দুঃস্বপ্ন
প্রতিদিন গভীর রাতেই সামিরা তার মায়ের রুম থেকে অসংখ্য অশ্লীল শব্দ শুনতে পায় যেমনটা স্বামী স্ত্রী মিলনের সময় হয়।
সামিরা এখন ইন্টার ফার্স্ট ইয়ারে পড়ে কাজেই এসব আওয়াজের মানে সে ভালই জানে।
কিন্তু তারতো বাবা বাড়িতে নেই, উনি শহরে থাকেন চাকরির সুবাদে।
তাহলে আম্মুকি পরকীয়াই লিপ্ত হয়ে গেলো?
প্রতিদিন রাতে কে আসে উনার রুমে?
তাহলে কে এই ব্যক্তি?
সামিরা এসব দেখে টেনশনে পড়ে যায়।
দিনদিন তার ডিপ্রেশন বাড়তে থাকে।
পড়াশুনার সুবাদে রেগুলার সে রাত জাগে
আর প্রায় প্রতিদিনই সে তার মায়ের রুম থেকে এমন আওয়াজ পায়।
পড়ার সুবাদে আজকেও রাত জাগছে সামিরা।
রাত বাড়ার সাথে সাথে তার চোখেও ঝাপসা লেগে আসছে তাই সে মনে মনে স্থির করে একটু ফ্রেস আপ হয়ে আসা যাক।
ওয়াসরুমে যেতে হলে তার মায়ের রুমের পাশ দিয়ে যেতে হয়।
সামিরা মায়ের রুমের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় আজো শুনতে পায় উহ! আহ! জোরে করো আর পারছিনা ইত্যাদি সাউন্ড।
সামিরা রাগে দরজায় দুই একটা কড়া নাড়তেই সাউন্ডটা থেমে যায়।
সামিরা এসে ঘুমের পিল খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে।
কি হচ্ছে এসব এই বাড়িতে ভেবেই পাচ্ছেনা সে।
কি করবে এখন সে?
মায়ের সম্পর্কে এসব কথা কাউকে বলাও যায়না।
তাই সামিরা বেশ বিপাকে পড়ে আছে।
তবে যে করেই হোক একটা পথ বের করতে হবে এই রহস্য উন্মোচনের।
নাহয় সে ও তিলে তিলে অশান্তিতে ক্ষয়ে যাবে।
সামিরা ভাবলো তার বাবাকে এসব বেপার বলে দেবে কিন্তু মেয়ে হয়ে বাবাকে কিভাবে এসব বলবে সে?
তাছাড়া বাবা এসব জানলে তার মা কে ছেড়েও দিতে পারে তাহলে এখন উপায়
পরের রাতেও সামিরা তার মায়ের রুমে এমন শব্দ সেইম শব্দ শুনতে পায়।
সামিরা বেপারটা তার বয়ফ্রেন্ডকে মেসেজ করে জানায়।
অতঃপর সামিরাকে তার বয়ফ্রেন্ড বলে দরজায় ফাক থাকলে কিংবা রুমে কোনো ফাক ফোকর থাকলে তাকিয়ে দেখো কেউ আছে কি না?
এমন শব্দ কেন করবে তোমার আম্মু?
অতঃপর সামিরা অনেক ভেবে চিনতে দরজার সামনে যায় তারপর আবার দরজায় নক করে একটু পর সেই শব্দটা শান্ত হয়ে যায়।
পরদিন সামিরা প্ল্যান করে আজ সে তার মায়ের রুমে ক্যামেরা লাগাবে।
তার প্ল্যান অনুযায়ী তার মাকে সে মার্কেটে পাঠায় কোনো কাজের কথা বলে তারপর সে তার বয়ফ্রেন্ডকে নিয়ে তার মায়ের রুমে একটা হিডেন ক্যামেরা লাগায়।
এরপর আবার রাত হয়।
সামিরা আজকেও আবার সেই আওয়াজগুলোই পেতে থাকে।
আওয়াজ পেয়ে সামিরা সাথে সাথে তার ল্যাপটপে ক্যামেরা চেক করা শুরু করে কিন্তু সেখানে কোনো মানুষ ধরা পড়েনা বরং তার মা একা একাই এমন সব মুভমেন্ট করছে যেন কেউ উনার উপর চড়ে মিলন করছে।
উনি উহঃ আহঃ আরো দাওঃ পারছিনা থামোঃ এমন টাইপের আওয়াজ করে।
সামিরা স্পষ্ট দেখলো তার মা একা একাই এসব অঙ্গভঙ্গি করছে কিন্তু উনার গায়ে কাপড়চোপড় ও ঠিক ছিল।
খানিক বাদে তার মা ঘেমে যায় অতঃপর ঘুমিয়ে পড়ে।
পরদিন সামিরা তার মাকে জিজ্ঞেস করে তিনি কোনো দুঃস্বপ্ন দেখে কি না?
সামিরার মক জানায় তিনি কোনো স্বপ্নই দেখেনা।
কিন্তু সামিরা কেন তার মাকে এসব জিজ্ঞেস করে জানতে চাইলে সামিরা বলে না এমনি তুমি রাতে ভয়ের গলাই চিৎকার করছিলে কাল তাই জিজ্ঞেস করলাম।
পরদিন সামিরা ঠিক করে সে আজ থেকে তার মায়ের সাথে ঘুমাবে যতদিন তার বাবা না আসে।
অতঃপর সামিরা তার মায়ের সাথেই ঘুমোতে যায়।
সামিরার মা তাকে উনার সাথে নিতে রাজি হয়না।
তবুও সে একা থাকতে ভয় পায় বলে মার সাথে থাকতে চায়।
সামিরার মা রাজি হয়।
সামিরা থাকার সময় ২ দিন সবকিছু স্বাভাবিক থাকে।
কিন্তু তৃতীয় দিন রাতে সামিরা স্বপ্ন দেখে তাকে একটা কালো ছায়া এসে বলছে কাল থেকে এই রুমে তুই আসবিনা আসলে তোকে ছাড়বোনা।
চলবে...
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com