আইসিটি স্যার যখন বর । পর্ব - ০৭
পিছনে তাকিয়ে আমি পুরাই অবাক,,,
শয়তান জাহিদ ভাইয়াটা দাঁড়িয়ে আছেন,,,
আর আমার দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে পাগলের মত হো হো করে হাসতেছে ,,,,,
উনাকে দেখে আমার রাগ চরমে উঠে গেলো,,,
ফারহাঃ আপনার সাহস কি করে হয় আমাকে এই খানে নিয়ে আসার?
আপনার লজ্জা করে না,,,,
জাহিদ ভাইয়াঃ ডার্লিং তুমি আমার সাহসের কি দেখেছ,,,
সাহস তো তোমায় এখন দেখাবো,,,
, আর যেন কি বললা?
লজ্জা? হাহাহাহহা,,,,
ওইটা আমার বরাবরি একটু কম,,,,
ফারহাঃ আপনি জানেন না আপনি আমায় এখানে নিয়ে এসে কত বড় ভুল করেছেন,,,
এর মাসুল কিন্তু আপনায় গুণতেইইই হবে,,,
জাহিদ ভাইয়াঃ বাহ গলারজোর এখনো কমে নাই দেখছি,,,, সমস্যা নেই তোমার এই ধারাল মুখ আমি এখনি ভোতা করে দিবো,,,,
তখন তোমার গলা না নেমে যাবে কোথায়,,,
ফারহাঃ সকালের থাপ্পড়টার কথা এত তাড়াতাড়ি ভুলে গেলেন? থাপ্পড়টা মনে হয় আস্তে হয়ে গেছে তাই না,,,,
সমস্যা নেই এখন আর একটা দিয়ে উসুল করে দিবো,,,কেমন?
(কথাটা বলায় জাহিদ ভাইয়ার চোখ থেকে যেন আগুনের লাভা বের হচ্ছে,,,,জোরে আমার দুই বাহু ধরে দেওয়ালের সাথে চেপে ধরে,,,,এত জোরে চেপে ধরেছেন যে ব্যাথায় আপনাআপনি চোকের পানি পড়তেছে )
জাহিদ ভাইয়াঃ নাহ ভুলি নাই,,,
আর ভুলি নাই বলেই তোকে এখানে নিয়ে আসছি প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য,,,
তোকে আজকে আমি বুজিয়ে দিব যে জাহিদ খানের গায়ে হাত তুলে তুই কত বড় ভুল করেছিস,,,
তোর এমন অবস্থা করব দ্বিতীয় বার জাহিদ খানের সাথে এমন ব্যবহার করার কারোর বাপেরও সাহস না হয়,,,
(উনার এক একটা হিংস্র বাক্য আমার বুকের ভিতর মোচর দিয়ে উঠছে,, রিতিমত ভয়ে আমার হাত পা ঠাণ্ডা হয়ে যাচ্ছে,,,)
নিজেকে সামলে নিয়ে বললাম,,,,
ফারহাঃ দেখুন আপনি এটা ঠিক করছেন না,,,, আমি কিন্তু এবার চিৎকার করবো,,,
জাহিদ ভাইয়াঃ কর চিৎকার,, আমি কী নিষেধ করছি নাকি? যত পারিস চিৎকার করো,,, কিন্তু দুঃখের বিষয় কি জানিস? তোর চিৎকারে কেউ সাড়া দিবে না,,, কেন বলতো? কারণ ষ্টোর রুমের এই দিকে কেউ আসে না,,,,তোকে আজকে আমার হাত থেকে কেউ বাঁচাতে পারবে না,,, কেউ না,,, এমনকি তোর আসিক স্যারও না,,, তখন তো সবার সামনে হিরোগিরি দেখিয়ে গেলো এখন ডাক তোর স্যারকে,,, দেখি তোকে কি ভাবে আমার হাত থেকে বাচায়,,,,
(সত্যি তো সচরাচর ষ্টোর রুমের এই দিকে কেউ আসে না,,,,স্যারের কথা বলায় বুকের ভিতর হাহাকার ককরে উঠলো চোখ দিয়ে দুই ফোটা পানি গড়িয়ে পড়লো,,, জানি না কেন? কিন্তু আমি এখন কি করবো,, কি ভাবে এই জানোয়ারের হাত থকে রক্ষা পাবো,,,, আমি জানি না আমি সত্যি কিছু জানি না)
কান্না করতে করতে কাপাকাপা গলায় বললাম,,,,,
ফারহাঃ কি,কি করর, করবেন আপনি আ আমার সা সাথে,,,,,,
জাহিদ ভাইয়াঃ তোতলাচ্ছিস ! বাহ খুব ভালো,,, এত তাড়াতাড়ি তোর গলার আওয়াজ ছোট হয়ে গেলো? ধানিলংকা থেকে ডাইরেক্ট ভিজেবিড়াল হয়ে গেলি?? আচ্ছা তাহলে এইবার মূল পয়েন্টে আসা যাক,,,
এই বলে তিনি শয়তানি একটা হাসি দিয়ে আমার দুইহাত উনার এক হাতের মধ্যে মুষ্টিবদ্ধ করে রাখেন অন্য হাত দিয়ে আমার আমার স্কার্ফ আর ওড়নাটা খুলে ফেলে দিলেন,,, আমি অনেক চেষ্টা করার পরও হাত ছাড়াতে ব্যর্থ হই,,,, তাই পা দিয়ে লুইচ্ছাটার পায়ে একটা প্যারা দিলাম,,,, ব্যাথা পেয়ে ছেড়ে দিলেও এতে উনি আরও খেপে গিয়ে আমায় একটা জোরে থাপ্পড় দেন,,,এত জোরেই থাপ্পড়টা মারেন যে তাল সামলাতে না পেরে পরে যাই এবং টেবিলের কোণায় লেগে অনেকটা কেটে যায়,,,,, জাহিদ লুইচ্ছাটা এক পা এক পা করে এগিয়ে এসে আমার উপর হিংস্র জানয়ারের মত ঝাঁপিয়ে পড়ে,,,, আমি অসহায়ের মত চিৎকার করছি আর কান্না করছি,,,, মনে হচ্ছে আমার জীবনটা কেউ কেড়ে নিচ্ছে,,,, কারণ একটা মেয়ের কাছে জীবনের চেয়েও যে তার ইজ্জতের মুল্যটাই হাজার গুণ বেশি,,,,,,
চলবে...
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com