Breaking News

মিথ্যা অপবাদে অপরাধী । পর্ব -১৩



পরের দিন চাকুরি খুজতে বের হলাম। আর চাকুরির জন্য কাগজ পত্র লাগবে তাই কলেজ থেকে সার্টিফিকেট ও টিসি আনলাম।টিসি আনলাম এজন্য - যেন অনম্যার সাথে আমার দেখা না হয়।চকুরি খুজতে খুজতে একটা পেলাম। অফিসটা খুব বড় না মাঝারি।প্রায় ২০০-৩০০ কর্মচারী রয়েছে। এখানে যেই সকল প্রোডাক্ট তৈরি হয় তা সম্পর্কে ভালো ধারণা আছে তাই যে সকল প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করলো সব সঠিক উত্তর দিলাম।

যদিও আমি রাইয়ান চৌধুরীর অফিসে তার দেওয়া কার্ড অনুযায়ী চাকুরী করতে পারতাম কিন্তু অখানে যাবো না। কেননা উনার সাথে আমান চৌধুরীর বা অনন্যার বাবার ব্যাবসায়িক সমর্ক ভালো আছে।যে কারণে উনার অখানে গেলে অনন্যারা জেনে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে।তাই অখানে যাবো না। তো এখন বর্তমানে ফিরা যাক--

এখানে চাকুরি সম্পূর্ণ হওয়ার পর কালকে থেকে চাকুরীতে আসতে বলেছে। আমি অফিস থেকে বের হয়ে ১ কেজি মিষ্টি নিয়ে বাসাত রওনা দিলাম।বাসাই এসে জানালাম আমার চাকুরী হয়েছে আর উনারাও খুশি হলেন। যেহেতু চাকুরী হয়ে গেছে তাই আমাকেও অন্য কোনো এক ভার্সিটিতে তে ভর্তি হতে হবে। বাসা থেকে প্রায় অনেকটুকু ধুরে একটা ভার্সিটি তে ভর্তি হলাম। অবশ্য অফিস থেকে অনেকটাই কাছে। আর নাঈমও এখন ইন্টার ২nd বর্ষে পড়ে।

পরেরদিন সকালে নাস্তা খেয়ে রওনা হলাম অফিসের দিকে। আজকে অফিসে ১ম দিন সেভাবেই নিজেকে প্রস্তুত করেছি। অফিসে গিয়ে আমার ডেস্ক দেখিয়ে দেওয়া হলো আর আমি ওখানে গিয়ে বসলাম। আর তখন পিয়ন এসে
-- স্যার আপনাকে তার রুমে ডেকেছেন(পিয়ন)
-- আচ্ছা আমি আসছি(আমি)
এটা বললে পিয়ন চলে গেলো।আমি বসের রুমের দিকে যেতে লাগলাম।
এর মাঝে অফিসের কিছু বিবরণ দেয়-- এখানে অরায় সবায় আমার থেকে বয়সে বড়। আর শুনেছি বস নাকি ভালো।এর মাঝে আমি বসের রুমের সামনে এসে।
-- স্যার আসতে পারি(আমি)
-- হুম আসেন (জয় খান)
আমাদের বসের নাম জয় আর উপাধি বা বংশের নাম খান। বয়সে আমার মতই হবে।উনার বাবা তাকে সব বুঝিয়ে দিয়েছেন।বাবার একমাত্র ছেলে।
-- তা আপনার নামই তো আবির।(জয়)
-- হুম☺(আমি)

-- এই ফাইলটা নেও।আর সম্পূর্ণ করে দেও। আজকেই দিতে হবে এটা☺(জয়)
-- আচ্ছা।(আমি)
আমি বসের রুম থেকে গিয়ে আমার ডেস্কে বসে পরলাম।আর স্যারের কথামতো ফাইলটা রেড়ি করলাম।যেহেতু এই কাজে আমার ধারণা অনেক তাই আমি কিছু সময়ের মিধ্যে কাজটা করে ফেললাম। আমার কাজের গতি দেখে স্যার ইবাক হলেন।
-- এতো তারাতারি কাজ সম্পূর্ণ করলেন কেমনে?(স্যার)
-- আমার এই বিষয়ে ধারণা আছে ভালোই তাই পেরেছি।(আমি)
সেইদিনের মতো আরো কিছু কাজ করে বাসায় চলে আসলাম। আর বাদায় এসে আমার জন্য একটা সারপ্রাইজ অপেক্ষা করছে তা আমি জানতাম না।
কেননা নাঈম আমার জন্য একটা মোবাইল কিনে এনেছে সাথে একটা সিম ও আছে।
আমার ফোন কিনার কারণ আগের ফোন আমি অনন্যাদের ওখানে রেখে এসেছি। আমি ফ্রেস হয়ে হাসানের কাছে ফোন দিলাম।

-- মা কেমন আছে?( আমি)
-- হুম ভালোই(হাসান)
কিছুসময় কথা বলে ফোনটা রেখে দিলাম। এভাবে চলে গেলো 3 মাস। এখন আমার প্রমোশন হয়েছে ম্যানেজার পদে।ধীরে ধীরে জয়দের অফিসটা অনেক্টা বড় হয়েছে এখন তাদের কর্মী প্রায় ১০০০।আগের বাসায় আর থাকি না।অফিস থেকে যে ফ্লাট দেওয়া হয়েছে ওটাতেই আমরা থাকি।সাথে একজন কাজের মেয়ে আছে। কেননা স্যার আমার কাজ দেখে আমাকে প্রমোশন দিয়েছেন।
-- স্যার আমার কিছুদিনের ছুটি লাগবে(আমি)

-- কি জন্য(স্যার)
-- আমার 2য় বর্ষের ১ম পরীক্ষা শুরু হবে(আমি)
-- আচ্ছা ঠিক আছে(স্যার)
আর এর কারনে আমি ১৫ দিনের ছুটি নিলাম।
আজকে পরীক্ষা তাই প্রিপারেশন মোটামুটি নিয়ে কলেজে গেলাম। আমার সিট খুজে আমি আমার সিটে গিয়ে বসলাম। কিছুক্ষন পড়ে একজন রুমে প্রবেশ করলো যাকে দেখে আমি অভাক কেননা সে আর কেও নায় সে হচ্ছে জয় মানে আমার স্যার। -- স্যার আপনি এখানে (আমি)
-- হুম।কিন্তু তুমি এখানে কেন? আমি তো এখানেই পড়ি(স্যার)
-- আমিও তো এখানেই পড়ি(আমি)

-- তাহলে তো ভালোই হলো।আজ থেকে এখানে কোনো স্যার নয় আমরা 2জন বেস্ট ফ্রেন্ড। এর মাঝে নো তুমি নো আপনি শুধু তুই। ঠিক আছে।(জয়)
-- আচ্ছা স্যার। থুক্কু জয়😁(আমি)
আমার পাসের সিটেই স্যার মানে জয়ের সিট পড়েছে তাই ফুজন ই দুজনলে হেল্প করে পরীক্ষাটা দিলাম।ঠিক মতো পড়তে না পারায় পরীক্ষা এতো ভালো হয়নি। তবে যেদিন রেজাল্ট দিলো তলহন দেখলাম আমই আর জয় দুজনই টপ ২০ এর মধ্যে। এভাবে কয়েক্টা মাস কেটে যায় এখন জয় আমার অনেক ভালো বন্ধু। সে যেখানে যায় আমাকে নিয়ে যায়। এমনকি তার বাসায়ও অনেকবার গিয়েছি।এমনি একদিন অফিসের কাজে একজায়গায় যেতে হবে তাই জয় তার সাথে আমাকে নিয়ে গেলো--

আর যেখানে যাওয়া হলো তা ছিলো সিলেট। আমি আর জয় রেডি হয়ে নিজস্ব গাড়ি থাকতেও বাসের টিকেট কাটলাম। আর সিটে যেয়ে বসার সময় একটা ঘটনা ঘটলো।জয় আর আমার দুজনের সিট ভিন্ন জায়গায় পড়লো। তাই অন্য জনের সাথে সিটটা পরিবির্তন করতে চাইলাম কিন্তু পারলাম না। এদিকে অর সাথে একটা ছেলে বসলো। আর আমি আমার সিটে বসে পড়লাম।

কিছুক্ষন পড়ে একটা মেয়ে বাসে উঠলো। আমার সমবয়সী হবে। আর আমার পাশে এসে বসলো। আমি আরে্কটু জানালার দিকে সরে বসলাম।
-- আপনার নামটা জানতে পারি(মেয়েটা)
-- আমার নাম আবির।আপনার(আমি)
-- আমার নাম নিলা(নিলা)
-- ওহ আচ্ছা। আপনিও কি সিলেট যাচ্ছেন?(আমি)
-- হুম। তা আপনি কি কারণে যাচ্ছেন(নিলা)
-- ফ্রেন্ডের সাথে ঘুরতে+ অফিসের একটা কাজে(আমি)
-- ওহ।আমিও অফিসের একটা কাজে যাচ্ছি(নিলা)
যাওয়ার মাঝে ওর সাথে আরো কথা হলো। আর যেহেতু সমবয়সী তাই ও বলল তুমি করে বলতে।তাই আমিও অরে তুমি করে বললাম।

এদিকে অনেক্ষন পরে আমরা সিলেটে এসে পৌছালাম।অনলাইনে বুকিং করা একটা হোটেলে আসলাম। দুই রোম বুক করা ছিলো তাই যে যার রুমে চলে গেলাম।পরের দিন ঠিক করলাম জাফলং ঘুরতে যাবো। আর অফিসের কাজটা আরো 2 দিন পরে তাই আজকে ঘুরতে বের হলাম।আর আমাদের আনা DSLR টা নিয়ে বের হলাম। ঘুরলাম আর অনেক ছবিও তুললাম। তারপরে বাসায় চলে আসলাম।
পরেরদিন অফিসের কাজে যেতে হবে এখানে প্রায় অনেক কম্পানি রয়েছে যার মধ্যে যাদের কাজ ভালো হয়েছে তাদের কাজটা দেওয়া হবে।প্রায় ২০ কোটি টাকার লেনদেন তাই ভালো কাজে দেওয়া হবে।অখানে গিয়ে আমি অবাক কেননা নিলাও সেখানে উপস্থিত। ও এসেছে RK company of Institute থেকে।আর যারা কাজ দিবে তাকে দেখে আমি আরো বেশি অভাক হয়েছি।কেননা তিনি হলেন রায়য়ান চৌধুরী। দেশে বিদেশে উনার অনেক ব্রাঞ্চ রয়েছে।

কিছুক্ষন পরে জয়দের কম্পানির নাম বলা হলো কেননা বিগত কয়েকমাসে ভালো পজিশনে চলে এসেছে। যখন ডাক দেওয়া হলো তখন জয় গেলো সব কাগজ বুঝে আসতে আমাকে যেতে বলেছিলো কিন্তু আমি যায়নি কেননা উনি আমাকে চিলে ফেলতে পারেন এজন্য। আর জয়কে অনেকে congratulation জানালো।জয় আসার পরে নিলা জয়কে congratulation জানালো।আর জয় এসে আমাকে বলল
-- তুই থাকার কারণে এতো দুরে আসতে পেরেছি।(জয়)
-- ☺(আমি)

তারপরে আমি আর জয় চলে আসলাম। আর 2 দিনে অনেক জায়গা ঘুরে ঢাকা ব্যাক করলাম। আর যেই প্রযেক্টটা দেওয়া হয়েছিলো সেই প্রজেক্ট সঠিক ভাবে সম্পূর্ণ করা হলো ১ সপ্তাহের মধ্যে।আর জয় দের কম্পানি আরো ভালো পজিশনে চলে আসলো।

এমনি একদিন আমার গাড়ির কিছুটা সমস্যা হওয়ায় আমি রিক্সা দিয়ে অফিসে যাচ্ছিলাম। তখন দেখলাম নিলা হেটে কোথাও যাচ্ছে আমার জানামতে ওর অফিস তো এদিকে না তাহলে কোথাই যাচ্ছে। আমি ওকে ডাক দিলাম।আর বললাম কোথাই যাচ্ছ--
-- আচ্ছা এখানে না একটা কফি শপে চলো।(নিলা)
-- অকে(আমি)
আমি আর নিলা একটা কফি শপে গেলাম।ওই যা বলল তা শুনে আমার খুব খারাপ লাগলো। কারণ কথাটা হচ্ছে--

চলবে.....

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com