Breaking News

মিথ্যা অপবাদে অপরাধী । পর্ব -০৮



পরের দিন সকালে শুনতে পারি রাত্রে অনন্যার জ্বর আছসে। তাই আর কি করার আংকেলকে বলে আমি চলে গেলাম কলেজে।আর অনন্যার শরিল খারাপের জন্যা সে বাসাই থেকে গেল। কলেজে গিয়ে ভর্তি হলাম আমি তো আর জানি না আমাদের ক্লাস কই তাই খুজতেছিলাম তখন দেখি লাকি অর কলেজে আসছে। আমি অর কাছে গেলাম।

--কেমন আছ(আমি)
-- আমি ভালো আছি।অনন্যা কই অকে তো দেখছি না (লাকি)
-- অর শরির খারাপ তাই আজকে আসে নি(আমি)
-- কি হয়েছে অর?( লাকি)
-- হালকা জর আসছে(আমি)
-- ও আচ্ছা(লাকি)
-- আমাদের ক্লাস রুম কই? আমি খুজে পাচ্ছি না (আমি)
-- আমার সাথে চল(লাকি)
-- ওকে
তারপর আমি আর লাকি ক্লাস রুমে গেলাম।লাকি অর জাইগাই চলে গেলো আর আমি পিছনে একটা সিটে গিয়ে বস্লাম।কিছুক্ষন পর একজন ছেলে এসে আমার পাসে বসল --
-- আমি রাহাত।তোমার নাম কি? নতুন মনে হচ্ছে?(ছেলেটি)
-- আমার নাম আবির। (আমি)
--আমরা বন্ধু হতে পারি? (রাহাত)
-- অবশ্যি কিন্তু তুই বলতে হবে।(আমি)
-- ঠিক আছে। চল আমার বন্ধুদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেই (রাহাত)
--চল(আমিল
রাহাত আমাকে অর বন্ধুদের কাছে নিয়ে গেল আমি বল্লাম
--হাই।আমি আবির( আমি)
-- আমি মেহেদি ( মেহেদি)
--আমি হাসিব (হাসিব)
-- আমি সারা☺(সারা)
-- আমি রিতা বা সুরভি (রিতা)
-- আমি রাফি (রাফি)

ওদের সাথে কথা বলতে ক্লাসের ঘন্টা বাজলো আমরা ক্লাসে গেলাম।
যথারিতি ক্লাস করে লাকিসহ সবাইকে বিদায় দিয়ে বাসার পথে পা বাড়ালাম।
বাসা 10 মিনিটের পথ তাই হেটে আসছিলাম
তখন দেখলাম কে যান এক্সিডেন্ট করছে তাই আমি অখানে গেলাম।
হাসপাতালে নেওয়ার লোক নেই (এদেশে শুধু অন্যার বিপদ দেখতে পারে সাহায্যের লোক কম)
লোকটির গাড়ি এক্সিডেন্টে খারাপ হয়ে যাওয়ার কারনে আমি একটা সি.এন.জি নিয়ে তাকে
হাসপাতালে নিয়ে গেলাম। উনার জ্ঞান ছিল না তাই আমি নার্সকে ডেকে উনাকে একটা
বেডে সুইয়ে দিলাম। আর ডাক্তার এসে উনাকে ইমার্জেন্সিতে নিয়ে গেল।

আর আমার কাছে উনার মোবাইলটা আমাকে দিয়ে বলে ২ লক্ষ টাকা জমা দিতে।
কিন্তু আমার কাছে তো টাকা নাই কি করবো বুঝতেছি না।
তখন দেখলাম উনার মোবাইলে একটা নাম্বার থেকে ফোন আসছে তখনি আমি ফোনটা রিসিব করলাম।
মেয়েলি কন্ঠে বুঝালাম উনাম স্ত্রী হবে মনে হই।
তাই আমি সব ঘটনা বললাম এবং ঠিকানা অনুযায়ী আসতে বললাম।
20 মিনিট পরে মহিলা আছলো।
আমি উনাকে বললাম যে ডাক্তার টাকা জমা দিতে বলেছে কিন্তূ আমার কাছে টাকা নেই।
তখন উনি কার্ড থেকে টাকা পে করলেন।

—— উনাদের পরিচয়টা দিয়ে নেই
( যিনি এক্সিডেন্ট করেছেন তিনি হলেন আদেশের টপ ব্যাবসায়ী রায়হান চৌধুরী। আর মহিলেটি হলেন মিসের রায়হান চৌধুরী বা ইয়াসমিন চৌধুরী। আর উনাদের 5 বছরের একটা বাচ্চা আছে তার নাম মাহি।)
পরিচয় পর্ব শেষ এখন বর্তমানে আসা যাক। ☺
ইয়াসমিন চৌধুরী কান্না করছিলেন তার কিছুখন পর ডাক্তার আসলেন এবং বল্লেন রোগিকে সঠিক সময়ে আনার জন্য বেচে গেছেন।

-- আমরা কি উনার সাথে দেখা করতে পারি? (মিসেস রায়হান)
-- বেডে শিফট করার পরে দেখা করতে পারবেন। (ডাক্তার)
-- ধন্যবাদ ডাক্তার (ইয়াসমিন চৌধুরী)
-- ধধন্যবাদ উপরওয়ালাকে দেন। আমি আসি (ডাক্তার)
কিছুক্ষন পরে উনাকে বেডে শিফট করা হলো তখন আমরা 3 জন গেলাম।
--তুমি কই থাক (চৌধুরী)
-- এক আংকেলের ওখানে(আমি)
-- ওহ আচ্ছা(চৌধুরী)
-- আমি যাই তাহলে(চৌধুরী)
-- আচ্ছা যাও।আর শুনো আমার কার্ডটা রাখ কোনো সমস্যা হলে আমার কাছে এস।(চৌধুরী)
আমি উনার কাছ থেকে কার্ডটা নিয়ে তাদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে চলে আছলাম বাসাই। বাসাই আসার পর আংকেল জিজ্ঞাসা করলেন এতো দেরি হলো কেন?
আমি আজকে ঘটে জাওয়া ঘটনা বল্লাম তখন উনি বললেন আচ্ছা ঠিক আছে তুমি ফ্রেস হয়ে আস খাবে এখন ☺

তারপর আমি রুমে গিয়ে ফ্রেস হয়ে খাবার খেতে চলে আছলাম।দেখলাম অনন্যাও আছে আমি অরে বললাম.....
-- শরির ঠিক আছে?( আমি)
-- হুম অনেকটা সুস্থ এখন(অনন্যা)
আর কেও কোনো কথা না বলে খেয়ে উঠলাম। আর রুমে চকে আছলাম।তারপর গোসল করে একঘুমে বিকাল😴

ঘুম থেকে উঠে ফ্রেস হলাম। অনন্যা অসুস্থ থাকাই আজকে আর ছাদে গেলাম না
তাই রুমে বসে মোবাইলে 😍free fire😍 গেম খেলা শুরু করলাম।
সন্ধাই হালকা নাস্তা করে পড়তে বসলাম।পড়তে পড়তে রাত 11 টা বেজে গেল
তখন একজন এসে বলল খাবার খাওয়ার জন্য।তাই আমি বই রেখে খেতে চলে গেলাম।
রাতের খাবার খেয়ে আমি আমার রুমে এসে শুয়ে পরলাম।
আর মোবাইলটা নিয়ে ফেবু তে ডুকলাম ( কারো সাথে যেন কথা না হই সেজন্য নতুন একাউন্ট খুলছি
এবং আগেরটা deactivate)। কিছুক্ষন ফেসবুকে থেকে বের হয়ে ভাবতে লাগ্লাম-----

আমাকে অনেক বড় হতে হবে কিন্তু কি কারনে এই চিন্তা তা নাহই এখন অজানাই থাকুক ☺ ভাবতে ভাবতে কখন যে ঘুমের রাজ্যে চলে গেছি নিজেও জানি না।পরের দিন সকালে উঠে ফ্রেস হলাম।আর নাস্তা করে আমি আর অনন্যা একত্রে একটা রিকশা দিয়ে কলেজের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম এবং 5 মিনিটেই কলেজে চলে আছলাম। আমি, অনন্যা,লাকি একজাইগায় আড্ডা দিচ্ছিলাম তখন আমাদের সাথে আমার বাকি বন্ধুগুলাও আছলো।
-- একদিনেই এতো বন্ধু 😱( অনন্যা)
-- 😬😬😂😂(আমরা)
-- আচ্ছা বাদ দেও (অনন্যা)
-- আচ্ছা রাহাত তোর gf নাই(আমি)
-- নাই 😁😁(রাহাত)
-- একদম মিথ্যা বলবি না। তাহলে সায়মা কে?(মেহেদি)
-- ওই একদম বলবি না 😠(রাহাত)

আসলে সায়মা হলো লাকির খালাতো বোন আজকে কলেজে আসে নি। তখন --
--- এতকিছু আর আমি জানি না 😐(লাকি)
-- আমি অরে পছন্দ ককি কিন্তু অই আমাকে করে কিনা জানিনা 😣🖓র বফ আছে কিনা তাও জানিনা😣😣򘰨রাহাত)
-- আচ্ছা চিন্তা করিস না অর বফ নাই আমি সব ঠিক করে দিব(লাকি)
-- সত্যি 😬(রাহাত)
-- হুম তবে একটা শর্ত আছে 😌( লাকি)
-- কি শর্ত(রাহাত)
-- আমাদের আজকে ট্রিট দিতে হবে 😋(লাকি)
-- হুম সহমত (আমরা সকলে)
-- আচ্ছা পরে দিব(রাহাত)
-- না তাহলে হবে না। আর
সায়মাকেও পাবি না 😌(লাকি)
-- এই না মানে কখন নিবি ট্রিট 😣(রাহাত)
-- অই চল আজকে ক্লাস করব না। আর এখনি ট্রিট দিবি তুই(আমি)
-- ওই তোরা বন্ধু নাকি শত্রু(রাহাত)
-- দুইটাই 😂(আমি)

তারপর আমরা আজকে আর ক্লাস না করে একটা রেস্টুরেন্টে গেলাম আর যে যার ইচ্ছা মত খেলাম। আর বিল আছল 1570 টাকা। বেচারা রাহাত একেবারে ফকির 😬
রেস্টুরেন্ট থেকে বের হয়ে রাহাত বলতেছে আমারো একদিন আসবে😣
তখন সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে চলে গড়ি না নিয়ে হেটে হেটে আমি আর অনন্যা আছতেছিলাম তখন এক একজন ছেলে অনন্যার মোবাইল নিয়ে দৌড় দেই আর আমি দৌরে ধরে ফেলি।যখন মারতে যাব তখন অর চেহারা দেখে মায়া লাগে। আর অই ছেলেটা বলে
-- ভাই আমাকে ছেড়ে দেন। আমার বাবা নেই মা অন্যের বাড়িতে কাজ করতো কিন্তু মাও অসুস্থ আর আমি গত কাল থেকে কিছু খাই নি।কাজ খুজেছি পাইনি তাই এই কাজ করতে আসছিলাম।প্লিজ ভাই আমাকে ছেড়ে দেন। (ছেলেটার বয়স আনুমানিক ১৬ হবে)

--- নাম কি তোমার(আমি)
--- আমার নাম নাইম।প্লিজ ভাই মাইরেন না।
তখন আমি অনন্যাকে একটা রিক্সা করে বাসায় পাঠিয়ে দেই আর আমি অই ছেলেটকে নিয়ে একটা হোটেলে যাই।তাকে কিছু খাবার খাইয়ে অরে নিয়ে বাহিরে আছলাম। আর বাইরে এসে আমার কাছে থাকা 500 টাকার কিছু পত্রিকা কিনে দিলাম এবং বললাম এটা বিক্রি করে তোমার আরও লাভ হবে ওটা দিয়ে তোমার মায়ের খাবার আর ঔষধ নিয়ো আর বাকি টাকা দিয়া আবার কিছু কিনে বিক্রি করো।
-- তখন বলল ভাই আপনার মন অনেক ভালো আল্লাহ আপনার মঙ্গল করুন। আমি মাকে গিয়ে আপনার কথা বলব।(নাইম)

আমি অর কাছ থেকে বিদায় নিয়ে চলে আছতেছিলাম কিন্তু অর কথা শুনে আম্র মায়ের কথা অনেক মনে পড়লো। অজানা কারনেই চোখে থেকে দুই ফোটা জল পড়লো। এভাবে বাসাই চলে আছলাম। ফ্রেস হয়ে দুপুরের খাবার খেতে চলে আছলাম।খাবার খেয়ে আমার রুমে আসলাম আর এসে গেম খেলতে শুরু করলাম 😬😁। বিকালে অনন্যা আসলো আমাকে ডাকতে। সে বল্লো যে ছাদে যাবে তাই আমি অর সাথে ছাদে গেলাম।
-- আচ্ছা ওই ছেলেটার কি করলে?(অনন্যা)

আমি অর সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনা বললাম।সে আমার দিকে তাকিয়ে আছে---
অনন্যা মনে মনে -- আমি যতই তারে দেখছি ততই মায়ার পড়ে যাচ্ছি। অন্য মানুষের উপকার করার জন্য কতো কিছু করে। কিন্তু আমার ওকে ভালো লাগে কেন? আনি কি অকে ভালোবাসি। না - না তা হিবে কেন আমরা তো শুধু বন্ধুর মত।

-- চুপ হয়ে আছ কেন?(আমি)
-- না কিছুনা এমনি।(অনন্যা)
-- অহ তাই বল(আমি)
-- একটা কথা বলবো। (অনন্যা)
-- হ্যা। এতে অনমতি নেওয়ার কি আছে?(আমি)
-- তোমার কেমন মেয়ে পছন্দ।(অনন্যা)
আমি ওর দিকে অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছি। কিছু বললাম না।
-- বল না কেন(অনন্যা)
-- হটাৎ এমন প্রশ্ন কেন(আমি)
-- আরে এমনিতেই বল(অনন্যা)
-- এখন কিছু নাই।আর আমি আর কোন মায়াই পড়তে ভাই না 😥(আমি)
-- আচ্ছা বলা লাগবে না।
অনন্যা মনে মনে-- এভাবে এখন না বললেও হতো।
অইদিন কেটে গেলো এভাবে।
পরের দিন সকালে আমি আর অনন্যা একইসাথে কলেজে গেলাম। কলেজে গিয়ে দেখি সবগুলা হারামি চলে আসছে😬 তাই আড্ডা দিচ্ছিলাম তখন দেখলাম কয়েকটা বখাটে ছেলে একটা মেয়েকে উত্যাক্ত করছে তাই আমরা ওদের কাছে গেলাম এবং অখানে গিয়ে মেয়েকে দেখে আমি অভাব। কারন মেয়েটা হচ্ছে...

চলবে...

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com