Breaking News

অবুজ মেয়ে যখন বউ । পর্ব - ০২

আমি স্যরের কেবিনে গিয়ে যা দেখলাম তাতে আমি পুরো ৪০০০ বোল্টের শক্ড খেলাম।

কারন বসের সাথে আমার গার্লফ্রেন্ড মিম বসে আছে।
(সবাই কিছুই বোঝেন নাই তাইতো মিমি আমার গার্লফ্রেন্ড ছিলো কিন্তুু এই কথাটা আমি
আম্মুকে বলতে পারি নাই কারন মিমি দেশের বাইরে ছিলো এতো দিন/ আর গল্পের
মধে দুই নায়িকা না হলে গল্প মজে না)
আমাকে দেখে মিমি আমাকে এসে জড়িয়ে ধরল।
আর আমি আগের মত মূর্তির মত দাঁড়িয়ে আছি।
মিমি: আমার বাবুটা বুঝি আমার উপর রাগ করেছে? আই'ম সরি লিমন।
আমি জানি এই কয়েকমাস তুমি আমার সাথে কথা না বলতে পারায় অনেক দুঃখ পেয়েছো
কিন্তু বিশ্বাস করো আমিও তোমার মত কষ্ট পেয়েছি।
বস : আমি যে এখানে আছি তা কি ভুলে গেছো?
মিমি আমাকে ছেড়ে দিল। আর আমি আগের মতই দাঁড়িয়ে আছি।

বস আমার কাছে এসে বলল মিমি অনেক ভালো মেয়ে আর তুমিও অনেক ভালো ছেলে, লিমন।
মিম আমার ভাগ্নি হয়। সে গতকাল বিদেশ থেকে গ্রেচুয়েশন কমপ্লিট করে আমার অফিসে আসে।
সে এখন থেকে তোমার এসিস্টেন্ড হিসেবে থাকবে।
মিমি বলেছে যে তোমার সাথেই নাকি সে চাকরি করবে।
আর মিম এটা অফিস ভুলে যেওনা। তোমাদের রোম্যান্স অন্য জায়গায় করো।
মিমি: ঠিক আছে আংকেল (লজ্জা মাখা মুখে)
আমি কিছু না বলে আমার কেবিনে গিয়ে বসলাম। এখনো মনে হচ্ছে যেন
আমি কোনো ঘোরের মধ্যে আছি।
মিমি যে আমার কোলে বসে আছে আমি বুঝতেই পারিনি।
আমার ঘোর ভাংল মিমির কিসে।

মিমি তার ঠোট দিয়ে আমার ঠোট চেপে ধরেছে। আমিও তার সাথে তাল মিলাচ্ছি।
আমি ভুলেই গেছিলাম যে আমি বিবাহিত। আমি মিমিকে
নিজের থেকেও ভালোবাসি আর সেও আমাকে ভালোবাসে।
কিন্তু যখন আমার সানিয়ার কথা মনে পড়ে গেলো তখন আমি মিমিকে ছেড়ে
আমার কোল থেকে সরিয়ে দেই।
মিমি কি হয়েছে লিমন এইরকম করছো কেনো? বুঝেছি আমার উপর রাগ করেছো।
ঠিক আছে তোমার রাগ আমি ভেঙে দিচ্ছি।
কথাটা বলেই আবার আমার দিকে এগোতে লাগল।
আমি তাকে আবার ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিলাম।
লিমন : প্লিজ মিমি বস কি বললো মনে নেই।
মিমি : আরে আংকেল তো বলবেই কিন্তু আমি কি মানবো নাকি?
লিমন : কিন্তু আমাকে মানতে হবে। এটা আমার কাজের জায়গা।
মিমি : বুঝেছি এখনো আমার উপর রেগে আছো।

সমস্যা নাই তোমার বউ হয়ে তোমার সব রাগ অভিমান ভেঙে দিব।
লিমন : তোমাকে যে কিভাবে বলি আমার বিয়ে হয়ে গেছে? (মনে মনে)
অফিস টাইমে টিফিন পিরিয়ডে,
আমি আর রাহুল বসে ক্যান্টিনে খাচ্ছি। এমন সময় মিমি আমার কাছে আসল।
রাহুল : আরে মিমি তুমি কবে আসলে?
মিমি : গতকালকেই আর এটা আমার আংকেলের অফিস।
এখন থেকে আমি লিমনের এসিস্টেন্ড হিসেবেই কাজ করব।
রাহুল : কিরে দোস্ত এসিস্টেন্ড + প্রেমিকা একসাথেই পেয়ে গেলি।
লিমন : কেনো তুই তো তোর সিনিয়র গার্লফ্রেন্ডকে নিয়েই আছিস।
রাহুল : আমার টেলেন্ড আছে।
অফিস শেষে আমি আমার গাড়ির কাছে গেলাম এমন সময় মিমি আমার গাড়িতে বসে গেলো।

লিমন : আরে তুমি কেন এসেছো?
মিমি : কেন আমাকে বাসায় ড্রপ করে দিয়ে আসো।
লিমন : কেনো?
মিমি : তোমার কি হয়েছে লিমন, তুমি অনেক বদলে গেছো?
আগে সবসময় আমার সাথে সময় কাটাতে পছন্দ করতে আর এখন আমাকে পাত্তাই দিচ্ছোনা।
আগে তো সবসময় আমাকে কিস করতে এতো কথা বলতে হতোনা।
লিমন : সময় বদলেছে মিমি। এখন চুপ থাকো তোমাকে তোমার বাসায় দিয়ে আসছি।
মিমি: হুম চলো।
তারপর মিমিকে তার বাসার নিচে ড্রপ করে আসলাম।
মিমি হয়ত কিছু বলতে চেয়েছিল কিন্তু আমি তাকে বলার সুযোগ না দিয়ে বাসায় এসে পড়ি।
আমি রুমে গিয়ে যা দেখি তাতে আমার মাথা পুরো গরম হয়ে যায়
আমি দেখি যে সানিয়া খাটের উপর বসে বসে চকলেট খাচ্ছে আর পুরো রুমে চকলেটের কাগজ পড়ে আছে।লিমন : এইসব কী?

সানিয়া : ওহহহ আপনি এসেছেন ও সরি সরি আজকে রিয়া আপু বলেছে যে আপনাকে তুমি করে বলতে।লিমন : তুমি করে বলতে হবেনা আপনি করে বললেই হবে। এখন বলো এইসব কি করেছো?
সানিয়া : দেখতেই তো পাচ্ছেন চকলেট খাচ্ছি।
লিমন : চকলেট খাচ্ছেন এটা আমিও জানি। কিন্তু রুমের এই অবস্থা কেনো?
সানিয়া : ওহহ সমস্যা নাই আপনি পরিষ্কার করে নিন।
লিমন : ওয়াট আমি পরিষ্কার করব মানে?
সানিয়া : কেনো, আমার আম্মু আমাকে বলেছিল যে আমার যার সাথে বিয়ে হবে সে নাকি আমাকে অনেক ভালোবাসবে, আদর করবে খেয়াল রাখবে। তাহলে আপনি রুম পরিষ্কার করবেননা কেনো?
আমি কিছু না বলে পুরো রুম পরিষ্কার করে ফ্রেশ হতে গেলাম।
কারন এর সাথে কথা বলা মানে দেওয়ালের সাথে মাথা ঠুকা রাতে ডিনার করার সময়,
লিমন : আম্মু সানিয়ার স্বভাব বাচ্চাদের মত, কিছুই বুঝেনা। ওকে দিয়ে সব কাজ করাবে তাহলে সব বুঝবে
আম্মু : একটা ঠাপ্পড় দিব। আমি এইরকম মেয়েই চেয়েছিলাম তোর জন্য আর পেয়েও গেছি। কালকে সানিয়াকে নিয়ে তার বাসায় যাবি। তোর শশুর ফোন দিয়েছিল তোদের যাওয়ার জন্য।
লিমন : না গেলে হয়না। (আমতা আমতা করে বললাম)
আম্মু : না হয়না, তোকে যেতে হবে।
লিমন : ঠিক আছে।

রাতে ঘুমানোর সময় আরেক ঘটনা ঘটল।
ঘুমানোর সময় গিয়ে দেখি সানিয়া পুরো বিছানা জুড়ে ঘুমিয়ে আছে।
আমি সানিয়াকে ডাকা শুরু করলাম।
লিমন : এই মেয়ে উঠো, এভাবে ঘুমাচ্ছো কেনো?
সানিয়া : নিশ্চুপ।
লিমন : এই মেয়ে (একটু চিল্লিয়ে বললাম)
তাও কোনো সারা দিচ্ছেনা। আমি তাকে ডাকার জন্য তার মুখের কাছে যাই কিন্তু তার
মায়ায় ভরা মুখ দেখে আর ডাকতে ইচ্ছে হলোনা।
সারাদিন হয়ত অনেক পাগলামো করে কিন্তু তার চেহারায়
এক আলাদা মায়া আছে যা মিমির মধ্যেও নেই।

আমি সানিয়ার দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছি আর এইদিকে সানিয়া তার মুখে কারো
গরম নিঃশ্বাস পেয়ে তার ঘুম ভেংগে যায়।
সানিয়া চোখ খুলেই তার মুখের সামনে আমার মুখ দেখতে পায় ৷
সানিয়া এক ঝটকায় উঠতে গিয়ে তার ঠোট দিয়ে আমার ঠোটে স্পর্শ করে আর আমার ঘোড় ভাংগল।
সানিয়া : আপনি এখানে কি করছেন?
লিমন : তার আগে বলো তুমি এখন এটা কি করলে?
সানিয়া : কি করলাম আমি?
লিমন : আরে এই মাত্র যে তোমার ঠোট দিয়ে আমাকে কিস করলে?
সানিয়া : ওহহ এই নরমাল ব্যাপারের জন্য এত কথা শুনানোর কি আছে?
আমার আম্মু আব্বু তো ছোটবেলায় আমাকে কত পাপ্পি দিয়েছে।
লিমন : ও মোর খোদা এই মেয়ে যে ছোটদের পাপ্পি আর বড়দের কিস সম্পর্কে কোনো ধারণাই রাখেনা।
এই মেয়ে নিয়ে আমি সংসার করব কিভাবে?(মনে মনে)
সানিয়া : কি হলো কথা বলছেন না যে?

লিমন : না কিছুনা, তুমি এক সাইটে ঘুমাও আর আমি এক সাইটে ঘুমাই।
সানিয়া : ঠিক আছে।
আমি বিছানায় শুয়ে আমাদের মাঝখানে একটা কোলবালিশ রাখলাম।
সানিয়া : এ কি আপনি কোলবালিশ রাখছেন কেনো?
লিমন : আমার ইচ্ছা। (একটু বিরক্তির স্বরে বললাম)
সানিয়া : কিন্তু আমাদের মাঝে তো কোনো ঝগড়াই হয় নি।
লিমন : ঝগড়ার সাথে কোলবালিশের কি সম্পর্ক?
সানিয়া : আপনার সত্যিই অনেক ভোলা মন। কালকেই না বললাম কোলবালিশ আর ঝগড়ার ব্যাপারটা।
জকে যেহেতু ঝগড়া হয় নাই তাহলে আজকে কোলবালিশ থাকবেনা ।
লিমন : ঠিক আছে কোলবালিশ থাকবেনা। এখন ঘুমাও, কালকে তোমাদের বাসায় যাবো।
সানিয়া : সত্যি বাসায় যাবো (এক লাফ দিয়ে বিছানা থেকে উঠল)
লিমন : আরে কি হলো?

সানিয়া : আমি বাসায় গেলে আমার চুন্নি মুন্নি কে নিয়া আসব। বিয়ের সময় আমি আনতে পারিনাই।
লিমন : এই চুন্নি মুন্নি টা আবার কে?
সানিয়া : চুন্নি মুন্নি হলো আমার টেডি। আমার বেস্ট টেডি। প্রতিদিন তাকে জড়িয়েই ঘুমাই আমি।
লিমন : এত বড় মেয়ে হয়ে এখনো টেডি নিয়ে ঘুরছো তুমি!
সানিয়া : আমি কি বড় হয়েছি নাকি আমার আম্মু তো আমাকে সবসময় অবুঝ বলে। আমি যখন সব বুঝতে শুরু করব তখন আমি বড় হবো।
লিমন : ওরে মোর অবুঝ বউ আন্নে এখন ঘুমান আর মোরেও ঘুমাতে দেন।
সানিয়া : ঘুম আসলে ঘুমোন মানা করছে কে আপনাকে?
লিমন : ঘুমান তো কালকে সকালে উঠতে হবে। তারপর ঘুমিয় পড়লাম।

পরেরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি আগেরবারের মত সানিয়া
আমার বুকের উপর শুয়ে আছে মানে ঘুমোচ্ছে।
আর গতকালকের থেকে আজকে তার মুখ আরো মায়াবী লাগছে।
মনে হচ্ছে তার মায়ায় যেনো ঢুবে যাই। কিন্তু হঠাৎ করে আমার মিমির কথা মনে পড়ে গেলো।
আর মিমির কথা মনে করতেই অফিসের কথা মনে পড়ে গেলো।
আরে সত্যিই তো গতকাল আমি অফিস থেকে ছুটি নেইনাই। আমি সানিয়াকে আমার বুক থেকে
উঠিয়ে অফিসে একটা ফোন দিয়ে জানিয়ে দিলাম যে আজকে আমাকে ড: এর কাছে
যেতে হবে রিপোর্ট আনতে। বস অনেক ভালো তাই বিনাবাক্যে আমাকে একদিনের ছুটি দিয়ে দিল।
সানিয়াকে ঘুম থেকে উঠিয়ে ফ্রেশ হয়ে আমি আর সানিয়া আম্মু আর রিয়াকে বিদায়
জানিয়ে সানিয়া বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম আমার গাড়ি করে।
কিন্তু সেখানে গিয়ে পড়ে গেলাম মহালজ্জায়।

চলবে...

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com