ব্যক্তিগত সুখ । পর্ব - ২
ইমানকে মিটিমিটি হাসতে দেখে, একটু চিন্তিত হ'য়ে পরলো ইস্পা।
কারন, সে এতো দিন অব্ধি একটুও হাসতে দেখেনি এই মানুষ টা কে........।
তাহলে কে তার হাসির কারণ হয়ে উঠেছে? এইসব কিছু নিয়ে বেশ
চিন্তিত ইস্পা, দুপুরে খাওয়ার টেবিলে ছেলের মনমেজাজ ভালো
দেখে আজমির সাহেব জিজ্ঞেস করলেন,
- "কি বলো বাবা?
তোমার এবং ইস্পার বিয়ের ব্যাপারে কথা বলে দেখি তোমার খালুজানের সাথে?"
ওনার এই কথা শুনে লজ্জায় লালে লাল হয়ে গেলো ইস্পা সে উঠে চলে
যেতে লাগলো খাবার টেবিলে থেকে আর তক্ষুনি ইমান বলে উঠলো,
- "আমি এখনো বিয়ের জন্য প্রস্তুত নই বাবা। আমার মুভ অন করতে
অনেক সময় লাগবে।" ইমানের এক কথায় বাসার পরিবেশ ঠাণ্ডা, ইস্পা
চোখে জল নিয়ে গেস্ট রুমে ফিরে গেলো খাবার টেবিল থেকে।"
এনা ছেলেকে উদ্দেশ্য করে বলে উঠলেন,
- "তুমি কথাটা এভাবে ইস্পার সামনে বসে না বললে পারতে বাবা।"
ইমান তাকে সাফসাফ জানিয়ে দিলো,
- "দেখ মা, আমি সারা জীবন নিজের বোনের মতো করে দেখে এসেছি ওকে।
কাজেই, হুট করেই আমার পক্ষে ইস্পাকে নিজের স্ত্রী হিসেবে মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। কারণ,
একতরফা হলেও আমি তাকে ভালোবেসেছি এবং নিজের স্ত্রী হিসেবে মেনে নিয়েছি তাকে।
তার স্থলে হুট করে নতুন কাওকে জায়গা দেওয়া আমার পক্ষে সম্ভব নয়।
আশা করি, তোমরা আর কখনো বিয়ের বিষয় টা ঘ্যান ঘ্যান করবে না আমার কানের কাছে।" ছেলের এক কথায় সকলে চুপ।
আর রওজা বসে বসে বেশ অবাক হয়ে তার ভাইয়ের কথা গুলো মনোযোগ দিয়ে শুনছে।
যদিও.....! বা সে কিছু করতে পারছেনা, তবে তার ভাইয়ের এই অবস্থা দেখে তার খুব কষ্ট হচ্ছে।
পরেরদিন,
মিম খুব সকাল সকাল তার ইউনিভার্সিটির জন্যে বেড়িয়ে পরলো।
সেখানে পৌঁছে তড়িঘড়ি করতে গিয়ে সে,
হঠাৎ করেই ধাক্কা খেলো একজন অপরিচিত লোকে
'র সাথে লোকটি রেগে গিয়ে তাকে ঝাড়ি মে'রে বলে উঠলো,
- "কি সমস্যা কি আপনার? হুমম? রাস্তাঘাটে দেখে- শুনে চলা -ফেরা করতে পারেননা?
আপনার চোখ দু'টো কোথায় থাকে?"
ভদ্রলোকের কণ্ঠস্বর কিছু টা পরিচিত মনে হতেই সে মুখ তুলে তার দিকে তাকালো।
দু'জনেই বেশ হক- চকিয়ে গেলো একে অপরকে দেখে...
মিম তার এরূপ চাহনিতে অস্বস্তিতে পরে গেলো,তবু ও সে কোমল গলায় বললো,
- "আমি দুঃখিত স্যার,খেয়াল করিনি।
তবে এটা ইচ্ছাকৃত ছিলো না। সিড়ি থেকে আমার পা টা স্লিপ করে গেছে।
ভদ্রলোকের ভ্রু টা কুঁচকে গেলো
সে ব্যাঙ্গ করে বললো,
- "রিয়ালি? আপনাদের মতো মেয়েদের আমার চেনা আছে।" মিমের এই ধরনের কথাবার্তা শুনেই মেজাজ টা খারাপ হয়ে গেলো। তবে সে সেসব গ্রাহ্য না করেই এগিয়ে গেলো নিজের ডিপার্টমেন্টের দিকে ভদ্রলোক সেখানে ঠায়ে দাঁড়িয়ে রইলো, সে মিমকে আজও সে দিনের মতো চলে যেতে দেখছে।
অতঃপর, সে কাওকে একটা ফোন করে বললো,
- "আমি রাজি এই প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের পিছনে ইনভেস্ট করতে তবে এখানে আমার কিছু টার্মস এণ্ড কন্ডিশনস আছে। সে গুলো আপনারা মানতে পারলে ভালো আর নয়তো আমার পয়সা ইনভেস্ট করার মতোন আরও অনেক জায়গা আছে।"
- তারপর, সে কথাবার্তা বলতে বলতে এগিয়ে গেলো সামনের দিকে। মিম দ্রুত পায়ে ডিপার্টমেন্টে এসে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললো। নিরা এগিয়ে এসে তাকে জড়িয়ে ধরে বললো,
- "দোস্ত, তই কি এখনো ভুলতে পারিসনি? সেই রাজ পুত্তুর কে?" মিম হাসতে হাসতে বলে উঠলো,
- "আমি তাকে কবেও ভুলে গেছি। তবুও, তবুও মা আর নয়ন মিলে রোজ নিয়ম করে এক বার না হয় দু' বার তার কথা মনে করাবে আমাকে।
আমি আমার মায়ের সন্তান হওয়া স্বত্তেও তার কাছে সব থেকে কুৎসিত দেখতে। আমাকে বড় লোক, বড় বাড়িতে বিয়ে দেওয়াই যেন তার জীবনের এক মাত্র লক্ষ।
এছাড়া মনে হ'য় না আমার মায়ের জীবনে নতুন করে কিছু করার মতোন আছে?" প্রিয় বান্ধবীর কথা গুলো শুনে দীর্ঘ নিশ্বাস ফেললো নিরা, সে বললো,
- "জানিস? আজ সেই লোক টাকে আমি দেখেছি আমাদের ইউনিভার্সিটিতে।" মিম একটু বিরক্ত হয়ে বললো,
- "আমরা অন্য কোনো টপিক নিয়ে আলোচনা করি, প্লিজ?"
তখন ওদের ডিপার্টমেন্টের পিয়ন এসে বললো,
- "আপা মণি এবং ভাইয়েরা আপনাদের প্রিন্সিপাল স্যার একটু অডিটোরিয়ামে ডেকে পাঠিয়েছে।
ওনার কথা মতোন সকলে অডিটোরিয়ামে চলে গেলো। সে -খানে প্রিন্সিপাল আলী
আজম খান বললেন আজ আমাদের জন্য একটি স্মরণীয় দিন কারণ
ঢাকার কৃতি সন্তান বিজনেস ম্যান 'আজিজ ইমান খান' আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে
নিজের পদধূলি দিয়েছে। যিনি কি না,
এখন পর্যন্ত বারোটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা উন্নয়নের জন্য কাজ করেছেন।
তিনি এবার এই বিশ্ব -বিদ্যালয়ের শিক্ষা উন্নয়নের জন্য সরাসরি সম্পৃক্ত হতে চলেছেন
আমাদের সাথে উনি গেস্ট লেকচারার হিসেবে কিছুদিনের জন্য আমাদের
বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা ডিপার্টমেন্টে জয়েন করবেন। শিক্ষার্থীদের খুব কাছ
থেকে'ই দেখার সুযোগ করে দেওয়া হবে তাকে। তিনি ভীষণ অমায়িক একজন মানুষ।
আমি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে কিছু বলার জন্য মঞ্চে ডেকে নিচ্ছি তাকে।
তখন সেই ভদ্রলোক সিড়ি বেয়ে মঞ্চে উঠতে লাগলেন, মিমের চোখ দু'টো যেন ততক্ষণে
ছানাবড়া হয়ে গেছে? আজ এতো-দিন পর তার এই লোকের নাম টা জানার
সুযোগ হলো যদিও বা তার কিছু যায় আসে না তাতে। ভদ্রলোক মঞ্চে উঠে নিজের
পরিচয় দিলেন এবং নিজের কাজ গুলো তুলে ধরলেন শিক্ষার্থীদের কাছে।
মিম অন্য- মনস্ক হয়ে বসে ছিল, তখন লিরা মিমকে খোঁচা মে'রে বললো,
- "বুঝলে আপু? আমাদের হবু দুলাভাইয়ের নজর এখনো তোমাতেই আটকে আছে।" মিম তার কথা শুনে হাসতে হাসতে বললো,
- "মোটেও না, উনি বিয়ে করেছেন। হয়তোবা প্রেম করছে? কাল আমি টি.এস.সির
মোড়ে এক সুন্দরী রমনীর সঙ্গে দেখেছি ওনাকে।"
- "হতে পারে তোর দেখার ভুল?
দেখে মনে হচ্ছে যেন উনি ওনার সকল বক্তৃতা শুধু মাএ তোকে উদ্দেশ্য করে দিচ্ছে?
না মানে, মঞ্চে ওঠার পর থেকেই ওনার তোর দিকে নজর। চোখ দু'টো বোধহয় এখনো অব্দি
তোমাতে'ই আটকে আছে?" মিম নিরার কথা শুনে বিরক্ত হয়ে গেলো, তবুও
সে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললো, ভদ্রলোক ওর ডিপার্টমেন্টের গেস্ট লেকচারার
হিসেবে জয়েন করছে না সেটা ভেবে। ওনার বক্তব্য শেষ হতে না হতে'ই মিম
এক দৌড়ে অডিটোরিয়াম থেকে বেড়িয়ে গেলো।
ভদ্রলোকের দৃষ্টি এড়ানোর পর থেকেই তার খুব আনন্দ হচ্ছে। তখন বেলা তিনটা,
বাসায় ফিরে আসতে না আসতে'ই হালিমা বললেন,
- "তোমার সাত কপালের ভাগ্য, যে ওমন একটা রাজপুত্রের পছন্দ হয়েছিল তোমাকে।
কিন্তু, তোমার ভালো কিছু সহ্য হয় না। নিজের ভালো সহ্য হ'য় না
তোমার,নিজের পায়ে কুড়াল মারতেই হলো তোমাকে
?" মিম বিরক্ত হয়ে গেলো, কিছুটা রেগে গিয়েই বলল
- " ওসব পুরোনো হয়ে গেছে মা৷ নতুন কিছু বলো?
এক কথা বারবার শুনতে কার ভালো লাগে?"
তিনি মেয়ের কথা শুনে কিছু টা রেগে গেলেন, বললেন,
- "তোমার বুঝি আমাকে কবরে তুলে শান্তি হচ্ছে?" মিম হাসতে হাসতে বলে উঠলো,
- "মানুষ মুখের কথায় ম'রে যায় না মা। নয়তো তুমি অনেক
আগেই তিন হাত মাটির নিচে চাপা পরে থাকতে।"
মেয়ের কথা শুনে প্রচণ্ড রেগে গেলেন হালিমা।
তিনি মেয়ের খাবার প্লেট টা ছুড়ে ফেলে দিয়ে বললেন,
- "আর কখনো মুখেমুখে তুমি তর্ক করবে আমার সাথে?"
মিম মেকি হেসে খাবার টেবিল ছেড়ে উঠে গেলো।
ফাইজান সাহেব রেগে গিয়ে হাত ধুয়ে উঠে গেলেন খাবার টেবিলে থেকে।
হালিমা তার কাছে এগিয়ে গেলেন, নিজেকে সামলে নিয়ে খুব শান্ত গলায় বললেন,
- "তুমি তো কিছুই খেলেনা? আজ বাড়িতে সব কিছু তোমার পছন্দ মতো রান্না করা হ'য়েছে।
ফাইজান সাহেব রাগী গলায় বললেন,
- "গিলতে হলে নিজে গেলো না কেউ মানা করেছে না কি তোমাকে?
আর দয়া করে আমার পছন্দ অপছন্দ নিয়ে ভাবতে এসো না।
তুমি আমার মেয়েকে খেতে দাওনি কি মনে হয়? হুমম? গন্ডারের চামড়া আমার?
এই দৃশ্য দেখার পর থেকে আমার গলা থেকে ভাত নামবে? শোনো, তুমি হয়তো ছিলে
তোমার বাবার বোঝা।
কিন্তু, আমার মেয়েরা তা না কাজেই এই কথা আমি যেন দ্বিতীয়বার না শুনি, তোমার ওই মুখে।
আর তুমি যে এতো বিয়ে বিয়ে করে পাগল হয়ে যাচ্ছ। আমার মেয়েদের আমি কারি
কারি টাকা খরচ করে লেখা- পড়া করিয়েছি কি করতে?
শোনো, মেয়েদের কামাই খাওয়ার আমার কোনো শখ নেই।
আমি শুধু চাই, কোনো কিছুর জন্য তাদের যেন অন্যের ভরসায় জীবন টা
কাটিয়ে দিতে না হয় ঠিক আছে?
চিরজীবন তুমি আমি ওদের পাশে থাকব না। অবশ্য,
তোমাকে বুঝিয়ে কি লাভ? তুমি সেই উল্টো টাই বুঝবে।
তুমি বোঝো বিয়ে টাই সব, তা আমি জানতে পারি?
বিয়ে-থা করে তুমি কি উন্নতি করেছ নিজের লাইফে।
রেষা ও কিছু'ই করতে পারেনি প্রতি মাসেই সে বাপে'
র বাড়িতে চলে আসে এ ছুতোয় ও ছুতোয় যৌতুকের টাকা নিতে।
জানি না এইসব কতদিন ধরে চলবে? যদিও......! বা এটাই সুখের সংজ্ঞা তোমার কাছে।
জানো আমি কত স্বপ্ন নিয়ে আমার বড় মেয়েকে লেখা পড়া করিয়ে ছিলাম?
ভেবেছিলাম, সেও বড় হয়ে ঠিক তার বাবার মতোই একজন নাম কড়া উকিল হবে।
কিন্তু, সে প্রেম করে লুকিয়ে বিয়ে-থা করে ফেললো।
তার বাবার স্বপ্ন এবং সম্মান উভয়কেই ছোটো করল এই সমাজের লোকের কাছে।
নয়নের অবস্থা ও দেখ
'ছি ঠিক তাই।
আর এর মধ্যে, যে ঠিকঠাক আছে তোমরা কিছুতেই ঠিক থাকতে দিচ্ছনা তাকে।
শোনো হয়তোবা তোমাদের জীবনে কোনো লক্ষ নেই তাই বলে তোমরা বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে পারোনা
আমার মেয়ে (মিম) এবং তার স্বপ্নের মাঝে।
আজ আমি মুখ বুঝে চুপচাপ সবটা সহ্য করে গেলাম,তবে দ্বিতীয়বার এমন
হলে আমি আর এক ইঞ্চি ও ছাড় দেবো না তোমাকে। তুমি আমার স্ত্রী সেটা
ভুলে যেতে আমার দু ' সেকেন্ড ও টাইম লাগবে না।"
ফাইজান সাহেবের কথা শোনা পর, হালিমা স্থির হয়ে একই জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে।
তখন লাবণি এসে বললো,
- "আপনি এতো টাও কঠোর না হলে পারতেন মা। মেয়ে টা সেই সকাল থেকে না খেয়ে আছে।
পুরবধূর কথা শুনে, চোখে জল চলে এলো হালিমার। লাবণি একটু থেমে বললো,
- "মা আপনি এর আগেও বেশ কয়েকবার এমন করেছেন বোনের সাথে।
সেসব আমরা কেউ কখনো বাবার কানে তুলিনি।
তিনি যদি জানতে পারতেন, তবে হয়তো এতোদিনে আমাদের সকলের
খাওয়া-পরা উঠে যেতো এ বাড়ি থেকে। আপনার ছেলেরাও কিছু জানে না।
জানলে জানি না তারা কি করতো?
আপনিতো জানেন তারা কতটা ভালোবাসে বোনকে"
- "আমি কি আমার মেয়ে টা কে একটুও ভালোবাসি না?"
লাবণি বুঝতে পারলো না এর উওরে সে ঠিক কি বলবে?
মিম ঘরে এসে কাঁদতে কাঁদতে ঘুমিয়ে পরলো, এদিকে,
ফাইজান সাহেবের প্রেশার দুঃশ্চিন্তায় বেড়ে যাচ্ছে।
তিনি কিছুক্ষণ পর, গিয়ে মেয়েকে ঘুম থেকে ডেকে তুললেন।
মিম তখন দরজা খুলে হাসিমুখে বললো,
- "বাবা আমি একটু ঘুরে আসি বাহির থেকে?"
তিনি খাবারের প্লেট টা এক সাইডে রেখে মেয়েকে বুকে জড়িয়ে ধরে তার কপালে চুমু খেয়ে বললেন,
- "তুমি এখনো কিছু'ই খাওনি মা? না খেয়ে থাকলে তোমার
আবারও বুকে ব্যাথা করবে, গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হবে।"
মিম তবুও জেদ করে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে এলো এবং ফাইজান সাহেবকে বলে এলো,
খাবার টা খেয়ে দুপুরের ঔষধ গুলো নিতে।
তিনি মেয়ের কথা শুনলেন, তা ঠিক।
কিন্তু, তার মেয়ের জন্য খুব কষ্ট হচ্ছে।
মিম বাসা থেকে বেড়িয়ে আনমনে রাস্তা থেকে হেঁটে যাচ্ছিলো হঠাৎ
কেউ এক জন তাকে টেনে নিয়ে গেলো রাস্তার পাশে।
মিম হঠাৎ করেই সেই ভদ্রলোকে দেখে চোটে গেলো। সে চিৎকার করে বলে উঠলো,
- "কি সমস্যা কি আপনার?
সব জায়গায় ফলো কেন করছেন আমাকে?
দেখুন, আমার যা বলার ছিলো ছয় মাস আগেই বলে দিয়ে
-ছি।
তাহলে নতুন করে আপনি কি শুনতে চান আমার মুখ থেকে?"
ইমান রেগে গিয়ে তাকে ঝাড়ি মে'রে বলে উঠলো,
- "আপনি কি মনে করেন নিজেকে?
মিস ওয়ার্ল্ড না কি মিস ইউনিভার্স যে লোকে তার কাজকর্ম
ছেড়ে আপনার পেছনে ঘুরঘুর ঘুরঘুর করতে থাকবে? আর শুনুন,
আমার না এতো সময় নেই, এতো টাও ইম্পরট্যান্স দেওয়ার টাইম নেই আপনাকে।
কাজেই, আত্মহ*ত্যা করতে হলে কোনো নিরিবিলি জায়গায় গিয়ে করুণ।
দয়া করে আমার গাড়ির নিচে পিষে ম*রার ইচ্ছে টা বাদদিন ঠিক আছে?"
মিম তার কথা শুনে যেন আকাশ থেকে পরলো, সে রেগে গিয়ে বলে উঠলো,
- "আরে আরে পাগল হয়েছেন আপনি? আমি মরতে যাবো কোন দুঃখে? বালাই ষাট,সত্তর,আশি।
আপনি এই মাথা ভর্তি গোবর নিয়ে বিয়ে করার স্বপ্ন দেখছি -লেন আমাকে?"
মিমের কথা শুনে চট করেই মাথা টা গরম হয়ে গেলো ইমানের। সে বললো,
- "বেয়াদব মেয়ে, দিবো না কি একটা কানের নিচে?"
ততক্ষণে মিম রাস্তা পার করে অপর পাশে চলে গেল ইমান তার কাণ্ডকারখানা দেখে,
প্রচণ্ড রেগে গেছে। তার সমস্ত শরীর রাগে গরম হয়ে এলো ইমান বলে উঠলো,
- "আমিও দেখবো, কে বাঁচায় আপনাকে? যদি...!
আমি আপনার অবস্থা চোখেরজলে নাকের জলে না করি।
তবে আমার নাম ও ইমান খান না। আমি তো যে কোনো মূল্যে কাঁদিয়ে ছাড়বো আপনাকে।
বড্ড বেশি পাকা না আপনি? সব পাকামো বেড়িয়ে যাবে।"
চলবে...
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com