Breaking News

আইসিটি স্যার যখন বর । পর্ব - ০২



সামনে তাকিয়ে দেখি রাহাত নামের লোকটা আমাদের দিকে এগিয়ে আসতেছে

আর সবাই উনাকে ফুল দিয়ে বরণ করতেছে। আমার তো সব মাথার উপর দিয়ে
যাচ্ছে। আমার প্রাণপ্রিয় বেষ্টু বান্ধবী জিহাকে জিজ্ঞাস করলাম,,,
ফারহাঃজিহা এই জিহা,,,,, লোকটা কে কেরে?
জিহাঃ ফারহা মাথা খারাপ করিস না । জেনেও একদম ঢং করবি না।
ফারহাঃ সত্যি জানি না,,, বল না কে এই লোক?
জিহাঃ এইটা আমাদের নতুন আইসিটি টিচার।
ফারহাঃকিইইই??😱😱😱😱
জিহাঃ জিইইই☺☺
ফারহাঃ কিন্তু উনার নাম তো আরিয়ান আহাম্মেদ।
জিহাঃ জি না। আরও একটু বাকি আছে,,,,,আরিয়ান আহম্মেদ রাহাত। দেখ না স্যার কিন্তু হেব্বি হ্যান্ডসাম,,,, কি কিউট। আর দেখ সব মেয়ে গুলা কি রকম করে তাকিয়ে আছে স্যারের দিকে।
ফারহাঃ ওই লুচু মাইয়্যা,,,, স্যারের দিকে একদম নজর দিবি না। স্যারের উপর নজর দিলে পাপ হবে পাপ,,,বুজচ্ছিস?

মনে মনে,,,,, (শেষে কিনা এই বজ্জাতের হাড্ডিটাকেই আমাদের আইসিটি টিচার হতে হলো? কিন্তু যাই হোক বজ্জাতটা কিন্তু পুরাই কিউটে ডিব্বা। আমি তো পুরাই ক্রাশড়) এসব ভাবতেছি আর স্যারকে দেখতেছি এমন সময় স্যারর আমার
সামনে এসে দাঁড়ালো আমি কিছু বলতে যাব তার আগেই চলে গেলো। আজব এই ভাবে চলে যাওয়ার কোনো মানে হয়?? রাগে মাথা ফেটে যাচ্ছে,,,ইচ্ছা করতেছে বজ্জাতটার সব চুল চিরে পেলি। কিন্তু তা কি কখনো সম্ভব?,,, আপনারাই বলেন। তাই রাগে দুঃখে হনহন করে সেখানে থেকে এসে ক্লাসরুমে বসে আছি। জিহাঃ এর আবার কি হলো? এ।মেয়ের মতি গতি বুঝি না কিছু।
জিহাঃ ওই বাতাসির মতো এইভাবে চলে আসলি কেন?
ফারহাঃ সেটা তোকে বলব কেন?

জিহাঃবলনি না কেন?
ফারহাঃ এই শয়তানি তুই চুপ থাকতে পারিস না? সব সময় এত কেন কেন করিস কেন?
জিহাঃ যাহ্ বাবা,,, আমি আবার কি করলাম? তুই তো চলে আসলি।
ফারহাঃ তুই চুপ করবি? নাকি আমি তোর মুখে সেলাই করে দিবো?
জিহাঃ দূর তোর সাথে কথা বলাই বেকার
ফারহাঃ ওই বজ্জাত মাইয়্যা তুই কোন অফিসের মেনেজার রে,,, যে আমার সাথে কথা বললি আর ওমনি বেকার হয়ে গেলি।
জিহাঃ বইন মাফ করে দেয় ভুল হয়ে গেছে।
ফারহাঃ হুহ!!!থাক থাক অনেক হইছে আর পায়ে ধরে ক্ষমা চাইতে হবে না।
জিহাঃ আজব! তোর পায়ে ধরলাম কখন?
ফারহাঃ আবার বকবক করছিস?
জিহাঃ😲😲😲
ফারহাঃ😏😏😏
যথা সময়ে ক্লাস শুরু হলো।ঝগড়া বাদ দিয়ে সবাই পড়ায় মনোনিবেশ করল।
তৃতীয় ঘন্টায় রাহাত স্যারের আমাদের ক্লাসে আসলেন।
প্রথমে তিনি নিজের পরিচয় দিলেন।

তারপর একে একে সব স্টুডেন্টের সাথে পরিচিত হলেন। ছেলেদের সাথে খুব হেসে হেসে কথা বললেও মেয়েদের সাথে সাধারন ভাবেই কথা বললেন।কিন্তু যাই বলি না কেন স্যারের হাসি কিন্তু হেব্বি সুন্দর।দাঁত গুলো হালকা বাকা হওয়ার কারণে হাসিটা অসম্ভব সুন্দর লাগতেছে। আমি যদি কবি হতাম এতক্ষনে দশ বারটা কবিতা লিখে পেলতে পারতাম। আপনাদের ভাগ্যে ভালো যে আমি কবি না। নাহলে আমি কবিতা পরতে পরতে আপনাদের জীবন তেনা তেনা হয়ে যেত😂😂😂😂😂😂। জিহা আমার কানে কানে এসে বলল,,,,,
জিহাঃ শুনেছি স্যার নাকি শান্তশিষ্ট কিন্তু অনেক রাগী। আবার ইনি নাকি মেয়েদের সাথে তেমন একটা কথা বলে না।
ফারহাঃ তা তো দেখতেই পাচ্ছি। দেখছিস না চেহারাটা কেমন পেচার মত করে রাখছে।
জিহাঃ😂😂😂😂😂
স্যারঃ মিস জিহা & ফারহা,,,, এইটা তোমাদের কথা বলা বা হাসাহাসি করার জায়গা না।তোমাদের জন্য অন্যদের পড়ার ডির্স্টাব হচ্ছে। তাই তোমাদেরকে ক্লাস থেকে বের করতে আমায় বাধ্যে করবা না।
জিহা& ফারহাঃ sorry sir😞

স্যারঃ it's ok
ফারহাঃ জিহাকে চিমটি কেটে,,,,ফিসফিসিয়ে,,,, শয়তান মাইয়্যা তোর জন্য স্যার আমাকে ক্লাস থেকে বের করার হুমকি দিয়েছেন।
জিহাঃ কিহহহহ! আমি কি একা কথা বলছি নাকি তুই বলিস নাই? আর হুমকি তোকে একা দিছে নাকি আমাকে দেয় নাই?
ফারহাঃ তোকে দিছে ঠিক করছে। বজ্জাত তোর জন্য আমাকেও দিল। তোকে তো আমি,,,,,
স্যারঃ মিস ফারহা দাঁড়াও,
ফারহাঃ আসলে স্যার,,,,,,,,
স্যারঃ তোমাকে এক্সপ্লেইন করতে বলি নাই দাঁড়াতে বলছি।
ফারহাঃ😷😷😷
স্যারঃ জিহা তুমি বসে আছ কেন?

জিহাঃ স্যার,,,,,
স্যারঃ দাড়াও😡😡। দুজনে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ক্লাস করবা এইটা তোমাদের শাস্তি।
ফারহা&জিহাঃ😰😰😰😷😷😷 মনে মনে,,,,, ( চৌদ্দ গুষ্ঠি উদ্বার করতেছি😂😂😂😂)
তারপর উনি প্রোগ্রামিং নিয়ে কিছুক্ষণ আলোচনা করলেন। আর কালকের পড়া হিসেবে প্রোগ্রামিং এর ভাষার পুরো অধ্যায়টা দিয়ে চলে গেলেন।
আজব এইটার কোনো মানে হয় নাকি? এমনিতে এই অধ্যায়টা কত কঠিন তারমধ্যে একদিনে পুরোটা কিভাবে শেষ করব? এই জিহা,,, জিহা,,জিহাাাাাাাা
জিহাঃ উফফফ!! গরুর মত এইভাবে চিল্লাচিস কেন?কানের পর্দা চিরে ফেলবি নাকি?😡😡
ফারহাঃ কি বললি সয়তান,,,, কি আমি গরু মত চিল্লাই?😡😡😡 আজকে তোর একদিন কি আমার যতদিন লাগে,,,, সয়তান,,বিল্লি,,, ছাগল,,পচা আলু,,পচা ডিম,,,, কচু,,,হাতি,,, আরও আছে কিন্তু মনে আস্তেছে না আচ্ছা পরে বলব নে।।।।

জিহাঃ অফ যা মা আমার অফ যা। আমারি ভুল কেন যে তোর সাথে কথা বলতে যাই,,,,,এলিয়েন একটা।
ফারহাঃ কি বললি তুই? আমার সাথে কথা বলাই তোর ভুল হয়?😡😡😡😡
জিহাঃ আরে না,,,,, এটা তো আমার ভাগ্যে। বরং তুই আমার সাথে কথা বলিস এইটাই তোর ভুল
জিহাঃ এখন বল কি জন্য ডাকছিস?
ফারহাঃ ও হ্যা। বলছিলাম কি এই স্যারের কি মাথার তার একটা চিরা?🤔🤔🤔
জিহাঃ কই না তো কেন?🤔🤔
ফারহাঃ তা হলে এক দিনের মধ্যে এই অধ্যায়টা শেষ করতে পারবে কেউ? এইটা উনার মাথায় আসে নাই কেন?🙄🙄
জিহাঃ আসলেই কি ভাবে শেষ করব আল্লাহ জানে।
ফারহাঃ আমি তো বাবা পারবো না।
জিহাঃ তুই যে পড়া চোর এইটা আমাকে বলতে হবে না।
ফারহাঃ হুহ!! নিজে যেন বিদ্যাসাগর 😏😏
জিহাঃ আচ্ছা চল বাসায় যেতে হবে।দেরি হয়ে যাচ্ছে
ফারহাঃ হুম চল

চলবে....

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com