Breaking News

অতৃপ্ত আত্মার প্রতিশোধ | পর্ব - ০৪

পুরো রুমটায় পোড়া লাশের গন্ধে আস্তে আস্তে ভরে যেতে লাগলো আকাশ তখন সম্পুর্ন কালো হয়ে গেছে চারিদিকে খুব জোরে জোরে বজ্র পাত আর বৃষ্টি পড়তে শুরু করলো।

সাঈদঃ এই সময়ে বৃষ্টি তো বিপদের লক্ষ্মণ কী হতে চলেছে
কিন্তু যা এখনো তা আরো ভয়ানক
দিয়ার বাবাঃ পোরা লাশের গন্ধ কোথা থেকে আসছে আর রুমটা হঠাৎ অন্ধকার
এ বা হয়ে গেলো বাইরে এত জোরে বজ্র পাত আর বৃষ্টি হচ্ছে কেনো...
কিন্তু দিয়ার বাবা এটা বুঝলো না যে তার সাথে এখন যা হতে চলেছে তা সে কোনো
দিনও কল্পনাও করতে পারে নি...
বজ্র পাতের আলো কিছুখন পর পর রুমে এসে পড়ছে তখনি ভয়ানক এক
আত্মা দিয়ার বাবার সামনে সে আর কেউ নয় দিয়াই
দিয়ার বাবা বজ্র পাতের আলোয় অাবছা আবছা দেখতে পাচ্ছে তার
সামনে কেউ একজন দারিয়ে আছে
ঠিক তখনি তার সামনে হঠাৎ দিয়া চলে আসলো সম্পুর্ন নগ্ন অবস্থায় শরীরের
কোথাও এতটুকু কাপড় বলতে জিনিস নেই
শরীর থেকপ টপ টপ রক্ত ছড়ছে চোখ দুটো লাল শরীর থেকে পোড়া লাশের গন্ধ
দিয়ার বাবাঃ দিয়া তুই... ই........

দিয়াঃ এ আজ আমি দিয়া নই এক ভয়ানক আত্মা আমি আমার মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে আসছি
কিন্তু আপনি এটা ভাবেন না যে আপনাকে আমি এত সহজে মেরে ফেলবো তিলে তিলে মরে ফেলবো যেভাবে আপনি আমাকে তিলে তিলে শেষ করে দিয়েছেন
বানিয়ে দিয়েছেন সামজের চোখে পতিতা আজ সেই পতিতাই তার সম্মান নষ্টের
প্রতিশোধ নিতে চলে এসেছে
বলেই একটা মোটা দড়ি দিয়ে বেধে ফেললো দেওয়ালের সাথে ...
দিয়ার বাবাঃ আমাকে ছেড়ে তুই প্লিজ আমি মরতে চাই না আমি তোর বাবা
দিয়াঃ হা হা হা হা বাবা কী সেটা আপনি জানে না যদি বাবাই হতেন তাহলে আজ আমি এই সুন্দর পৃথিবীতে মুক্ত ভাবে বেচে থাকতে পারতাম
আপনার কী একবারো মনে হয় নি আমি যে নোংরা কাজ গুলো আমার মেয়ের সাথে করছি সে যদি কখনো জানতে পারে তাহলে তার মনের অবস্থা কী হতে পারে
বলেই একটা ছুরি দিয়ে হাত কেটে তার নাম লিখতে শুরু করলো যেভাবে সেই লোক গুলো তার শরীরে তাদের নাম গুলো লেখেছিলো
দিয়ার বাবার চিৎকার শুনার মতো কেউ নেই সব আওয়াজ গুলো চার দেওয়ালের মাঝে বন্দি....
দিয়াঃ কেমন লাগছে সে দিন এর থেকেও বেশি ব্যাথা লেগেছিলো আমায়...
এর পর কেটে যাওয়া হাতে মরিচ এর গুরো লাগিয়ে দিলো
হাতের ব্যাথার যন্ত্রণায় দু চোখ দিয়ে অন্ধকার দেখতে শুরু করলো
এই যন্ত্রণায় বেচে থাকার চেয়ে মরে যাওয়া অনেক ভালো

আমাকে মেরে ফেলো আমি এই যন্ত্রণা সহ্য করতে পারছি না
দিয়াঃ এটা তো কেবল শুরু আমি তো বলেই দিয়েছি তিলে তিলে মরে ফেলবো
মৃত্যুর যন্ত্রণা কী সেটা হারে হারে টের পাবেন
বলেই কোথায় যানি হারিয়ে গেলো দিয়ার আত্মা সাথে সাথে পুরো রুম থেকে
মুছে গেলো অন্ধকার চলে গেছে সেই পুরা লাশের গন্ধ আকাশ আবার আগের মতো স্বাভাবিক হয়ে গেছে
বাড়ির কাজের লোক এসে দিয়ার বাবাকে মাটিতে পড়ে থাকতে দেখে তাকে বিছানায়
তুলেন এর পর হাতটা ভালো মতো ধুয়ে ব্যান্ডেজ করে নিলেন।
রাএি তখন ২ টা
সাঈদঃ কিছুতেই ঘুম আসছিলো না আচ্ছা দিয়া দেখতে কেমন ছিলো
আমার তাসফিয়ার চেও কী বেশি সুন্দরী ছিলো
তখনি মনে হচ্ছে কেউ রুমে আসছে
আমি নিশ্চিত এটা দিয়াই
দিয়া যখন রুমে আসে তখন পুরো রুম অন্ধকার হয়ে যায়
আমি কী আপনার এখানে থাকতে পারি
সাঈদঃ হুম কিন্তু আমার এখানেই কেনো
আমার শেষ ইচ্ছে টা পুরণ করে দিবেন
সাঈদঃ কী সেটা

সময় হলে নিজে থেকে বলবো আজ আর বলবো না
আচ্ছা আপনি কখনো কাউকে মন থেকে ভালোবেসেন
সাঈদঃ হুম একজনকে খুব ভালো বাসি যাকে ছাড়া অন্য কারো কথা ভাবতেও পারি না
দিয়াঃ ভালোবাসা জিনিস ঠিক এমনি আমিও একজনকে খুব ভালোবাসতাম তাকে
ছাড়া এক মুহুর্ত থাকতে পারতাম না
আমি তাকে কথা দিয়েছিলাম তাকে ছেড়ে কখনো যাবো না আজ দেখো আমিই
স্বাথপরের মতো তাকে ছেড়ে চলে এসেছি জানি না সে কেমন আছে
হয়তো সে আজো আমার অপেক্ষায় বসে রয়েছে
সাঈদঃ কে সে।
সে কী জানে না আপনি মারা গিয়েছেন
দিয়াঃ না সে আমার মনটাকে ভালোবাসতো আমার শরীরকে না আমাদের
রিলেশন পর তার সাথে কোন দিন বোরখা ছাড়া দেখা করিনি সে কোনো দিন আমার
মুখটা দেখতে চাইতো না বলতো আমি তোমার মনটাকে ভালোবাসি তোমার রুপটাকে না

সাঈদঃ কিছু ভালোবাসা অসমাপ্তই রয়ে যায়
দিয়াঃ আমার শেষ ইচ্ছে টা হলো আমি একবার আমার রাফির সাথে দেখা করতে চাই
সাঈদঃ কিন্তু এটা কীভাবে সম্ভব
দিয়াঃ এর জন্য আমার একটা শরীরের দরকার শুধু একটা বার আমি রাফির সাথে দেখা করতে চাই
সাঈদঃ এখানে আমি কীভাবে সাহায্য করতে পারি।
দিয়াঃ একটা নিষ্পাপ শরীরেরই শুধু আমি প্রবেশ করতো পারবো
সাঈদঃ ও ও আচ্ছা আমি দেখি কী করা যায়
তার পর আরো কিছু কথা বলে রাত পার করে ফেললাম পরে দিন সকাল বেলা বিছানা থেকে উঠে সোজা নদীর পাড়ে চলে আসলাম তাসফিয়াকেও এখানে আসতে বলছি
কিছু খন পর তাসফিয়া চলে আসলো
এসেই খুব শক্ত করে জরিয়ে ধরলো
তাসফিয়াঃ এত সকাল সকাল আসতে বলছো কেনো আর তোমাকে এমন দেখাচ্ছে কেনো
সাঈদঃ এমনি রাতে ঘুম হয় নি
তাসফিয়াঃ ও আচ্ছা আমি তোমার কথা বলেছি
সাঈদঃ কী 😦😦
তাসফিয়াঃ বাবা প্রথমে রাগ করেছিলো পরে কিছু বলে নি

সাঈদঃ আমি তো এখনো আম্মুকে বলতে সাহস পাই নি তুমি তোমার আব্বুকেই বলে ফেলে ভয় লাগে নি
তাসফিয়াঃ না আজ হোক কাল হোক আমি তো তোমাকেই বিয়ে করবো তাহলে বলতে ভয় কীসের।
সাঈদঃ হুম আচ্ছা একটা রাখবে আমার
তাসফিয়াঃ আজ পযন্ত কোন কথাটা রাখিনি তোমার
সাঈদঃ না মানে এই কথাটা শুনার পর আমাকে পাগল ও মনে হতে পারে
তোমার কিন্তু কথাটা রাখতে হবে তোমায়
তার পর দিয়ার কথা বললাম তাকে
তাসফিয়াঃ হুম সবি বুঝলাম কিন্তু তুমি কীভাবে একটা মেয়ের আত্মার সাথে কথা বলতে পারো এটা বিশ্বাস হচ্ছে না আমার।
সাঈদঃ জানি এটাই স্বাভাবিক আজ রাতে আমার বাসায় আসতে পারবে
তাসফিয়াঃ হয়তো না আব্বু আজ বাসায় থাকবে না তুমি আসো আমাদের বাসায়
সাঈদঃ আচ্ছা ( কী করবো একটা মেয়েকে তো ওত রাতে কোনো মা বাবা বাসা থেকে বেড় হতে দিবে না তাই আমাকেই যেতে হবে)
তার পর তাসফিয়াকে বিদায় জানিয়ে বাসায় চলে আসলাম
শুধু অপেক্ষা রাত হওয়ার আচ্ছা আজ দিয়া আসবে তো

চলবে....

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com