আইসিটি স্যার যখন বর । পর্ব - ১৫
ক্লাসে চলে আসলাম,,,, সব গুলা ক্লাসের মাঝে রাহাত স্যার ক্লাস করতে আসলেন,,,,, ওনার দিকে তাকাতেই তখনকার মোমেন্ট গুলা মনে মনে ভাবতেছি আর ব্লাসিং হচ্ছি,,,, আজকে এতটা কাছ থেকে উনাকে দেখেছি,,,,স্যার এমনি অনেক সুন্দর কিন্তু সামনাসামনি এত্ত গুলা সুন্দর,,, স্যারের কথা বলার স্টাইল,,, হাসি,,,হেয়ার স্টাইল সব কিছুই অসম্ভব সুন্দর,,,, স্যারের কথা ভাবতে ভাবতে ক্লাস শেষ হয়ে গেছে,,,
অন্য সব ক্লাস শেষ করে বাসায় আসতে আসতে জিহাকে বললাম,,,
ফারহাঃ এই জিহা আজকে বিকালে চল না শপিং করতে যাই,,,,
জিহাঃ শপিং? কিন্তু আমার এখন শপিং করার মত মুড নেই,,,,, অন্য একদিন যাই?
ফারহাঃ প্লীজ প্লীজ চল না,,,, শপিং করবো,,, ঘুরবো,,, ফুচকা খাবো,,, চল না চল না,,,,
জিহাঃ আচ্ছা বাবা ঠিক আছে যাবো,,,, কিন্তু তুই এইটা বল যে হঠাৎ শপিং করার জন্য এত উতলা হয়ে পড়ছিস যে?
ফারহাঃ আচ্ছা তুই যাবি কি না সেটা বল,,,
জিহাঃ আরে বাবা যাবো তো,,,,রাগ করছিস কেন?
ফারহাঃ হুম,,,, মনে মনে,,, ওই জিহানের বাবা পাঁচ হাজার টাকা দিয়েছে,,, ওদের জন্য কালকে আমার মুড ওফ হয়েছিলো,,,আজকে ওদের টাকা দিয়ে মুড অন করবো,,, হিহিহিহি,,,
জিহাঃ কিরে পাগলের মত নিজে নিজে হাসতেছিস কেন?
ফারহাঃ কি বললি আমি
পাগলের হাসি? শয়তান শাঁকচুন্নি,, ডাইনী,, ভুতনী কোথাকার?
জিহাঃ আরে মা আমার মাফ করে দেয়,,,,, আর ভুল হইবো না,,
ফারহাঃ ওকে বেটি মাফ করে দিলাম যাও,,,,
তারপর দুইজন বাসায় চলে আসলাম,,,,,,,
বিকালে আমি রেড়ি হয়ে জিহাকে কল দিলাম,,,,
ফারহাঃ কিরে তোর হয়েছে?
জিহাঃহুম হয়েছে,,, তুই বের হও,,,,
ফারহাঃ আচ্ছা,,তুই গেইটের সামনে ওয়েট কর আমি আসতেছি,
জিহাঃ আচ্ছা তাড়াতাড়ি আয়,,,,
আম্মিঃ কিরে কোথায় যাচ্ছিস এই সময়?
ফারহাঃ আম্মি আমি একটু শপিং যাচ্ছি জিহাও যাবে আমার সাথে,,,
আম্মিঃ আচ্ছা যা,, সাবধানে যাস আর তাড়াতাড়ি চলে আছিস,,, কেমন?
ফারহাঃ আচ্ছা ঠিক আছে,,,আমি যাচ্ছি
বাসা থেকে বের হয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছি একটা রিকশা নাই,,, অনেক্ষণ পর একটা রিক্সার দেখা ফেলাম,,তারপর ওইটা নিয়ে জিহাদের বাসার সামনে চলে আসলাম,,, বেচারি ওয়েট করতেছে অনেক বিরক্তি নিয়ে,,,,
জিহাঃ অবশেষে আসলি?
ফারহাঃ সরি,, রিক্সা পাচ্ছিলাম না তাই,,
জিহাঃ আচ্ছা বাদ দেয় তোর বাহানা এখন চল,,,
ফারহাঃ বাহানা দিচ্ছি না সত্যি,,,,,
জিহাঃ আচ্ছা ঠিক আছে এখন যাওয়া যাক,,,,,
ফারহাঃ ওকে,,
তারপর দুইজনে মিলে শপিং মলে ডুকলাম,,, প্রায় এক ঘন্টা যাবত তিন হাজার টাকার শপিং করলাম আমার আর জিহার জন্য সেম ডিজাইনের দুইটা জামা কিনেছি,,, আর এই দুইটা জামা কিনতেই আমাদের এক ঘন্টা সময় লেগে গেছে,,,, আর জিহার জন্য একটা টেডিবিয়ার কিনেছি,,ওসবসময় আমার গুলার উপর নজর দেয়,,, তাই ওর জন্য একটা টেডিবিয়ার নিয়েছি,,,
শপিং শেষ করে জিহা আর আমি শপিং মল থেকে বের হয়ে রাস্তার পাশে দিয়ে আসছিলাম,, তখন দেখি রাস্তার ওপাশে ফুচকার দোকান,, আমার তো দেখেই জিবে জল চলে আসলো,,,, ফুচকা খাওয়ার জন্য রিতিমত লাফালাফি শুরু করছি,,,
ফারহাঃ এই জিহা দেখ না ফুচকা,,, চল না ফুচকা খাবো,,,,
জিহাঃ ওয়াও,, ফুচকা? অবশ্যই খাবো চল চল,,,
জিহা আর আমি রাস্তা পার হচ্ছিলাম জিহা আমার একটু সামনে আমি একটু পিছনে,,, হঠাৎ ঘাড়ির হর্ণ শুনে পিছন তাকিয়ে আমার চোখ গুলো ছানাবড়া হয়ে গেলো,,,, আমার চারপাশে এখনো দিনের আলো রয়েছে তাও আমার কাছে সব কিছু অন্ধকার লাগতেছে,,, ঘাড়ীটা অনেকটাই আমার সামনে চলে এসেছে প্রায় ছুঁই ছুঁই অবস্থা,,,
ফারহাঃ আয়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়া
জিহাঃ ফারহায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়া
চলবে....
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com