১০ লক্ষ টাকা । পর্ব - ০৩
মারিয়া আমার কাছে কিছু সময় চাইল
আচ্ছা আপনি বসেন আমি আপনার জন্য চা নিয়ে আসতেছি।
মারিয়ার বাবা রুমে এসে বলল
মারিয়া চলে গেল কেন
মারিয়ার কি তোমাকে পছন্দ করেনি।
পছন্দ করছে কিনা আমি তা জানি না কিন্তু ও আমার কাছে কিছু সময় চাইছে ।
আমি উনাকে সবকিছু খুলে বলছি।
দেখে তো মনে হল উনি আমাকে পছন্দ করেছে ।
আর মারিয়া আমার জন্য চা নিয়ে আসতে গেছে
স্যার আমি তো অনেকদিন যাবত ঠিক মতন
অফিসে যাচ্ছি না আমার চাকরি নিয়ে কোন সমস্যা হবে না তো ।
তুমি চাকরির নিয়ে কোন টেনশন করো না
এটা আমি ম্যানেজ করে নেব ।
মারিয়া চা নিয়ে আসলো
স্যার বলল আমার মেয়ে অনেক সুন্দর করে চা বানাতে পারে তুমি খেয়ে দেখো ।
আসলে চাট অনেক সুন্দর ছিল
মেয়েটা দেখতে যেমন সুন্দর চাটাও তেমন সুন্দর
স্যার এখন তাহলে আমি আসি রাত হয়ে যাচ্ছে ।
আজকে থেকে যাও না হয় আমাদের বাসায়
একসাথে ডিনার করবো।
না স্যার এখন আমি আসি অন্য একদিন করব
আজকে আমি হসপিটালে মায়ের সাথে থাকবো
আমি চলে আসলাম স্যারের বাসা থেকে ।
মারিয়া তোর কি তানভীর কে পছন্দ হয়েছে
দেখ মা আমি তোর ভালোর জন্যই ওর সাথে তোর বিয়ে দেয়ার জন্য রাজি হয়েছে ।
ছেলেটা গরিব হলেও
ছেলেটাকে আমি অনেকদিন যাবৎ চিনি
আমি বলছি না আমাদের অফিস সবাই বলে ছেলেটা
অনেক ভদ্র। তুই যদি তানভীর কে বিয়ে করিস তাহলে তুই অনেক সুখে থাকবি মা।
বাবা আমি জানি তুমি আমার কখনোই খারাপ চাইবে না। ছেলেটির সাথে কথা বললে আমারও ভালো লেগেছে। তুমি উনার সাথে আমার বিয়ের ব্যবস্থা করতে পারো আমার কোন আপত্তি নেই।
মারিয়ার কথা শুনে স্যার অনেকটাই খুশি হয়ে গেলেন
মারিয়াকে তার বুকে জড়িয়ে ধরল
মা আজকে আমি পৃথিবীর সবচাইতে খুশি হলাম
তোর কথা শুনে।
আসলে স্যার মেয়ের জন্য অনেক টেনশনে ছিলেন
তার একমাত্র মেয়ে ছোটবেলা মারিয়ার মা মারা যায়
অনেক কষ্ট করে মারিয়াকে বড় করেছে ।
সেদিনের ঘটনার পর থেকে
স্যার অনেক দুশ্চিন্তা এবং টেনশনে থাকত
এখন এ অবস্থায় আমার মতন একটি ভালো পাত্র পেয়ে
স্যার অনেক খুশি।
কারণ হচ্ছে আমার আগেও আরো তিনটি ছেলের সাথে কথা বলছিল স্যারের মেয়ের বিয়ের জন্য
কিন্তু কেউ রাজি হয়নি স্যারের মেয়েকে বিয়ে করতে ।
তাই আমার কপালে স্যারের মেয়েকে বিয়ে করার ভাগ্য জুটলো। সব ভাগ্যর খেলা স্যারের মেয়ের সাথে কথা বললে আমার ভালো লাগলো।
আমি যখন হসপিটালে যাব তখন।
ফলের দোকানে আমার চোখ থেমে গেল ।
মনটা যাচ্ছিল মায়ের জন্য কিছু ফল নিয়ে যায়
কিন্তু পকেটে ১২০ টাকা ছাড়া
আর কোন টাকা নেই আমার।
সামনে যখন আসলাম দেখি ফুচকা বিক্রি করতাছে ।
আমার ছোট বোনটা ফুচকা অনেক পছন্দ করে
জানিনা কতদিন যাবৎ
ছোট বোনটি ফুচকা খায়নি।
আমি ডিসিশন নিয়েছি
আমার হাতের টাচ মোবাইলটি বিক্রি করে
আমি একটি বাটন সেট কিনে নেব।
তাহলে কিছু টাকা পাবো
সে টাকা দিয়ে কিছুদিন চলতে পারব আমি
চলবে....
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com