প্রথম ভালোবাসার অনুভূতি । পর্ব - ০৯
রুমে গিয়ে শাহীনকে না পেয়ে বারান্দায় যায়,,,শাহীন চেয়ারে বসে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে,, ইমু পাশে গিয়ে বসে,,
এভাবে বসে আছো কেনো,,চলো খাবে,,কাল তো অয়ন স্যারদের বাসায় যেতে হবে,,
খেতে ইচ্ছে করছে না,,,ভালো লাগছে না কিছু,,
আমার না সব কিছু স্বপ্নের মতো লাগছে,,,আমাদের ব্যবসা,বাবা,আর এখন হ্যাপী চলে গেলো,,,আমি আর মা একা হয়ে গেলাম,,,(কিছুটা থেমে)
হ্যাপীর স্বপ্নটা ও পূরণ করতে পারলাম না ইমু নিজেকে খুব অপরাধী মনে হচ্ছে, বড় ভাই হওয়ার কোনো জগ্যতাই নেই আমার,,আর ঐ দিকে মাকে দেখো,,কথা বলাই বন্ধ করে দিয়েছে,,,কজের কথা ছাড়া আর কোনে কথায় বলে না,,,আগে কতো কথা বলতো,,বাবা চলে যাওয়ার পর সব যেনো এলোমেলো হয়ে গেলো ইমু
তুমি চিন্তা করো না সব ঠিক হয়ে যাবে,,স্যার আমাকে কল দিছিলো,,বললো,হ্যাপীকে আমার সাথে ভর্তি করাবে,,,কবে ভর্তি আমি যেনো জানাই,আর মা,,আমি আর তুমি তো আছি,,মাকে আগের মতো করে তুলবো,,,এর জন্য তোমাকে সুস্থ থাকতে হবে,,,
ইমু তুমিও কী আমাকে ছেড়ে চলে যাবে,(অনেকটা ঠান্ডা গলায়)
পাগল না,,আমি কোথাও যাচ্ছি না আপনি তারিয়ে দিলে ও না
আমি ও তোমাকে ছাড়া থাকতে পারবো না ইমু বলেই ইমুকে জরিয়ে ধরছে,, একটা কথা রাখবে,,
বলো,,
আজ সারা রাতে তোমার কোলে মাথা রেখে ঘুমাতে দিবে,,অনেকদিন ঠিক মতো ঘুৃমাই না,,
আচ্ছা আসো,,তুমি শুয়ে পরো আমি তোমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছি,, শাহীন ও শুয়ে পড়লো,,
সকালে,,,
হ্যাপী ঘুম থেকে উঠে দেখে অয়ন ঘরে নেই,,
ওয়াসরুম থেকে ফ্রেস হয়ে এসে নামায আদায় করে নিলো,,
অয়ন নামায পড়ে এসে দেখে হ্যাপী নামায পড়ছে,,
নামায শেষে স্যার আপনি কখন এলেন
আমি তোমার কিসের স্যার হা
সরি স্যার না.. না আর হবে না,,
ওকে শুনো আমি একটু হসপিটালে যাচ্ছি তুমি নাস্তা করে নিও বাবার সাথে
এতো সকালে,,
হুম ইমারজেন্সি আছে,,দু ঘন্টার মধ্যেই চলে আসবো
অয়ন চলে যাওয়ার পর নিজের রুমটা ভালো করে দেখে আরো একধাপ অবাক হলো,,পুরো রুমে ওর ছবি টাকানো,,আর এই ছবি গুলো ক্লাস নাইন থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত অনেক ছবি,,,সব যেনো গুলিয়ে যাচ্ছে,অয়ন কী অচেনা মানুষ নাকী,,, মাথা কাজ করছে না,,অয়ন আসলে এই সব প্রশ্নের উত্তর জানতেই হবে,,আর কিছুই ভাবতপ পারছে না,,
এক কাপ চা নিয়ে বাবার রুমে গেলাম,,
আসতে পারি বাবা
আসো মা,,,বসো আমার সাথে তুমি আমার ছেলের সাথে রাগ করো না মা,,ও একটু রাগি,,কী করবো বলো ছোট বেলায় মা মরে গেছে আর আমিও কাজের জন্য ওকে বেশি টাইম দিতে পারি নি,,,কিন্তু ও তোমাকে খুব ভালবাসে
হ্যাপী কি বলবে বুঝতে পারছে না,,মাথা নেড়ে শুধু সায় দিলো,,
সকালে নাস্তা করে রুমে এসে আলমারি থেকে একটা কালো সারি নিয়ে রেডি হয়ে বসে আছে,,একটুপর ভাইয়া,আম্মু আর ইমু আসবে
অয়ন রুমে ঢুকতেই চোখ দুটো আটকে গেছে হ্যাপীকে দেখে,কালো সারসারিতে চুল গুলো খোলা,চোখে কাজল,ঠোঁট হালকা লিপস্টিক,, হালকা সাজে কাউকে এতো সুন্দর লাগতে পারে জানা ছিলো না,,অয়ন এর আগে ও হ্যাপীকে সারি পড়নে দেখেছে বাট আজ অন্যরকম লাগছে,,হ্যাপী খুব ফর্সা না স্যামবর্ণ কিন্তু চেহারাটা মায়াবী ঠোঁটের কোনে একটা তিল আছে সেই তিলটাই মনে সুন্দরর্যটা আরো বারিয়ে দিয়েছে,,খুব ইচ্ছে করছে ওর ঠোঁট দুটি ছুঁয়ে দিতে কিন্তু তা সম্ভব না,,
এভাবে তাকিয়ে আছেন কেনো,,(হাতে ইসারা করে)
না..না এমনি,,খুব সুন্দর লাগছে তোমাকে আজ হ্যাপী,,
হ্যাপী কিছু টা লজ্জা পেলো,, আচ্ছা আপনি ফ্রেস নিন আমি আপনাকে নাস্তা দিচ্ছি,,
ওকে,,,(অয়ন ভাবছে হ্যাপীর ব্যাবহার এতো শান্ত কেনো)
খাবারের পর,,
অয়ন খাটে বসে লেপটপে কাজ করছিলো,,হ্যাপী পাশে এসে বসেছে,,
কিছু বলবে হ্যাপী
আসলে আমি বাড়িতে কল দিতাম,,আমার ফোনটা তো আনা হয়নি,,
ও এই কথা এই নাও,,আর এটা তেমারই ফোন,,,এখানে আমার নাম্বার টা সেভ করা আছে,,,যখন প্রয়োজন হবে আমাকে কল দিতে পারবে,,,,,
আমার ফোন মানে
আমি আসার সময় কিনে আনলাম সিম ও নতুন,,যাও আগে বাসায় কল দিয়ে কথা বলো,,
ওকে(অনেকটা খুশি হয়ে)
দুপুরে সবাই এসেছে,,
কীরে কেমন আসিছ
ভালো,,তারপর সবার সাথে অনেক কথা হলো,,খাওয়ার পর,,,সবাই নিচে বসে আছে,,ইমু তুই আমার সাথে চল তোর সাথে কথা আছে,,
দু'জনে রুমে আসলো, ইমু আসার পর এই ফাস্ট রুমে আসলো,,এসে ইমু ও অবাক কী রে স্যার এর রুমে তোর এতো ছবি
শুধু ছবি আরো অনেক কথা আছে সব তোকে বলবো বলেই এখানে এনেছি,,তারপর কাল থেকে আজ পর্যন্ত যা যা হয়েছে সব ইমুকে বললাম
কী বলছিস তাহলে কী স্যার ই,....
আমিও তাই ভাবছি বাট সিউর না,,কিভাবে সিউর হবো,,আমি স্যার কে কোনো প্রশ্ন ও করতে পারছি না,,খুব ভয় করছে,,,তুই কোনে সাজেশন দে প্লিজ,,
আচ্ছা ভাবছি কী করা যায়,,,
দুজনেই অনেকক্ষণ ভাবলো
হঠাৎ
চলবে...
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com