অতৃপ্ত আত্মার প্রতিশোধ | পর্ব - ০৩
আমার কাছে আপনাকে দেওয়ার মতো কিছুই নেই যা ছিলো তা আগেই সব শেষ হয়ে গেছে।
সাঈদঃ ঠিক বুঝতে পারলাম না আমি কী কিছু চাইছি আপনার কাছ থেকে.
না চান নি তবুও যদি চাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করে থাকেন তাই বললাম আমার শুধু একটা প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবেন
সাঈদঃ হুম বলেন যথা সাধ্য চেষ্টা করবো..উওর দেওয়ার
থাক আজ আর নাই বা বললাম শুধু একটা সাহায্য করতে পারবেন
সাঈদঃ আমার দ্বারা যদি সম্ভব হয় তাহলে অবশ্যই করবো
তেমন কঠিন কিছু নয় একটা চিঠি লেখতে হবে
সাঈদঃ ও এ আর এমন কী কাজ আমি খাতা কলম নিয়ে আসছি এবার বলুন কী লেখতে হবে
তার পর দিয়ার আত্মা যে কথা গুলো বললে তা শুনে চোখ দিয়ে পানি পড়তে লাগলো একজন বাবা হয়ে কী করে এতটা নিচে নামতে পারে
চিঠি টা ঠিক এমনি ছিলো
আশা করি বাবা আপনি ভালোই রয়েছেন আর থাকবেন নাই বা কেনো..
আমি কখনো কল্পনাও করতে পারি নি আপনি আমার বাবা হয়ে এমন কাজটি করতে পারবেন।
প্রতেক দিন সকাল বেলা যখন ঘুম ভাঙ্গতো তখন নিজেকে ক্ষতবিক্ষত
দেখে নিজেই অবাক হয়ে যেতাম যে এগুলো কী কী করে আমার শরীরে হলো।
কোনো দিন তো ব্যাথায় বিছানা থেকে উঠতে পযন্ত পারতাম লজ্জায় আর ভয়ে আপনাকে কোনো দিন এসব বলতে পারি নি।
মা মারা যাওয়ার পর আমি আপনার মাঝেই আমার পৃথিবী খুজতে লাগলাম।
কিন্তু কী বলবো আপনি সত্যিই এক মহান বাবা যেখানে একজন বাবার দায়িত্ব নিজের
মেয়েকে খুব যত্নে মানুষ করা তার শরীরে বিন্দু মাএ আচ না আসতে দেওয়া সেখানে
আপনিই আমার সর্বশ কেড়ে নিলেন আপনিই আমার সতীতা নষ্ট
করলেন বানিয়ে ফেলেন নিজের মেয়েকে পতিতা
আমিও জানতাম না যে আমার শ্বাসকষ্ট রয়েছে পরে যখন জানতে পারলাম
আমার শ্বাস কষ্ট রয়েছে তখন ভয়ে আপনাকে বলতে পারি নি কারণ আপনি চিন্তা করবেন
সত্যি বলতে আমিই ভুল ছিলাম আপনার প্রত্যকটা স্পর্শ নোংরা।
সে দিন আমার প্রথম পিরিয়ড শুরু হয়েছিলো যেদিন আপনার কারণে আমার মৃত্যু
হয়েছিলো আমি তাদের দোষ দিবো না কারণ তারা টাকার বিনিময়ে আমার শরীরটাকে
আপনার কাছ থেকে কিনে নিয়েছিলো
আপনাকে তো বাবা বলে ডাকতেও ঘৃণা হয় আপনি একজন ধর্ষক ১২ বছরের মেয়ের সাথে
এমন নোংরা কাজ গুলো করতে একটুও মায়া লাগে নি
আমি কাকেই বা এ কথা গুলা বলছি যার শরীরে মন বলতে জিনিস নেই তাকে নাকি
যে শরীর ছাড়া কিছু.
বুঝে না তাকে।
শুধু এতটুকুই বলার আছে আমার মৃত্য শরীরটাকে তো কবর দিতে
পারতেন নাকি পতিতার কখনো মাটি হয় না
নিজের মেয়েকে পতিতা বানিয়ে অনেক টাকাই তো ইনকাম করলেন আজ
সে টাকা গুলো অন্য মেয়েদের পিছনে উড়িয়ে মজা নিচ্ছেন আর না আমি আমার
প্রতিশোধ নিতে চলে আসছি এবার এই পৃথিবী দেখবে একজন অতৃপ্ত আত্মার প্রতিশোধ
ইতি
দিয়া
সাঈদঃ কে আপনি আর এই চিঠির লেখা গুলোর সাথে আপনার সম্পকটা কী আমি জানতে চাই
দিয়াঃ আমার জীবনে ঘটে যাওয়া সব কিছু খুলে বললাম।
সাঈদঃ
দিয়াঃ এই চিঠি টা এখান থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে গিয়ে দিয়া
ভিলা নামে একটা বিশাল বাড়ি দেখতে পাবেন সেখাই এই চিঠি টা পৌছে দিবেন
কথাটা বলতে বলতে ফজরের আযান হয়ে গেলো আমার ছায়াটাও মিশতে শুরু করলো
সাঈদঃ দ্বারাও কই যাচ্ছেন এক পযার্য়ের চলেই গেলো
আচ্ছা একজন মানুষের তো এই পৃথিবীতে বেচে থাকার কোনো
অধিকার নেই যে এই মানসিকতা নিয়ে বেচে রয়েছে।
সকাল বেলা চিঠি টা পৌছে দিয়ে বাসায় এসে দিয়ার কথা ভাবতে লাগলাম
ইসস কত নির্মম ভাবে হত্যা করেছে তাকে...
দিন পেরিয়ে রাত
দিয়ার বাবা কী রেখে গেছে এই ফালতু চিঠি টা এখানে ঠিক তখনি পুরো রুমটা ঘুটঘুটে
অন্ধকার হয়ে গেলো রুমে মধ্যে কোথাও কোনো কিছু দেখা যাচ্ছিলো না
আকাশ কালো হতে শুরু করেছে আকাশের এই রকম ভয়াবহ রুপ এর আগে এমন কেউ দেখে নি
আকাশ জোরে জোরে বজ্র পাত হতে শুরু করলো
দিয়ার বাবা কে ওখানে সাহস আছে তো সামনে আয়
সামনে আসছিস না কেনো তখনি রুমে বিদঘুটে পোড়া লাশের
গন্ধ আসতে শুরু করলো তার পরেই এক ভয়ংকরী আত্মার প্রতিশোধ এর সময় চলে আসছিলো ঠিক তখনি
চলবে....
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com