আইসিটি স্যার যখন বর । পর্ব - ১৭
বার বার কেটে দেওয়ার পরও কল দিচ্ছে,,,, মেজাজটাই খারাপ হয়ে গেলো,,,
দূর রিসিভ করে দেখি,,,
ফারহাঃ হ্যালো,,,,
ফারহাঃ হ্যালো,, কে
ফারহাঃ হ্যালো
ওপাস থেকে কোনো সাড়াশব্দ এলো দেখে মাথাটা আরো গরম হয়ে গেল,,,,
ফারহাঃ কানে সমস্যা আছে? শুনতে পান না? কথা না বলে বোবার মত চুপ করে বসে আছেন কেন,,,, চুপ করে যখন থাকবেন তাহলে কল দিলেন কেন? মাথার তার একটা ছিড়া নাকি? নাকি পোলিও রোগী,,,,,, শয়তান, অভদ্র,, নোংরা মানুষ,, আমার মত একটা ছোট্ট কিউট মেয়েকে ডির্স্টাব করতেছেন লজ্জা করে না,,,,, গরুর ডিম একটা,,,,আপ,,,,
অচেনাঃ স্টপ স্টপ,,,,
ফারহাঃ বোবার মুখে কথা ফুটলো শেষমেশ,,,,
অচেনাঃ না ফুটে উপায় আছে? আপনি যে ভাবে ননস্টপ বকবক শুরু করছেন আর একটু হলে তো আমার কানের পর্দাটাই চিড়ে যেত,,,,,
ফারহাঃ ফালতু কথা বাদ দিয়ে,,,, এইটা বলেন যে আপনি কে আর আমাকে কেন কল করেছেন তাছাড়া আমার নাম্বার কোথায় পেয়েছেন?
অচেনাঃ আরে বাবা একটা একটা করে বলো,,,, এক সাথে সব প্রশ্ন করলে কোনটা ছেড়ে কোন্টার উত্ত্র দিবো,,,
ফারহাঃ হুহ,,,, আচ্ছা আগে এইটা বলেন আপনি কে?
অচেনাঃ তুমি ঘেস করো তো দেখি,,,,
ফারহাঃ ঘেস ফেস করতে পারবো না সোজাসুজি বলুন আপনি কে? না হলে আমি কল কেটে দিবো
অচেনাঃ না না কাটবা না,,, রাগ করতেছ কেন?
ফারহাঃ বলবেন কি না,,,,,
অচেনাঃ আচ্ছা বলছি বলছি আমি জিয়ান,,,, আপনি নিশ্চয় ফারহা তাই না?
জিয়ান নামটা শুনার পর কিছুক্ষণ চুপ থেকে মনে করার চেষ্টা করছিলাম যে এইটা কে,,,,আরে এইটা তো সেই ছেলেটা যার জন্য কালকে আমায় দেখতে এসেছিল,,, শয়তান,, হাদারামটা আমার নাম্বার ফেলো কোথায়? কুত্তাটার কথায় আমি আমার ভাবনা থেকে ফিরে আসি,,,,
জিয়ানঃ কি ব্যাপার চুপ করে আছেন কেন? নাকি এখন আপনি নিজেই বোবা হয়ে গেলেন?
ফারহাঃ শয়তান তুই বোবা তোর চৌদ্দগুষ্টি বোবা,,,দাঁতে দাঁত চেপে নাহ তেমন কিছু না আমি মনে করার চেষ্টা করছিলাম আপনি কে,,,,,
জিয়ানঃ তা মনে পড়েছে নাকি আমায় মনে করিয়ে দিতে হবে,,,,,
ফারহাঃ নাহ আপনাকে কষ্ট করতে হবে না আমার মনে আছে,,,,
জিয়ানঃ তাহলেই ভালো,,,,
ফারহাঃ তা কি জন্য ফোন দিয়েছেন?
জিয়ানঃ কেন দিতে পারি না নাকি?
ফারহাঃ না মানে হ্যা দিতে পারেন,,কিন্তু কোনো কারণ তো চাই নাকি?
জিয়ানঃ কয়দিন পর তো জীবনসঙ্গী হবেন তাই এক জন আরেকজনকে জানা এবং জানানোর প্রয়োজন মনে করলাম তাই কল দিয়েছি,,,,, আর তাছাড়া আমার আম্মু তোমার নাম্বারটা আমায় দিয়েছে এবং বারবার বলছে যাতে তোমার সাথে কথা বলি,,,,
ফারহাঃ জীবনসঙ্গী কথাটা শুনার পর বুকের ভিতর ধুক করে উঠলো,,,, কেন জানি না মনের ভিতর অন্যরকম একটা অনুভূতি কাজ করলো,,কিন্তু খালু আপনাকে তো আমি বিয়েই করবো না জীবনসঙ্গী তো পরের কথা,,, আমি তো আমার বজ্জাত স্যারটাকেই বিয়ে করবো,,,,
জিয়ানঃ কি ব্যাপার আপনি মাঝে মাঝে কই হারিয়ে যান?
ফারহাঃ কোথায় হারাবো,,,, হারাই নাই,,,, আচ্ছা একটা কথা বলেন তো,,,
জিয়ানঃ কি কথা বলুন,,,
ফারহাঃ আপনার কথা গুলো এমন শুনাচ্ছে কেন?
জিয়ানঃ ক কই কেমন,,,
ফারহাঃ মনে হচ্ছে মুখের ভিতর কিছু ঢুকিয়ে তারপর কথা বলতেছেন,,,,
জিয়ানঃ এহেম এহেম,,,, কই না তো আপনার হয় তো এমনি মনে হচ্ছে,,,
ফারহাঃ হুম হবে হয়তো,,,, আচ্ছা যাই হোক আমি এখন ঘুমাবো,, সো বাই,,
জিয়ানঃ ওকে বাই,, গুড নাইট,, হেভ এ সুইট ড্রিম,,
ফারহাঃ গুড নাইট,,, সুইট ড্রিম না ছাই,, তোর সাথে কথা বলছি না কচু ড্রিম দেখবো আজকে,,,শয়তানটার সাথে কথা বলা শেষ করে রেখে দিলাম,,, ছেলেটা আসলে অনেক নম্রভদ্র শান্তশিষ্ট লেজ বিশিষ্ট ,,, তাতে আমার কি? আমার তো ডেভিল স্যারটাকে চাই,,,,
প্রতিদিনকার মত আজকেও রাহাত স্যারের ছবি দেখে নিদ্রায় গেলাম,,,
ঘুমের মধ্যে মনে হলো কেউ আমার পায়ে সুড়সুড়ি দিচ্ছে,,, স্বপ্ন ভেবে পা টা নাড়িয়ে নিলাম,, কিন্তু না আবার সেই একি অবস্থা,, চোখ খুলে তাকিয়ে দেখি তানহা কুত্তিটা হাসতেছে,,,,,রাগ চরমে উঠে গেলো
ফারহাঃ তানহা সকাল সকাল মাইর খাওয়া ইচ্ছা হইছে নাকি?
তানহাঃ মাইর আমার না তোর খাওয়ার ইচ্ছা হইছে,,,কয়টা বাজে জানিস?
ফারহাঃ যতটা বাঝার বাজুক তাতে তোর কি? যা এখান থেকে,,,
তানহাঃ আচ্ছা যাচ্ছি যাচ্ছি,,, সকাল সাড়ে নয়টা বেজে গেছে তাই ভালো মানুষী করে তোকে ঢেকে দিতে এলাম,,, কিন্তু না আজকে তুই প্রমাণ করে দিলি মানুষের ভালো করতে নেই,,,
সাড়ে নয়টা বেজে গেছে শুনে লাফ দিয়ে শুয়া থেকে উঠে বসলাম,,, কুত্তি তানহা তুই আমাকে এতক্ষণ এই কথাটা না বলে বকবক করছিস?
তানহাঃ আজিব,,,, আমাকে বলার জন্য টাইমই তো দিস নাই বলবো কেমনে?
ফারহাঃ তানহাকে ধাক্কা দিয়ে ওয়াসরুম চলে গেলাম,,,,ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে নিচে গেলাম,,,,
আম্মিঃ কি ব্যাপার ফারহা এত তাড়াতাড়ি কই যাচ্ছো?
ফারহাঃ কেন কলেজে?
আম্মিঃ আজকে এর আর্লি যাচ্ছো গা যে?
ফারহাঃ আর্লি মানে? কয়টা বাজে এখন? এমনিতে লেইট হয়ে গেছে তার উপর তুমি এইসব কি বলতেছ
আম্মিঃ মাত্র নয়টা বাজে,,, তুই তো প্রত্যেক দিন সাড়ে নয়টা পর বের হোস তাই বললাম আর কি?
ফারহাঃ ওয়েট ওয়েট নয়টা মানে?
আম্মিঃ ঘড়ীতে দেখ,,,,
ফারহাঃ আম্মি কথায় ঘড়ীর দিকে তাকিয়ে আমি পুরাই সকড় নয়টা একমিনিট বাজে,,,
তার মানে তানহা শয়তানী আমায় মিথ্যা বলেছে,,
ওকে তো আমি আজকে মেরেই ফেলবো,,,,, ওহ শিট,,,,
ও তো সাড়ে আট টায় স্কুল যায় গা,,,
তাহলে ও আমায় যখন বললো সাড়ে নয়টা আমি বিশ্বাস করলাম কেন? ধ্যাত,,,,,
আচ্ছা আম্মি নাস্তা দাও,,,তারপর নাস্তা করে কিছুক্ষন বাসায় ঘুরাঘুরি করে কলেজ চলে গেলাম,,,,,,
চলবে.....
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com