Breaking News

পূর্নতায় তুমি । পর্ব - ০১



নিজের ক্রাশ কে যখন ভার্সিটির সবার সামনে

প্রোপজ করার উদ্দেশ্য এগিয়ে যাচ্ছি! তখনি চোখে পড়লো হৃদয় বিদারক একটি দৃশ্য!
অনুরাগকে জড়িয়ে ধরে আছে একটি মেয়ে!আর এই মেয়েটি আর কেউ নয়
আমারই প্রাণপ্রিয় বান্ধবী আশা!
এক মূহুর্তের মধ্যে থমকে গেলো আমার পা!
সাথে হার্টবিট ও!নিশ্বাস নিতে প্রচুর কষ্ট হচ্ছে!
সারা শরীর কাঁপতে লাগলো থরথর করে!
চোখের কোণা দিয়ে নোনাজল বয়ে চলেছে গন্তব্যহীন ভাবে!
কিছু সময় পর যখন হুশ আসলো তখন দৌড়ে ভার্সিটির পেছন গেট দিয়ে দৌড়ে বেরিয়ে পড়লাম!দুনিয়াটা ঘুরছে এমন মনে হচ্ছে আমার!তাও নিজেকে কিছুটা শক্ত করে রিকশা নিয়ে চললাম বাসার উদ্দেশ্য! পথিমধ্যে হাজার চিন্তা ভর করলো মাথায় সাথে বিশ্বাস ঘাতকতার নির্মম গল্প!
এবার পরিচয়টা দিয়ে নেই!আমি হলাম মিফতাহুল জান্নাত মিথি!
বাসার সবাই আদর করে মিফতা ডাকলে বন্ধু মহলে দুষ্টু মিথি নামেই পরিচিত!
এবার অর্নাস ফাস্ট ইয়ারে উঠেছি!পারিবারিক সদস্য মোট ৫ জন।বাবা,
মা,বড় ভাইয়া,বড় আপু এবং আমি।এই নিয়েই আমাদের মধ্যবিত্ত ফ্যামেলি!
বাবা একজন কলেজ শিক্ষক!মা গৃহীনি আর ভাইয়া এবার মেডিকেলের ফাইনাল ইয়ারের ছাত্র!
আর আপু অর্নাস থার্ড ইয়ারের মেধাবী ছাত্রী!

তো গল্পে ফেরা যাক! রিকশা থেকে নেমে ভাড়াটা দিয়ে দৌড়ে বাসায় ঢুকে রুমে দরজা আটকে
বিছানায় শুয়ে পড়লাম! চোখের পানি বাধ মানছে না! বার বার মনে হতে লাগলো কেন
ঠকালো আমায় কেন! তাও আবার আমারই বেস্ট ফ্রেন্ড যাকে আমি নিজের থেকেও বেশি বিশ্বাস করতাম!
আনুরাগ শুধু আমার ক্রাশ হয়তো তাকে একটু একটু ভালোবাসতেও শুরু করতাম!
কিন্তু সে কখনোই আশার চেয়ে বেশি ইনপর্টেন্ট না!
আশা তাকে ভালোবাসা এটা জানলে হয়তো আমি নিজেকে ধরে রাখতাম!
কখনোই আনুরাগের প্রতি মায়া বাড়াতাম না!
আশা আমার মনের কথা জানে!অথচ সে আমায় এটা কখনো বলেনি অনুরাগকে সে নিজেও পছন্দ করে!অথচ দিনের পর দিন সে আমাকে মিথ্যা বলে গেছে!

অন্যদিকে_ আনুরাগকে হঠাৎ কেউ জড়িয়ে ধরায় অবাক এর চরম শীর্ষে পৌঁছায় অনুরাগ!সাথে তার বন্ধুরাও!
অনুরাগ আশাকে ছাড়াতে চাইলে পারছেনা!আশা তাকে সর্বশক্তি দিয়ে জাপটে ধরে আছে!।
কি হয়েছে আশা এমন করছিস কেন!ছাড় আমায়!ভার্সিটির সবার সামনে কি শুরু করেছিস হ্যাঁ!লজ্জা করে না!ছাড় বলছি!
এত কিছু বলার পরেও আশা তাঁকে ছাড়ছে না! এবার অনুরাগের মাথায় রক্ত উঠে যায়!
আশাকে ছাড়িয়ে ঠাসসসস করে একটা থাপ্পর বসিয়ে দেয় আশার গালে!আশা মাথা তুলে অনুরাগের দিকে অবাক আর ছলছল দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে! আর ভাবছে এই কি সেই অনুরাগ যে আমায় পাগলের মতো ভালোবাসতো!

- তোর সমস্যা কি হ্যাঁ?হুটহাট এভাবে যখন তখন এভাবে আমায় জড়িয়ে ধরিস? অনুরাগ লাল টকেটকে চোখ নিয়ে
আশাকে জিজ্ঞেস করলো
- তুমি আমাকে মারলে?করুন চোখে অনুরাগকে বললো আশা
- হ্যাঁ মারলাম!তোর মতো বেয়াদপ কে না মেরে কি ধন্য ধন্য করবো?এটা ভেবেছিলি তুই? বলেই হন হন করে বাইক নিয়ে চলে গেলো!
-এদিকে আশা অবাক দৃষ্টিতে অনুরাগের যাওয়ার পথে তাকিয়ে আছে!আর ভাবছে এ সত্যিই অনুরাগ তো!
- আশা তুমি হঠাৎ করে এমন কাজ কেন করলে বলো তো?অনুরাগের বন্ধু নিহান বিরক্ত চোখে জিজ্ঞেস করলো৷ আশা কে!

আশা কিছু না বলে মন্থর গতিতে ভার্সিটি ত্যাগ করলো! আর এদিকে পুরো ভার্সিটির সবাই অবাক দৃষ্টিতে এই ঘটনাকে অবলোকন করলো!কি হলো তারা বুঝতে পারলো না!
_ মিফতা এই মিফতা কি হলো তোর এমন হুট করে অসময়ে ভার্সিটি থেকে এসে হুট করে কোনো কিছু না বলে দরজা বন্ধ বন্ধ করে বসে আছিস? চিল্লিয়ে বললে মিফতার মা মনি বেগম!
এদিকে মিফতা কান্না করতে করতে কখন ঘুমিয়ে গেছে সে নিজেও জানেনা! যার ফলে সে তার মায়ের কথা শুনতেও পারছেনা!
অন্যদিকে অনুরাগ একটি লেকের পাশে বসে! নিজের জিবন নিয়ে হিসাব নিকাশ করতে ব্যাস্ত!
মানুষ মনে করে টাকাই সব! আসলে কি তাই?
কখনোই না! টাকা মানুষকে বিলাসিতা দিতে পারে ভালোবাসা না! আর অনুরাগের কাছে টাকা,সম্পতি,নাম ডাক! সব থাকলেও হয়তো সে ভালোবাসার দিক দিয়ে
গরিব!এক কথায় ভালোবাসা বিহিন তার জিবনটা!

চলবে.....

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com