গল্প: ত্যাগ । পর্ব- ০৫
শরীর খারাপ লাগছে না তো আবার?"
- "আচ্ছা, চলো। আমি ঘর অব্ধি ছেড়ে আসছি তোমাকে।" আয়েশা নাহিয়ানের সঙ্গে নিজের শয়ন কক্ষ অব্ধি চলে এলো, বিছানায় শোয়ার পর থেকে'ই দু'চোখের পাতা এক করতে পারেনি সে.....! এভাবে
দেখতে দেখতে ভোররাত হয়ে এলো। ইমান মিমকে ঘুম পারিয়ে রেখে চলে এলো আয়েশার কাছে।
ও এসে আয়েশার বিছানায় বসলো, আয়েশা বললো,
- "তোমার এখন গোসল করে আসা উচিত।" ইমান ফুরফুরে মেজাজে ফ্রেশ হয়ে এসে তাকে উদ্দেশ্য করে জিজ্ঞেস করলো,
- "তোমার শরীর টা এখন কেমন লাগছে?" আয়েশা মন মরা হ'য়ে বললো,
- "ভালো, তা তোমার ছোটো গিন্নীর মেজাজ ঠাণ্ডা হ'য়েছে?"
- "আমাদের বিয়ের পঁচিশ বছর পরেও তার সৌন্দর্য অক্ষুন্ন, রূপের অহংকারে ম্যাডামের পা পরতে চায়না মাটিতে।
পাঁচ বাচ্চার মা দেখে বোঝা যায় না, এর জন্যে'ই এতো দেমাগ দেখিয়ে বেড়াচ্ছে আমাকে।" আয়েশা রেগে গিয়ে বলে উঠলো,
- "এগুলো নিশ্চয়ই আমার করা প্রশ্নের উওর না?"
- "ওর মন মেজাজ ভালো হয়েছে কি না? তা সে ঘুম থেকে উঠলেই বোঝা যাবে।"
সকাল সকাল, সকলেই এক সাথে নাস্তার টেবিলে। তবে ইমান নাস্তা মুখে দিয়েই বুঝতে পারলো মিম এখনো অব্ধি রেগে আছে।"
সে এদিক-সেদিক তাকালো, তবে হলে নজর পরতেই দেখলো,
মিম ছেলেকে কার্টুন দেখিয়ে মাছ বেছে ভাত মাখিয়ে খাইয়ে দিচ্ছে।
তবে চোখে-মুখে অসন্তুষ্টের ছাপ স্পষ্ট।
ভদ্রলোকের বুঝতে বাকি নেই বউ রাতের জন্য তার ওপরে চোটে আছে।
এদিকে, আয়েশা অফিসের জন্য তৈরি হ'য়ে নিচে চলে এলো। ইমান কে বললো,
- "আমাদের দু'দিনের জন্য আব্বার বাসায় যেতে হবে।
লাবণ্য নিউইয়র্ক থেকে ফিরে এসেছে, তোমার ছোটো শালিকা আর ভায়রাভাই
তোমাকে দেখতে চেয়েছে।" অনিচ্ছা সত্ত্বেও, ইমান যেতে রাজি হয়ে গেলো।
মিম মুখে প্রকাশ না করলেও ইমান বাড়িতে দু'দিন থাকবে না শুনে, সে বেশ খুশি'ই হয়েছে।
হাসপাতালের সকল পেসেন্ট দেখা শেষ করে একটা ক্রিটিকাল অপারেশন শেষে ইমান মণ্ডামিঠাই চললো শশুর বাড়িতে। সেখানে পৌঁছাতে না পৌঁছাতে'ই তার ভায়রাভাইয়েরা গল্প জুড়ে দিলো,সবাই মিম ও মায়ান কে দেখতে যাওয়ার জন্য দিনক্ষণ ঠিক করলো এক সাথে বসে। কিন্তু, এতো কিছুর পরেও ইমানের মন কিছুতে'ই শান্ত হলো না। সে মেয়ে কে ফোন করে বললো,
- "আনিশা, মা একটু তোমার ফোন টা নিয়ে মায়ের ঘরে যাও তো। তোমার মা, ভাইকে খুব দেখতে ইচ্ছে করছে।" আনিশা ও সঙ্গে সঙ্গে মায়ের ঘরে ফোন টা নিয়ে হাজির হ'য়ে গেলো৷
মিম তার কাছে জিজ্ঞেস করলো,
- "কি ব্যাপার? হঠাৎ এখানে? কিছু লাগবে?" তখন
আনিশা বুদ্ধি খাটিয়ে বললো,
- "না আসলে বাবা মায়ানকে খুব মিস করছে, তাই ওকে একটু ভিডিও কলে দেখতে চাইছে।" মিম বলল
- "দেখতে চাইছে সে তো ভালো কথা, দেখুক। তুমি
দয়া করে ফোনটা একটু সরাও আমার মুখের সামনে থেকে।" আনিশা তখন দুষ্টু হেসে বললো,
- "এমন ও হতে পারে, যে বাবার ভাইয়ের পাশাপাশি তোমাকেও দেখতে ইচ্ছে করছে।" মিম মেয়ের হাত থেকে ফোন টা নিয়ে মোবাইল স্ট্যান্ডের ওপরে রেখে বললো,
- "এবার ছেলেকে ভালো ভাবে দেখা যাচ্ছে?" ইমানে -র সকল ভায়রাভাইরা তার চেহারা দেখে হাসতে শুরু করলো। নেহার বাবা খায়রুল ইসলাম সাহেব হাসতে হাসতে বললেন,
- "ছোটো ভাবির কাণ্ডকারখানা আমার ভীষণ ভালো লাগে, উনি ভীষণ চাইল্ডিশ। হয়তো কোনো কারণে কষ্ট পেয়ে আপনার ওপরে মেজাজ দেখাচ্ছে। অবশ্য
মেজাজ দেখানো স্বাভাবিক,
আপনি সময় দিতে চান না তাকে। বিবাহ বার্ষিকী'র দিনেও আপনি আয়েশা কে নিয়ে পরে ছিলেন। রাগ হবে না তার? রাগ হওয়া টা জায়েজ আছে। নিজের স্ত্রী হিসেবে না হোক, সন্তানের মা হিসেবেও আপনি তার প্রাপ্য সম্মান টুকু কখনো দেননি তাকে।" ইমান মাথা নিচু করে রাখলো, আয়েশা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে স্বামীকে অপমানিত হতে দেখছে,সে মুখ ফুটে স্বামীর পক্ষ নিয়ে কোনো প্রতিবাদ করতে পারলোনা। কারণ
তার বাবা রাশিক সাহেব ও হলে বসে আছে। ইমান উঠে গিয়ে মিমকে বেশ কয়েক বার ফোন করলো তবে, কল রিসিভ করেনি সে।
কিছুক্ষণ পর, সে নিজেই কল ব্যাক করলো। ইমান জিজ্ঞেস করলো,
- "কিছু খেয়েছ তুমি? মায়ান খেয়েছে?" সে 'হুমম' বলে কল টা কেটে দিলো। ইমান বারান্দায় রেলিং ধরে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে। রাতে, খাওয়া দাওয়া শেষ করে ইমান এসে বিছানায় গা এলিয়ে দিলো,
আয়েশা এগিয়ে মাথা রাখলো তার বুক। সে ঘনিষ্ঠ হতে লাগলো। ইমান তাকে বাঁধা দিয়ে বলে উঠলো,
- "এসব করা ঠিক না, তুমি আবারও অসুস্থ হ'য়ে পরবে।" আয়েশা কষ্ট পেয়ে অন্য দিকে মুখ ঘুরিয়ে শুলো, ইমান তার কপালে চুমু খেয়ে বললো,
- "কষ্ট পেয়ো না, কথা গুলো তোমার ভালোর জন্য'ই বলছি তোমাকে।"
আয়েশ তার কথায় মেকি হাসলো,
সে মনেমনে বললো,
- "সেদিন কতগুলো বছর পর, তুমি খুব কাছে এসে ছিলে আমার, ভালোবেসে ছিলে আমাকে।
আমার সুখ কেন দীর্ঘ স্থায়ী হ'য় না?
আমি না সত্যি'ই খুব হিংসে করি ছোটো কে ছোটোর
মতোন আমি কেন হতে পারলাম না? আগে বাচ্চা নিলে আর কখনো সতীনের সংসার করতে হতো না আমাদের কাওকে।" রাত গড়িয়ে সকাল হয়ে গেলো।
মিম রান্নাঘরে চলে গেলো মহসীন সাহেবের জন্য চা
করতে। তখন অসাবধানতা বশত তার হাতে গরম চা পরে গেলো সুহানি তা দেখে, চিৎকার চেঁচামেচি করে
জড়ো করলো বাড়ির সবাই কে। ঘুম ঘুম চোখে এক হ্রাস বিরক্তি নিয়ে সকলেই হল ঘরে চলে এলো। মিম
ফোন করে ডেকে পাঠালো তার এক এফ.সি.পি.এস
ডক্টর বন্ধু কে.....!
বেশ কিছুক্ষণ পর, আবিন এই এক্সিডেন্টের ব্যাপারে আয়েশা কে ফোন করে জানালো, সে বললো,
- "বড় মা, বাবা কেও জানিয়ে দিয়ো।
আমি তাকে ফোনে পাইনি। মেবি, সে তার ফোন টা সাইলেন্ট করে রেখেছে?" আয়েশা "জানাবো" বলে কল টা কেটে দিলো। মহসীন সাহেব মিমের মাথায় হাত বুলোতে বুলোতে জিজ্ঞেস করলেন,
- "মা তোমার হাতে কি অনেক বেশি জ্বালা-পোড়া করছে?" সে মেকি হেসে বললো,
- "তেমন না বাবা, বেশি পুড়ে যায়নি ইট'স ওকে।"
- "তুমি একটু দেখেশুনে কাজ করবে না ছোটো বউ মা? তুমি এখন বিছানায় পরলে সংসার কে সামলাবে
- "কেন মা? আমার ছেলের বাউরা আর তাছাড়া সব কিছুর মুশকিল আসান আপনার সোনা বউ মা আছে
তাহলে আবার আমাকে কি প্রয়োজন?
আপনারা অনেক আগে থেকে'ই বাতিলের খাতায় ফেলে রেখেছেন আমাকে।" তিনি তখন মিমকে আর ও কিছু বলতে চাইলেন। তবে মহসীন সাহেব উল্টো ঝাড়ি মে'রে বলে উঠলেন,
- "এখন থেকে এই বাড়িতে যার কাজ সে'ই করবে।
আজ থেকে তোমরা ছোটো বউ মায়ের মুখাপেক্ষী হওয়া বন্ধ করে দাও, যার কাজ নিজে করে খাও। জানি না এই মেয়ে টা যখন থাকবে না, তখন তোমরা কি করে খাবে?" মিম হাসতে হাসতে বললো,
- "বাদদিন না বাবা সেসব কথা, আমার বন্ধু বেচারা নিজের কাজ ফেলে এখানে এসে বসে আছে আপনি একটু সময় দিন তাকে।"
পরেরদিন,বিকেলে ইমান শশুর বাড়ির সকল আত্নীয় স্বজনদের নিয়ে বাড়িতে ফিরে এলো। হলে মিম কে দেখতে না পেয়ে স্বপ্না কে জিজ্ঞেস করলো,
- "তোমার মা কোথায়? মায়ান কোথায়? দেখ বড় মায়ের বাপের বাড়ি থেকে কত মানুষ তাদের দু'জন কে দেখতে এসেছে।" মহসীন সাহেব সিঁড়ি বেয়ে নামতে নামতে বললেন,
- "সে কি? তুমি কিছু জানো না? ছোটো মায়ের হাত পুড়ে গেছে। কাল আবিন আমার সামনে ফোন করে বড় বউ মা সবটা জানালো। অথচ সে কিছু'ই বলেনি তোমাকে? না কি তুমি বলতে ভুলে গিয়ে ছিলে বড় বউ মা? নিজের বেলায় দেখছি,তোমার ষোলো আনা সব মনে থাকে।
সে দিন ঔষধ খুঁজে না পেয়ে, মাইগ্রেনের ব্যাথা নিয়ে কতই না কাণ্ড করলে। দু'জন কে এক সাথে সময় কাটাতে দিলে না, তবে কি তুমি নাটক করে ছিলে সে দিন কে?"
আয়েশা মাথা নিচু করে রাখলো, ইমান অদ্ভুত চোখে তার দিকে তাকিয়ে আছে। সে আর দাঁড়াতে পারলো হন্তদন্ত হয়ে ঘরে ছুটে এসে দেখলো, অন্য কেউ মুখে তুলে খাবার খাইয়ে দিচ্ছে তার বউকে। একজন ভদ্র মহিলা তার মাথায় হাত বুলোতে বুলোতে জিজ্ঞেস করলো,
- "তোর কষ্ট হচ্ছে না তো?" মিম বললো,
- "আরে না না, অল্প পুড়েছে তো। যাগগে, মুগ্ধ কিছু খেয়েছে?"
- "তুই আর মানুষ পেলি না?"
- "এনা?"
- "সতীনের সংসার করবি যখন, তখন আমার সতীন হলে পারতিস। দু'জনে না হয় মিলে-মিশে থাকতাম একসাথে।"
মিম হাসিতে ফেটে পরলো, মুগ্ধ বললো,
- "বিরিয়ানি আমি তোর জন্য রান্না করেছি, পছন্দ হয়েছে?"
- "না হ'য়ে কোথায় যাবে বল?
পাক্কা রাধুনি বর পেয়ে আমার এনা নিশ্চয়ই খুব সুখে আছে?"
এনা মিম কে জড়িয়ে ধরলো, আকাশ এসে হাসিমুখে ইমান কে বললো,
- "বাবা মুগ্ধ আঙ্কেল, অনেক মজার মানুষ।
মা যে বন্ধুর কথা কখনো বলেনি আমাদের কাওকে।" ইমান এগিয়ে এসে মেকি হেসে বললো,
- "আপনি'ই ওর জন্য ওই সমস্ত দামি-দামি গিফট পাঠিয়েছিলেন?"
- "হুমম, কাল আমিই এসে ছিলাম মিমের চেক-আপ করতে। কপাল ভালো ছিলো মেয়ে টার, অল্পতে'ই আল্লাহ তা'য়ালা রেহাই দিয়েছে মেয়ে টা কে।" ইমান এগিয়ে এসে মিমকে জিজ্ঞেস করলো,
- "এখন শরীর কেমন?" মিম তাকে গ্রাজ্য না করে মুগ্ধ এবং এনার সাথে গল্প করছে। ইমান বেশ কিছু ক্ষণ বসে ছিলো,
তবে তাদের আলোচনা সভায় নিজেকে তার বড্ড বেশি বেমানান বলে মনে হচ্ছে। সে উঠে আয়েশর ঘরে চলে এলো।
জামা-কাপড় ছেড়ে আয়েশার কোনো কথা না শুনেই সে বেড়িয়ে গেলো নিজের ঘর থেকে। আয়েশা চুপটি করে বিছানার এক কোণে বসে রইলো, ইমান কথা বলার সুযোগ খুঁজতে লাগলো মিমের সাথে। দুপুরে,
মুগ্ধ কাজের জন্য বেড়িয়ে গেলো। এনা ও কিছুক্ষণ থেকে ফিরে গেলো বাড়িতে।
মিম ছেলের শুকনো জামা-কাপড় নিতে ছাঁদে এলো।
ইমান ওর কষ্ট হবে ভেবে দ্রুত ছেলের সব জামা- কাপড় তুলে দিলো মিমের হাতে। মিম সে গুলো নিয়ে নিচে চলে যেতে লাগলো, ইমান বললো,
- "আমি জানতাম না তোমার সাথে এতো বড় একটা এক্সিডেন্ট ঘটে গেছে।"
- "জানার কোনো প্রয়োজন নেই তো আমি কিছু মনে করিনি তাতে।"
- "তুমি আমাকে ভুল বুঝছ।"
- "হ্যাঁ, দুনিয়ার সবাই আপনাকে ভুল বোঝার ঠেকা নিয়ে রেখেছে।"
- "তোর ভুল হচ্ছে ছোটো, বিশ্বাস কর। আমি বলতে ভুলে গিয়েছিলাম ইমান কে।"
- "আমি তোমাকে একদম অবিশ্বাস করছিনা আপা। কারণ, আমি খুব ভালো করেই জানি, তোমার ভুলে যাওয়া রোগ আছে আর যেটা কিনা শুধুমাএ অন্যের
বেলায় দেখা দেয় এবং নিজের বেলায় ঠিক থাকে।
যদিওবা,তোমার স্বামীর প্রতি আমার বিন্দুমাত্র লোভ নেই৷ আমি জানলে কখনোই বিয়ে করতামনা এরকম একটা লোককে।" ইমান ঠায়ে দাঁড়িয়ে রইলো, মিম চলে যাওয়ার পরে আয়েশা বললো,
- "দেখ, আমি সব মিট-মাট করিয়ে দেবো তোমাদের দু'জনের মধ্যে।" ইমান মুখ ফসকে বলে ফেললো,
- "যেখানে তুমিই সকল সমস্যার জন্য দায়ী। তুমি কি করে মিটমাট করবে?"
আয়েশা চোখে জল নিয়ে দাঁড়িয়ে রইলো, এই প্রথম ইমান তাকে একা ফেলে চলে এলো নিচে। মিম নিজের ঘরে এসে তার ছেলের এবং নিজের জামা কাপড় গোছাতে লাগলো। ইমান উদভ্রান্তে'র ন্যায় ছুটে এসে তাকে জিজ্ঞেস করলো,
- "শুনলাম কাল তুমি চলে যাচ্ছো বাপের বাড়িতে?"
- "হ্যাঁ যাচ্ছি তো?"
- "পরশুদিন থেকে আমাদের ছেলের বিয়ের সমস্ত আচার-অনুষ্ঠান শুরু হয়ে যাবে এ বাড়িতে৷ তার মা হিসেবে সন্তানের খুশিতে তোমার শরিক হওয়া উচিত
আকাশ খুশি হবে, তার ভালো লাগবে।"
- "কিন্তু আমার যে এই বিয়েতে মত নেই। আর তা ছাড় আমার মনে হ'য় না আমার অনুপস্থিতিতে আপনাদের আনন্দ ফুর্তিতে কোনো ব্যাঘাত ঘটবে।"
ইমান নির্বিকার চিওে তাকিয়ে রইলো, বললো,
- "তোমারই সন্তান, তুমি এতো টা কঠোর হচ্ছো কি ভাবে?"
- "আমি ওদের শুধু জন্ম দিয়েছি মাএ।
মায়ের আসনে ওরা অন্য কাওকে বসিয়ে রেখেছে।"
- "আমার ওপরে প্রতিশোধ নিচ্ছ?"
- "দেখুন, আমার কোনো বাজে কথা বলার ইচ্ছে নেই আপনার সাথে। আমি এর আগেও আপনার অন্যান্য ছেলেমেয়েদের বিয়েতে থাকিনি আমার কিন্তু কোনো কিছু'ই যায়-আসে না তাতে।
আর হঠাৎ আপনার আমার ওপরে এত দরদ উতলে উঠছে কেন? এখানে আপনার পেয়ারের আয়েশা আছে।"
- "আমি এখন আর আগের মানুষ টা নই।"
- "লোক দেখানো, লৌকিকতা করতে আসবেন না আমার সাথে।"
- "আমি যদি নিজেকে শুধরে নেই?"
- "সেই সময় টা, অনেক আগেই পেরিয়ে গেছে।
বয়স বাড়ছে, বুড়ো হচ্ছি এসব রংতামাশা দেখতে বিরক্ত লাগছে।"
চলবে...
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com