মিথ্যা অপবাদে অপরাধী । পর্ব -১৫
আমি নিলাদের বাসা থেকে বের হয়ে রিক্সা খুজতে লাগলাম।তারপরে রোডের অপরপাশে একটা রিক্সা দেখতে পেলাম আর আমি সেদিকে এগুতে থাকলাম।রাস্তার যখন মাঝে আমি তখন একটা প্রাইভেট কার এসে আমাকে ধাক্কা দিলো।আর আমি কতটুকু দূরে ছিড়কে পরলাম।রাস্তার ঘর্ষণে কয়েক জায়গায় কেটে গেলো আর মাথায় বারি খেলাম। এমনিতেই রাত তবুও রাস্তার বাতি গুলো আমার চোখে ঝাপসা লাগছে। তারপর আর কিছু মনে নেয় মানে অজ্ঞান হয়ে গেলাম। যখন জ্ঞান ফিরলো তখন নিজেকে হাসপাতালে আবিষ্কার করলাম। আর নার্স বাহিরে গিয়ে বলল রোগীর জ্ঞান ফিরেছে।তাই উনারা ভিতরে আসলেন।আর আমি উনাদের দেখে অভাক কেননা তিনি ছিলেন রায়য়ান চৌধুরী। আমি উনাকে দেখে ঊঠে বসতে লাগলাম। কিন্তু তিনি উঠে বসতে না করলেন।
বলে রাখি শরিলে কয়েক জায়গায় কেটে যাওয়ায় আমার গায়ে জামা ছিলো না। যার কারণে খালি গায়ে ছিলাম।
-- এখন কেমন লাগছে বাবা তোমার(আংকেল)
-- জ্বি আংকেল অনেকটা ভালো। কিন্তু আপনি আমাকে আনলেন কিভাবে।(আমি)
-- আমি অফিস থেকে ফিরছিলাম আর ড্রাইভার গাড়ি চালাছিলো৷। তার কিছুটা ঝিমুনি আসছিলো মনে হয় তবে আমি খেয়াল করিনি। যখনি গাড়ির সাথে কিছু ধাক্কা খেলো তখনি আমি চমকে যায়। আর ড্রাইভার কে গাড়ি থামাতে বলি। যখন দেখি তুমি কিছুটা দূরে পড়ে আছো তখন ড্রাইভার আর আমি দুজনে তোমাকে গাড়িতে আনি। তোমার শরিল থেকে তখনো রক্ত বের হচ্ছিলো তাই তাড়াতাড়ি কাছের একটা হসপিটালে শিপট করি। তোমার কালকে রাত্র থেকে জ্ঞান ছিলো না এইমাত্র তোমার জ্ঞান ফিরলো। এই নেও তোমার ফোন। যখন এক্সিডেন্ট কতেছিলে তোমার সাথেই এটা পড়েক্সহিলো।মনে হইনা ঠিক আছে। আমি তোমার জন্যে একটা ফোন কিনে আনছি।(আংকেল)
-- না ফোন লাগবে না(আমি)
-- কোনো কথা না। আমি কিছুসময়ের মধ্যে চলে আসবো। আর তোমার আন্টি সকালনের খাবার নিয়ে আসবে। এখানের খাবার বেশি ভালো না।তুমি শুয়ে রেস্ট নেও(আংকেল)
-- আমি মাথা নাড়িয়ে হ্যা জানালাম
।
এদিকে
-- কিরে আবিরের কোনো খুজ পেলি(নাইমের মা / আন্টি)
-- না মা। কালকে থেকে ফোন বন্ধ রয়েছে।তাই কিছু বলতে পারছি না(নাইম)
আবার....
-- আমিতো আবিরকে বাসায় গিয়ে ফোন দিতে বলেছিলাম। ওই হইতোবা ভুলে গিয়েছিলো।কিন্তু আমিওতো কতবার ফোন দিলাম কিন্তু ফোন বন্ধ কেন? না অফিসে যায় ওখানে গেলে হয়তোবা জানতে পারা যাবে সবকিছু।(নিলা)
-- আজকে আবিরের আসতে এতো দেরি হচ্ছে কেন না ফোন দিয়ে নেয়(জয় মনে মনে)
তখন জয় আবিরকে ফোন দিলো কিন্তু সে ফোনটা বন্ধ পেলো। কি ব্যাপার ওর ফোনতো বন্ধ থাকে না তাহলে আজকে বন্ধ কেন? না ওর বাসায় গিয়ে দেখতে হবে।ওর আবার কিছু হলোনা তো। এই বলে জয় তার গাড়িটা নিয়ে রওনা হলো আবিরদের বাসার উদ্দেশ্যে। সে আবিরের বাসায় যেতে থাকুক আমরা অন্য দিকে ঘুরে আসি।
।
-- বাবা একনো তুমি আবিরের খুজ পেলে না (অনন্যা)
- না রে মা।অনেকতো খুজলাম কিন্তু পেলাম না তো।তুই চিন্তা করিস না মা।ভাগ্যে থাকলে এমনিতেই আসবে।শুন তোকে একটা কথা বলি যা তোকে বলেনি কিন্তূ তোর জানা উচিৎ। (অনন্যার বাবা)
-- হুম বাবা বলো(অনন্যা)
-- তোর সাথে আমার বন্ধুর ছেলের সাথে একদম ছোটবেলা থেকে বিয়ের কথা হয়েছিলো।কিন্তু যখন তোর বয়েস 2 বছর আর আমার বন্ধুর ছেলের বয়স ৪ বছর তখন আমরা আমাদের একটা বন্ধুর পার্টিতে যায়। আর পার্টিটা ছিলো একটা মার্কেটের পাসে কমিউনিটি সেন্টারে।যে পার্টি দিয়েছিলো তার একমাত্র মেয়ের ১ বছরের জন্মদিন উপলক্ষে ছিলো। তো সবই ঠিকঠাক ছিলো কিন্তু যখন পার্টিতে কেক কাটা হয় তখনি তখন তুই তোর মায়ের কুলে ছিলি কিন্তু আমার ঐ বন্ধুর ছেলে ওর মায়ের কুলে থেকে নেমে পড়ে কিন্ত ওর মায়ের ওই দিকে খেয়াল ছিলো না। সে হাটতে হাটতে ওখান থেকে বের হয়ে যায়। সিকিউরিটিরা খেয়াল করেনি। কিন্তু তার পরে অনেক খুজা হয় কিন্তু পায়না।
আর যখন আবির আমাদের এখানে আসে তার আচরণ দেখে আমি তোর সাথে তাকে বিবাহ দিয়ে আমি মুক্তি নিতে চেয়েছিলাম কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে ওটাও হলো না। সে চলে গেলো যদি আমরা ভূল বুঝি এজন্য। কতটা ত্যাগ করলো আবির (আংকেল)
।
এদিকটা শেষ অন্যা দিকে দেখা যাক---
-- লিমা ওর ফুপির বাড়িতে গিয়ে গত রাতে আজকে পুরোনো সেই জায়গাটা ঘুরিতে বের হয়েছে। প্রায় দুবছর ধরে ও এখানে আসে না।পরোনো জায়গাটা প্রায় আগের মতোই আছে শুধু কিছু কিছু জায়গায় পার্থক্য। লিমা হাটতেছিলো তখনি কএঊ তাকে ডাক দিলো।
-- আরে এটা লিমা না? (মেয়েটি)
-- হুম কেমন আছেন।অনেকদিন পরে আপনার সাথে দেখা।(লিমা)
-- আমি ভালোই আছি। চলো আমাদের বাসায়। আগে তো অনেক আসতে।আজকে আসো।(মেয়েটি)
লিমা যেতে চাচ্ছিলো না তাকে একপ্রকার জোর করে নিয়ে গেলেন। আপনাদের ওই মেয়েটি সম্পর্কে বিবরণ দেয়। সে আর কেঊ নয় আমার ভাবি। তিনি কোনো একটা কাজে বাহিরে গিয়্রছিলেন আর তখনি লিমার সাথে দেখা হয় আর লিমাকে নিয়ে যায়।আমাদের বাডিতে । ওরা বাড়িতে যেতে থাকুক।।
।
জয় এতক্ষনে আবিরদের বাড়িতে চলে এসেছে।
-- আন্টি আবির কোথায়। (জয়)
-- আমি জানিনাতো। কালকে বাড়ি আসেনি।কোনো ফোনও করেনি।নাইম কাওল্কে থেকে ফোন দিচ্ছে কিন্তু ফোন বন্ধ।আমি মনে করেছিলাম তোমার সাথে আছে হয়তো।কিন্তু ও তো তোমার সাথেও নেই।এখিন কোথায় খুজবো তাকে?(আন্টি)
-- আচ্ছা আমি দেখছি।আপনাদের খুজতে হবে না আমি ওকে খুজে বের করবো।(জয়)
এটা বলে জয় ওদের বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। আর মনে মনে--
না এখন খুজা ঠিক হবে না হয়তো কোথাও গেছে ফোন্টাও মনে হয় হারিয়ে গেছে। আমাকে অপেক্ষা কিরতে হবে ওর ফোনের আশায়।এখন অফিসেই যায় এটাই ভালো হবে।
।
আবার, নিলা অফিসে এসে দেখে জয় আর আবির একজনও নেই এখানে। তখন নিলা ভালো, হয়তো জয়ের সাথে কোথাও গেছে।
ওর ধারণা ভুল- কেননা কিছুক্ষন পরে জয় আসলো একা।
-- আবির কোথায়।(নিলা)
তখন জয় নিলাকে সব বলল আর
-- কাজে মন দেও আমি অকে খুজে বের করবো(জয়)
তখন নিলা তার ডেস্কে চলে গেলো। আর ভাবলো-- আমি যদি কালকে ওকে বাড়িতে নিয়ে না যেতাম তাহলে এমনটা হতো না।সব দোষ আমার
।
এতোক্ষনে লিমা আর ভাবি বাসায় পৌঁছে গেছে---
--- কেমন আছ তুমি মা(আম্মু)
-- ভালো আন্টি।আপনি কেমন আছেন(লিমা)
-- ভালোই।তোমার বাবা মা কেমন আছেন?(মা)
-- ভালো।আচ্ছা আন্টি আবির কই। ওই নাকি ঢাকা একটা কলেজে চাঞ্জ পেয়েছে তাই নাকি ওখানে চলে গিয়েছে। আর ও একটা কাজ পেয়েছে ওখানে কাজ করে যে কারণে অন্য ভার্সিটিতে চলে গেছে। অনেকদিন পরে কালকে দেখা হয়েছিলো আমি অকে আসতে বলেছিলাম।কিন্তু ওই বলল আম্র কাজের চাপ অনেক তাই যেতে পারবে না।(লিমা)
-- না ও ওর ভায়ের সাথে রাগ করে বাড়ি থেকে ভলে গিয়েছিলো।তার পির থেকে আর আসেনি।তুমি আমাকে নিয়ে চলবে ওর কাছে? (মা)
-- আসলে আমি ওর ঠিকানা জানিনা। আগে জানতাম কিন্তু এখন ওখানেও নেই।কি করবো(লিমা)
-- আচ্ছা মা বাদ দেও।(মা)
তখন ভাবি লিমার জন্য নাস্তা করে আনলো আর লিমা মার সাথে আরো কিছুক্ষন থেকে বাসা থেকে বের হয়ে গেলো।
।
এদিকে এখন আমার কাছে আসা যাক--
আন্টি আসতে দেরি হবে তাই আমি অন্য দিকে ফিরে রেস্ট নিচ্ছিলাম। কতক্ষন পরে আন্টি (ইয়াসমিন চৌধুরী) আসলো।
আমি দান দিকে দেয়ালের দিকে তাকিয়ে ছিলাম তাই আমি দেখতে পারিনি যে আন্টি আসছে। আন্টি এসে আমাকে যখন ডাক দিবে তখন উনার চোখ আমার পিঠের উপরের দিকে যায়।এক দৃষ্টিতে অদিকে তাকিয়ে থাকে। আর উনার চোখ দিয়ে জল পড়ছিলো। আমি যখন কারো উপস্থিতি বুঝতে পেরে উনার দিকে তাকালাম তলহন দেখলাম উনার চোখে জল।
-- আপনার চোখে জল কেন(আমি)
-- আচ্ছা বাবা তোমার পিঠের উপরের দিলে একটা সিংহ চিহ্ন আছে ওটা কিসের? (আন্টি)
-- আমি জানিনা এটা অনেক আগে থেকেয় আমার আছে যখন আমি মাত্র বুঝতে শিখেছি তখন থেকেই দেখেছি এটা আমার কাছে আছে(আমি)
-- বাবা তুই এতোদিন কই ছিলি।তূই আমার হারিয়ে যাওয়া বড় সন্তান। আজ থেকে ১৭ বছর আগে তুই হারিয়ে গিয়েছিলি ।এটা বলে উনি আমাকে জরিয়ে ধরলো।(ইয়াস্মিন চৌধুরী)
আমি কিছু বুঝতে পারছিনা উনি কিভাবে আমার মা। আমার মাতো আছেন।তাহলে কি ভাইয়া যে কথা বলেছিলো ওটাই ঠিক---
চলেন যায় ফ্লাস ব্যাকে। যেদিন ভাইয়া আমাকে মেরেছিলো সেদিন মা সহ অন্যরা যখন ঘরে যায় তখন ভাই বলে --
-- তুই আমার আপন কেও না। আমি আমার এই সব সম্পত্তির একটুও তোকে দিবো না।পারলে তুই নিজে বড় হবি কখনো (ভাই)
আমি তখন ভাইয়ের কথা কিছু বুঝেছিলাম না। আজ বুঝতে পারছি কেন ভাইয়া এই কথাটা বলেছিলো।আর আজ আপনারা বুঝতে পারলেন আমি কেন বলেছিলাম আমাকে অনেক বড় হতে হবে।
(পথ তো এখনো অনেক দুর)
কিন্তু আমি যদি তার আপন কেউ না হয় তাহলে কেন আমি জানলাম না?
আশেপাশের লোকেরাও তো জানবে কিন্তু তারাও কেন জানলো না। এটা হয়তো একটা রহস্য।কিন্তু এটাও বলবো তবে এখন না।
এখানে যা যা হচ্ছিলো সব আমার মাথার উপরদিয়ে যাচ্ছিলো।তবুও নিজেকে ঠিক করলাম কেননা এর শেষ পর্যন্ত আমাকে পৌছাতে হবে।তখনি দেখলাম রায়য়ান চৌধুরী বা বাবা রুমে প্রবেশ করলেন।আর তিনি দেখলেন মা আমাকে জরিয়ে ধরে আছে---
(আপনাদের বলে রাখি আমি আমার পালিতো মাকে আম্মু বলবো আর ইনাদের বাবা-মা বলবো তাহলে আলনাদের আর সমস্যা হবে না)
বাবা ভিতরে এসে দেখলেন মা আমাকে ধরে কান্না করছে।তখনি
-- তুমি ওকে ধরে কান্না করছো কেন?( বাবা)
-- দেখ এটা আমাদের হারিয়ে যাওয়া ছেলে আব্দুল্লাহ যেই নামে তুমি আমাদের কম্পানি করেছো।(মা)
---(আপনারা অবশ্যই জানেন এই কম্পানি সমর্কে যেটাতে আমার ফ্রেন্ডরা কাজ করতে চায়)---
-- ও কিভাবে আমার ছেলে?{বাবা)
-- ওর পিঠে দেখো তোমাত মতো জন্ম দাগ রয়েছে(মা)
বাবা আমাকে এসে জরিয়ে ধরলেন।
-- আমি জানতাম তুই একদিন আমাদের কাছে ফিরে আসবি।আল্লাহ নিষ্ঠোর না। আর আমি তোকে ফিরে পেয়েছি।(বাবা)
বাবা আমার জন্য আনা ফোনটা আমাকে দিলেন।আমি আগের ফোনটা একেবারে অচল হয়ে গেছে তবে সিম দেখলাম ঠিক আছে তাই সিমটা নতুন ফোনে ভরে নিলাম।আর একের পর এক মেসেজ আসতে শুরু করলো। আর জয় আর নাইমের ফোনেও মেসেজ আসলো।
আবির তখন সবাইকে ফোন দিয়ে বললো আমি হসপিটালে।তখন জয়, নিলা, আন্টি(নাইমের মা),নাইম আসলো।
আর এসে যখন জানতে পারলো আমি এদেশের টপ বিসন্যাস ম্যানের ছেলে তখন তারা অভাব হলো। আর খুশিও হলো।
-- বাবা বলল
-- তোমককে কালকেই বাসায় নিয়ে যাবো।(বাবা)
-- আচ্ছা বাবা সমস্যা নেই তবে আমি এখনি তোমার কাজ ধরতে পারবো না। আর ২-৩ মাস পরে তোমার কাজ ধরবো এর মাঝে নাইমের পরীক্ষান শেষ হবে আর নাইম জয়দের কমানিতে আমার পদে কাজ করতে পারবে ও ভালো বুদ্ধিমান। (আমি)
-- আচ্ছা (জয়+বাবা)
আজকে আমাকে বাসায় আনা হলো এটা বাসা না একটা বড় রাজপ্রাসাদ । আমি যাওয়ার পর রায়য়ান চৌধুরীর মেয়ে বা আমার ছোট বোন আমার কাছে এসে--
-- ও কে মা(অরিন)
-- ও তোমার বড় ভাই হয়।তুমি ভাই বলে ডাকবে।(মা)
-- আচ্ছা ঠিক আছে(অরিন)
আমি অসুস্থ থাকায় কোলে নিতে পারলাম না।
এদিকে অনন্যার বাবা বা আমান সাহেবের কাছে ফোন আসলো---
আর ওপাশ থেকে বলল আমি আমার হারিয়ে যাওয়া ছেলেকে খুজে পেয়েছি। তার কথা শুনা আমান সাহেব অনেক্টা আশ্চর্য হয়েছেন.। তিনি ভাবিছেন অনন্যা কি তার ছেলেকে মেনে নিবে?
আমিতো তাকে কথা দিয়েছি বিয়ে দিবো।আমার কথা কি রাখতে পারবো?
গল্পে কি নতুন কোনো নায়ক আসতে চলেছ্ব নাকি অন্য কিছু????
তাহলে কি অনন্যার সাথে ওর বিয়ে হবে?
যদি ওর সাথে অনন্যার বিয়ে হয় তবে আবিরের কি হবে????
চলবে.....
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com