প্রেম মানে পাগলামি । পর্ব - ০৩
লাবন্যকে নগ্ন অবস্থায় বাথরুমে দেখে আয়ান শকট, আর আয়ানকে হঠাৎ এরকম উপস্থিত দেখে লাবন্য।
লাবন্য দিশাহারা হয়ে চিৎকার করবে এমন সময় আয়ান বিদ্যুৎ গতিতে এগিয়ে গিয়ে লাবন্যর মুখ চেপে ধরে বললো— চিৎকার করলে হয়তো আমার জেল হবে, কিন্তু তোমার চরিত্রে আজীবনের জন্য কলঙ্কের দাগ লেগে যাবে যদি লোকজন জানতে পারে।
আয়ান আবারও লাবন্যর দিকে তাকিয়ে বললো— এই সৌন্দর্য দেখে এক জনমে মন ভরবেনা মিস। এভাবে লক্ষ জনম দেখার সাধ জাগে মনে।
লাবন্যের নবযৌবনা শরীরের ভাজে ভাজে যেন প্রেমের জোয়ার বইছে। যুবকপ্রাণ এমন অবস্থায় নিজেকে সামলে রাখা দায় আয়ানের। লাবন্যর ভেজা চুলের ঘ্রাণে মাতাল হয়ে উঠেছে আয়ানের মন। লাবন্যর শারীরিক গঠন এভাবে খোলামেলা যেজন দেখবে, সে আর কোনদিন অন্য মেয়ের দিকে চোখ তুলে তাকাবেনা হয়তো। লাবন্য থ মেরে দাড়িয়ে আছে অপলক আয়ানের দিকে চেয়ে। পাশেই ঝোলানো একটা তোয়ালে টেনে হাতে নিয়ে লাবন্যর গায়ে জড়িয়ে দিলো আয়ান।
লাবন্য এখনও চুপচাপ। আয়ান ঘুরে লাবন্যকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে লাবন্যর গলায় কিস করে শরীরে আলতো করে হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বললো— তোমার কাছে পাগলামি মনে হলেও আমার কাছে তুমি আমার প্রথম প্রেম। তোমার প্রতি এই প্রেম একদিন দুদিন নয়। সারাজীবন যত্ন করে রাখার এবং একসাথে বাঁচার পরিকল্পনা আমার। দেখতে চাই তোমার যেদ ও অহঙ্কার জিতে যায় নাকি আমার প্রেম।
জীবনে প্রথম কোনো পুরুষের স্পর্শে ভালোলাগা এবং ভয়ের মিশ্র অনুভুতিতে কাঁপছে লাবন্যর শরীর। ইচ্ছে হচ্ছে এই স্পর্শ আরও আরও পেতে তাই চাইলেও সেই চাওয়ার টানে সরে যেতে পারছেনা লাবন্য।
আয়ান আবার ঘুরে পেছন থেকে লাবন্যর সামনে এসে লাবন্যকে বুকের সাথে জড়িয়ে ধরে চোখে চোখ রেখে বললো— প্রেমে একটু পাগলামি না থাকলে হয় বলো। প্রেম মানেই তো পাগলামি।
কথা শেষে আয়ানের ঠোঁট ডুবলো লাবন্যর ঠোঁটে। অন্যরকম এক ভালোলাগার বশে লাবন্যর হাতদুটো শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো আয়ানকে। লাবন্যর ইচ্ছে হচ্ছে এই অনুভূতি দীর্ঘস্থায়ী হোক, এই ভালোলাগা কভু না ফুরাক।
লাবন্য ইচ্ছে করে শরীরে জড়ানো তোয়ালে ফেলে দিলো।
আয়ান লাবন্যর ঠোঁটে গালে বুকে সবখানে মাতালের মতো আদরে আদরে ভরে দিতে লাগলো
ঠোঁটের উষ্ণ ছোঁয়ায়। লাবন্যর শরীর যেন আরও আরও ব্যাকুল হয়ে উঠেছে,
সব নিয়ম বাধা নিষেধ ভেঙে নিজেকে উজাড় করে দেবার নেশায় নিশ্বাস ভারী হয়ে উঠেছে।
শক্ত করে জড়িয়ে ধরে আয়ানকে বললো—
আয়ান আজ তোমার জন্য সবকিছু উন্মুক্ত, যা ইচ্ছে তোমার করতে পারো।
আয়ান লাবন্যকে ছেড়ে দিয়ে তোয়ালেটা তুলে লাবন্যর গায়ে জড়িয়ে দিয়ে বললো—
এপর্যন্ত, আপাতত এর বেশি কিছু নয়।
কথা শেষে লাবন্যকে পাজাকোলা করে কোলে তুলে রুমে নিয়ে আসলো আয়ান।
লাবন্যর শরীরে যেন নেশা চড়ে গেছে আয়ানের ছোয়ার, নিজেকে সামলে রাখা দায়। আয়ানকে টেনে খাটের ওপর ফেলে আয়ানের বুকের ওপর ঝুকে পড়ে আয়ানের ঠোঁটে পাগলের মতো চুমু খেতে খেতে অন্য কিছুর ইঙ্গিত দিচ্ছে লাবন্য।
এভাবে কিছুক্ষণ চলার পরে আয়ান যখন উঠে চলে যাবে ঠিক তখন লাবন্য এমন ভান করছে যেন আয়ান লাবন্যর শরীর পেতে জোড়াজুড়ি করছে।
আয়ান উঠে দাড়িয়ে বললো— তোমার মাথা পুরোপুরি গেছে নাকি লাবন্য! আমি জাস্ট তোমাকে এটাই বোঝাতে এসেছিলাম যে চাইলে আমি তোমার সর্বনাস করতে পারতাম, কিন্তু করিনি।
লাবণ্য রহস্যময় হাসি হেসে বললো—
আয়ান যে শরীর তুমি দেখেছো এবং স্পর্শ করেছো,
সে শরীর আর কোনো পুরুষ কোনদিন দেখবেনা এবং স্পর্শও করতে পারবে না।
তাই শুধু আজকের জন্যই তোমার কাছে নিজেকে পুরোপুরি উজাড় করে দিয়ে জীবনের প্রথম
এবং শেষবারের মতো সেই সাদ পেতে চেয়েছিলাম যেটা একজন নারী পুরুষের কাছ থেকে পায়।
কিন্তু তুমি তা হতে দিলেনা। যা-ই হোক এই লাবন্য হেরে যাবার মেয়ে নয়।
আমার কাছে আমার জেদ আমার অহঙ্কার সবকিছুর চেয়ে বড়ো।
সুতরাং তোমাকে হার মানানো আমার একমাত্র লক্ষ্য। শেষে আমি তোমার হাত থেকে নিজেকে
রক্ষা করার অভিনয় কেন করেছি জানো? কারণ রুমে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো আছে।
ঐ অংশটুকু দেখালেই জেলের ভাত তোমার জন্য রেডি হয়ে যাবে।
এভাবে একটা মেয়ের রুমে ঢুকে তার ইজ্জত নষ্ট করার কেস মারাত্মক,
আর তারচে বেশি মারাত্মক এই লাবন্য। পারলে নিজেকে বাঁচাও।
যোগ্যকে পেতে হলে যোগ্যতা লাগে, দেখি তোমার কি যোগ্যতা আছে।
আয়ান মুচকি হেসে বললো— লাবন্য তোমার কি মনে হয় আমি আমেরিকা
গিয়েছিলাম ঝালমুড়ি বিক্রি করে ডলার উপার্জন করতে? নাকি লেখাপড়া করতে?
খেলাটা জমবে ভালো। সমানে সমান না হলে খেলা জমেনা, দেখা যাক কি হয়।
কথা শেষে আয়ান চলে যাবার জন্য ঘুরে পা বাড়াতেই পেছন থেকে লাবন্য ডাক দিলো আয়ানকে।
আয়ান লাবন্যর দিকে ঘুরে দাঁড়াতেই...
চলবে...
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com