বাড়িওয়ালার ছেলে । পর্ব - ০৪
ভাইয়া তোমরা একটু সাইট হও আমি তো কিছুই দেখতে পারছি না (আমি)। কিন্তু আমার কথা শোনে কে? মনে হচ্ছে তারা প্ল্যানে উঠে পড়েছে তাদেরকে আর কেও নীচে নামাতে পারবে না। মনে হচ্ছে এখন বিপদে ওরা না আমি পড়েছি।
সাইকেলের চাকার দিকে তাকালাম দেখি চাকার হাওয়া শেষ বলে মনে হচ্ছে। সাইকেল টা মনে হচ্ছে আজ ভেঙে যাবে। কিন্তু মামার সাইকেল কিছু হলে আমার আর রহ্মা নেই।





সত্যি কথা বলতে কোনোদিন ৩ জন যাএী নিয়ে কখনো সাইকেল চালাই নি আর আজ ১০ জন। কিছু করার নেই কোনোমতে বাইক start দিলাম সামনে কিছু দেখতে পারছি না তবুও চালাচ্ছি? বাচ্চাদের বলেছি সামনে কোনো গাড়ি আসলে আমাকে বলতে। 





খেয়াল করলাম রাস্তার সকল লোকজন আমার দিকে তাকিয়ে আছে আমি মনে হয় সার্কাস দেখাচ্ছি সবাই তাই মনে করলো। কিন্তু কারও দিকে না তাকিয়ে আমি নিজের মতো বাইক চালাচ্ছি। কোনোমতে সামনের মোরে বাচ্চাদের নামিয়ে দিয়ে নিজের বাসায় চলে আসলাম।





বাসায় গিয়ে খেয়াল করছিলাম সাইকেলের কোনো হ্মতি হয়েছে নাকি? পিছন থেকে,,,,

সাঈম বাবা এক্সিডেন্ট করছো নাকি এদিক ওদিক কি দেখছো সাইকেলের (আনোয়ার মামা)।
এইরে খাইছে আমারে মামা যদি জানতে পারে এতো যাএী নিয়েছি তার বাইকে তাহলে কাল থেকে আর তার বাইক আমাকে দিবে না।



আরে না মামা আমি দেখছিলাম তোমার চাকার হাওয়া ঠিক আছে কি না (আমি)।

ওহ আচ্ছা ভেতরে গিয়ে ফ্যানের নীচে বসো অনেক ঘেমে গিয়েছো(আনোয়া মামা)।

জ্বি মামা ঠিক আছে (আমি)।

সত্যি কথা বলতে আনোয়ার মামার মতো মানুষ আমি ২য় কাউকে দেখিনি। আমার নিজের মামাও হয়তো কোনোদিন আমাকে এভাবে যত্ন নিতো না। আনোয়ার মামা সারাখন আমার পাশে তীব্র রৌদ্দে ছায়ার মতো পাশে দাড়িঁয়ে থাকে।

তাহলে আপনারাই বলুন ওনাকে রেখে আমি কি করে ৫তলায় বসে বসে আরাম আয়েশ করি।

ঐসব কথা বাদ দেই। বাইক পার্কিং করে রুমে চলে গেলাম। ফ্রেশ হলাম খাবার খেয়ে নীচে নেমে পরলাম ভাবছি পুলিশের মাইয়া ২টা কে কিভাবে একটু শায়েস্তা করা যায়। হঠাৎ একটা বুদ্ধি মাথায় চলে আসে। আমি জানতাম শুক্রবারে তারা দুই বোন একসাথে সকালে হাটতে বের হয়। 





কারণ শুক্রবার সব কিছু বন্ধ থাকে আমাদের ভার্সিটিও বন্ধ থাকে। চিন্তা করছিলাম ঐ দিন একটু দুই শয়তানকে একসাথে আটকাবো?
দেখতে দেখতে শুক্র বার চলে আসলো। সকাল ৭.০০ টায় ঘুম থেকে উঠে পরলাম। দেখি তারা দুইবোন বাসায় ডুকার সময় হয়ে গিয়েছে। আমাদের দেশে সাধারণত সবাই খুব ভৌরে হাটতে বের হয় এবং ৭-৮দিকে আবার বাসায় চলে আসে।





ফ্রেশ হয়ে দুই বোনের জন্য বসে আছি।

[ কি ভাবছেন প্রেম করার জন্য বসে আছি? আরে না দেখুন কি করি ]

হঠাৎই বুঝলাম ম্যাডাম ২টা চলে এসেছে । লিফট্ দিয়ে উপরে উঠবে? এসময় আমিও লিফট্ এর সামনে গিয়ে দাড়িঁয়ে আছি। আমি জানি হিংসুটে ২ বোন আমাকে লিফটে্ যেতে দিবে না তবুও যাওয়ার ভাং করে দাড়িঁয়ে রইলাম।





এই মিয়া আপনি এখানে কি (ইশিতা)।

না আসলে একটু উপড়ে যাবো (আমি)।

উপড়ে যাবেন ভালো কথা তা আমাদের সাথে দাড়িঁয়ে আছেন কেনো (ইলমা) ।

না মানে ঐ লিফট্ দিয়ে যাবো তো তাই (আমি)। লিফট্ দিয়ে যাবেন মানে? যান সিঁড়ি উঠেন (ইশিতা)। 

আমি মনে মনে আজ তোদের দেখ কি করি। 

জ্বি আমি সিঁড়ি দিয়ে যাচ্ছি (আমি)।

এই বলে সিঁড়ির দিকে চললাম। আর এদিকে তারা ২বোন লিফটে্ উঠে পরেছে?

বুজলাম লিফট্ চালু হয়ে গেছে এমন সময় একদৌড়ে সিঁড়ির পাশে গিয়ে লিফট্ এর সুইচ দিলাম OFF করে এবং লিফট্ সাথে সাথে লিফট্ থেমে গেলো। এবং সারা বাড়ির ইলেক্ট্রিসিটির লাইন দিলাম OFF করে এবার ঠেলা সামলাও বাছাধন। যেহেতু বাড়িওয়ালার ছেলে তাই আমি জানতাম পুরো বাসায় কোথায় লাগানো আছে।





আমি সিঁড়ি দিয়ে একটু উপরে উঠলাম এবং শব্দ শোনতে পেলাম তারা ২ বোন চিৎকার করে কাঁদছে। কারণ কারেন্ট না থাকেল লিফট্ বন্ধ হয়ে যায় এটা আমরা সবাই জানি। আর লিফট্ এর ভেতর থেকে বেরও হওয়া যায় না। আমি জানতাম হাটতে বের হয়েছে ওদের কাছে মোবাইল ফোন নেই তাই অন্ধকারে ভয়ে চিৎকার করছে। 







আমি আবার নীচে নেমে পরলাম কারণ যদি আবার আমাকে কেউ দোষারোপ করে তাহলে সমস্যায় পরে যাবো। তাই ভদ্রলোকের মতো নীচে নেমে রুমে গিয়ে কেলিয়ে কেলিয়ে ১০ মিনিট হাসঁলাম। মামা তখন রুমে ছিলো না। বাজারে গিয়েছিলো। আর মনে মনে বলছিলাম ভাড়াটিয়া ভাড়াটিয়ার মতো থাকবা। নইলে এমন অবস্থাই হবে। 





মনে মনে ভাবলাম ভয়ে যদি আবার মরে টরে যায় তাহলে তো আরেক ঝামেলা। মাডার কেস হয়ে যাবে। বাপও আবার পুলিশ। খাইছেরে চোরের মতো সিঁড়ির পাশে গিয়ে সুইচগুলো দিয়ে আবার রুমে চলে এসে ঘুমের বাহানা দরলাম। আর এদিকে বেটা ঘুষখোর আর পুরো বাসার লোকজন সবাই বের হয়ে পড়েছে মেয়েগুলোর চিৎকারের শব্দে।





তারপর আমিও বের হলাম কি? হয়েছে কি হয়েছে? আগলা পিরিত বুঝেনই তো। পরে এক ভাড়াটিয়া আংটির কাছে শোনলাম মেয়ে ২টা নাকি বেহুস হয়ে গিয়েছে লিফটে্ আটকে?

ইসস্ খুশিতে মন আরও একটা নাগিন ডান্স দিলো। দুপুরে জুম্মার নামার পর উপরে খাবার খেতে উঠলাম । টেবিলে খাবার খাচ্ছি এসময়? জানিস আজ কি হয়েছে (মা)। কই না তো? কি হয়েছে (আমি)।

আমার মেয়ে ২টা বেহুস হয়ে পড়েছিলো (মা)।
তোমার মেয়ে মানে? তুৃমি কি আগে আরও বিয়ে করেছিলে না কি? কই আমি তো কিছু জানতাম না (আমি)। 





হারামজাদা, শয়তান আমি আরও বিয়ে করেছি তোকে কে বলেছে (মা)। 



কেনো তুমি নিজেই তো বললা তোমার মেয়ে? আমি তো জানি আমার কোনো বোন নাই,,, আমরা শুধু দুই ভাই (আমি)।



আরে ঐ আমাদের উপরের তালায় থাকে না মেয়ে ২টা ইশিতা আর ইলমা ওদের কথা বলছি (মা)।





ওরে বাবা এই কয়দিনে তোমার মেয়ে হয়ে গেলো (আমি)।
হুম হলো? তাতে তোর কি? ইসস্ মেয়েগুলো ভয়ে আজ লিফটে্
আটকে গিয়ে ভয়ে বেহুস হয়ে গিয়েছে(মা)।





মনে মনে বেশ হয়েছে! 

কি বলো মা সত্যি? কিভাবে হলো এরকম (আমি)। 

লিফট্ দিয়ে উঠার সময় কারেন্ট চলে যায় (মা)।
ইসস্ মেয়ে গুলো কত ভালো তাই না মা (আমি)।
হুম (মা) ।

খাবার খেয়ে নীচে নেমে পড়লাম। আর হাসঁছি। মায়ের সামনে এমন ভাব নিয়ে ছিলাম যেনো ওদের কথা শোনে আমার মাথার উপর আকাশ ভেঙে পরলো? আমি কিছুই জানি না। এদের এভাবেই সাইজ করবো আমি।
চলবে....
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com