আগের ফ্রেন্ড।
সেদিন ঘুরে ছবি তুলে চলে আসলাম হোটেলে এভাবে ১ সপ্তাহ ঘুরে আমরা চলে আসলাম আর জান্নাতরে যেই কইদিন ছিলো আর দেখা হইনি। আমার দিনগুলো ভালোই যাচ্ছিলো আর কেটে গেলো কয়েকমাস। এর মাঝে আমার বার্ষিক পরিক্ষাও শেষ হয়েছে। এই কয়মাসে অনন্যাদের কম্পানি বাংলাদেশে টপ ১৫ এর মধ্যে ১৩ তম তে এসেছে। আজ পরিক্ষায় রেসাল্ট দিবে। এর মাঝে-
চলবে....
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com