আইসিটি স্যার যখন বর । পর্ব - ০৬
আস্তে আস্তে চোখ খুলে দেখি,,,,
রাহাত স্যারঃ এখানে কী হচ্ছে এইসব? এইটা তোমাদের পড়ালিখা করার জায়গা মারামারির জায়গা না বুজেছ? জাহিদ তুমি ছেলে হয়ে একটা মেয়ের গায়ে হাত তুলো কী ভাবে? লজ্জা করে না তোমার?
জাহিদ ভাইয়াঃ স্যার ও আমায়,,,,
রাহাত স্যারঃ চুপ একদম চুপ,,,,,একটাও কথা বলবা না,,, চুপচাপ যে যার ক্লাসরুমে চলে যাও।
জাহিদ ভাইয়াঃ স্যার,,,,,
স্যারঃ যাও আর শুনো নেক্সট টাইম যেন এমন কিছু না হয়,,,তাহলে কিন্তু আমার থেকে খারাপ কেউ হবে না,,মনে থাকে যেন।
জাহিদ ভাইয়াঃ হুম,,,,
জাহিদ ভাইয়া আমার দিকে রাগী চোখে তাকিয়ে চলে গেছেন,,, আমি ভয়ে চুপচাপ মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছি,,,
রাহাত স্যারঃ তোমাকেও বলিহারি,,, সব জায়গাতে পেছাল না করলে তোমার পেটের ভাত হজম হয় না তাই না?
ফারহাঃ নিশ্চুপ,,,,
রাহাত স্যারঃ এখন এমন ভাব করছো যেন ভাজা মাছটা উল্টে খেতে জানো না,,,যাও ক্লাসে যাও।
ফারহাঃভেংচি কেটে চলে আসলাম ,,
রাহাত স্যারঃ
তারপর আমি ক্লাসে চলে আসলাম,,জিহা আমার পিছন পিছন চলে আসলো,,,,
জিহাঃ ফারহা তোর কিন্তু জাহিদ ভাইয়াকে চর মারাটা উচিত হয় নাই,,,
ফারহাঃ ....তার মানে তুই কি বলতে চাচ্ছিস,,, শয়তানটা আমার সাথে লুচুগিরি করবে আর আমি কিছুই বলব না?
জিহাঃ তাও উনি এমন ভাবে তাকিয়ে ছিলো তোর দিকে আমার তো এখনো ভয় করতেছে না জানি আবার কি করে,,,,
ফারহাঃ এইবার যদি কিছু করে তাহলে ওই ফাজিলের মাথাটা কেটে হাতে ধরাই দিব,,,
জিহাঃ তবে যাই বলিস না কেন,,,রাহাত স্যার কিন্তু তোকে বাঁচাতে হিরোর মত এন্ট্রি নিয়েছে,,,আমি তো পুরাই ফিদা,,,
ফারহাঃ ওরে বজ্জাত মাইয়্যা,,, বাঁচালো আমায় আর ফিদা হলি তুই? আর শুন রাহাত স্যারের দিকে একদম নজর দিবি না,,,,বুজেছিস?
জিহাঃ কেন রে?
ফারহাঃ তোর এত জানতে হবে না,,,
জিহাঃ এই ফারহা বল না বল না প্লীজ প্লীজ,,
ফারহাঃ যা ভাগ এই খান থেকে
জিহাঃ হুহ ঢং
তারপর ক্লাস শুরু হয়ে গেলো,,, যথারীতি সময়ে রাহাত স্যার ক্লাসে এলেন,,, আজকে HTML নিয়ে আলোচনা করতেছেন,, কিন্তু আমার মাথায় আগা মাথা কিছুই ঢুকতেছে না,, তাই আমি ওই দিকে মাথা না দিয়ে বসে বসে খাতায় ছবি আঁকতেছি,,,
রাহাত স্যারঃ ফারহা,, আমি পড়াচ্ছি আর তুমি পড়ায় মনোযোগ না দিয়ে খতায় কি লিখতেছ?
ফারহাঃ আসলে স্যার আমি তো,,,
রাহাত স্যারঃ খাতা নিয়ে এদিকে আসো,,,,,
ফারহাঃ স্যার আসলে হয়েছে কি,,,,
রাহাত স্যারঃ তাড়াতাড়ি নিয়ে আসো,
খাতা নিয়ে স্যারের কাছে গেলাম,,,,
রাহাত স্যারঃ
ফারহাঃ
রাহাত স্যারঃ এইটা কি?
ফারহাঃ কেন স্যার দেখতে পাচ্ছে না,,ছবিটা ভালো না? অবশ্যই আপনি বলতে হবে না,,, আমি এমনিতেও জানি যে আমি অনেক ভালো ছবি আঁকি,,,,
রাহাত স্যারঃ এইটা ছবি? তাও আবার সুন্দর? এর থেকে তো রাক্ষসের চেহারা আরও একটু ভালো।
ফারহাঃ হুহ!!! রাক্ষসই তো,,,(মনে মনে হিহিহি স্যার না জেনে বলে দিলেন রাক্ষসের মত,,,, আপনি যদি জানতেন যে এইটা আপনার ছবি আঁকছি তাহলে কি মজাই না হতো )
রাহাত স্যারঃ মানে,,,,
ফারহাঃ কিছু না স্যার কিছু না,,,,
রাহাত স্যারঃ বাই দ্যা ওয়ে,,, তোমার এইই সব ফালতু আর্ট ক্লাসে করবা না,,,,,, যাও নিজের ছিটে যাও,,, আর মনোযোগ দিয়ে ম্যাথ গুলো বুজার চেষ্টা করো,,, বুঝেছ?
ফারহাঃ জি স্যার,,,,( শয়তান একটা,,,, কই একটু প্রশংসা করবে তা না,,,বলে কিনা ফালতু আর্ট)
চুপচাপ বসে পড়া মনযোগ দিলাম,,,, যদিও কিছু বুজতেছি না,,, তাতে কি? আমি তো মনযোগী। ক্লাস শেষ করে স্যার চলে গেলেন।
টিফিন আওয়ারে জিহা,,, জান্নাত,,,তন্নি ক্যান্টিনে যাওয়ার জন্য ডাকতেছে,,,আমি বললাম,,,
ফারহাঃ তোরা যা আমি ওয়াশরুম থেকে এসে তারপর আসতেছি,,
জিহাঃ একা একা যাবি নাকি?আমিও যাই তোর সাথে।
ফারহাঃ আরে নাহ লাগবে না তুই যা আমি এখুনি চলে আসবো,,
জিহাঃ আচ্ছা,,, তাড়াতাড়ি চলে আসিস কিন্তু।
ফারহাঃ হুম।
তারপর ওয়াশরুমে চলে গেলাম।
ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে ক্যান্টিনে যাচ্ছিলাম
হঠাৎ পেছন থেকে কে যেন আমার মুখ চেপে ধরলো,,,তারপর জোর করে টেনেটুনে স্টোর রুমে নিয়ে এসে মুখ থেকে হাতটা সরিয়ে নিল,,,,উফফ বাচলাম,আর কিছুক্ষণ হলে তো দম বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল,,, পিছনে ফিরে তাকিয়ে আমি পুরাই অবাক
চলবে....
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com