Breaking News

মেডামের বোরকাওয়ালি মেয়ে । পর্ব - ১২

দুজনে যখন গেইট দিয়ে ঢুকতে যাবো তখনি কারো সাথে যেন ধাক্কা খেয়ে পড়ে গেলাম,,,,

আমি পড়ায় সাথে সাথে চোখ বন্ধ করে ফেললাম,,
যখন চোখ খুললাম তখন দেখি আমি একটা মেয়ের উপর পড়ে আছি,,
মেয়ে বল্লে ভুল হবে,, আমার ক্লাস মিট অধরা,,
কেউ কিছু বলছি না,,শুধু দুজনে‌ দুজনের দিকে তাকিয়ে আছি,,,
আমার সেই আরাম লাগতেছে,, যেন ফোমে শুয়ে আছি,,
আমাদের ড্রয়িং রুমের সোফার ফোম ও এরকম নরম না,,আর উঠতেই ইচ্ছে করছে না,,,
মেয়ে তো নয় যেন আঠার বস্তা থুক্কু তুলার বস্তা,,
আর বেশিক্ষণ তাকানো‌ হলনা,,
কারণ সামিয়া আমাকে ওর‌ ওপর থেকে টেনে তুলে ফেলল,,,
সামিয়া--এই মেয়ে দেখলেই গায়ের উপর পড়তে ইচ্ছে করে তাই না,,(চোখ গরম করে))
অধরা--আজব আমি কখন‌‌ পড়লাম,,
সামিয়া--তুর মত মেয়েদের আমার চিনা আছে,,
অধরা--ভদ্র ভাবে কথা বল,,
সামিয়া--তুর ভাদ্রের গুষ্টি কে কিযে করব আমি নিজেই যানি না,,
অধরা--মা বাবা কিছু শিখায় নি,,,

সামিয়া--এই মা বাবা ধরে কথা বলবি না,,
ওদের জগরা দেখে আমি কাঁদবো নাকি হাসব আপনারাই বলুন,,
অধরা--বল্লে কি করবে হুম,, দেখে তো ভদ্র ঘরের মেয়ে মনে হচ্ছে কিন্তু ব্যবহার এরকম কেন,,
সামিয়া--তুর মত মেয়েদের সাথে এর চেয়ে আর ভালো ভাবে বলা যায় না,,
অধরা--বেশি বাড়াবাড়ি হয়ে যাচ্ছে কিন্তু,,,
সামিয়া--বাড়াবাড়ি আমি না তুই করতেছিস,,,পেত্নির ঘরে পেত্নি,,,
অধরা--দেখ তুর এতক্ষণ অনেক ভালোভাবে কথা বলছি,,কুত্তি কোথাকার,,শুধু ঘেউ ঘেউ করস কিল্লাই,,,
সামিয়া--কি কি বল্লি তুই এই বলে অধরার দিকে তেড়ে যেতে লাগল,,,
আমি অবস্থা খারাপ দেখে ওকে ওখান থেকে টেনে নিয়ে আসলাম,,
সামিয়া--তুই আমাকে আনলি কেন,,,আজ ওর একদিন কি আমার আধা দিন,,
আমি--শান্ত হও,,দেখ ওর কোন দোষ নেই,,,
সামিয়া--এ দুষ নাই,,, তুই যানস,,,তুকে কোন মেয়ের সাথে দেখলে,,, আমার সহ্য হয় না,,
আমি--ও তাই নাকি বাবু,, তুমি আমাকে এত ভালোবাস,,?
সামিয়া--আমি তূকে ভালোবাসতে যাব কেন,,,, পরিক্ষার আগে কোন ভালোবাসা টালোবাসা চলবে না,,, ভালোবাসা কে উগান্ডা পাঠাই দাও,,
আমি--তাহলে এই কয়দিন আমার সাথে যোগাযোগ রাখবে না,,
সামিয়া--হ্যা,,,

আমি--ওকে তাহলে আজ থেকে তোমার সাথে কোন কথা নাই,,,
সামিয়া--হ্যা,,
আমি--কথা হবে পরিক্ষার পর,,, কিন্তু ততদিনের জন্য আরেকটা পটাইতে হবে,,
সামিয়া--কি তুই অন্য মেয়ের সাথে লাইন মারবি,,?
আমি--মারলে তোমার কি,, এতদিন একা একা চলব কেমনে,, তার জন্য একটা হলে মন্দ হয় না,,
সামিয়া--তুই অন্য মেয়ের দিকে তাকাতলে তুর চোখ তুলে,,বিক্সি করে দিব,,
আমি--এ দেখা যাবে,,, আমি অধরার সাথে লাইন মারব দেখি তুমি কি করতে পার,,
সামিয়া--আমার সামনে থেকে ধুর হ,,
আমি--হ্যা যাচ্ছি,, ভালো থেকো,,
তারপর ক্লাসে চলে এলাম,,
ক্লাসে সামিয়ার দিকে একবার ও থাকায় নি,,
স্যারের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনছি,,
(আমাকে এখন থেকে ভালো করে পড়তে হবে,, সামিয়া কে দেখিয়ে দিব,,)
তারপর ক্লাস শেষ হলে ডানে বামে না তাকিয়ে সুজা বাসায় চলে এলাম,,
বিকাল হলে,,,
মেম এর কাছে প্রায়বেট পড়তে চলে গেলাম,,
মেম যেগুলো পড়াচ্ছেন সেগুলো মন দিয়ে পড়ছি,, পড়ার ব্যাপার ছাড়া আর একটা কথাও বল্লাম না,,
আমার এমন পরিবর্তন দেখে মেম তো অবাক এর উপর অবাক,,,যে ছেলের ফাইজলামু না করলে ভাত হজম হয় না,,সে এত শান্ত কেমন করে হল,,

মেম--কি ব্যাপার আজ এত ভদ্র কেন,,,
আমি--মেম সামনে পরিক্ষা,,তাই এখন থেকেই মন দিয়ে পড়ব,,,
মেম--ভালো,,
পড়া শেষ হলে বাসায় চলে আসলাম,,
সন্ধ্যা হলে পড়তে বসলাম,,,
মা আমার রুমে এসে রীতিমতো অবাক,,,
কারণ এই সময়ে আমি মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত থাকি,,আর আজ পড়তে বসলাম,,
ব্যাপারটা আমার আম্মুর কাছে হজম হচ্ছে না,,
আম্মু--আজ সূর্য কোন দিকে উঠেছে,,
আমি--আজ রান্নাঘরের চুলা থেকে উঠেছে,,,যাও তো পারতো পেছাল না পেড়ে,,পড়তে দাও,,
আম্মু--তা আজ কি মনে করে,,
আমি--সামনে পরিক্ষা,, এখন থেকে যদি না পড়ি তাহলে পরিক্ষাঐ ভালো কেমনে করমু,,
আম্মু--এতদিন পর ভালো মানুষের নজর পরেছে,,, আলহামদুলিল্লাহ,,
আমি--এইবার আপনি আসতে পারেন,,
আম্মু চলে গেল,,
আমি আবার পড়া শুরু করলাম,,, এইভাবে পড়তে পড়তে কখন যে রাত ১১টা বেজে গেল আমি নিজেও জানিনা,,
আজ প্রথম এতক্ষণ পড়লাম,,
আমার মনে হচ্ছে আমি এভারেস্ট জয় করে নিয়েছি,,
তারপর খেয়ে দিলাম এক চরম ঘুম,,
পরদিন-----

সকালে স্কুলে যাচ্ছি তখন দেখি সামিয়া রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছে,,
আমি না দেখার ভান করে ওকে ক্রস করে চলে এলাম,,
সামিয়া ও আমার এমন‌‌ কাজ দেখে অবাক,,,
((আমার এখন নিজেকে সেলিব্রিটি মনে হচ্ছে,,
গতকাল থেকে সবাইকে অবাকের উপর অবাক করে যাচ্ছি,,))
সামিয়া--এই রিয়াদ আমাকে ফেলে চলে যাচ্ছ কেন,,?
আমি--আমি নিজের মত হাঁটতে লাগলাম,,
সামিয়া দৌড়ে এসে আমার শার্ট এর কলার ধরে,
সামিয়া--এই তুকে ডাকতেছি কানে শুনতে পায়নি,,?
আমি-কলার ছাড়েন,,
ও সাথে সাথে ছেড়ে দিল,,
সামিয়া--আমাকে ফেলে চলে যাচ্ছ কেন,,,,??
আমি--আপনি বলেছেন পরিক্ষার আগে‌ কোন
যোগাযোগ করতে চান না,,তাই আমিও চেষ্টা করতেছি,, পরিক্ষার আগে আমি আপনাকে চিনি না,,আপনি আমাকে চেনেন না,,আশা করি বুঝতে পেরেছেন,,
সামিয়া--হ্যা,,চল যাওয়া যাক,,
আমি--আমি আপনার সাথে যাব কেন,, আপনার মতো আপনি চলেন,,
সামিয়া--তুই আমার সাথে যাবি,,
আমি--আমি আর কিছু না বলে হাঁটা ধরলাম,,,,((এখন বুঝবি বোরকাওয়ালি পেত্নি অবহেলা কাকে বলে কত প্রকার))

সামিয়াও আমার সাথে হাঁটতে লাগলো,,
হাঁটার সময় ও নানা ভাবে কথা বলার চেষ্টা করেছে,,,
আমি ওর সাথে কথা না বলার জন্য ব্যাগ থেকে ললিপপ বের করে খেতে লাগলাম,,,
আমি ওর কথার কোন জবাব দিচ্ছিনা দেখে ও বিরক্ত হয়ে আমার মুখ থেকে ললিপপ টা টান ‌মেরে নিয়ে নিজের মুখে ঢুকিয়ে দিল,,
ওর এমন কান্ড আমি হতবাক হয়ে গেলাম,,,
আরেক জনের মুখের খাবার আরেক জনে খায় নাকি,,
এক্কেরে রাক্ষুস থুক্কু রাক্ষুসী,,
আমি--আপনি আমার ললিপপ খাচ্ছেন কেন,,? লজ্জা শরম নাই,,? আরেক জনের চুসা ললিপপ আরেক জনে খাচ্ছেন,,ওয়াক থু,,
সামিয়া--আরেক জনের কোথায় আমি আমার সামির টা খাচ্ছি,,,তাতে তুর কি,,
আমি--আমি আর কিছু বললাম না,,,কারন‌বললেও কিছু হবে না,,,,
আপনারা তো‌ জানেন মেয়েদের মুখ স্পিট বোটের চেয়ে দ্রুত,,
স্কুলে চলে আসলে,, আমি আমার মতো ক্লাসে চলে এলাম,

আজ সব স্যার রা ও অবাক হয়ে গেছে,,কারন আমি এই প্রথম সককল স্যার এর পড়া কমপ্লিট করলাম,,
ইস নিজেকে সত্যি সেলিব্রিটি মনে হচ্ছে,,
কিন্তু দুঃখের বিষয় এখন পর্যন্ত কেউ আমার সাথে সেল্পি নিতে এলনা,,
সেদিন এর মত ক্লাস শেষ করে বাসায় চলে এলাম,,ঐ দিনের পর থেকে সামিয়ার সাথে কোন কথা বলি নাই,, সামনে পড়লেও না দেখার ভান করে চলে আসতাম,,,,
যদিও ও কথা বলার অনেক চেষ্টা করেছিল,,
এইভাবে অনেক দিন চলে গেল,, সামিয়ার সাথে কোন কথা হয়নাই,, এখন শুধু পড়া নিয়েই থাকি,,
একদিন স্কুলের মাঠের এক কোনে ‌বসে আছি,
তখনি-----

চলবে....

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com