বাড়িওয়ালার ছেলে । পর্ব - ০৬
২-৩ মিনিট খুব শক্ত করে চেপে ধরে রাখলাম ইলমাকে।
ইসস্ এই ছাড়ঁ আমাকে,,মেয়ে দেখলেই শুধু জড়িয়ে ধরতে মন চায় তাই না ফাজিল লোক কোথাকার(ইলমা)। সাথে সাথে ছেড়ে দিলাম।
জ্বি আমি আগে থেকেই একটু ঐ রকম (আমি)।
এই আপনি লুচ্চা না কি (ইলমা)।
কেনো লুচ্চামির কি করলাম (আমি)।
হয়ছে হয়ছে থাক যা বুঝার তা আমি বুঝে গেছি এখন কোনো কথা না বলে আমার সাথে বাজারে চলেন (ইলমা)।
আমি বাজারে যাবো না (আমি)। আচ্ছা ভালো কথা,, ঐ ভুইড়া কোথায় ওনাকে নিয়ে যাবো (ইলমা)।
এই বলে ইলমা মামার রুমের দিকে যাওয়া শুরু করলো। মনে মনে ভাবছিলাম কি করবো।
এদিকে মামার জ্বর। কোনো উপায় খুজে না পেয়ে? আচ্ছা দাড়াঁন আমি যাবো বাজারে (আমি)।
তারপর ইলমা আর মামার কাছে গেলো না। বডিগার্ডের মতো ইলমার গাড়িতে ওঠে পরলাম।
গাড়িতে বসে বসে ভাবছি জীবনে কোনোদিন বাজার করিনি? দেখি আজ কি হয়।
বজারে এসে নেমে পড়লাম। আমার হাতে ২ টা বাজারের ব্যাগ দড়িলো দিলো ইলমা।
মনে হচ্ছিল আমি তার পার্সোনাল কর্মচারী। মনে মনে একটু বিরক্ত হলেও কিছু করার নেই।
সমস্ত বাজার শেষ করলাম দেখি ব্যাগ গুলো রীতিমতো অনেক ভারি হয়ে গেছে।
এই যে শোনেন আমি ২ টা ব্যাগ একসাথে নিতে পারছি না আপনি একটা ধরেন (আমি)।
আমি এইসব ব্যাগ নিতে পারবো না? আর আপনাকে নিয়ে এসেছি কেনো(ইলমা)।
মন চাইছিলো ওর বাজারগুলো ফেলে চলে যাই। কিছু বলতেও পারছি না।
কি করবো বুঝতেও পারছি না? কোনো কিছু না ভেবে ২ টা ব্যাগই মাথায় নিয়ে নিলাম
কুলির মতো এবার ছুটছি ইলমার পিছু পিছু। সবাই মনে করছিলো
আমি হয়তো বাজারের কুলির কাজ করি।
কোনো রকম গাড়িতে বাজার গুলো রাখলাম।
গাড়িতে উঠবো এসময় পিছন থেকে এক লোক?
এই কুলি ভাই আমার চাউলের বস্তা টা একটু এনে দিবেন (অপরিচিত লোক)।
ওই মিয়া এদিকে আসেন,, আমাকে কি আপনার কুলি মনে হয় (আমি)।
কেনো একটু আগেও তো দেখলাম আপনি বাজার টানছেন (অপরিচিত লোক)।
মেজাজটা দেখি আপনি খারাপ করেই ছাঁড়বেন।
ভাই দেখেন এখন কিন্তু আপনার সাথে আমার মারামারি লেগে যাবে এখান থেকে চলে যান (আমি)।
তারপর লোকটি কোনো কথা না বলে চলে গেলো। আমাদের কাহিনী দেখে ইলমা হাসঁছিলো।
তারপর গাড়িতে ওঠে পরলাম এবং বাসায় চলে আসলাম। বাজার টেনে আমি আজ শেষ।
রুমে চলে যাচ্ছি এসময়? এই যে দাড়োয়ান বাবু কোথায় যাচ্ছেন বাজার উপরে কে নিয়ে যাবে হুম(ইলমা)।
কথাটা শোনে রাগে শরীর আগুন হয়ে গেলো
আপনার বাপ নিয়ে যাবে(আমি)।
কি বললেন (ইলমা)। হ্যা ঠিকই বলেছি (আমি)। দাড়াঁন আমি বাবাকে এখনই ফোন দিচ্ছি (ইলমা)।
এই বলে ইলমা তার বাবাকে ফোন দিলো কিন্তু বেটা ঘুষখোর ফোন রিসিভ করলো না।
তারপর ইলমা ইশিতাকে ফোন দিলো এবং ইশিতা নীচে নামলো।
ইশিতা এসে মারামারি করবে এমন অবস্থা। মনে মনে ভাবছিলাম গায়ে শুধু হাত তুলে দেখো !
দুই বোনকে আজ রিমান্ডের নিয়ে কেলানি দিবো।
কোনোমতেই জগড়া করে আমার সাথে জিততে পারলো না।
ফলে হার মেনে ওরা ২বোন বাজার নিয়ে উপরে উঠে গেলো।
আমিও আমার রুমে চলে গেলাম। ২দিন ভালোই চাকরি করলাম এদিকে মামা সু্স্থও হয়ে গেছে।
আর আমিও নিজের জায়গায় ফিরে গেলাম। আর ভাবছিলাম আমাকে বাজারের কুলি বানিয়েছে এর শাস্তি ওদের পেতে হবে।
এভাবেই ১০ দিন পার হয়ে গেলো। আর ভার্সিটিও খুলা হয়ে গেছে।
সকাল ৮.০০টার,দিকে মামা ঘুম থেকে ডেকে তুলল। ফ্রেশ হয়ে খাবার খেয়ে বাইক নিয়ে বের
হয়ে পরলাম ঘণ্টায় ১৮০ গতি সীমা। ভার্সিটিতে বন্ধু বান্ধব এর সাথে দেখা করলাম
ক্লাস শেষ করে ১৮০ গতিতে আবার চলে আসলাম। এভাবেই আরও ১ মাস কেটে যায়।
পরিহ্মার রেজাল্ট এর সময় এসে পড়লো। আগামীকাল রেজাল্ট নোটিস বোর্ড এ টানিয়ে দেওয়া হবে।
রুমে বসে বসে চিন্তা করছিলাম কি জানি হয় রেজাল্ট।
রাতে ভালো করে ঘুমটাও হলো না।পরের দিন সকাল ৬.৩০ এর দিকে ওঠে পড়লাম।
ভাবছি একটু বেশি তাড়াতাড়ি ওঠে পড়েছি যাই একটু বাহির থেকে হেটে আসি।
মামাকে বলে আসলাম নইলে মামা আবার আমার জন্য চিন্তা করবে।
হাটতে হাটতে পার্কে চলে আসলাম। অবশ্য পার্কটা আমাদের বাসার কাছেই ছিলো।
একটু বসলাম দেখি পার্কে অনেক লোকজন।
সাধারণত শহর এলাকায় সকালে অনেক মানুষই হাটতে বের হয়। বসে বসে হাওয়া খাচ্ছি এসময়,,,,
দেখি ইশিতা,,, একটি ছেলের হাত ধরে বসে বসে গল্প করছে। হঠাৎ করে আমাকে দেখে ফেলল।
আমাকে দেখে চমকে উঠলো সে। ইশিতা মনে মনে ভাবছিলো আমি এখানে কি করতেছি।
সত্যি বলতে আমি পার্কে তেমন একটা আসি না।
ইশিতা ছেলেটার হাত ছেড়ে দিয়ে তাড়াহুড়া করে বাসার দিকে চলতে লাগলো।
এদিকে আমারও সময় হয়ে গেছে তাই আমিও বাসার দিকে আসতে লাগলাম।
গেইট দিয়ে ডুকতেই দেখি ইশিতা দাড়িঁয়ে আছে।
আমি রুমে যাবো এসময়? এইযে সাঈম ভাইয়া শোনেন (ইশিতা)।
কি ব্যাপার ভূতের মুখে রাম রাম কাহিনী কি? জ্বি কিছু বলবেন (আমি)।
আমতা আমতা করে আসলে আজকে আমার সাথে যেই ছেলেটাকে দেখেছেন ঐ কিন্তু আমার
বন্ধু অন্য কিছু না (ইশিতা)।
মনে মনে বন্ধু হোক বা বর হোক তাতে আমার কি? হুম সবই বুঝি থাক আর বলতে হবে না (আমি)।
ভাইয়া প্লিজ আপনি আবার বাবাকে কিছু বইলেন না (ইশিতা)। মনে মনে এবার পাইছি?
এই সুযোগটা কাজে লাগাতে হবে। বলবো না মানে ১০০বার বলবো, আপনার বাবা
আপনাদের ২ বোনকে আমায় দেখতে বলেছে আর এজন্য প্রতি মাসে কিছু টাকাও আমাকে দেয়
(আমি)। কেঁদে কেঁদে বলতেছে ভাইয়া প্লিজ বাবা আমাকে অনেক পেদাবে প্লিজ বলিয়েন না (ইশিতা)।
আচ্ছা বলবো না তবে একটা শর্তে (আমি)।
জ্বি ভাইয়া আপনার যেকোনো শর্তে আমি রাজি কি শর্ত বলেন (ইশিতা)।
আমার সব কথা আপনার শোনতে হবে (আমি)। ইশিতা ৫ মিনিট চিন্তা করার পর?
আচ্ছা ঠিক আছে আমি রাজি তবুও আপনি বাবাকে কিছু বইলেন না (ইশিতা)।
আচ্ছা ঠিক আছে এখন আপনি আসেন(আমি)। এই বলে আমি রুমে চলে আসলাম।
বসে বসে ভাবছি এরা তো খুবই বেক্কল দেখছি। বেটা ঘুষখোরকে আমি তো ভালো করে চিনিও না।
আর হাসছি ভালোই বোকা বানালাম মেয়েটাকে। এদিকে ভার্সিটিতে আজ রেজাল্ট মা বাবার কাছ থেকে
দোয়া নিয়ে নিচে নেমে পড়লাম। তারপর মামাকে বললাম মামা আমার জন্য দোয়া করো।
বাইক start দিলাম। থাক আজ আর গতির কথা বলবো না?
গতির বিষয়টা তো জানেনই। সোজা ভার্সিটিতে পৌছে গেলাম।
দেখি নোটিস বোর্ডে রেজাল্ট টানিয়ে দেওয়া হয়েছে সবাই দেখছে।
বাইক পার্কিং করলাম। নোটিশ বোর্ডের কাছে যাবো এসময় তানিজলা এসে আমাকে জড়িয়ে ধরলো।
এই ছাড়ঁ কি করতেছিস এসব হুম? অনেক খুশি মনে হচ্ছে আজ তোকে (আমি)।
হ্যা দোস্ত আমি আজ অনেক খুশি (তানজিলা)। কেনো রে কি হয়েছে পরিহ্মায় পাস করেছিস (আমি)।
দোস্ত শুধু পাস করিনি ২য় হয়েছি (তানজিলা)। ওহ আচ্ছা তাহলে এবার মিষ্টি খাওয়া (আমি)। মিষ্টি তো তুই খাওয়াবি আমাদের (তানিজলা)।
কেনো আমি মিষ্টি খাওয়াতে যাবো কেনো (আমি)।কারণ তুই প্রথম হয়েছিস (তানজিলা)।
তানজিলার কথা শোনে দৌড়ে নোটিস বোর্ড এর কাছে গেলাম। আমার রেজাল্ট দেখলাম
সত্যিই আমি প্রথম হয়েছি।
উফফ্ প্রচণ্ড খুশি হলাম। বাইক start দিয়ে বাসায় চলে আসলাম। প্রথমেই মামার সাথে
দেখা?মামা আমি প্রথম হয়েছি(আমি)। দেখি মামা আমার কথা শুনে অনেক খুশি হলেন।
দোয়া করি বাবা তুমি অনেক বড় হও (মামা)। দোয়া করো মামা। এই বলে সোজা উপরে উঠে পরলাম।
অনেক খুশি বুঝতেই তো পারছেন। রুমে ডুকেই মা আমি প্রথম হয়েছি (আমি)।
দেখি মা আর ইশিতা গল্প করছিলো। ইশিতা এবার শোনে ফেলল।
মা আর কিছু বলতে পারলো না। আর আমিও বোকা হয়ে গেলাম কি বলবো ভাবতে পারছি না।
চলবে....
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com