Breaking News

গল্প: ত্যাগ । পর্ব- ০৯

নাহিয়ান মন খারাপ করে উপরে চলে এলো, সামনেই তার মাস্টার্স পরীক্ষা।

সে এখনো বুঝতে পারছেনা, এই ঝামেলা টা কি করে সামাল দেবে। তার ঠিক-ঠাক পড়ায় ও মন বসছে না।
প্রিয়ন্তি ও ঘাঁটতে চাইছে না তাকে। সে উল্টো কিছু ক্ষণ,
তাকে ডি-মোটিভেট করে, বললো,
- "দোষ না করলে ও দোষটা মাথা পেতে নাও, কারণ আমার মনে হ'য় না তোমরা দু'জনে বড় মায়ের সাথে
পেরে উঠবে।"
- "তবুও একবার চেষ্টা করে দেখতে ক্ষতি কি ভাবি? সন্তান হিসেবে আমাদের মায়ের ভরসা করার দাম তো আমাদের দিতেই হবে।
যেখানে আজ আমাদের বাবা বড় মায়ের পক্ষ নিয়ে নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করলো,সেখানে মায়ের কোনো প্রয়োজন না থাকা সত্ত্বেও সে আমাদের পক্ষ নিয়ে সকলের সাথে কথা বলেছে। আমরা সবাই মনে করি,
আমাদের মা হয়তোবা নির্বোধ, বুদ্ধিহীন আসলে এত বছর ধরে আমরাই চিনতে পারিনি তাকে। আমি বড় মা এখানে কে নিয়ে কোনো কথা বলতে চাইনা। তবে আজকাল আমার তাকে কেন যেন খুব সন্দেহ হচ্ছে?
জানি না কেন?

তবে উনি শুধু মাত্র, নাবিলকে বাঁচানো'র জন্য আমাদের ফাঁসাতে চাইলে তিনি সেটা চরম অন্যায় করছে।" নাহিয়ান তখন আকাশের হাত চেপে ধরে বললো,
- "ভাই আমরা কি করে নির্দোষ প্রমাণ করবো নিজে কে?"
- "মা কি বলে গেলো? শুনলি না? আমাদের সকল প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস ঘেটে দেখতে হবে। মা কিন্তু ভুল কিছু বলেনি,
আমরা সারাজীবন আন্ডার এস্টিমেট করে গেছি মা কে। এই দশ দিন, কিন্তু কম সময় না। আমাদের যে করে হোক নিজেদের স্বপক্ষে প্রমাণ জোগাড় করতে হবে। প্রয়োজনে আমরা মায়ের সাহায্য নেবো। কারণ সেই একমাত্র তার সন্তানদের স্ব-পক্ষে কথা বলেছে।
এর আগেও ছোটো আব্বু কে দোষী সাব্যস্ত করা হয়ে ছিল। আর তিনি কষ্ট পেয়ে বাড়ি ছেড়ে চলে গেছে। কিন্তু, আমরা কোথাও যাবো না। আমাদের মায়ের এই ভরসা করার প্রমাণ কিন্তু আমাদেরই দিতে হবে।"
দরজার আড়ালে দাঁড়িয়ে সব শুনে নেহা প্রিয়ন্তি কে খোঁচা মে'রে বললো,
- "দেখেছ আপি? অবশেষে তাদের শুভবুদ্ধির উদয় হ'য়েছে।"

- "কিন্তু তুমি বড় মায়ের আপন বোনের মেয়ে হয়ে তার বিরুদ্ধাচরণ করছ কোন সাহসে?"
- "ধরে নাও না এই গুণ টা আমার বাবার কাছ থেকে প্রাপ্ত। বরাবরই, আমি সত্যের পথে চলতে দেখেছি আমার বাবাকে খায়রুল ইসলাম আমীনকে।" ছেলে কে মিম বাগানে বসে খাওয়াচ্ছিলো, ইমান এসে নাস্তা
'র প্লেট নিয়ে বসলো তার পাশে। মিম তাকে উদ্দেশ্য করে বলে উঠলো,
- "রাতের কথা গুলো একটু সময় করে দয়া করে ভেবে দেখবেন।"
- "আমার ভাবা হয়ে গেছে।" মিম তার দিকে তাকিয়ে পরলো,ইমান মুখে তুলে খাইয়ে দিতে লাগলো তাকে।
বারান্দায় দাঁড়িয়ে আয়েশা সেসব দেখছিল, মনে মনে সে ভাবতে লাগলো,
- "হয়তোবা বা তার সন্তানদের মা বলে, এতো আদর যত্ন মিমের? এতোটা ভালোবাসে তাকে?" তখন মিম ইমান মিলে গল্প করছিল,

মায়ান হঠাৎ একা একা খেলতে খেলতে স্লিপ কেটে পরে গেছে। ছেলের কান্নার শব্দ পেয়ে ছুটে গেল মিম ইমান৷ দু'জনেই কোলে তুলে নিয়ে আদর করছে তাকে। নাতীর কান্নার শব্দ পেয়ে বাহিরে চলে এলেন রাবেয়া, তিনি মিম কে বললেন,
- "সারা দিন কোনো কাজ করো না, ছেলে নিয়েই পরে থাকো। তা তোমার মন কোথায় থাকে?" ইমান
রেগে গিয়ে উল্টো তাকে ঝাড়ি মে'রে বললো,
- "মা থামবে প্লিজ? না দেখে কথা বলছ কেন তুমি? এখানে আমিও ছিলাম তোমার নাতীর কাছে।" ছেলে
'র কাছে ঝাড়ি খেয়ে রাবেয়া একদম ঠান্ডা। তারা মায়ান কে ঘরে নিয়ে এসে দেখলো, ওর হাঁটুর কিছু অংশ ছিলে গেছে।
ইমান দ্রুত সে ক্ষত স্যাভলন দিয়ে পরিষ্কার করে দিল
স্যাভলন ক্রিম লাগিয়ে দিলো ছিলে যাওয়া অংশে।
মায়ান বার বার কেঁদে কেঁদে মা কে ছিলে যাওয়া অংশ দেখাতে লাগলো। মিম মনপ্রাণ ভরে আদর করতে লাগলো ছেলেকে। ইমান বললো,

- "ওকে দুধ খাওয়াও, দেখো। কান্না থেমে যাবে।" মিম তাকে ঝাড়ি মে'রে বলে উঠলো,
- "মাথায় কি বুদ্ধি নেই আপনার? আপনার বুদ্ধি কি ঘাস কাটতে যায় মাঝে মধ্যে? এখানে আপনার ছেলেরা, তাদের বউ আর মা বাবা দাঁড়িয়ে আছে। আমি এদের মধ্যে কি করে দুধ খাওয়াবো ছোটো টা কে?" ইমান বউয়ের ঝাড়ি খেয়ে মুখে কুলুপ এঁটে রইলো, তবে মহসিন সাহেব বিচক্ষণ মানুষ তিনি চলে যেতে বললেন সবাইকে। মিম ছেলেকে নিয়ে শুয়ে পরলো, ইমান ও শুলো ছেলের পাশে।
তার গায়ে মাথায় হাত বুলোতে লাগলো, হঠাৎ বালিশের নিচে ইমান ইমারজেন্সী পিল দেখতে পেয়ে ইমান বলে উঠলো,

- "তুমি পিল খাচ্ছো কেন? নিজের শরীর টা খারাপ করতে?"
- "আপনার মতিগতি বোঝা দায় আর আমি চাইছি না আর কোনো সন্তান জন্ম দিতে।"
- "সে চাও না ভালো কথা, বুঝলাম। কিন্তু তুমি এসব বাজে জিনিস কেন খাবে আমরা প্রয়োজনে ইসলামি শরিয়ত মোতাবেক 'আযল' করবো।
তবুও তুমি, তুমি কেন? এই সব আজে-বাজে জিনিস খাবে। আমার বড় কে দেখে এখনো শিক্ষা হয়নি তোমার?
বুঝতে পারছনা,ও নিজের কর্মের ফল ভোগ করছে।"
- "মানে?'
- " মানে টানে আমি কিছু জানি না, ফারদার এইসব খেতে দেখলে কিন্তু তোমার কপালে অশেষ দুঃখ আছে।"
- "দেখুন, আমি অলরেডি আপনার পাঁচ সন্তানের মা।"
- "তো? ইসলাম একাধিক সন্তান জন্মদানে উৎসাহ প্রদান করেছে।"
- "তবে কি পাঁচটা সন্তান কম?"

- "হ্যা, আমার তো তাই মনে হচ্ছে।"
- "আপনার কি এই কথা মুখে আনতে একটুও লজ্জা করছে না?"
- "আজব, একাধিক সন্তানের পিতা হওয়া অনেক গর্ভের বিষয় আমার মায়ান যখন তোমার পেটে ছিল,
তখন আমি রোজরোজ চোখে হারাতাম তোমাকে।
তুমি দেখতে আরো বেশি লাবন্যময়ী আর সুন্দরী হয়ে গিয়ে ছিলে তখন চোখ সরাতে পারতাম না আমি তোমার ওপর থেকে। সারাক্ষণ মনে হতো যেন দেখতেই থাকি।" স্বামীর কথা শুনে মিম আর কোনো শব্দ উচ্চারণ করতে পারছেনা তার মুখ থেকে। ইমান উঠে ইমারজেন্সী পিলে'র পাতা গুলো নষ্ট করে ফেললো।

আয়েশা তার মেজাজ খারাপ দেখে জিজ্ঞেস করলো,
- "তুমি ও ঘরে চেঁচামেচি করেছিলে কেন? বোনের সাথে।"
- "পাগল হয়ে গেছে তোমার বোন, তার মাথার ঠিক নেই। ইমারজেন্সী পিল খাচ্ছে।"
- "তো? ছয় বাচ্চার বাপ অলরেডি হ'য়ে বসে আছো
তোমার আর কয় বাচ্চা লাগবে? মানলাম, রাফসাম আমাদের নিজের সন্তান নয়। তবুও, আমরাই মানুষ করেছি ওকে।"
- "সো হোয়াট? আমি চাইনা ও এইসব ছাঁইপাশ খাক আমি তোমার হালে দেখতে চাই না আয়শা ওকে।
ও ভালো থাকুক, সুস্থ থাকুক। ওর সুস্বাস্থ্য আমি সব সময় কামনা করি মন থেকে। তুমি যেমন আমার স্ত্রী ঠিক সে ও আমার স্ত্রী আর আমি অনেক, অনেক বেশি ভালোবাসি তাকে।" আয়েশা ওর কথা শুনে হাসতে লাগলো, বললো,
- "তবুও ওর শরীরের কথা তোমায় ভেবে দেখতে হবে।"
- "ভেবেছি বলেই, আনিশার পরে এতো বছরে'র বিরতি নিয়ে ছিলাম। ওর শরীর দিন কে দিন খারাপ হয়ে যাচ্ছিলো, ওজন কমে যাচ্ছিল,
শরীর দূর্বল হয়ে পরে ছিল সে সব আমার এখনো মনে আছে।"
আয়েশা চুপটি করে ইমানে'র দিকে তাকিয়ে রইলো। ইমান একটু থেমে আবার ও বলতে শুরু করলো,
- "তোমরা কি ভাবো না ভাবে আমার কিছু যায়আসে না তাতে। আমার বউ বাচ্চা আমি পালবো,লোকে কি বললো না বললো?

এতো মাথাব্যথার কোনো কারণ আছে?" অতঃপর, ইমান নিচে গিয়ে এককাপ চা চাইলো সুহানির কাছে।
সুহানি বললো,
- "বাবা আজান দিয়ে দিয়েছে। আপনি ফ্রেশ হয়ে নামাজ পড়ে আসুন, দুপুরের খাবার টা না হয় খেয়ে নেবেন আপনার ছেলেদের সাথে বসে।"
ইমান সে কথা শুনে আয়েশার ঘরে ফিরে গেলো, আয়েশা তাকে দেখে হাসিমুখে বললো,
- "জানো, আমান ওর বউকে নিয়ে আমাদের বাসায় আসছে?"
- "সে আসছে ভালো কথা, ওকে বলে দিয়ো যেন আমার ছোটো বউয়ের কাছ থেকে দূরে দূরে থাকে।
আড়িপাতা, কানপাতার স্বভাব আছে তার সে সব আমার চোখে পরলে কিন্তু,
তোমার ভাই বেধড়ক মা*র খাবে আমার হাতে আর তখন তুমি শত বলেও আটকাতে পারবেনা আমাকে ।" আয়েশা তখন দীর্ঘ নিশ্বাস ফেলে বললো,
- "আজকাল,

যেন একটু বেশি চোখে হারাচ্ছো ছোটো কে?" ইমান হেয়ালি করে বললো,
- "সে ও আমার স্ত্রী, আর আমি চাইনা আমার এতো বছরের সংসারের শ্রী হারাতে।" ওর কথা শুনে চমকে গেলো আয়েশা। এদিকে স্বপ্না খুব অবাক হচ্ছে নেহা কে মিটিমিটি হাসতে দেখে, সে এগিয়ে এসে জিজ্ঞেস করলো,
- "কি ব্যাপার নেহু? কি হয়েছে?" সে হাসতে হাসতে বললো,
- "কি আর হবে বড় আপু? বাবা বোধ হ'য় মা কে একটু বেশি'ই ভালোবাসে?"
- "সে বোধ হ'য় আজ নতুন আবিষ্কার করলি তুই? কিন্তু আসল ব্যাপার টা কি? সে টা বল আমাকে?"
- "ইয়ে মানে, বাবা মা কে অধিক সন্তান জন্ম দান নিয়ে খুব উৎসাহ প্রদান করছিলো।"
- "মা কি তবে আবারও কনসিভ করেছে? না মানে,
তাহলে তো তোমার ভাইদের মিষ্টিমুখ করাতে হয়।
অবশ্য, এরপর তাকানো যাবে না তাদের মুখের দিকে
।" সুহানি এগিয়ে এসে বললো,
- "এমন উৎসাহ তোমার ভাই আমাকে দিলে পারতো
বছর বছর বাচ্চা দিয়ে ভরিয়ে ফেলতাম আমাদের পুরো বাড়ি টা কে।" আনিশা সেসব শুনতে পেয়ে মন খারাপ করে নিজের ঘরে চলে এলো।

কিছুক্ষণ পর, আয়েশার ঘরে গিয়ে বাবাকে জড়িয়ে ধরে বললো,
- "কংগ্রাচুলেশনস তোমার ঘর আলো করে আবারও কেউ একজন আসতে চলেছে।
"ইমান চমকে তাকিয়ে রইলো, আনিশা মেকি হেসে বললো,
- " মা আবারও বেবি এক্সপেক্ট করছে।" ইমানে'র যেন হঠাৎ আকাশ থেকে পরার
উপক্রম হল আয়েশা
বলে উঠলো,
- "ছিঃ লজ্জা করে না তোমার? দাদা-নানা হওয়ার বয়সে
আবারও বাচ্চার বাবা হওয়ার সাধ জেগেছে?
ছোটো কে বলে দিয়ো, সে যেন এই খবর ছড়িয়ে পরার আগেই এবরশন টা করিয়ে নেয়।
আমাদের অন্যান্য সন্তানেরা তোমাদের এই কুকীর্তি সম্পর্কে জানতে
পারলে খুব কষ্ট পাবে।" ইমান হঠাৎ করেই চেঁচিয়ে বলে উঠলো,
- "কষ্ট পেলে পাক আমার কিচ্ছু যায়-আসে না তাতে
প্রয়োজনে আমি আমার স্ত্রীর সেবাযত্ন করবো,কারণ
আমি চাই আমার সন্তান যেন সুস্থ ভাবে তার মায়ের কোল আলো করে এই জগৎ সংসারে আসে। হ্যাঁ, আর একটা কথা।

আমি তোমাদের মাথার ওপরে খাচ্ছিনা বরং তোমরা খাচ্ছ আমার মাথার ওপরে বসে।
তোমাদের নিয়ে আমার বিন্দু মাএ মাথা ব্যাথা নেই আর না কখনো ছিলো এর আগে।
মায়ানের সময় তোমার কথায় প্ররোচিত হয়ে আমি মিম কে এবরশন করাতে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ছিলাম। কিন্তু, আমি আমার সন্তান হ*ত্যা টা মেনে নিতে পারছিলাম না মন থেকে আর তাই নিজে থেকে ওর এবরশন হতে দেইনি
আমি একটা আঁচরও লাগতে দেইনি তাকে আর তুমি কি মনে কর আয়েশা?
আমি কিছু'ই বুঝি না? তুমি কেন ঘেসোনা মায়ানের কাছে সবই বুঝি আমি।
তবে আমি খুব খুশি যে আমার ওই দেড় বছরের সন্তানের উছিলায় এখনো আমার সংসার টা টিকে আছে।"
ইমানের কথা শুনে মুখ ফুটে আর কিছু বলতে পারল না আয়েশা।
ইমান নিচে চলে এলো মিমের কাছে। সে তাকে রান্না ঘরে দেখে গম্ভীর গলায় গিয়ে জিজ্ঞেস করলো,
- "এখানে কি করছ তুমি? এই অবস্থায় এতো কাজ করতে কে বলেছে তোমাকে?"
মিম চমকে গিয়ে বললো,

- "কি অবস্থা আমার? মাথায় কি আপনার নতুন করে আলু গজিয়েছে?"
ইমান মিটিমিটি হাসতে লাগ -লো, সে বললো,
- "তুমি কি লজ্জা পাচ্ছ আমাকে সেই খুশির খবর টা দিতে?"
মিম তাকে পাত্তা দিয়ে নিজের ঘরে চলে এল
সে মনেমনে ভাবতে লাগলো,
- "এই লোকটার মাথা নির্ঘাত খারাপ হয়ে গেছে?"
সে ছেলে কে কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসল করিয়ে দিলো,
নিজে ফ্রেশ হয়ে এসে নামাজ পড়ে খাবার খাইয়ে ঘুম পারিয়ে দিলো তাকে।
ঠিক সন্ধ্যায়, নাহিয়ান এবং আকাশের বিচার সভা বসলো।
আয়েশা মহসীন সাহেবের কাছে বিচার দিয়ে বললো,
- "দেখুন বাবা, এই মুহুর্তে ওদের অফিস যাতায়াত
বন্ধ করে দিতে হবে আমার ছেলে বলে তারা পার পেয়ে যাবে
আমি সেটা মেনে নিতে পারছিনা কোনো ভাবে।" মিম এগিয়ে এসে তখন
মহসীন সাহেব কে উদ্দেশ্য করে বললো,
- "বাবা আপনি আপনার নাতিদের অফিস যাতায়াত বন্ধ করে দিলে ওরা
কি করে নির্দোষ প্রমাণ করবে নিজেকে? এর আগেও ছোটো ভাই
মিথ্যে অপবাদ মাথায় নিয়ে বাড়ি ছেড়ে ছিলো৷ আমি চাই না এমন কিছু হোক আমার সন্তানের সাথে।"

- "দেখ ছোটো, যা বুঝিস না। তা নিয়ে কোনো কথা বলিস না।"
- "আমার মনে হয় না, ছোটো বউ মা কোনো ভুল কিছু বলেছে। আমি তোমার কথাই রাখলাম মা।
দাদু ভাই এবার তোমাদের, তোমাদের মায়ের এই বিশ্বাস এবং ভরস'র দাম দিতে হবে।
কাজেই, প্রমাণ করে দেখিয়ে দাও, তোমাদের মা সঠিক এই মায়ের
সম্মান তোমাদের কেই রক্ষা করতে হবে।"
নাহিয়ান আকাশ

দু'জনেই যেন নিজেদের হারানো স্বস্তি ফিরে পেলো।
নাহিয়ান যেন কিছু বলতে গিয়েও বলতে পারলো না মা কে। মিম রান্না ঘরে
গিয়ে মায়ানের খাবার রেডি করলো। হঠাৎ ইমান তাকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে বললো,
- "এতো বড় খুশির খবর টা আমি তোমার মুখ থেকে শোনার আগেই বাড়ি
শুদ্ধো লোক জেনে বসে আছে"
- "মানে টা কি? কি হ'য়েছে?
- "তুমি আমাকে আগে কেন বলনি, আমাদের সন্তান আসতে চলেছে?"
- "পাগল আপনি? মাথা খারাপ হয়ে গেছে আপনার
সারাদিন বাড়ি থেকে হাসপাতাল, হাসপাতাল থেকে বাড়ি করতে করতে?"
- "এই ভাবে বলছ কেন? এটা তো খুশির খবর, যদি ও বা মনে হয় না আমার ছেলেরা
এই খবরে বেশ একটা খুশি হয়েছে।"
- "আশ্চর্য! মানুষ আপনি?"
- "বুঝতে পারছি কথাটা নিজের মুখে বলতে লজ্জা পাচ্ছে, এতো লজ্জা পাওয়ার কি আছে?
এর আগে ও তুমি পাঁচ পাঁচটা সন্তান জন্ম দিয়েছ, আমরা বাবা মা হয়েছি।
লজ্জা পাওয়ার মতো কিছুই নেই। ইট'স
নরমাল, ঠিক আছে?"

চলবে...

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com