মেডামের বোরকাওয়ালি মেয়ে । পর্ব - ১৩
একদিন মাটের এক কোণে আনমনে বসে আছি,,
পিছনে ফিরে দেখি অধরা,,
অধরা--এইখানে কি করছ,,?
আমি--কিছু না,,এমনি বসে আছি,,
আধরা--তুমার পাশে বসতে পারি,,,এই বলে বসে পড়ল,,
আমি--হুম,,((অলরেডি বসে পড়ল,,আবার ডং করে অনুমতি নিচ্ছে,,মনে মনে))
অধরা--কি ভাবছ,,?
আমি--কিছু না,,এই বলে চুপ হয়ে গেলাম,,
অধরা--তুমাকে একটা কথা বলব,,if u don't mind..
আমি--এত ইংলিশ বুঝি না,, বাংলা বল,,
অধরা--তুমি যদি কিছু মনে না কর,, তাহলে তুমাকে একটা কথা বলি,,
আমি--ওকে শুরু কর,,,
অধরা--তোমার সিটে খালি আছে,,?
আমি--আমি লোকাল বাস নাকি,,যে সিট খালি থাকবে,,
অধরা--আরে পাগল আমি ঐ সিট এর কথা বলছি না,,
আমি--তো,,
অধরা--তোমার জি এবং আছে,,?
আমি--এখন নাই,,তবে পরিক্ষার পর হবে,,
অধরা--মানে,,????
আমি--মানে অনেক লম্বা,,
অধরা--বুঝিয়ে বল,,
তারপর আমি ওকে সব খুলে বললাম,,
অধরা--ঐ বজ্জাত মেয়ে টা তুমার বঊ হবে,,??
আমি--দেখ সম্মান দিয়ে কথা বল,,
অধরা--আমি ও তুমাকে মনে মনে ভালোবাসি,, কিন্তু আমি বলার সুযোগ ই পেলাম না,,
আমি--তুমি আমার থেকেও ভালো ছেলে পাবে,,,
অধরা--সেটা পাব কিনা যানি না,,তবে তুমার মত একজন কে চাই,,
((এতদিন সিংগেল ছিলাম যে কারো চোখে পড়ে নি,,, এখন বোরকা ওয়ালি কে ভালোবাসতে শুরু করব,, অমনি ভালোবাসার মানুষের অভাব হচ্ছে না,, মনে মনে অধরার চৌদ্দ গুষ্টি কে দুয়া করতে লাগলাম,,))
আমি--তাহলে হুবহু আমাকে কপি করে নাও,,
অধরা--আমি তোমার অরিজিনাল কপি চাই,,
আমি--সেটা তো আর সম্ভব না,, আমার অরজিনাল কপি এখন সামিয়ার কাছে,, তুমি চাইলে আমরা ফ্রেন্ড হয়ে থাকতে পারি,,,,,
অধরা--ওকে ফ্রেন্ড,, হাত বাড়িয়ে,,
আমি--ওকে বলে হাত পকেটে ঢুকায় দিছি,,
অধরা--হাত মিলাবে না,,
আমি--আমার সুরসুরি করে,,
অধরা--পাগল,, হাত মিলা,,
আমি--হুম,,
অধরা--তাহলে হাত মিলাও,,
আমি আস্তে আস্তে হাত এগিয়ে নিচ্ছি,,
যখনি,,,, হাত মিলাতে যাব তখনি,,
আমি--আগে হাত ধুয়ে আস,,
অধরা--কেন,,
আমি--এরকম ময়লা হাতে আমি হেন্ডসেক করি না,,
অধরা--আমার হাত অনেক পরিস্কার আছে,,
হারপিক দিয়ে হাত ধুয়ে আসছি,,
ওর কথা শুনে আমার তো সেই লেভেলের হাসি পেল,,
অধরা--পাগলের মত হাসতে কেন,,?
আমি--হারপিক দিয়ে কেউ হাত ধুই,,হারপিক দিয়ে তো ঐ টা দুই,,,
(((.. আবার আপনারা অন্য কিছু মনে কইরেন না,, আমি কিন্তু টয়লেটের কথা বলেতেছি,,))
অধরা--ঐ টা মানে কি,,??
((আপনারা দেখেছেন বলতে না বলতেই একজনে মাইন্ড করে বসে আছে,,,?
আমি--আরে টয়লেটের কথা বলেতেছি,,,
অধরা--ওও তাই বল,,, হাত মিলাতে বলছি,,(রেগে)
আমি--আচ্ছা,,এই বলে হাত মিলালাম,,
সামনে তাকিয়ে দেখি সামিয়া আমাদের দিকে আসতেছে,,
আমি ও ওকে রাগানোর জন্য বুদ্ধি বের করলাম,,
সামিয়া যখন আমাদের কাছাকাছি চলে আসল,,,
তখনি,,,
আমি--অধরা তুমার হাত গুলো তো খুব সুন্দর,,উপ একদম তুলার মত শক্ত,,
সারাজীবন ধরে থাকতে ইচ্ছে করছে,,এই আরেকটু শক্ত করে ধরনা,,
অধরা আমার কান্ড দেখেতো হতবাক,,
অধরা--কি বলছ এসব,,
আমি ওকে চোখের ইশারায় সামিয়া কে দেখিয়ে দিলাম,,
ও সামিয়া কে দেখে বুঝতে পারল,, আমি এমন কেন করছি,,
আমি--হুম আমি সত্যি বলছি,,, আমার তো আর ছাড়তেই ইচ্ছে করে না,,
অধরা--তা আমার আর কি কি সুন্দর,,?
আমি--তুমার রুপের বর্ণনা আমার কাছে নেই,,
আমি যদি শেখক হতাম,, তুমাকে নিয়ে ইয়া বড় গল্প লিখে ফেলতাম,,
অধরা--তু সত্যি বলছ,,?
আমি--হুম,,তুমি আমাকে ভালোবাসো যে সেটা আগে বলনাই কেন,,,
অধরা--আমার ভয় করতেছিল,,যদি তুমি আমাকে ফিরিয়ে দাও,,
সামিয়া--আমাকে পেলে তুই অন্য মেয়েদের সাথে পিরিতি করিস,,((চোখ তো লাল মরিচ হয়ে গেছে)
আমি--তুমার সিরিয়াল পরিক্ষার পর,, এখন আপাদত এইটাকে দিয়ে কাজ চালায়,,
সামিয়া--তুর কাজ আমি বের করছি,, তুই শুধু দাঁড়িয়ে থাক,,
আমি--মুই পাগল নাকি,,,অধরা আমি গেলাম গুট বাই,,বাবু উমমমাহ,,(অধরা কে ফ্লাইং কিস দিলাম,,))---((আমাকে অবহেলা করা,, এখন বুঝ আর চিপস এর মন ফুল,,))
অধরা--ওকে বাবু,,উমমমাহ,,
সামিয়া --তুর উম্মাহ বের করছি দাঁড়া,,
আমাকে আর পায় কে,,,,
এক দৌড়ে রাস্তায় ,,
হঠাৎ দৌড়াতে দৌড়াতে ভুল করে একটা কুকুর এর লেজে পা দিয়ে দিলাম,,
সাথে সাথে কুকুরের গান শুরু ঘেউ ঘেউ,,
আমি তো ভয়ে শেষ,,, দিলাম দৌড়ের গতি বাড়িয়ে,,
এমা কুকুর টা ও দেখি আমার পিছিয়ে নিচে,,
আমার দৌড়ের গতি আরো বেড়ে গেল,,
কুকুরের দৌড়ানি যারা খাইছেন তারা জানেন,,
কোন রকম বাড়ির সামনে এসে পড়লাম,,
পিছনে ফিরে দেখি কুকুর টা ফিরে চলে যাচ্ছে,,
আমি হাফ ছেড়ে বাঁচলাম,,
যখনি বাসার কলিং বেল বানাবো
তখন,,,,
চলবে.....
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com