ঝড় বৃষ্টির রাত ছিলো।দমকা বাতাস।নির্জ্জলতার আভাস।
টিনের চালের টুপটাপ শব্দ।আর হঠাৎ মেঘের গর্জণে ভয় পেয়ে কেঁপে উঠে আমি ভেজা শরীরে সাদ থেকে নেমে আসছিলাম।পড়নের সাদা কামিজে শরীরটা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছিলো।
ঠিক ভাবে ওরনাটাও বুকে প্যাঁচাতে ভুলে গেছি।বাড়ির সকলেই যে এসময়ে ঘুম থাকে।তাই অতো খেয়াল করি নি।সাদে এসেছিলাম বৃস্টিতে ভিজতে।বৃস্টি হলেই যে আমার মন ছুটে আসে এই সাদে।সিঁড়ি থেকে যখন নামছিলাম হৃদের সাথে ধাক্কা।ধাক্কার তাল সামলাতে না পেরে হৃদকে আমি ধরে বসি।
আর চোখ মেলে তাকিয়ে দেখি ওর চোখদুটো একদম আমার শরীরের উপর।এমন ভাবে তাকিয়ে আছে যেন এখনই খেয়ে ফেলবে।আমি চলে আসতে নিলেই আমার হাতটা টেনে ধরে রাখে।আর আমি কিছু বলতে যাবো তখন আমার মুখটা চেপে ধরে আর বলে, একটা কথাও বলবি না।
আমাকে নিয়ে নিজের রুমে চলে আসে তারপর ভেতর থেকে দরজাটা দিয়ে খুব বাজে ভাবে আমাকে স্পর্শ করে।আমি কিছু বলতে গেলে তার ঠোঁট জোড়া আমার ঠোঁটে বসিয়ে দেয়। প্রায় বিশ মিনিট পর ঠোঁট জোড়া ছাড়ে।আর হাঁপাতে হাঁপাতে আমাকে বলে, আজকের রাতটা এখানে থেকে যা।
আমি উঠে দাড়ায় আর কিছু না বলেই চলে আসতে লাগি হৃদ আমার হাতটা আবার ধরে বসে।আমি চিৎকার দিতে যাবো ও আমায় টেনে বিছানায় ফেলে দেয় আর আমার মুখটা খুব শক্ত করে চেপে ধরে রাখে।তারপর আমার পরনের কামিজের পেছনের চেনটা ধরে একটানে খুলে ফেলে সামনে থেকে কামিজটা টেনে কোমড় পর্যন্ত নিয়ে আসে।এবার আমি লজ্জায় চিৎকারও করতে পারছি না।তবে ধাক্কাধাক্কি, চিমটি, নখের আচড়, কিল গুতা যেভাবেই পারছি দিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু আমি ব্যর্থ।
হৃদ আমার হাতদুটো শক্ত করে বিছানার সাথে চেপে ধরে রেখেছে।নিজের শরীরের সবটুকু ভার ছেড়ে দিয়েছে আমার উপর।সেই সাথে আমার গলায় আর বুকে আলতো করে ঠোঁটের কামড় দিয়ে যাচ্ছে।আমি কিছু বুঝে উঠতে পারছি না।চিৎকারও করতে পারছি না।হৃদ আজ এমন কেন করছে?
কিছুক্ষণ পর,,,
বিছানার চাদরটা বুকে জড়িয়ে বসে আমি কাঁদতে থাকি।
হৃদ আমার পাশে এলোমেলো হয়ে ঘুমিয়ে আছে।
এই কি সেই হৃদ যে ছোটবেলায় আমার সাথে খেলতো।আমার জন্য গাছে উঠে আম পেরে দিতো।
নাহ নাহ এই হৃদ সেই হৃদ না।সেই হৃদ তো বারো বছর আগেই মরে গেছে।
বিদেশে লেখাপড়া করতে গিয়ে যে হৃদ এতোটা দুশ্চরিত্র আর নারী দেহ ভোগী
হয়েছে তা আমার কল্পনার বাইরে ছিলো।
আমি আস্তে করে হৃদের বিছানা থেকে উঠে কামিজটা গায়ে জড়িয়ে নিজের রুমে আসি।আর দরজাটা লাগিয়ে কাঁদতে থাকি।কাঁদতে কাঁদতে বলি হৃদকে আমি কখনো ক্ষমা করবো না।
সেই দিনটার পরে হৃদকে আর কখনো আমি দেখতাম না।আর ভুলেও যদি কখনো দেখা হয়ে যেতো তখনো ঠিক একইভাবে জোড় করে নিজের লালোশা মিটিয়ে নিতো।
কয়েক মাস পর যখন আমি অসুস্থ হয়ে পরি।মা, খালাম্মা আমাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেল।ডাক্তার দেখে বললো আমি প্রেগনেন্ট।কথাটা শুনে মা অনেক বড়সড় একটা ধাক্কা খাই।
মা, খালাম্মা সবাই আমাকে জিজ্ঞাসা করেছে বাচ্চাটা কার?
আমি বলেছি বলতে পারবো না।আর এই কারণেই মা লজ্জায়,
ঘৃণায় বিষ খেয়ে আত্নহত্যা করে নেয়।মায়ের মৃত্যুর পর বাচ্চাটা নস্ট করে দেওয়ার হুমকি
দেখিয়ে হৃদ আমাকে উঠিয়ে নিয়ে গিয়ে গোপনে বিয়ে করে।
এমনকি রোজ মাঝরাতে এই বিয়ের দোহাই দিয়ে নিজের লালোশা মেটাতে আমার কাছে আসে।
মায়ের মৃত্যুর পর খালাম্মা আর আমাকে আগের মতোন ভালোবাসে না।
সে ভাবে আমি মায়ের মৃত্যুর জন্য দায়ী।
খালুর অনেক মিনতি করার পর খালাম্মা আমাকে এখানে থাকতে দিয়েছে তবে আগের
মতোন মেয়ে হয়ে নয়।এই বাড়ির কাজের লোক হয়ে।
তার কিছু শর্ত আছে, তাকে কখনো খালাম্মা বলে ডাকা যাবে না।
খালুকে বড় সাহেব বলে ডাকতে হবে আর হৃদকে হৃদ সাহেব বলে
ডাকতে হবে।ঠিক যেমন ভাবে বাড়ির অন্য কাজের মেয়েরা ডাকতো।
মায়ের মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে খালাম্মা বাড়ির সবকটা কাজের মেয়েকে ছাড়িয়ে দিয়েছে।
এখন বাড়ির সব কাজ শুধু আমাকেই করতে হয়।আর তাই করে চলেছি।
এবাড়িতে পরে আছি শুধু এই সন্তানটার জন্য।
বর্তমান,,,,,,,
আনমনা হয়ে মায়ের কথা ভাবছি।এই সন্তানটার কথা ভাবছি।
হৃদ সাহেব এসে আমার চোখের সামনে একটা কাচের গ্লাস ধরে ছেড়ে দেয়।
আর গ্লাসটা নিচে পরে ভেঙে গুরোগুরো হয়ে যায়।
গ্লাস ভাঙার শব্দে আমার ধ্যান ফেরে।
চেয়ে দেখি হৃদ সাহেব কাচের একটা টুকরো উঠিয়ে নিজের হাতের মুঠোয় বন্দী করে রেখেছে।
হাত থেকে ফোঁট ফোঁট রক্ত মেঝেতে ঝড়ে পরছে।
যেটা দেখে আমার একটুও মায়া হচ্ছে না।কারণ এই মানুষটাকে দেখলে আমার প্রচন্ড ঘৃণা হয়।
আমি ঝাড়ু এনে কাচের টুকরোগুলো উঠিয়ে ডাস্টবিনে ফেলি।এতে হৃদ সাহেব খুব রেগে যায়।
তার হাত থেকে রক্ত ঝরছে দেখেও আমি কোনো রেসপন্স না করাই সে হয়তো অপমান বোধ করেছে।
রেগে গিয়ে সে আমাকে ধাক্কা দিয়ে দেয়ালের সাথে চেপে ধরেছে আর তার
রক্তাক্ত হাতটা দিয়ে আমার মুখটা খুব জোড়ে চেপে ধরে আছে।
কিছুক্ষণ পর আমাকে ছেড়ে দিয়ে ধাক্কা মেরে বেসিনের উপরে মুখটা চেপে ধরে কল ছেড়ে দেয়।
আর কলের পানিতে আমার মুখটা ডুবিয়ে রাখে।
কিছু সময় পর মুখ টেনে নেয়।আমি নিঃশ্বাস ছাড়তেই মুখটা সেই পানির সাথে আবার ডুবিয়ে দেয়।
কিছুক্ষণ পর আমায় ছেড়ে দিলে আমি জোড়ে জোড়ে নিঃস্বাস নিতে থাকি।
গালটা চেপে ধরে সামনে তাকিয়ে বলতে শুনি, কি ভেবেছিলি তুই ফুল?
আমরা তোকে মাথায় করে রাখব? মা ঠিকই বলে তুই একটা নস্টা মেয়ে।
তোর জায়গা শুধু এই কিচেনেই হয়। যাহ গিয়ে কাজ কর।কথাটা বলে একটা ধাক্কা দিয়ে চলে যায়।
আর আমি উনার যাওয়ার পানে তাকিয়ে আছি।
ভাবছি একটা মানুষ এতোটা খারাপ হয় কিভাবে?
কলিং বেলের আওয়াজে গিয়ে দরজা খুললাম।
দেখি ইয়া বড় এক পেটি আম নিয়ে বড় সাহেব বাড়িতে এসেছে।
ভেতরে আসলে প্রতি বারের মতোন এবারও আমের পেটির সামনে বসে পরি।
একটা একটা করে পনেরটার মতোন আম খাওয়া হয়ে গেছে।
আটিগুলো যে পাশেই ছুড়ে ছুড়ে মেরেছি খাওয়ার সময় সেই খেয়াল নেই।
যখন খেয়াল পরলো আটিগুলোর দিকে তখন পেছনের থেকে কেউ এসে চুলের মুঠি ধরে টেনে উঠায়।
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com