দেওয়ালের ওপারে তুমি আমি। পর্ব - ০১
"ঠাস ঠাস'তোর সাহস কি ভাবে হয়'রকিকে মারার?
আমিঃও তোর দিকে তাকাইছে।
জান্নাতঃআমার দিকে তাকাইলে তোর সমস্যা কি?
আমিঃসমস্যা আছে।
জান্নাতঃকিসের সমস্যা?
জান্নাতঃকেন'তাকাইতে পাড়বেনা?
আমিঃবলতে পাড়বো না।
জান্নাতঃনেক্সট টাইম যেন তোকে আর রকির সাথে হাঁটতে না দেখি?
আমিঃওর মত বলদের সাথে আমি হাঁটি'আরে ওই আমার পিছনে পিছনে হাঁটে।
জান্নাত কথাটা বলেই চলে গেলো'আমি শহিদ মিনারের উপরে বসে ফোন টিপছিলাম'হুট করেই জান্নাত কোথা থেকে এসে আমাকে থাপ্পড় লাগিয়ে দিল'আমি টের পাইলাম না'
আপনারা যা ভাবছেন তাই'জান্নাতকে আমি পছন্দ করি'ও একটু রাগি টাইপের'কিন্তু আমার কাছে তা কিচ্ছু না'আমি মোহাম্মদ সুমন হোসেন'আমি আর জান্নাত একই স্কুলেই পড়ি'বাকি পরিচয় গল্পতেই জানতে পাড়বেন।এবার গল্পে যায়'রকির কারণে জান্নাত আমাকে থাপ্পড় মারলো'জান্নাত রকিকে সব সময় সাপোর্ট করে'
আমাকে থাপ্পড় মারার দৃশ্যটা আমার স্কুল ফ্রেন্ডারা সবাই দেখে ফেলছে'আমার ফ্রেন্ডরা আমার কাছে এসেই জিজ্ঞেস করলো।
রাকিবঃকিরে'সুমন তোকে জান্নাত থাপ্পড় দিলো কেন?
আমিঃআরে তা কিছু না।
আবিরঃবল কেন থাপ্পড় দিছে?
রাকিবঃতুই না জান্নাতকে ভালোবাসিস?
আমিঃহুম বাসি ত।
আবিরঃতাহলে'জান্নাত থাপ্পড় মারলো কেন?
আমিঃআরে কাল রকিরে আমি দুইটা চড় দিসিলাম।
আবিরঃকেন চড় মার ছিলি?
আমিঃও জান্নাতের দিকে তাকাইছে।
রাকিবঃসেটা বুঝলাম'কিন্তু জান্নাত তোকে মারলো কেন?
আমিঃরকির কারণে।ঐ শালারে আমি দেখেনিব।
আবিরঃযা করবি পরে করিস এখন ক্লাসে চল?
আমিঃতোরা যা আমি আসতেছি।
রাকিবঃতুই পাগল হয়ে গেছিস নাকি'চল?
আমি না করতে যাব তার আগে রাকিব আর আবির আমাকে টেনে উঠিয়ে নিল'
ক্লাসে গিয়ে' তৃতীয় বেঞ্চে বসলাম'রাকিব আর আবির আমার বাম পাশেই বসল'আমি ডান পাশেই বসলাম' কিছুক্ষণ পড় ম্যাডাম আসলো'
ক্লাস চলাকালীন রকি আমার তাকিয়ে আর ড্যাব ড্যাব করে হাসছে'তখন রকির হাসি দেখে আমার
মাথা আরো হট হয়ে গেলো'ইচ্ছে করছে এখনি ওরে গিলে খাইতে'জান্নাতের কারণ ওরে কিছু বলতে পাড়ছি না'তারপর ম্যাডাম বিষয় নিয়ে চলে গেলো'এসময়ে একটু সুযোগ পেলাম'আমি বললাম'
আমিঃজান্নাত তুই রকির কারণ আমার গায়ে হাত তুলেছিস না'দেখবি ওরে আমি জেন্ত মাটি চাপা দিব'কথাটা মনে রাখিস?
জান্নাতঃতুই কি করবি তা আমার জানা আছে'তুই রকির একটা চুলও ছিঁড়তে পাড়বি না।
আমিঃএখন বুঝবি না'যখন করবো তখন বুঝবি'দেখব আমি তুই রকির জন্য কি করতে পারিস?
জান্নাতঃআরে যা যা'তুই কিছুই করতে পারবি না।
আবিরঃসুমন থাম'স্যার আসতেছে?
আবির কথাটা বলতেই আমি থেকে গেলাম'
চুপচাপ আবার বেঞ্চে বসে গেলাম'স্যার এসেই বিষয় শুরু করতে লাগলো'
কিছুক্ষণ পর স্যার এদিক ওদিক করে বিষয় শেষ করলো'
স্কুল ছুটির পর'রকি আগেই বাড়ি চলে গেছে'
আমি জান্নাতের কাছে গিয়ে বললাম'
আমিঃতুই আমাকে মেসেঞ্জার থেকে ব্লক করলি কেনো?
জান্নাতঃআমার ইচ্ছা হইছে আমি ব্লক করছি।
আমিঃএখনি ব্লক খোল?
জান্নাতঃখোলব না।
আমিঃতাহলে নাম্বার থেকে ব্লক খোল?
জান্নাতঃকোন খান থেকেই খোলব না।
আমিঃকেন খুলবি না?
জান্নাতঃআমার ফোন তাই আমি খোলব না।
আমিঃতুই খোলতে হবে'তুই এই দিকে দে আমি খোলে দেয়?
জান্নাতঃফোন তোকে দিতে যাবো কেন?আমার ফোন আমি কারো হাতে দেয় না।
রাস্তা ছাড় বাড়ি যাব।
আমিঃআগে তুই আমাকে ব্লক লিস্ট থেকে উঠা?
জান্নাতঃএক কথা তোকে আমি কতবার বলবো।
রাস্তা ছাড়'
কথাটা বলেই জান্নাত আমাকে ধাক্কা দিয়ে পাশ কেটে চলে গেলো'
আবিরঃসুমন তুই'পাগল হচ্ছিস কেন'জান্নাত তো বলেই দিয়েছে তোকে ব্লক থেকে তুলবে না।
আমিঃআমি জানি ও ব্লক থেকে তুলবে।
আবিরঃএখন বাড়ি চল?বাকিটা পরে দেখা যাবে।
তারপর বাসায় চলে আসলাম'বাসায় এসে গোসল করে রুমে আসলাম'আমি দোতলায় থাকি'তাই আমি নিচ থেকে খাবার খাওয়ার ডাকছে'এইদিকে আমার খাওয়ার কোনো ফিলিংসই নাই'কিছু ভালো লাগছে'আম্মু বার বার ডাকার কারণ নিচে নেমে খাবার টেবিলে'বসলাম'বসতে না বসতেই ছোট বলল..
স্পৃহাঃকিরে ভাইয়ার তোর কি হইছে'মন খারাপ কেন?
আমিঃকিছু হয়নি।
স্পৃহাঃআমার কাছে লুকাইবি না।নিশ্চয়ই তুই স্কুলে কোনো মেয়ের সাথে ঝামেলা জড়িয়ে ছিস?
এমনিতেই মাথা গরম হয়ে আছে স্পৃহার কথাটি শুনে মাথা আরো গরম হয়ে গেলো'আমি স্পৃহাকে রাগি স্বরে বললাম..
আমিঃচুপচাপ ভাত খা?
আমার রাগি স্বরে কথা শুনে' স্পৃহা আর কিছু বলল না' কোন মত ভাত দু'টো খেয়ে উপরে চলে আসলাম'
ফ্যানেই সুইস টা অন করেই খাটের উপর ধপাস শুয়ে গেলাম'
"বিকেল বেলা'স্পৃহা এসে আমাকে জাগাতেই লাগলো'আমি হুশ নাই'এক পর্যায়ে'স্পৃহা'আমার কান ধরে টানতে লাগলো'আমি ব্যথা পেয়ে ফুপিয়ে উঠলাম'চোখ মেলে দেখি স্পৃহা'
শোহা থেকে বসলাম'আমি বললাম..
আমিঃকিরে কি হইছে কান টানতেছিস কেন?
চলবে....
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com