ধনীর মেয়ে বস্তির ছেলে । পর্ব - ০৫
মায়া মাথার কাছে বসে মাথায় হাত বুলাতে লাগলো?
তাই কিছুক্ষন এর মাঝেই হারিয়ে গেলাম ঘুমের রাজ্যে?
যাক শান্তি হলো মনটা? কিছুক্ষন পর আম্মু তার রুম থেকে বেড়োলো?
আমিঃ আম্মু বোমটা কই?
আম্মুঃ বোম কে?
আমিঃ মায়া কই?
আম্মুঃ মায়া তো?
আম্মুঃ মায়া তো চলে গেছে?
আমিঃ তাই নাকি কখন?
আম্মুঃ অনেক্ষণ ই তো হলো?
আমিঃ যাক বুঝচ্ছে তাহলে? আপদ বিদায় হয়েছে?
আম্মুঃ ঐ তুই মেয়েটার সাথে এমন করলি কেনো?
আমিঃ আম্মু তুমি এতো। (কলিং বেইলটা বেজে উঠলো)
আম্মুঃ এখন আবার কে এলো?
আমিঃ দেখো গিয়ে?
আম্মুঃ হুম! (বলেই আম্মু গিয়ে দরজা খুলে দিলো?)
দরজা খুলতেই আমি চমকে গেলাম? মায়া এসেছে তাও হাতে ব্যাগ আর টেডিবিয়ার নিয়ে?
মনে হয় একেবারের জন্য চলে এসেছে?
আম্মুঃ আরে মা আয় আয়? (আম্মু)
মায়াঃ হুম! (বলেই বাসায় ডুকে গেলো)
আমিঃ ঐ তুই আবার আসলি কেনো?
মায়াঃ এটা এখন আমার বাড়ি. আমার যখন মন চায় তখন আসবো তাতে তোমার কি?
আমিঃ এটা তো আমার বাড়ি তোর হলো কবে থেকে?
মায়াঃ যা তোমার তাইতো আমার? কারণ তুমি ই তো আমার স্বামী?
আমিঃ দেখ মায়া তুই কিন্তু বাড়াবাড়ি করছিস?
মায়াঃ তুই চুপ থাক? (ঝাড়ি মেরে বললো)
আমিঃ ওকে আমিও দেখবো তুই এখানে কিভাবে থাকিস?
মায়াঃ ওকে?
আমি রাগ করে বেড়িয়ে গেলাম বাসা থেকে? ফোন দিলাম তুষারকে?
আমিঃ কিরে তুই কই?
তুষারঃ বাসায়! কেনো?
আমিঃ এখনি মজীবনগর পার্কে আয় কথা আছে? (বলেই ফোনটা কেটে দিলাম?)
কিছুক্ষণের মধ্যেই তুষার চলে আসলো? তারপর ওকে সব খুলে বললাম?
তুষারঃ তো এখন কি করবি?
আমিঃ আঙ্কেল আন্টির কাছে যাবো? ওনাদের বুঝিয়ে বললে? ওনারা গিয়ে ওকে নিয়ে আসবে?
তুষারঃ ওকে? যেমন তোর ইচ্ছা?
আমিঃ হুম! চল এখনই যাবো?
তুষারঃ এখন?
আমিঃ হুম! চল?
তুষারঃ ওকে? (বলেই দুজনে চলে গেলাম মায়াদের বাসায়)
আমিঃ আঙ্কেল কেমন আছেন?
মায়ার আব্বুঃ হুম ভালোই তা তোমার কি খবর?
আমিঃ এতই তো ভালোই? তবে আপনার সাথে আমার কথা আছে?
মায়ার আব্বুঃ কি কথা বলো?
আমিঃ আঙ্কেল মায়া এসব কি শুরু করেছে? আর আপনারাও ওকে কিছুই বলতেছেন না!
মায়ার আব্বুঃ তুমি জানো না ওও কি রকম! ওও বুঝানোর মতো কেউ আছে নাকি?
আমিঃ অন্য ব্যাপারে হলে ওকে ছিলো? কিন্তু এটাতো ওর লাইফের প্রশ্ন? এখন না বললে কি হবে?
মায়ার আব্বুঃ ওও যা করতেছে তাতে ভুল কি?
আমিঃ আপনি ও এই কথাই বলতেছেন?
মায়ার আব্বুঃ দেখো আমার মেয়ের ভালো সে নিজেই বুঝে? তাই এখানে আর আমরা কি বলবো?
আমিঃ তাই বলে।
মায়ার আব্বুঃ মেনে নাও মায়াকে? আমরা আমাদের সব সম্পত্তি তোমার নামে লিখে দিবো?
আমিঃ তুষার উঠ? বুঝে গেছি কামাড়ের দোকানে কোরআন পড়ে লাভ নেই?
বলেই চলে আসলাম সেখান থেকে! তারপর আবার সেই পার্কে এসে বসলাম!
তুষারঃ আচ্ছা রে! তুই কি বলতো? মেনে নে মায়াকে?
আমিঃ আরে তুই একই কথা বলতেছিস?
তুষারঃ কি সমস্যা? বল আমাকে?
আমিঃ আরে আবেগ পড়ে এসব করতেছে? কিছুদিন পর শেষ হয়ে গেলে তখন সব সমস্যার শুরু হবে?
তুষারঃ এসব কিছুই হবে না! ওও তোকে মন থেকে ভালোবাসে?
আমিঃ না! এটা ওর আবেগই? তুই দেখতে থাক আরো কিছুূদিন পাড় হলেই দেখবি ওর সবকিছু শেষ হয়ে গেছে?
তুষারঃ ওকে দেখ তুই! তবে আমি সিওর ওও তোর জন্য সব করবে? আর তোকে পেয়েই ছাড়বে?
আমিঃ তোর ওও মাথা নষ্ট হয়ে গেছে এখন চল বাসায়?
তুষারঃ হুম! (বলেই তুষার আমাকে বাসায় নামিয়ে দিয়ে সে চলে গেলো)
মায়াঃ আসতে এত লেইট হলো যে?
আমিঃ এমনি! আর তুই এখনো এই বাড়িতে কি করছিস?
মায়াঃ এমনি?
আমিঃ আমার উত্তর আমাকে রিপ্লে করছিস? ভালো?
মায়াঃ হুম! এখন তাড়াতারি এসে ফ্রেশ হয়ে নাও? খাবে?
আমিঃ না! আমার খিদে নেই?
মায়াঃ খেতে আয় বলছি? (চোখ রাঙ্গিয়ে বললো)
আমিঃ হুম! আসতেছি? (বলেই ভিতরে চলে গেলাম)
আর দেখি মায়া হাসতেছে? কিছু না বলে চলে গেলাম ভিতরে?
আমি বুঝি না! ওর পাগলামিতে সবাই এভাবে সায় দিতাছে কেনো? ওরা পাগল না আমি পাগল এটাই বুঝতাছি না! এসব ভাবতে ভাবতে ফ্রেশ হয়ে আসলাম!
মায়া রুমে আসলো? এসেই আমার পাশে বসে পড়লো?
মায়াঃ কি সাহেব আজকে এত কিউট লাগতেছে কেনো আপনাকে?
আমিঃ পাম দিস না প্লিজ?
মায়াঃ সত্যি বলতাছি? তুই আজকে মাশাআল্লাহ?
আমিঃ সরে বস এখান থেকে? আমার মাথা ব্যাথা করতেছে?
মায়াঃ তাহলে তুই শুয়ে পড় আমি তোর মাথায় মলম দিয়ে দিচ্ছি?
আমিঃ লাগবে না! তুই যা তাহলেই হবে?
মায়াঃ ওকে? তবে রাতে পালাবা কই জানু?
আমিঃ রাতে পালাবো কেনো?
মায়াঃ কারণ রাতে তুমি আর আমি একখাটে থাকবো?
আমিঃ কিহ! তোর মাথা ঠিক আছে?
মায়াঃ হুম ঠিক আছে? তাইতো রাতে আমি আমার স্বামীর সাথে একখাটে থাকবো?
আমিঃ মায়া এদিকে আয়? (কাছে ডাকলাম ওকে)
মায়াঃ কেনো?
আমিঃ আয় না প্লিজ?
মায়াঃ হুম বল? (আমার পাশে বসে গেলো)
আমিঃ মায়া তুই না লক্ষি মেয়ে এমন পাগলামি কেনো করতেছিস! দেখ তোকে তোর থেকে বেশি আমি বুঝি? তাই তোর ভালোর জন্যই বলতেছি?
একটা ভালো বড়লোক ছেলে দেখে বিয়ে করে সুখের সংসার কর! আর এতে তোর ভালোই হবে?
মায়াঃ আমি আমার ভালোটা বুঝি তাই প্লিজ আমাকে জ্ঞান দিতে এসো না প্লিজ জানু?
আমিঃ মায়া তুই আমার কথাটা রাখ প্লিজ?
মায়াঃ ঐ তুই গুরুজন দের মতো এভাবে বলছিস কেনো?
আমিঃ দেখ আমি জানি এটা তোর আবেগ তাই আবেগটা সামলা আর তুই নিজেও একটু চালাক হও? বোকামি করে পরে জীবনটা শেষ হবে তোর?
মায়াঃ আমার হবে তাতে তোমার কি? এখন চুপ থাকো নাহলে কিস দিয়ে মুখ অফ করিয়ে দিবো! বলে দিলাম?
আমিঃ ওকে! কিন্তু আমাকে পাবি না এটা বলে দিলাম?
মায়াঃ আচ্ছা আমিও দেখবো তুমি কিভাবে নিজেকে ধরে রাখো?
আমিঃ ওকে?
মায়া ঢেং ঢেং করে রুম থেকে বেড়িয়ে গেলো?
আর আমি মোবাইলটা হাতে নিয়ে টিপতে লাগলাম? আর গান শুনতে লাগলাম!
কিছুক্ষন পর মায়া আবার আসলো?
মায়াঃ জানু খাবে না!
আমিঃ না! বাহির থেকে খেয়ে এসেছি?
মায়াঃ মিথ্যা বলো কেনো? আমি জানি তুমি আজকে আমাদের বাসায় গিয়েছিলে? সেখান থেকে মুজিবনগর পার্কে গিয়ে টাইম পাস করে বাসায় চলে এসেছো?
আমিঃ তোকে এসব কে বললো?
মায়াঃ অর্ধেক টা আব্বু আর অর্ধেক টা তুষার?
আমিঃ ওও! আমার পেটে ক্ষুধা নেই?
মায়াঃ আসবি তুই নাকি আবার মারতে হবে কোনটা?
আমিঃ যাবো না আমি। যা তুই?
মায়াঃ তুই যাবি না তোর চৌদ্দগুষ্ঠি যাবে? (বলে কলারে ধরে টান দিয়ে খাট থেকে নামিয়ে নিচে নিয়ে গেলো)
মায়ার সাহস দেখে আমি অবাক হলাম! কি সাহস মেয়েটার! তাও খেয়ে দেয়ে উপরে চলে আসলাম?
কিছুক্ষন পর মায়া হাসতে-হাসতে রুমে ডুকলো? আর আমার পাশে বসে গেলো?
আমিঃ কি হলো এভাবে হাসছিস কেনো?
মায়াঃ আমার বাবুটা রাগ করছে আমার উপর তাই?
আমিঃ তুই যা অন্য রুমে আমি এখন ঘুমাবো?
মায়াঃ আমি যাবো কেনো?
জনপ্রিয় পোষ্ট সমূহঃ
আমিঃ তাহলে তুই থাক আমিই গেলাম? (বলেই বাহির হতে যাবো তখনই মায়া আমার হাতটা ধরে ফেললো)
মায়াঃ কই যাও চান্দু?
আমিঃ তুই থাক আমি গেলাম পাশের রুমে?
মায়াঃ বউ থাকবে এক রুমে আর স্বামী থাকবে আরেক রুমে তা তো হবে না? (বলেই এক টানে খাটে ফেলে দিলো)
তারপর ওর ওরনা দিয়ে আমার হাত-পা বেধে ফেললো!
আমিঃ ঐ তুই হাত-পা বাধলি কেনো?
মায়াঃ তুমি যেনো অন্য রুমে না যেতে পারো তাই?
আমিঃ তোর।
তাকে বারবার বলতে হবে কেনো?
সে কি জানে না!
তার সাথে কথা বললে আমার
আমার খুব কষ্ট হয়!
চলবে...
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com