Breaking News

গল্প: ত্যাগ । পর্ব- ১২

তখন আয়েশা মুচকি হেসে বললো,

- "তুমি এভাবে বলছ কেন মুগ্ধ? আমাদের সাথে কি আত্নীয়তা করতে ভয় পাচ্ছ?"
- "আরে নাহ...! তা হবে কোন? তবে মিম এখানে আমার কাছে মুখ্য। আমি দেখলাম, আমরা এসে থেকেই আপনি ওকে অপমান করার চেষ্টা করছেন। অসম্মান করার চেষ্টা করছেন।
এ সব করে কি পান বলুন তো? আসলে কি বলুন তো? অন্য কে ছোটো করে নিজে কখনো বড় হওয়া যায় না এটা আমার বাবা-মা প্রায়শই বলতো।
আর এখানে মিমে'র সুএে আপনাদের আমাদের পরিচয়, তাহলে সে কিছু না বললে আমরা কি করে আগাবো?"
- "তবুও, আমার মুখের কথা কি যথেষ্ট নয় মুগ্ধ?"
- "আজ-কাল মুখের কথায় কি আর হয় বলুন তো?
যদি হতো?
তবে আপনাদের মেয়ে অর্থাৎ আনিশা এত দিনে সে আমার ছেলের (ময়ূখ) বউ হতো বুঝলেন তো? কি বলুন তো?
মা হিসেবে নিজের সন্তান কে বেস্ট জিনিস টাই তার দেওয়ার ইচ্ছে ছিলো। কিন্তু, সেটা গ্রহণ করার মতো ইচ্ছে কখনোই আনিশার ছিলো না। থাকলে কি আর সে নিজের মা কে লুকিয়ে বিয়ে টা করতো?
যাগগে, সে সব কথা নতুন করে আমি আর কি বা বলবো? তবে আমার বান্ধবীর বুদ্ধি মোটেও কম না মিসেস আয়েশা।

নেহাৎ, ওর কপাল দোষে আপনাদের মতোন কিছু ন্যারো মাইন্ডের লোকজনের পাল্লায় ফেসে গেছে ও। আর রইলো তার পছন্দের 'হাবাগোবা' ছেলের কথা।
হাবাগোবা বলতে আনিশা তোমরা আমার ময়ূখ কে বোঝাচ্ছ...!
মিম চেয়ে ছিলো ময়ূখ এ বাড়ির জামাই হোক,
কিন্তু এর মধ্যে'ই তোমরা বাঁধিয়ে ফেললে মহা কান্ড। আজব...!
আমার ময়ূখকে আপনাদের মেয়ের জন্য পছন্দ হলো না। অথচ, অন্য আরেক মেয়েকে পারলে এখুনি তার কাঁধে তুলে দিচ্ছো?
যাগগে সেসব কথা, আমার ছেলে বাপের হোটেলে খায় না। এতদিনে নিজের এক টা শক্ত অবস্থান গড়ে তুলেছে ও।

আমি যদিও বা ময়ূখ এবং আনিশার বিয়ে টা না হওয়ার কিছু টা আপ-সেট ছিলাম। কিন্তু, পরক্ষণেই ভাবলাম,বিয়ে টা হয়ে যাওয়ার পর আপনাদের মেয়ে এমনতরো কেলেংকারী ঘটালে কোথায় গিয়ে আমরা মুখ লুকতাম, বলুন তো?
আল্লাহ তায়া'লা নিশ্চয়ই 'উওম' পরিকল্পনা কারি তবে মা হিসেবে নিজের সন্তানের কাছ থেকে মিম একটু হলে ও সম্মান ডিজার্ভ করতো।
সে তার কন্যাকে বেষ্ট জিনিস টাই দিতে চেয়ে ছিল। তবে সেটা গ্রহণ করার মতোন কোনো ক্যাপাসিটি ছিল না আপনাদের মেয়ের মধ্যে। আমি উল্টো বিয়ে টা হ'য়নি বলে সত্যি'ই খুব কষ্ট পাচ্ছিলাম আফসোস করছিলাম,
তবে মিম বলে ছিল এই বিয়ে টা না হওয়ায় সে খুব খুশি হয়েছে। শুধু শুধু ময়ূখের জীবন টা নষ্ট হয়ে যেতে। যে টা, সে মা হিসেবে মেনে নিতে পারতোনা মন থেকে। যাগগে, সে সব কথা। অনেক কিছুই বলে ফেললাম।

কিছু মনে করবেন না, ঠিক আছে?
আর মিসেস আয়েশা খান, কাওকে ছোটো করার মাঝে কোনো মাহাত্ম্য নেই বরং এইসব করে আপনি নিজেই ছোটো হচ্ছেন লোকের কাছে।" মুগ্ধোর কথা শুনে সকলে'ই বেশ চুপচাপ। মুগ্ধ একটু থেমে গেলো, সে আবারও বলতে শুরু করলো,
- "আমার বাচ্চাদের টাও এতো সাহস নেই, যে তারা তাদের মায়ের সাথে বেয়াদবের মতো আচরণ করবে এখানে এসে থেকেই দেখে যাচ্ছি,
মিসেস আয়েশার বিহেভিয়ার তিনি একচেটিয়া ভাবে আমার বন্ধবীকে ছোটো করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। এ টা হবে হয়তো আপনাদের কালচার, তবে আমরা না এমন কুশিক্ষা দিয়ে মানুষ করিনি আমাদের সন্তান কে ওরা জানে মা কি জিনিস?
এবং ঠিক কিভাবে যত্ন করে আগলে রাখতে হবে নিজের হবে মা কে।" ওর কথায় ভীষণ লজ্জা পেলো সকলে। সে আবারও বলতে লাগলো,
- "বেঁচে গেছি,

আমাদের আত্মীয়তা হয়নি আপনাদের মতো লোক এর সাথে। যে বাড়িতে বাচ্চারা নিজের মা কে সম্মান করে না, সেখানে তারা আমার স্ত্রী কে ঠিক কত টা সম্মান করতে সে তো বোঝাই যাচ্ছে আমার, আমার বান্ধবীর জন্য কষ্ট হয়, জানি না কেন আল্লাহ তায়ালা এমন একটা পরিবার ওকে জুটিয়ে দিয়েছে? ও এমন বাড়ির বউ হওয়া কখনো ডির্জাভ করে না মেয়ে টা হয়তো স্বপ্নে ও ভাবতে পারেনি বিয়ের নাম করে তার জীবন টা নষ্ট করে দেওয়া হচ্ছে।" মহসীন সাহেব কে মিটিমিটি হাসতে দেখে ইমান বলে উঠলো,
- "বাবা, তোমার এই সব শুনতে ভালো লাগছে?"
- "আমি আর কি করতে পারি বলো? লোকে তোমার মতো ঠুলি পরে থাকে না চোখে। ইনফ্যাক্ট, আমি এনা মায়ের সাথে দেখা ও করেছিলাম, দেখা করে ছিলাম ময়ূখ এবং মাহিন দাদু ভাইয়ের সাথে। তখন মুগ্ধ এ দেশে ছিলো না।

ও মেডিকেল কনফারেন্সের জন্য অস্ট্রেলিয়ায় ছিল আমার যতটুকু মনে আছে। যাগগে, বাদদেও সেসব কথা ডাইনিং টেবিল চলো ছোটো বউ মায়ের রান্না বোধহয় এতক্ষণে শেষ হয়ে গিয়েছে?"
মহসীন সাহেবের কথা শুনে নাহিয়ান ফিসফিস করে রাফসাম কে বললো,
- "বাড়ি বয়ে এসে আমাদের অপমান করছে। দাদু ভাইয়ের আবার তাদের মুখে তুলে ভাত ও খাওয়াতে ইচ্ছে করছে।" এনা ওদের কথা শুনে বলে মৃদু হেসে বলে উঠলো,
- "বাবা নাহিয়ান, তোমাকে দেখে মন হ'য় না তো বেয়াদব? তা তোমাদের বড় মা কি তোমাদের এই শিক্ষা দিয়েছে?" নেহা তখন হাসতে হাসতে বললো
- "আরে বাদদেও না আন্টি, টেবিলে চলো মা সবে মাএ সব রেডি করে রেখে ফ্রেশ হতে গিয়েছে।" নেহা
'র কথা শুনে ওরা সকলে টেবিলে চলে গেলো। মিম এসে নিজের হাতে খাবার বেড়ে দিতে লাগলো সকল এর প্লেটে প্লেটে।
হঠাৎ ময়ূখ চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়ালো, মিম তার মাথায় হাত বুলোতে বুলোতে জিজ্ঞেস করলো,
- "কি ব্যাপার বাবা? কিছু লাগবে?"
- "আরে না না, মিষ্টি মা। আমি তোমার জন্য কিছু গিফটস নিয়ে এসেছিলাম। যে গুলো ভুল করে ফেলে এসেছি গাড়িতে।"
- "এখন থাক বাবা, পরে এনো। খাবার ছেড়ে উঠতে নেই।"
- "আচ্ছা, ঠিক আছে।" অতঃপর,মিম ইমানের কাছে এগিয়ে গেলো তাকে কোমল গলায় জিজ্ঞেস করলো,
- "আর একটু দেই আপনাকে?" ইমান রাগ দেখিয়ে বললো,
- "না তার কোনো প্রয়োজন নেই। গিয়ে দেখ, তোমার প্রাণের বন্ধু কি লাগে?" মিম এগিয়ে গিয়ে মুগ্ধ কে জিজ্ঞেস করলো,

- "কি রে? তোকে আর একটু দেই?"
- "হুমম, চিকেন কারি টা বেস্ট হয়েছে। বরাবর তোর হাতের রান্না অসাধারণ।
আগে আমরা পিকনিক করলে রান্নার দায়িত্ব সব সময় থাকতো তোর কাঁধে। যদিওবা তখন সকলে মিলে অনেক মজা করতাম আমার কাছে তোর এবং আমার ছোটো বেলার অনেক ছবি আছে। যাগগে সে সব কথা, পাঁচ পাঁচ টা বাচ্চার মা তুই অথচ তোকে দেখতে এখনো কচি খুকির মতোন লাগে।
এখনো চাইলে, তোকে নতুন করে আবারও বিয়ে-থা দেওয়া যাবে। চাইলে আমাকে বলতে পারিস, আমার খোঁজে কিন্তু ভালো ভালো পাএ আছে।" মুগ্ধোর কথা শুনে চট করে রেগে গেলো ইমান সে খাওয়া ছেড়ে উঠে গেলো টেবিল থেকে। মিম তাকে একটি বারের জন্য সাধলোও না।
সে আপ্যায়ন করতে লাগলো, তার বাড়িতে নিমন্ত্রিত অতিথিদেরকে। খাওয়া-দাওয়া শেষ করে সকলে'ই আড্ডায় মেতে উঠলো,
ইমান দূর থেকে দেখতে লাগলো তাদের তিনজনকে। ওর মনে হতে লাগলো যেন মানুষ টা আর তার নেই এতো দূরত্ব কি করে সৃষ্টি হলো তাদের মাঝে? এ সব ভাবতে ভাবতে তার দৃষ্টি কিছুক্ষণের জন্য স্থির হ'য়ে গেলো। যখন সে দেখতে পেলো, মিম মুগ্ধ দু'জনেই মায়ান কে নিয়ে খেলছে। হঠাৎ করেই নেহা তাকে জিজ্ঞেস করলো,

- "কি ব্যাপার বাবা?"
- "কিছুনা, ওই আমার ঔষধ গুলো খুঁজে পাচ্ছি লাম না। তাই ডাকতে এসেছিলাম তোমার মাকে।" ও কিছু একটা আন্দাজ করে হাসতে হাসতে বললো,
- "কিন্তু মা যে এখন যেতে পারবেনা।"
- "কেন?"
- "দেখতে পাচ্ছনা, কত আনন্দ-ফুর্তি করছে সে মুগ্ধ আঙ্কেলে'র সাথে? তুমি বলো না, নাম বলো? আমি খুঁজে দিচ্ছি তোমার ঔষধ?"
- "না থাক, প্রয়োজন নেই।"
- "কি বলছ? তোমার শরীর খারাপ করবে। আমি গিয়ে খালামণি কে গিয়ে বলছি।" ইমান মুখ ফসকে বলে ফেললো,
- "তোমার খালামণি আর কি জানে ঔষধ সম্পর্কে?"
সে মিটিমিটি হেসে বললো,
- "এবার পথে এসো বাছাধন। তবুও, আমি গিয়ে বলছি খালামণিকে।" ও দৌড়ে তৎক্ষনাৎ নিচে চলে এলো, এসে শুনতে পেলো আয়েশা ওর কিছু বন্ধুদের সাথে আউটিং এ যাওয়ার প্ল্যান করছে। কিন্তু, রুমে ঢুকেই তার হাত থেকে ফোন টা কেড়ে নিলো নেহা সে কড়া গলায় আয়েশা কে বললো,
- "বাবার ঔষধ খুঁজে দেবে চলো, তার শরীর খারাপ লাগছে।"
- "তোদের মা কে গিয়ে বল?"
- "কেন?

সে কি এই বাড়ির সকল ঠেকা নিয়ে রেখেছে? তা তুমি এতো স্বামী স্বামী করো তা তোমার এ্যাকচুয়াল কি ভূমিকা আছে তার লাইফে?"
- "নেহা?"
- "চিৎকার করে লাভ নেই খালামণি, প্যারাসাইড হয়ে থেকো না সারা জীবন এভাবে। তুমি আসলে বাবার ওই প্রেমিকা হয়ে'ই রইলে বউ হতে পারলেনা চল্লিশ বছর বসে।"
ওর কথায়, খুব রেগে গেলো আয়েশা। অতঃপর, সে তার রুম থেকে বের করে দিলো নেহাকে রাত ন'টায়,
মুগ্ধ বউ বাচ্চাদের নিয়ে বাড়ি ফিরে গেলো। মায়ান কে ঘুম পারিয়ে মিম স্টাডি রুমে এসে দেখলো ইমান চোখ বন্ধ করে ইজি চেয়ারে বসে আছে। ও তার নাম করে অস্ফুটে ডেকে উঠলো।
ইমান ঘুমঘুম চোখে এদিক-সেদিক তাকিয়ে দেখলো,
মিম তার সামনেই দাঁড়িয়ে আছে ও হঠাৎ বসা থেকে উঠে দাঁড়ালো। মিম তাকে উদ্দেশ্য করে বলে উঠলো,
- "ঘরে শুতে চলুন, আজ অনেক ঠাণ্ডা পরছে।" সে

শান্ত চোখে তাকিয়ে রইলো, এগিয়ে এসে শক্ত করে বউয়ের দু'গাল চেপে ধরে জিজ্ঞেস করলো,
- "মায়ান ঘুমিয়েছে?"
- "হুমম, আপনি খাওয়া পর কোন ঔষধ খুঁজছিলেন
আমি তো একদম'ই জানতাম না আপনার খাওয়ার পরে কোনো ঔষধ আছে?"
- "যদি বলি তোমাকে খুঁজছিলাম?"
- "দেখুন, এইসব হেয়ালি একটু ও ভালো লাগছে না আমার কাছে।"
- "কেন? চলো শুতে চলো,
আমার ঘুমের জ্বালায় চোখ আপনা থেকেই বুঝে বুঝে আসছে।" মিম তার দিকে তাকিয়ে রইলো, সে বললো,
- "রাত দশটার পর আপনি কখনো থাকেননি আমার কাছে। সন্ধ্যা সাত টা থেকে রাত দশ টা পর্যন্ত সময় টুকু শুধুমাত্র আমার।
যদিওবা এই টুকু সময়ের মধ্যে আপনার আনুষাঙ্গিক আরো অনেক কাজকর্ম থাকে। তারপর আপনি সারা জীবন বড় আপার সাথে তার ঘরেই কাটিয়েছেন। কাজেই আমার মনে হয় না এই মুহুর্তে আপনার আমার ঘরে থাকা ঠিক হবে?"
- "কেন?"

- "তাহলে বড় আপা খুব কষ্ট পাবে।"
- "আর তোমার কষ্ট?"
- "এতো বছরে নিজেকে অভ্যস্ত করে নিয়েছি, সত্যি বলতে আপনার থাকায় না থাকায় এখন আমার তেমন কিছু আসে যায় না তাতে।
মানুষ আসলে অভ্যাসের দাস, একবার অভ্যাস করে নিতে পারলে আমার মনে হয় না আর কোনো ধরনের ঝামেলা পোহাতে হ'য় পরবর্তীতে। আর তা ছাড়া আমি অন্তত চাই না জেনে-বুঝে কারো কষ্টের কারণ হতে। বড় আপা, আমার মত অভ্যস্ত নন। তিনি কষ্ট পাবেন। জান গিয়ে শুয়ে পরুণ,ঘড়ির কাটা অলরেডি একটা পার করে ফেলেছে।" ইমান হঠাৎ মিমের হাত চেপে ধরলো, মিম বললো,
- "দয়া করে ছেলে মানুষী ছাড়ুন, আপনার বয়স দিন দিন কমছে না বাড়ছে।" ইমান ঠায় দাঁড়িয়ে রইলো
মিম দ্রুত পা ফেলে নিজের ঘরে চলে এলো মায়ানের কাছে। কিছুক্ষণ পর, ইমানে'র মুখের সামনে কেউ একজন কফি'র মগ তুলে ধরলো। সে খানিক টা চমকে গেলো নেহাকে দেখে। নেহা মিটিমিটি হেসে বললো,
- "নাও কফি টা খাও, তারপর দু'জনে মিলে 'মিশন মায়ের ঘর' প্ল্যান করবো এক সাথে বসে।"
- "মানে?"
- "মানে আমি সবটা দেখেছি আর শুনেও'ছি তোমার অবস্থা এখন শাঁখের ক*রাতের মতো হ'য়ে গেছে।
যেদিকে যাচ্ছ, সেদিকে'ই কেউ না কেউ কাটছে?"
- "এভাবে বলতে নেই মা।"

- "তো কিভাবে বলবো? মা কিনা দিয়েছে তোমাকে?
আর তুমি কখনো তার গুরুত্ব'ই বোঝোনি মানুষ টা হয়তো সেই কষ্ট থেকেই তোমাকে নিজের কাছ থেকে দূরে দূরে সরিয়ে রাখছে।"
- "তাই বলে এতোটা?"
- "দেখ বাবা, এই দূরত্ব ঘোচানোর উপায় তোমাকেই ভেবে-চিন্তে খুঁজে বের করতে হবে। রাগ করা যাবে না চিৎকার চেঁচামেচি করা যাবে না এই পুরো বিষয় টি ঠাণ্ডা মাথায় হ্যান্ডেল করতে হবে।
আর রইলো দূরত্বে কথা, তুমি মা কে কতশত আঘাত দিয়েছ তার কি কোনো ইয়ত্তা আছে? শোনো বাবা
মানুষ না এমনি এমনি বদলে যায় না৷ তার মনের লুকায়িত কষ্ট আর আঘাত গুলো ক্ষণে ক্ষণে দিনে দিনে পরিবর্তন হতে বাধ্য করে তাকে। তোমরা একটা মানুষকে উঠতে বসতে দিনে চব্বিশ ঘণ্টা অপমান করবে আর আশা করবে সে তোমাদের মাথায় তুলে নাচবে এটা একটু বেশি হয়ে যাচ্ছে না? অনেক বেশি হয়ে যাচ্ছে।" পুএবধূর কথায় এবার নড়েচড়ে বসলো ইমান, জিজ্ঞেস করলো,
- "এখন আমায় কি করতে হবে?"

পেতে চাও। তবে তোমাকে অসুস্থতার ভাণ করতে হবে। কারন,
এতে তুমি সারাক্ষণ'ই তার সান্নিধ্যে থাকতে পারবে প্লাস তার মনের মতো হয়ে চলার চেষ্টা করবে। বোঝা
'র চেষ্টা করবে মা কি চায়?
আবার কোথাও বেড়াতে গেলে দয়া করে খালামণি কে সাথে নিয়ে যেও না। তবে তোমার এতো পরিশ্রম পণ্ডশ্রম হ'য়ে যাবে।"
- "সে সব না হয় বুঝলাম, আমি যদি নাটক করতে গিয়ে ধরা পরে যাই তোমাদের মায়ের কাছে?" নেহা হাসতে হাসতে বললো,
- "বললেই পারতে, যে তোমার ইচ্ছে নেই। অহেতুক বাহানা দিয়ে কি হবে?
খালামণিকে দেখলাম ঘুমচ্ছে, এতদিন মা এ বাড়িতে
না থাকলে তোমার এই সাজানো গোছানো সংসার টা রসাতলে চলে যেতো কবে।"

চলবে....

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com