জীবন্ত প্রতিচ্ছবি । পর্ব - ০৪ এবং শেষ
আয়নায় নিজের জীবন্ত প্রতিচ্ছবি দেখে ভীষণ ভয় পেয়ে গেল অনুরাধা! অনুরাধার মুখে আতঙ্ক কিন্তু আয়নায় অনুরাধার প্রতিচ্ছবি অনুরাধার দিকে তাকিয়ে হাসছে!
অনুরাধা নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছেনা, এসব কি হচ্ছে অথবা এসব কীভাবে সম্ভব!
দু'হাতে দুচোখ কচলে আবার আয়নায় দৃষ্টি নিক্ষেপ করতেই অনুরাধা দেখলো আয়নায় অনুরাধার স্বাভাবিক প্রতিফলন! যাক বাবা বাঁচা গেল।
অনুরাধা ভাবলো– হয়তো রাত জাগার কারণে মস্তিষ্কের ভ্রম হয়েছিল।
লাইট অফ করে বিছানায় গিয়ে অভিকে জড়িয়ে ধরে শুয়ে পড়লো অনুরাধা।
সকাল সকাল ঘুম ভাঙতেই মজনু ভাইয়ের বউ পূর্নতা ভাবী উঠে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে চা-নাস্তা রেডি করে এসে, শিথানের পাশে বসে মজনু ভাইয়ের মাথায় আলতো করে হাত বুলোতে বুলোতে বললো,– জান, এই জান, ওঠো এবার!
মজনু ভাইয়ের মগজ ঘুমকে কিক মেরে নেটওয়ার্কের বাইরে ফেলে দিলো, অর্ধ ঘুমন্ত মজনু ভাই নিজের কানকে বিশ্বাস করতে পারছেনা, কে জান জান বলে এমন মিষ্টি সুরে ডাকছে, পূর্নতা নাকি ভিন্ন কোনো কোকিল কন্ঠের অধিকারিণী!
ঘাড় ঘুরিয়ে চোখ মেলে শিয়রে হাসিমুখে পূর্নতা ভাবীকে বসে থাকতে দেখে মজনু ভাই মনে মনে বললো, এবাবা সূর্য আজ কোনদিক দিয়ে উঠলো! নাকি পূর্নর ঘাড়ে ভদ্র সভ্য ভূত চেপেছে!
পূর্নতা ভাবী হাসিমুখে বললো,– কাল রাতে তুমি আমার সব ধারণা বদলে দিয়েছো মজনু, এতদিন আমি ভুল ভাবতাম, কাল রাতে তুমি বুঝিয়ে দিয়েছো তুমি কতটা রোমান্টিক।
পূর্নতা ভাবীর মুখের দিকে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে মজনু মনে মনে ভাবছে– কি এমন মহৎ কর্ম সাধন করলাম গতরাতে যে পূর্নর হঠাৎ করে এমন মিষ্টি আচরণ করা! যাই হোক কিছু না করেও এমন প্রাপ্তি সত্যিই আনন্দের।
ঠোঁটে হাসির রেখা ফুটিয়ে মজনু ভাই জিজ্ঞেস করলো,– কাল কি এমন করেছিলাম পূর্ণ।
ওমা! তোমার কিছু মনে নেই? রাতে ছাদের সেই রোমান্টিক সিন, আমি ভীষণ হ্যাপি মজনু– বলে পূর্ণ ভাবী মুচকি হাসলো।
মজনু এসব শুনে ভ্যাবাচেকা খেয়ে গেল, কাল রাতে ঝগড়া শেষে তো মজনু ঘর থেকে বেড়িয়ে গিয়েছিল, ছাদে তো যায়নি! তাহলে পূর্ন কার কথা বলছে! নিশ্চয়ই কিছু একটা গন্ডগোল আছে। মনে মনে পূর্ণ ভাবীকে সন্দেহ করে বসলো মজনু ভাই। চুপচাপ উঠে ওয়াশরুমে চলে গেল মজনু।
দুপুরের পরে অনুরাধাকে নিয়ে শপিংয়ে বের হলো অভি, দু'জন মিলে পার্কে ঘুরে ফুচকা বাদাম খেয়ে মার্কেট থেকে কেনাকাটা করে সন্ধ্যার পরে বাসায় ফিরলো। নিজে পছন্দ করে কিনে দেয়া নীল শাড়িটি অনুরাধাকে পরতে বললো অভি, আর নিজ হাতে অনুরাধার পায়ে নুপুর পরিয়ে দিলো।
অনুরাধা হাসিমুখে বললো,– কি এবার বউকে সুন্দর লাগছে তো!
অভি অনুরাধাকে টেনে বুকে এনে ঠোঁটে চুমু খেয়ে চোখে চোখ রেখে বললো,– তুমি আমার চোখে পৃথিবীর স্রেষ্ঠ সুন্দরী অনুরাধা, শাড়ি এবং নুপুর পরে তুমি সাজোনি, বরং শাড়ী ও নুপুর তোমার অঙ্গে জড়িয়ে নিজেরা সেজেছে!
বেশি বেশি বলছো অভি– বলে লজ্জায় লাল হয়ে অভির বুকে মুখ লুকালো অনুরাধা।
অনেক অনেক হাসিঠাট্টা, গল্পগুজব শেষে শোবার সময় হয়ে গেল, অনুরাধা বললো,– এবার কি শাড়ী খুলে ফেলবো, মন ভরেছে তোমার অভি?
নাহ! আজ রাতটা শাড়ি পরে বউ হয়ে ঘুমাও– মুচকি হেসে বললো অভি।
লাইট অফ করে শুয়ে পড়লো দুজন দুজনকে জড়িয়ে।
প্রায় ঘন্টাদুয়েক পরে অভি ঘুমিয়ে পড়েছে কেবল। অভি শোয়া অনুরাধার বাম পাশে, হঠাৎ অনুরাধার মনে হলো তার ডানপাশেও কেউ আছে! ডানপাশে দেখার জন্য ঘুরতেই প্রচন্ড ভয়ে অনুরাধার হৃদপিণ্ড ফেটে যাবার অবস্থা, অনুরাধা চিৎকার করবে তা-ও পারছে না, হাত পা নাড়াতে পারছে না অনুরাধা, প্রচন্ড ভয়ে হাত পা অবশ হয়ে গেছে যেন। আর হবেই বা না কেন! অনুরাধার ডানপাশে হুবহু অভির মতো দেখতে একজন শুয়ে আছে।
কিছুই করতে পারছেনা দেখে অনুরাধার চোখের জল টপটপ করে গাল বেয়ে পড়ছে।
তারপর অনুরাধা খেয়াল করলো ডানপাশের অভি অদৃশ্য হয়ে গেল। একটু পরেই আবার দেখলো হুবহু অনুরাধার মতো দেখতে একজন দৃশ্যমান হয়ে রুমের ভেতর হাঁটছে, আর তার পায়ের নুপুরের শব্দ শোনা যাচ্ছে।
সেই নুপুরের শব্দে অভির ঘুম ভেঙে গেল, অভি উঠে বসতেই সেই অনুরাধা অভির দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে রুম থেকে বেরিয়ে গেল, অভিও তার পিছু পিছু গেল। অভি যদি একবার ঘুরে পেছনে দেখতো তাহলে আসল অনুরাধাকে দেখতে পেত।
অনুরাধার প্রতিচ্ছবি সিড়ি বেয়ে ছাদে উঠে যাচ্ছে, অভি তার পিছু পিছু। অভি বারবার ডেকে বলছে– অনুরাধা দাড়াও, কি হলো তোমার! কিন্তু এই অনুরাধা দাড়াচ্ছে না।
এদিকে বিছানায় শোয়া আসল অনুরাধার শরীরে যেন শক্তি ফিরে এসেছে, উঠে বসলো অনুরাধা। হাঠাৎ খাটের নিচ থেকে কালো একটা ছায়ামূর্তি বেরিয়ে আসলো, অনুরাধা চিৎকার করবে এমন সময় ছায়ামূর্তিটা ধোঁয়ায় পরিনত হয়ে বিদ্যুৎ বেগে নিশ্বাসের সঙ্গে অনুরাধার শরীরে প্রবেশ করলো।
অনুরাধা একদম চুপচাপ, এই পৃথিবীর প্রতি যেন তার কোনো খেয়াল নেই!
নিজের হাতে পরনের শাড়ী খুলে ফেলে দিলো অনুরাধা, এখন গায়ে মাত্র ব্লাউজ আর পরনে ছায়া। সেই কালো ছায়ামূর্তি আবার দৃশ্যমান হয়ে হাওয়ায় ভেসে হাতের ইশারায় ডাকছে, আর অনুরাধাও তার ডাকে সাড়া দিয়ে চুপচাপ ঘর থেকে বেড়িয়ে বাগানের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে অনুরাধার প্রতিচ্ছবির পেছন পেছন ছাদে এসে অভি দেখলো অনুরাধা হঠাৎ করে উধাও হয়ে গেল। অভির আর বুঝতে বাকি নেই কিছু।
অভি দৌড়ে রুমে এসে দেখলো অনুরাধার শাড়ী ফ্লোরে পড়ে আছে কিন্তু অনুরাধা নেই! দৌড়ে বাইরে এসে দেখলো অনুরাধা প্রায় বাগানের কাছাকাছি চলে গেছে ঐ অবস্থায়। অভি অনুরাধা বলে পেছন থেকে ডাক দিতেই অনুরাধা থমকে দাঁড়ালো।
অনুরাধার সঙ্গের সেই কালো ছায়ামূর্তি ঝড়ের বেগে ছুটে এসে অভিকে একটা আছাড় মেরে বেহুশ করে ফেলে রেখে আবার অনুরাধার সামনে গিয়ে অনুরাধাকে বাগানের দিকে ডেকে নিয়ে যেতে লাগলো। অনুরাধা বাগানে প্রবেশ করবে এমন সময় দেখলো উপরের দিক থেকে জ্বলন্ত দুটি আগুনের গোলক প্রচন্ড গতিতে নিচের দিকে নেমে আসছে, অনুরাধা থমকে দাড়ালো।
আগুনের গোলকের একটা এসে কালো ছায়ামূর্তির ওপর পড়তেই ছায়ামূর্তি ছিটকে দূরে গিয়ে পড়লো। আরেকটা গোলক অনুরাধার সামনে পড়ে ভীষণ সুন্দরী এক মেয়েতে পরিনত হয়ে হাসিমুখে সামনে দাড়ালো অনুরাধার। মেয়ে হয়ে একটা মেয়ের রূপে বিমোহিত অনুরাধা, এত সুন্দর কেউ হতে পারে?! মেয়েটির রূপের আলোয় ঝলমল করছে চারপাশ।
এবার মেয়েটি মিষ্টি হেসে অনুরাধার হাত ছুয়ে বললো,– অনুরাধা, আমি আয়েশা।
যে গোলকটি কালো ছায়ামূর্তির ওপর পড়েছিল সেও একটা মেয়ে হয়ে আয়েশার পাশে এসে দাড়িয়ে হাসিমুখে বললো,– আমি আয়েশার বোন মারিয়া।
অনুরাধা আয়েশা ও মারিয়ার হাত ধরে বললো,– আমার সন্দেহ কি ঠিক তাহলে? তোমরা মানুষ নও!
আয়েশা ও মারিয়া দুজনেই মিষ্টি হেসে বললো,– হ্যাঁ, তোমার ধারণা সঠিক, আমরা পরী।
হঠাৎ সেই ভয়ংকর কালো ছায়ামূর্তি তার দলবল নিয়ে এসে ঘিরে ফেললো অনুরাধা আয়েশা ও মারিয়াকে। ভয়ে অনুরাধার গলা শুকিয়ে গেল। তাই দেখে আয়েশা বললো,– ভয় নেই অনুরাধা, এদের প্রতিহত করার ক্ষমতা আমাদের আছে। এরা হলো আমাদের পুরুষজাতি জ্বীন, এরা নষ্ট বলেই বিতাড়িত, তাই এরা মানুষের লোকালয়ে এসে মেয়েদের ক্ষতি করতে চায়।
কথা শেষেই একটা দমকা হাওয়া এসে আয়েশার চুল হাওয়ায় ওড়ালো, মারিয়া খপ করে কোমরে গুঁজে রাখা তরবারি বের করে এক কোপে আয়েশার কয়েকটা চুল কেটে ফেললো।
আয়েশার কাটা চুল হাওয়ায় ভেসে একেকটা জ্বলন্ত আগুনের দড়িতে পরিনত হয়ে সেই কালো ছায়ামূর্তিগুলো পেচিয়ে ফেলে ছায়ামূর্তি নিয়ে গায়েব হয়ে গেল।
চারপাশে একদম শুনশান নীরবতা, মারিয়া সামনের দিকে হাত বাড়াতেই অনুরাধার শাড়ীটা হাওয়ায় ভেসে মারিয়ার হাতে চলে আসলো।
শাড়ীটা অনুরাধার হাতে দিল মারিয়া, অনুরাধা শাড়ী পরে নিলো।
অভির হুশ ফিরতেই উঠে দৌড়ে এসে অনুরাধার পাশে দাড়িয়ে অবাক হয়ে আয়েশা ও মারিয়ার দিকে তাকিয়ে রইলো।
আয়েশা মুচকি হেসে বললো,– তোমরা আমাদের দেখে অবাক হচ্ছো তাই না? হবারই কথা। মনে আছে যেদিন রাতে তোমরা ছাদে বসেছিলে, মারিয়ার ঋতুশ্রাব হবার প্রথম রাতে। তোমরা দুজনেই খেয়াল করেছিলে মাথায় উপর দিয়ে দুটো জ্বলন্ত আগুনের গোলা উড়ে গিয়ে বাগানের কাছাকাছি গিয়ে নিভে যেতে। ঐ দুটো আমরা দুই বোন ছিলাম। তোমাদের মাথার উপর দিয়ে উড়ে যাবার সময় আমরাও তোমাদের দেখেছি এবং আরও দেখেছিলাম কয়েকটা দুষ্ট জ্বীন তোমাদের আশেপাশে। তাই আমরা সেদিন বাগানে নেমেছিলাম, আমরা আঁচ করতে পেরেছিলাম তোমার আসন্ন বিপদ।
মারিয়া বললো,– প্রথম রাত থেকে অভি যে অদ্ভুত সবকিছু টের পেয়েছিলে ওসব আমার, মজা করে ওসব করেছিলাম আমরা। আমরা তোমাদের ঘরেই আশ্রয় নিয়েছিলাম যাতে ঐ নষ্ট জ্বীনেরা তোমাদের ক্ষতি করতে না পারে। আজকে আমরা আমাদের রাজ্যে গিয়েছিলাম একটা কাজে, ফিরে দেখি নষ্ট জ্বীনেরা অনেক কিছু করে ফেলেছে, অনুরাধাকেও প্রায় বাগানে নিয়ে এসেছিল। বাগানের ভেতরে নিয়ে যেতে পারলেও অনুরাধাকে ওরা ধর্ষণ করে মেরে ফেলতো।
অভিদের বাগানে এত কথাবার্তার শব্দ শুনে মজনু ভাই ঘর থেকে বেরিয়ে এদিকেই আসতে লাগলো, পূর্ণ ভাবী তার পেছন পেছন।
কাছাকাছি এসে আলোর ঝলমলানি দেখে মজনু ভাই বললো,– লোডশেডিংয়ে অন্ধকারে ঘরে বসে মরি, আর তোমরা বাগানে হ্যাজাক লাইট জ্বালিয়ে ফুর্তি করো।
একদম কাছাকাছি এসে আয়েশা ও মারিয়াকে দেখে থমকে গেল মজনু ভাই, আলো তো মেয়ে দুটির শরীর থেকে বেরোচ্ছে!
মারিয়া মিষ্টি হেসে মজনুকে বললো,– মজুন ভাই, ভাবীকে সন্দেহ করার কিছু নেই! গতকাল আপনি যখন এখানে ছিলেন তখন আমি আপনার রূপ ধরে আপনাদের ছাদে গিয়ে পূর্ণ ভাবীর সাথে আপনার হয়ে রোমান্টিক পরিবেশ তৈরি করেছিলাম। দেখুন আপনার বউ সেই থেকে আপনার ওপর কত খুশী, কারণ সে জানে ওটা আপনিই। বউকে সুখী করতে হীরে-জহরতের প্রয়োজন হয়না মজনু ভাই, ছোট ছোট সারপ্রাইজ দিয়ে চমকে দেয়া, তার ইচ্ছে পূর্ণ করা, তাকে সময় দেয়া, তাকে বোঝানো যে আপনি কতটা ভালোবাসেন তাকে, এসবেই একটি মেয়ে সুখী, এর বেশি কিছু চায়না।
পূর্ণ ভাবীও এসে মজনু ভাইয়ের পাশে দাড়ালো।
আয়েশা ও মারিয়া দুজনেই দুজনের মাথার দুটি চুল ছিড়ে চুলদুটো একত্রে করতেই দুটি চুল এক হয়ে একটি আংটিতে পরিনত হলো। আংটিটা অনুরাধার আঙ্গুলে পড়িয়ে দিয়ে আয়েশা বললো,– যদি কখনও আমাদের দরকার হয়, এই আংটির দিকে এক ধ্যানে তাকিয়ে আমাদের স্মরণ করলেই আমরা বুঝতে পারবো, এবং চলে আসবো। এবার আর তোমাদের কোনো ভয় নেই তোমরা নিরাপদ। আমাদের যাবার সময় হয়ে এসেছে আমরা তবে যাই।
মজনু ভাই আমতা আমতা করে বললো,– ইয়ে মানে বলছিলামকি, তোমাদের দুই বোনের একজন আমার বাড়িতে থেকে যাও, তোমাদের রূপে যে পরিমাণ আলো তাতে আমার বিদ্যুৎ খরচা আর লাগতো না।
পূর্নতা ভাবী দুম করে মজনু ভাইয়ের পিঠে এক কিল বসিয়ে দিয়ে বললো,– ওদের সাথেও মজা করা হচ্ছে তাইনা!
তারপর সবাই অট্টহাসিতে ফেটে পড়লো। মারিয়া ও আয়েশা সবাইকে বিদায় জানিয়ে আগুনের গোলকে পরিনত হয়ে সা সা করে উড়ে চলে গেল।
মজনু পূর্নতা ভাবীকে নিয়ে বাড়ি চলে গেল।
অভি ও অনুরাধা আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে, আয়েশা ও মারিয়ার জ্বলন্ত আগুনের গোলক ধীরে ধীরে দৃষ্টিসীমার বাইরে চলে গেছে।
হৃদয়ের গভীর থেকে আয়েশা ও মারিয়ার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে অভি ও অনুরাধাও ঘরে ফিরলো।
<>সমাপ্ত<>
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com