একজন প্রবাসী ছেলের জীবনে গল্প । পর্ব - ০৩
দেখতে দেখতে কেটে গেলো পনেরো দিন,, এই পনেরো দিনে আমার পরিবারের কেউ আমার খুজ খবর রাখে নাই,, শুধু মাএ ছোট বোন মোন্তাহা ছাড়া এক কথায় আমি বাড়িতে যে আমি আছি সবাই ভুলে গিয়েছে,, মোন্তাহা সব সময় আমার খবর রাখে,, আমি এই কয় দিন ঘয় থেকে বাহিয়ে যাই নাই,, বাহিরে গিয়ে কি যেখানে আমার কোনো মূল্য নেই,, সকাল বেলা,, ছোট বোন আমার রুমে আসে,, এসে বলে
— কেনো
মোন্তাহা : জানি নাহ্,, হয়তো তোমার সাথে কথা বলবে
— ও আচ্ছা তুই যা আস্তেছি
ছোট বোন চলে গেলো আমি ও বাহিয়ে আসলাম,, দেখি সবাই বসে আছে,, তখন বাবা বললো
আব্বু : নিলয় কি খবর তোর
— বাবার কথা শুনে অনেক টা অবাক হলাম,, কারণ এই কয় দিনে একবার ও দেখা করে নাই,, আর এখন জিজ্ঞেস করছে, কি খবর,, একটা মুচকি হাসি দিয়ে বললাম,, এইতো ভালো বাবা
আব্বু : আচ্ছা শুনো তোকে যেই জন্য ডাকা
— বুঝতে পারলাম প্রয়োজন পরছে তাই এতো দিন পর মনে পড়েছে,, জ্বী বলেন
আব্বু : তোর রিটার্ন টিকিট কবে,,
— কেনো বাবা
আব্বু : কেন মানে তোর জন্য কেনা কাটা করতে হবে নাহ্,, তাই জিজ্ঞেস করছি,, তোর রিটার্ন টিকিট কবে
— আসলে বাবা অনেক বছর পড়ে বাড়িতে আসলাম,, এই হলো কিছু দিন,, আরো কয়েক মাস পড়ে যাবো,, আর যদি এখানে একটা কিছু করতে পারি,, তাহলে আর যাবো নাহ্,, দেশের বাহিরে,,
আমার কথা শুনে,, আমার পরিবারের সবাই এমন ভাবে তাকালো যেনো তাদের উপর অনেক বড় একটা বোঝা এসে পড়েছে,, তখন মা বললো
আম্মু : নিলয় তুই এখানে কি করবি,, আর মাসে বা কতো টাকা ইনকাম করবি,,
— কেন মা ব্যাবসা করবো,,
আব্বু : বুঝলাম ব্যবসা করবি,, কিন্তু ব্যাবসা করতে হলে টাকা লাগবে এতো টাকা আছে তোর কাছে,,
— কেনো এতো বছরের টাকা গুলো কই,, আমি তো প্রতি মাসে টাকা পাঠিয়ে দিয়েছিলাম
আব্বু : এতো বছরের টাকা মানে,, সেই গুলো তো সংসারে পিছনে খরচ হয়ে গেছে,, তাহলে টাকা আসবে কই থেকে
— বাবা আমাদের সংসারে প্রতি মাসে,, ৭০ হাজার টাকা খরচ হয় সেই টা আমার জানা ছিলো নাহ,,
আব্বু : আমি বলেছি পুরো টাকা শুধু আমার খেয়ে ফেলেছি,, এই টাকা দিয়ে,, তোর ছোট ভাই ছোট বোন পড়া লেখা চালিয়েছে,, একটা ঘর উঠাতে অনেক টাকা খরচ হয়েছে,,
— ওওও
আব্বু : শুনো তুই যত তারাতাড়ি পারিস চলে যা তোর ছোট কাকা আমাদের,, কাছে তিন লক্ষ টাকা পাওনা
— কি সের তিন লক্ষ টাকা পাওনা,, আমাদের তো কোনো লেনাদেনা ছিলো নাহ,, তাহলে
আব্বু : আরে তোর ছোট ভাই কে একটা বাইক কিনে দিয়ছি,, তিন লক্ষ টাকা দিয়ে,, সেই টাকা আর কি
— কই বাবা আমাকে তো বলো নাই,,
আব্বু : এখানে তোকে বলার কি আছে,, ও তোর ছোট ভাই,, আর আমি ভেবে ছিলাম তুই এখন দেশে আসবি নাহ্,,
— ওওও
আব্বু : হুম আর শুনো তোর রিটার্ন টিকিট তারাতাড়ি কেটে ফেল,,
এই বলে সবাই চলে গেলো,, কি আজব আমার মা বাবা,, মানুষ তার ছেলে মেয়েকে কাছে রাখতে চায় আমার বাবা মা আমাকে দৃরে ঠেলে দিচ্ছে,, যদি বাড়িতে না আসতাম হয় তো বা এই গুলো কখনো জানা হতো নাহ্,, আর আমার পরিবার যে আমাকে শুরু টাকার জন্য মনে রেখেছে সেই ও টা জানা হতো নাহ্,, তবে ভালো ভাবে বুঝতে পেরেছিলাম আমার আর এই দেশে বেশি দিন থাকা হবে নাহ্,, কারণ সাবাই চায় আমি চলে যাই,, কেটে গেলো আরো এক মাস এক মাস পর বাবা আমার রুমে আসে,, বলে
আব্বু : কিরে নিলয় তোকে সেই কবে বললাম কখন যাবি আমাকে বলতে তোর কোনো খোঁজ খবর নাই
— বাবা আমি তো চার মাসের ছুটি নিয়ে আসছি,, ছুটি শেষ হলে চলে যাবো,,
আব্বু : আমি বলি কি,, চার মাস থাকতে হবে নাহ্,, তুই এখন চলে যা আবার না হয় তিন চার বছর পড়ে চলে আসবি,, দেখতে তো পতেছিস সংসারে অবস্থা,, তার পড়ে আবার তোর ভাই কে একটা চাকরি দিতে হবে,, অনেক টাকা লাগবে,, মোন্তাহা কে বিয়ে দিতে হবে,, সেখানে ও অনেক টাকা লাগবে,,
— আচ্ছা বাবা দেখি,,
বাবা চলে গেলো কি মা বাবা আমার আমি বাড়িতে চার মাস থাকলে তাদের সমস্যা,, কথা গুলো ভাবতে হাসি পায়,, মা তো আমাকে ভুলেই গিয়েছে,, ওহ একটা কথা,, আমার পরিবারের কেউ আমার সাথে ভালো কথা বলে নাহ্,, কথা বলা দৃরের কথা,, আমার সাথে কেউ বসে খাবার খায় না,, মোন্তাহা কে দিয়ে খাবার পাঠিয়ে দেয়,,, তার দুই দিন পর,, আম্মু বলে
চলবে...
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com