Breaking News

ধনীর মেয়ে বস্তির ছেলে । পর্ব - ০১



হাতে লাল গোলাম নিয়ে? হাটু ঘেরে আমার সামনে বসে থাকা মেয়াটা দেখতে পরীর মতো সুন্দর? কিন্তু আমি তার প্রপোজ এসপেক্ট করতে পারবো না!

কারণ মেয়েটা হলো আদরের দুলালি? আর আমি হলাম গরীব ঘরের একজন সন্তান?
চলেন গুছিয়ে বলি?
সকালবেলায় গোসল করে বাহিরে আসতেই শুনলাম ফোনটা বাজতেছে? তাই তাকিয়ে দেখি মায়া? সাথে সাথে রিসিভ করলাম?

মায়াঃ ঐ তর এতক্ষণ লাগে ফোন ধরতে কই ছিলি তুই?
আমিঃ আসলে গোসল করতে গিয়েছিলাম?
মায়াঃ ওহ! হুসাইন তুই কি আজ ভার্সিটিতে আসবি?
আমিঃ হুম কেনো?
মায়াঃ আজকে কতো তারিখ তা তোর মনে নেই?
আমিঃ হুম! আজকে ১৪ ফেব্রুয়ারি! মানে ভালোবাসা দিবস /Valentine day?
মায়াঃ হুম! আর আজকে তোজে একটা কথা বলবো? তুই চলে আয় তাড়াতারি?
আমিঃ কেনো ফোনে বল?
মায়াঃ না! তুই আয় সামনা-সামনি বলবো?
আমিঃ ওকে? (বলেই ফোনটা রেখে দিলো)
হুসাইন রেডি হয়ে চলে গেলো? আব্বুর দোকানে?
(চলুন গল্পের পরিচয় পর্বটা শেষ করে ফেলি)
আমি আনোয়ার হুসাইন! এবার ভার্সিটিতে পড়ি! পরিক্ষাথি? মধ্যবিত্ত ঘরের একজন সন্তান? দেখতে হয়তো স্মাট কারণ লোকে তাই বলে?
বাবার ছোট একটা মুদির দোকান আছে? যেটা মোটামুটি ভালোই চলে তাই আমার লেখাপড়ার পাশাপাশি সংসারটাও চলে যায়? তাই আমি এতদূর পর্যন্ত পড়ালেখা করতে পেরেছি?
বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান! আর আমাকে ঘিরে তাদের সব সপ্ন? তাই আমাকে যেই করেই হোক ভালো রেজাল্ট করতে হবে!

আর যে আমাকে ফোন দিয়ে এতক্ষণ কথা বললো? তার নাম সুমাইয়া আক্তার মায়া! বাবা মায়ের টাকার অভাব নেই? তাও আমার মতো একটা ছেলের বেষ্ট ফ্রেন্ড? আমি মাঝে মাঝে ভেবে পাই না!
কলেজে ফাইনাল পরিক্ষায় ওর সাথে আমার সিট পড়ে ছিলো? তারপর একজন আরেকজনের সাথে ভালো বন্ধুত্ব হয়ে যায়! তারপর দুজনেই একই ভার্সিটিতে এডমিশান নিয়ে নেই? আর তুষার আমার ছোট বেলার বন্ধু ওদের অবস্থা ও খুবই ভালো? শুধু আমারই অবস্থা খারাপ! তারপরেও আলহামদুলিল্লাহ!
তাও কি আর করার! মায়া অনেক জেদি? যা চায় তাই দেওয়া লাগবে? না পেলে পৃথিবীটা উল্টে রেখে দিবে? যা চাইবে তাই পাবে? ওর সাথে বন্ধুত্ব করে ভুল করেছি?
এক বেলায় না খেলে জুড় করে খাওয়াবে?
বেশি রাতে অনলাইনে থাকলে মেসেন্জারে ঝাড়বে? আর কোনো মেয়ের সাথে কথা বলতেছি দেখলেই সাড়ছে?
সব সময় ওর মনের কথাগুলো আমার সাথে শেয়ার করবে! আর সারদিন ফোন দিয়ে জ্বালাবে? আর যা চায় আমার কাছে আমাকেও দিতে হয় বাধ্য হয়ে?

এগুলো গল্পের পরিচয়।
(আর বাস্তবে পরিচয় আমরা দুই ভাই বোন। বোন বড় আমি ছোট। আর সাথে আব্বু আম্মু নিয়ে খুব হেপি ফ্যামেলি। বাসা মেহেরপুর জেলা। মুজিব নগর থানা।)
এবার গল্পে চলুন।
বাবার কাছ থেকে হালকা কিছু টাকা নিয়ে বাসে করে ভার্সিটিতে চলে গেলাম!
বাস থেকে নামতেই তুষারের সাথে দেখা? (আমার কলিজার ফ্রেন্ড)
তুষার- কিরে আজকে আসতে এতো দেরি হলো যে?
আমিঃ আরে বলিস না! রাস্তায় অনেক জ্যম তাই আসতে একটু দেরি হলো?
তুষারঃ তোকে কতোবার বলেছি আমার সাথে চলে আসতে কিন্তু তুই কি করিস বাসে আছিস?
আমিঃ আরে বোকা তুই এতো কিছু বুঝবি না? আমার মতো হলে তারপর সব বুঝতি?
তুষারঃ সালা আমি কি তোর থেকে আলাদা?
আমিঃ না! আচ্ছা এসব বাদ দিয়ে চল ক্লাসে?
তুষারঃ আজকে ক্লাস করবি?
আমিঃ হুম! কেনো?

তুষারঃ আজকে ইলুইলু দিবস আর আমাদের কচি খুকা ক্লাস করবে! (বলেই তুষার হেসে উঠলো)
আমিঃ আবে চুপ কর আর চল ক্লাসে যাই?
তুষারঃ ক্লাসে না গিয়ে চল মায়া পাঠিয়েছে তোকে নিয়ে যেতে?
আমিঃ কোথায়?
তুষারঃ সবাই যেখানে বসে আড্ডা দেয় কেন্টিনে?
আমিঃ ওও! আজকে ফোন দিয়ে বলেছিলো কি যেনো বলবে? চল যাই? (বলেই তুষারকে নিয়ে চলে গেলাম কেন্টিনে)
কেন্টিনে ডুকেই নজর গেলো নীল শাড়ী পড়ে বসে থাকা পরীর দিকে? চমৎকার সেজেছে আজকে? দেখতেও বেশ মায়াবী চেহারা মায়ার! তাই ওর কাছে গিয়ে বললাম?
আমিঃ কিরে তুই না কি বলবি বলেছিলি?
মায়াঃ সোজা হয়ে দাড়া আগে তারপর বলবো?
আমিঃ হুম এবার বল? (সোজা হয়ে দাড়িয়ে বলাম)

মায়া কোনো কথা না বলে একটা হাটু ভেঙ্গে বসে পড়লো! তারপর পিছন থেকে একটা লাল গোলাপ বেড় করে আমার সামনে ধরে বললো?
মায়াঃ আই লাভ ইউ হুসাইন?
আমি অবাক হয়ে গেলাম ওর কথা শুনে? কি বললো ওও আমাকে? ভালোবাসে? হুম দেখতো হয়তো সুন্দর হতে পারি তবে মায়া এখনো জানে না! চেহারা দিয়ে যে জীবন চলে না!
কি বলবো কিছুই বুঝতেছি না! সবাই তাকিয়ে আছে আমাদের দিকে? আমি কিছু বলছি না দেখে তুষার হালকা করে টুকা দিলো?
তুষারঃ কিরে কিছু বলছিস না কেনো?
আমিঃ মায়া উঠ সবাই তাকিয়ে আছে?
মায়াঃ না! তুই আগে রিপ্লে দে?
আমিঃ উঠ তারপর বলতেছি?
মায়াঃ আগে বল তারপর উঠবো?
আমিঃ তুই উঠে বাহিরে আয় তারপর তোর উত্তর দিবো? (বলেই লাজুক চোখে তাকিয়ে ওর সামনে থেকে বাহিরে চলে গেলাম)
মায়া আর তুষার আমার পিছন পিছন ভার্সিটির বাগানের একটা বড় গাছের নিচে গিয়ে দাড়ালাম?
মায়াঃ হুম! এবার আমার প্রশ্নের জবাব দে? (মায়া পিছন থেকে বলে উঠলো)
আমিঃ মায়া আমাকে কিছু প্রশ্নের উত্তর দিবি?
মায়াঃ হুম বল?
আমিঃ আমার কথা শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত কোনো প্রশ্ন করবি না ওকে?
মায়াঃ আচ্ছা বল?

আমিঃ আচ্ছা প্রতিদিন তুই কত টাকা খরচ করিস বলতো?
মায়াঃ তুই এই কথা কেনো জিঙ্গাস করছিস?
আমিঃ তোকে না বললাম যে কোনো প্রশ্ন না করতে?
মায়াঃ আচ্ছা?
আমিঃ এবার বল তোর প্রতিদিনের খরচ কতো?
মায়াঃ এই ধর ৩০-৪০ হাজার টাকা মাত্র?
আমিঃ হুম! আর দেখ আমার পকেটে মাত্র ৫৭৭ টাকা? (টাকাগুলো বেড় করে দেখিয়ে বললাম)
আমিঃ আচ্ছ তুই চলাচল করিস কি দিয়ে?
মায়াঃ BMW
আমিঃ হুম আর আমি চলাচল করি পবলিক বাস দিয়ে?
মায়াঃ হুম! তো তুই এসব আমাকে বলছিস কেনো?
আমিঃ তোকে বলছি কারণ!

চলবে...

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com