Breaking News

মিথ্যা অপবাদে অপরাধী । পর্ব -০৭



আমি আর অনন্যা ছাদে গেলাম।ছাদ দেখে আমি অবাক। ছোট একটা বাগান বল্লেও ভুল হবে না। আমার কিছু প্রিয় ফুলও আছে এখানে।মাঝে একটা দোলনা এবং একপাশে একটা বসার স্থান আছে।

-- চল আমরা ওখানে বসে কথা বলি ( অনন্যা)
-- হুম (আমি)
আমি আর অনন্যা কথা বলছি। পড়ন্ত বিকালটা ভালোই লাগছে।তবুও কেমন যেন একটা শূন্যতা অনুভব করলাম।কথাই আছে স্মৃতি মানুষকে কুড়ে খাই। আগে বিকেলে,সন্ধায় কতো ছাদে উঠেছি।
-- কি ভাবছো?(অনন্যা)
কথা ঘুড়িয়ে - দেখ সূর্যটা কতো সুন্দর লাগছে---
(এই অপরূপ বিকেলে
পশ্চিম আকাশে রক্তিম সূর্যটা,
প্রকৃতিকে দিয়েছে এক-
মনমুগ্ধকর ছোয়া।
এর মাঝে সৌন্দর্য বাড়িয়েছে
সূর্যের উপরে চলে একঝঁাক পাখি💝)

অনন্যার সাথে আরো কিছুক্ষন গল্প করলাম। তখন অনন্যা বলল--
নিচে চলো। সন্ধা হয়ে গেছে। দেখতে দেখতে 1 সপ্তাহ চলে গেলো। এই কইদিনে আমি অনেকটা সুস্থ হয়ে গেলাম এবং অনন্যার সাথে অনেকটা free হয়ে গেছি, ❤
১ সপ্তাহ পড়ে- আঙ্কেল বলল তোমাকে অনন্যার সাথে একই কলেজে ভর্তি করে দিব। আর তুমার ভাল ড্রেস নেই তাই অনন্যার সাথে আজকে শপিং এ যাবে।
-- আমি মাথা নাড়িয়ে হ্যা জানালাম
-- চল এখনই জাই(অনন্যা)
--আচ্ছা (আমি)

তারপর আমি আর অনন্যা গাডির কাছে গেলাম। আমি যেহেতু driving পারি তাই আর ড্রাইভার কে নিতে হলো না তাই আমি আর অনন্যা মার্কেটে গেলাম। আর অনন্যার পছন্দ মতো ড্রেস কিনলাম কিনা শেষে অনন্যা আমাকে একটা মোবাইলের দোকানে গেলাম আর আমার জন্য একটা মোবাইল কিনলাম।
মার্কেট করতে করতে দুপুর হয়ে গেলো তাই আমরা একটা রেস্টুরেন্টে গেলাম আর অনন্যাই অর্ডার দিলো তাই দুপুরে খেয়ে বাসাই চলে গেলাম। বাসাই গিয়ে ফ্রেস হয়ে ঘুমিয়ে 😴 গেলাম।

বিকালে অনন্যা এসে আমাকে ডেকে তুললো। আর বললো তার বাবা ডাকছেন। আমি ফ্রেস হয়ে নিচে গেলাম। গিয়ে দেখি আংকেল বসে আছেন তখন বল্লেন তুমি আর অনন্যা কোথা থেকে ঘুড়ে আসো.।
-- আমি মনে মনে, হটাত এটা বললো কেন?

-- আচ্ছা ঠিক আছে (আমি)
তখন দেখি অনন্যা রেডি হয়ে নিচে আসছে। হালকা মেকাপে অকে অস্পরি লাগছে। অনন্যা এসে আমাকে ধাক্কা দিলো তখন আমার ঘোর কাটলো.... 😬
আংকেলকে বলে আমি আর অনন্যা বের হলাম। তখন অনন্যা বললো জানো আমি বাবাকে বলেছি আমরা কোথাও ঘুতে আসি 😁
চলেন ব্যাক থেকে ঘুরে আসি--
-- বাবা, আমি আর আবির কোথা থেকে ঘুড়ে আসি (অনম্যা)
-- কেন (আমান সাহেব)
-- বাবা আসলে আবির তো এখানে কিছু চিনে না তাই অরে নিয়ে ঘুরে আছি আর অর মনও ভালো লাগবে
-- অই কি যাবে? (আংকেল)
-- বাবা তুমি বল্লে ও না করবে না (অনন্যা)
-- আচ্ছা আমি বলব (আমান সাহেব)
-- ওকে বাবা 😍(অনন্যা)
বর্তমানে আসেন----
---তুমি আমাকে নিয়ে আছলে কেন?(আমি)
--- এমনি আনছি (অনন্যা)
আমরা কথা বলতে বলতে গাড়ির কাছে আসলাম কিন্তু অনন্যা বলল আমি রিক্সাতে যাব 😌 আমি কিছু না বলে অর কথা মতো রিক্সা খোজলাম। রিক্সা আসলে অনন্যা একটা ঠিকানা বলল অখানে রিক্সা গেলো।
যাওয়ার সময় আমি অর কাছ থেকে একটু দুরে সরে বসলাম তখন ওই
--বললো এতো দুরে বসেছ কেন? পড়ে যাবে তো (অনন্যা)
-- না আমি ঠিক আছি ☺(আমি)
-- বেশি কথা বল কেন?একটু এদিকে আস( অনন্যা)
আমি অর কথাই একটু অর দিকে চেপে
বসলাম। কথা বলতে বলতে রিক্সা তার গন্তব্যে চলে আসলো। এসে বুঝতে পাড়লাম এটা কোনো পার্কে এসেছি।

তখন অনন্যা বলল--
-- নিচে নাম আমরা চলে এসেছি (অনন্যা)
আমি নেমে পড়লাম। ভাড়া দিয়ে আমি আর অনন্যা পার্কে প্রবেশ করলাম। পার্কে গিয়ে দেখি সবাই জোড়ায় বসে আছে 😁😁। আমি আর অনন্যা একটা জাইগাই গিয়ে বসলাম। আর অনন্যার সাথে কথা বলতে মনটা ভালো লাগলো। পড়ে আমি আর অনন্যা চলে আছলাম বাসাই ☺
পরের দিন আংকেল বলল কলেজে তিনি ভর্তির ব্যাপারে বলছেন আর উনারা বলেছেন আগের কলেজের ছাড়পত্র (TC) লাগবে। এজন্য আমি আংকেলের থেকে বিদায় নিয়ে আমি আমার গ্রামের দিকে চললাম। বাসের টিকিট কিনে বাসে উঠে পড়লাম। আমাদের বাসস্ট্যান্ডে পৌছাতে দুপুর 12 টা বেজে গেলো।আমি মুখে মাস্ক পড়ে ছিলাম তাই কেও আমাকে চিনতে পাড়লো না।

আমি অফিস রুমে গিয়ে প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র নিয়ে বের হয়ে আছতে যাব।
তখনই জান্নাতকে দেখলাম দূরে তার বান্ধবীদের সাথে দাড়িয়ে আছে
কিন্তু তাকে দেখে মনে হচ্ছে সে ভালই আছে। আমি আর না তাকিয়ে চলে আছলাম।
আবার টিকিট কেটে বাসে উঠলাম তখন দেখলাম আম্মু এবং ভাবি কোথায় যেনো যাচ্ছে।
আর আম্মুকে দেখে আমার চোখে জল এসে গেলো।
মনে হচ্ছএ আম্মুকে গিয়ে জরিয়ে ধরি কিন্তু তার কোনো সুযোগ নেই
তাদের কাছে আমি অপরাধি। আমি কিভাবে যাব তাদের কাছে 😥
তখন বাস ছেড়ে দিল আমি কিছুক্ষন পরে গুমিয়ে গেলাম।
তারপর বাসের ড্রাইভারের ডাকে ঘুম ভাংলো আর বললেন আমরা গন্তব্যে এসে গেছি।
অখান থেকে বাসাক পৌছাতে রাত হয়ে গেলো তাই ফ্রেস হয়ে রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে গেলাম।
পরেরদিন সকালে..

চলবে.....

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com