Breaking News

ডেন্জারাস ভিলেন লাভার । পর্ব - ৩৪


আরিয়ান উঠে গিয়ে কাবার্ডের কাছে যায়। সিমরান দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে পা নাড়াচ্ছে। আরিয়ান সিমরানের দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসি দিয়ে কাবার্ডের দরজা খুলেই দেখে কাবার্ডের সব জামা কাপড় এলোমেলো করে স্তুপ করে রাখা। এই দৃশ্য দেখে আরিয়ানের ৪২০ ভোল্টের ঝাটকা লাগে। আরিয়ানের মেজাজ ০ ভোল্ট থেকে ৪২৬ ভোল্ট হয়ে গেছে। আরিয়ান ধীরে ধীরে তার চোখ বন্ধ করে দাঁতে দাঁত চেপে বলে,,,,

- Simran, what are these? ( দাঁতে দাঁত চেপে)
- আমি আবার কি করলাম ? ( না জানার ভান করে)
- Who made all the clothes so random? ( রেগেমেগে)
-......................................................( ভয় পেয়ে চুপ হয়ে যায়)
- কথা বলছো না কেনো? ( ধমক দিয়ে)
-......................................................( মাথা নিচু করে থাকে)
- Who did all this? ( জোরে চিৎকার করে)
- আসলে,, ( ভয়ে ঢোক গিলে)
- আসলে কি? ( রেগে)
- ড্রেস চয়েজ করার সময় সব জামাকাপড় এলোমেলো হয়ে গেছে। ( কাঁদো কাঁদো সুরে)
- What? ( রেগেমেগে)
- আমার মনে ছিলো না ঠিক করতে,,, ( কাঁদো কাঁদো সুরে)
- তোমাকে তো,,, ( জোরে ধমক দিয়ে)
- বকা দিচ্ছো কেনো? বললাম তো ভুল হয়ে গেছে,,,, ( কেঁদে কেঁদে)
-......................................................( বিরক্ত হয়ে সিমরানের দিকে তাকায়)
আরিয়ান একরাশ বিরক্তি নিয়ে রুম থেকে বের হয়ে জোহানকে ডাক দেয়। সাথে সাথে জোহান হাজির। আরিয়ান পকেটে হাত ঢুকিয়ে বলে,,,
- দশ মিনিটের মধ্যে আমার পড়ার জন্য কমপ্লিট স্যুট রেডি করে নিয়ে আয়। ( অন্যদিকে তাকিয়ে)
- ওকে বস,, ( মাথা নেড়ে)
- Just 10 miniuits. if you are one second late, you will understand what will happen! ( রেগে)
- Of course boss, not a second will be late...( ভয়ে ভয়ে)
- Good. Go now.. ( ধমক দিয়ে)
আরিয়ান সোজা রুমে চলে যায়। আরিয়ান দেখে সিমরান সেখানে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কাঁদছে। আরিয়ান দীর্ঘ নিশ্বাস ফেলে মনে মনে বলে,,
- বেশিই ধমক দিয়ে ফেলেছি, এটা মোটেও উচিত হয়নি। ধ্যাত, রাগ উঠলে কিচ্ছু মনে থাকে না। এসময় এতো স্ট্রেস নেওয়া একদম ঠিক হবে না। জানটাকে সরি বলা উচিত। হুম,,, ( মনে মনে)
আরিয়ান ধীরে ধীরে সিমরানের কাছে যায়। সিমরান আরিয়ানকে দেখা মাত্রই জড়িয়ে ধরে। আরিয়ান অবাক হয়ে যায়। সিমরান কেঁদে কেঁদে বলে,,

- আমার মনে ছিলো না, আমি বুঝতে পারিনি। ( কেঁদে কেঁদে)
-......................................................( অবাক হয়ে সিমরানের কথা শোনে)
- প্লিজ মাফ করে দাও, ( কেঁদে কেঁদে)
- ইট’স ওকে জান। ( সিমরানকে জড়িয়ে ধরে)
- সত্যি,, ( আরিয়ানের দিকে তাকিয়ে)
- আই লাভ ইউ জান,, ( সিমরানকে জড়িয়ে ধরে)
- আই লাভ ইউ টু। ( হালকা হেসে)
- এসো রেডি হবে। ( সিমরানের দিকে তাকিয়ে)
- আচ্ছা,,, ( মাথা নেড়ে)

আরিয়ান অন্য কাবার্ডে রাখা সিমরানের একটা ল্যাভেন্ডার কালার গাউন বের করে। আরিয়ান সিমরানের হাতে গাউন দেয়। সিমরান গাউন নিয়ে ওয়াশরুমে যায়। এদিকে জোহান আরিয়ানের স্যুট দিয়ে যায়।
আরিয়ান স্যুট পড়ে রেডি হয়ে নেয়। সিমরান গাউন পড়ে বের হয়। আরিয়ান সিমরানের হাত ধরে নিয়ে ড্রেসিং টেবিলের সামনে বসায়। আরিয়ান সিমরানের চুল আঁচড়ে দেয়। সিমরান কানে ম্যাচিং কালার ঝুমকা পড়ে, হাতে গ্লিটারিং চুড়ি পড়ে। ঠোঁট ভায়োলেট কালার লিপস্টিক আর চোখে হালকা কাজল দেয়।
আরিয়ান ব্ল্যাক কোট ভায়োলেট কালার শার্ট সাথে ব্ল্যাক রেড মিক্স কালার টাই। চুল স্পাইক করে, হাতে ব্রান্ডেড ওয়াচ আর ব্ল্যাক সু পড়ে। সিমরান আর আরিয়ান দুজন রেডি হয়ে যায়।
আরিয়ান, সিমরান আর অয়ন তিনজন বাসা থেকে বের হয়ে গাড়িতে ওঠে। সিমরানের পাশে আরিয়ান বসে। অয়ন ড্রাইভারের পাশে বসে। ড্রাইভার গাড়ি স্টার্ট দেয়। সিমরান বাহিরের দিকে তাকিয়ে আছে। আরিয়ান সিমরানের কাঁধে হাত রেখে বলে,,,
- চিপস খাবে? ( সিমরানের কাঁধে হাত রেখে)
- হ্যাঁ দাও,, ( মুচকি হেসে)

আরিয়ান সিমরানের হাতে চিপসের প্যাকেট দেয়। সিমরান আরিয়ানের কাঁধে মাথা রেখে চিপস খেতে থাকে। কিছুক্ষণ পরে আরিয়ান সিমরানের দিকে তাকিয়ে দেখে সে ঘুমিয়ে পড়েছে। আরিয়ান সিমরানের কাঁধে হাত রেখে নিজের কাছে এগিয়ে আনে। অয়ন ফ্রী ফায়ার খেলছে। আরিয়ান সিমরানের ঘুমন্ত মুখের দিকে তাকিয়ে মনে মনে ভাবে,,,
- আগের সিমরান কোথায় যেনো হারিয়ে গেছে, সেই সিমরানকে ব্যাকুল হয়ে খুঁজছি কিন্তু সে যেনো ধরা দিতে চাইছে না। তুমি বদলে যাওয়ার পরে আমার সান্নিধ্যে ঠিকই এসেছো তাও মনে হয় তুমি না জেনে বুঝেই আমার কাছে এসেছো। স্মৃতি ফিরলে হয়তো সব ভুলে যাবে, তাতে আফসোস নেই থাকবে তো আমারই হয়ে। I love you jaan, I love you very much...... ( মনে মনে)
হঠাৎ করে ড্রাইভার গাড়ি থামায়। আরিয়ানের ভাবনায় ছেদ ঘটে, আরিয়ান তার ঘোর কাটিয়ে ড্রাইভারের দিকে তাকিয়ে বলে,,,,

- Why stop the car? ( গম্ভীর কণ্ঠে)
- Sir, the cars in front have been stopped... ( সামনের দিকে তাকিয়ে)
- Ask why they stopped the car? ( রেগে)
- Okay sir.... ( মাথা নেড়ে)
ড্রাইভার সামনের গাড়ির ড্রাইভারদের সাথে কথা বলে। ড্রাইভার তাদের কথা শুনে আরিয়ানের দিকে তাকিয়ে বলে,,,
- Sir they said go with the right term. ( আরিয়ানের দিকে তাকিয়ে)
- Okay... ( মাথা নেড়ে)
ড্রাইভার রাইট ওয়েতে গাড়ি ঘুরিয়ে নেয়। আরিয়ানের পেছনে আরও ছয়টি গাড়ি। আরিয়ান মনে মনে বলে,,,
- নিশ্চয়ই কোনো ঝামেলা হবে সামনে। কিন্তু কোনো লাভ নেই সব ব্যাবস্থা করেই আমি বের হয়েছি। ( বাঁকা হাসি দিয়ে মনে মনে ভাবে)

কিছুক্ষণের মধ্যেই আরিয়ানের গাড়ি এয়ারপোর্টে চলে আসে। আরিয়ান সিমরানকে কোলে করে নিয়ে বের হয়। অয়নও বের হয়। গার্ডরা লাগেজ, স্যুটকেস প্লেনে তুলে দেয়। সায়ন দাঁড়িয়ে আছে প্লেনের সামনে। আরিয়ানকে দেখে সায়ন আরিয়ানকে ইশারা করে বলে,,,
- সব ঠিক আছে বস,, ( ইশারায় বলে)
- ভেরি গুড,, ( মাথা নেড়ে)
আরিয়ান সিমরানকে নিয়ে সিঁড়ি দিয়ে উঠে প্লেনের ভেতরে চলে যায়। পেছনে পেছনে অয়নও ওঠে। বাহিরের সব দিক দেখে সায়নও প্লেনে ওঠে।
আরিয়ান সিমরানকে সীটে বসিয়ে দেয়। সিমরানের ঘুম ভেঙে যায়। সিমরান চোখ মেলে তাকিয়ে হাই তুলে আশেপাশে তাকিয়ে সব দেখে আরিয়ানের দিকে তাকিয়ে বলে,,
- আমরা কোথায় যাচ্ছি?(আরিয়ানের দিকে তাকিয়ে)
- ভুলে গেছো? ( অবাক হয়ে)
- বলোনা কোথায় যাচ্ছি? ( বিচলিত হয়ে)
- সারপ্রাইজ,, ( মুচকি হেসে)
- আরে আরে দরজা কেনো বন্ধ হচ্ছে, আমি কোথাও যাবোনা। ( প্লেনের গেইটের দিকে তাকিয়ে)
- জান কুল হও,, ( সিমরানের হাত ধরে)
- আমি কোথাও যাবো না কেনো আমাকে জোর করে নিয়ে যাচ্ছো? ( রেগেমেগে)
- জান,, ( সিমরানের দিকে তাকিয়ে)
- চুপ করো,, ( ধমক দিয়ে)
-...............................................( মাথা নিচু করে)

আরিয়ান সিমরানের ধমক শুনে চুপ হয়ে যায়। আরিয়ানের দূর্দশা দেখে অয়ন তার সীট থেকে উঠে এসে সিমরানের সামনে বসে বলে,,
- ভাবি আমরা এমন জায়গায় যাচ্ছি যেখানে গেলে তুমি অনেক খুশি হবে। ( সিমরানের দিকে তাকিয়ে)
- আমি এখানে থাকবো,, ( রেগে)
- ভাবি কথা তো শোনো,, ( বিচলিত হয়ে)
সিমরান অয়নের কথা না শুনেই অয়নের গালে ঠাশ করে চড় মারে। অয়ন গালে হাত দিয়ে চুপচাপ আরিয়ানের দিকে তাকায়, আরিয়ান অন্যদিকে তাকায়। সিমরান রেগেমেগে আরিয়ানের দিকে তাকায়, আরিয়ান দুই গালে হাত রেখে বলে,,,
- আমি কিন্তু কিচ্ছু বলিনি,, ( ঢোক গিলে)
- আমি যাবো না, ( রেগে)
- তাহলে প্লেন থেকে নেমে যাও। ( থতমত খেয়ে)
- আমার সাথে তুমিও নামবে,( রেগেমেগে)
- কেনো? আমি কেনো নামবো? আমি এখানে থাকতে চাই না, তোমার ইচ্ছে তুমি থাকো। ( সিমরানের দিকে তাকিয়ে)

- আমি একা থাকবো নাকি, ( অবাক হয়ে)
- অয়ন ভাই তুমি একটু অন্যপাশে যাওতো,, ( অয়নের দিকে তাকিয়ে)
- ওকে ভাই,, ( মাথা নেড়ে)
অয়ন গালে হাত দিয়ে চুপচাপ উঠে একদম পেছনের সীটে গিয়ে বসে।
আরিয়ান সিমরানের দিকে তাকায়। সিমরান রেগেমেগে আরিয়ানের দিকে তাকায়।
আরিয়ান বসে ছিলো আর সিমরান ছিলো দাঁড়িয়ে।
আরিয়ান আচমকা সিমরানের হাত ধরে টান দেয়,
সিমরান আরিয়ানের ওপর পড়ে যায়। আরিয়ান সিমরানের দিকে তাকিয়ে বলে,,
- এতো রাগ করতে হয় না জান,, ( মুচকি হেসে)
- ছাড়ো আমাকে, ( রেগেমেগে)
- উহুম ছাড়বো না,, ( মাথা নেড়ে)
- তাহলে তোমাকেও মারবো। ( দাঁতে দাঁত চেপে)
- ওখে তাহলে আমিও কিস করবো। ( বাঁকা হাসি দিয়ে)

সিমরান আরকিছু বলতে যাবে তার আগেই আরিয়ান সিমরানের গালে হাত রাখে, সিমরান স্তব্ধ হয়ে যায়। আরিয়ান সিমরানের কাছাকাছি আসে। সিমরান চোখ বন্ধ করে ফেলে।
আরিয়ানও ধীরে ধীরে চোখ বন্ধ করে।
সিমরান আরিয়ানের নিশ্বাস অনুভব করছে।
আরিয়ান সিমরানের ওষ্ঠে তার ওষ্ঠ ডুবিয়ে দেয়।
সায়ন আরিয়ানের দিকে আসতে নিয়ে সিমরান আর আরিয়ানের রোমান্স দেখে ধাপ
করে অন্য সীটে বসে পড়ে।
কিছুক্ষণ পরে আরিয়ান সিমরানকে ছেড়ে দেয়। আরিয়ান সিমরানের কপালে কপাল রেখে নিশ্বাস নেয়। সিমরান তার সীটে বসে। আরিয়ান সিমরানের দিকে তাকায়।
সিমরান সামনের দিকে তাকিয়ে থাকে । এয়ার হোস্টেস এসে আরিয়ানকে কিছু ড্রাই ফুড দিয়ে যায়।
আরিয়ান তা সিমরানকে খাইয়ে দেয়।

দীর্ঘ সময় পাড় হয়ে যায়। প্লেন এসে বাংলাদেশের জিয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে ল্যান্ড করে।
প্লেনের গেইট খোলা হয়। আরিয়ান, সিমরান, অয়ন আর সায়ন প্লেন থেকে নামে।
সেখানেও আরিয়ানের গার্ডরা তাদের সংবর্ধনা জানায়।
সবাই মিলে এয়ারপোর্ট থেকে বের হয়ে গাড়িতে ওঠে।

সিমরানের কাছে যেনো সব নতুন লাগছে। রাস্তায় তেমন জ্যাম নেই তাই সিমরানের বাসায়
পৌঁছাতে বেশি সময় লাগেনি। গাড়ি এসে সিমরানের বাসার সামনে থামে।
আরিয়ান, সিমরান, অয়ন বের হয়ে সিমরানের বাসার দরজার সামনে দাঁড়িয়ে কলিং বেল বাজায়।
তখনই সিমরানের ছোটো ভাই মাহিন এসে দরজা খুলে দেয়।
সিমরানকে দেখে মাহিন আবেগাপ্লুত হয়ে পড়ে।
সিমরানের আম্মু মিস মিলিও দরজার কাছে চলে আসে।
সিমরানকে দেখে সে বাকরূদ্ধ হয়ে যায়।
মাহিন সিমরানকে জড়িয়ে ধরে সিমরান থ হয়ে যায়। মাহিন কান্না করতে করতে বলে,,,
- আপুনী তুমি এসেছো? জানো আপুনী আমরা তোমাকে কতো মিস করেছি?
তুমি খুব পঁচা বিদেশে যাওয়ার পর আমাদের সবাইকে ভুলে গেছো।
একটু কথাও বলোনি। জানো বাবা কতো কষ্ট পেয়েছে? ( সিমরানকে জড়িয়ে ধরে)

- কে তুমি? আমাকে আপুনী কেনো বলছো?( মাহিনের দিকে তাকিয়ে)
- আপুনী,,, ( অবাক হয়ে সিমরানের দিকে তাকায়)
সিমরানের কথা শুনে আরিয়ান আর অয়ন একে অপরের দিকে তাকাতে থাকে।
সিমরানের আম্মু কান্না করতে করতে সিমরানের কাছে এসে সিমরানের হাত ধরে বলে,,,,
- কেমন আছিস মা? কেমন আছো বাবা? ( সিমরানের হাত ধরে)
- ভালো, আপনাকে তো চিনলাম না। ( মিস মিলির দিকে তাকিয়ে)
সিমরানকে আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে আরিয়ান মিস মিলির দিকে তাকিয়ে বলে,,,
- আলহামদুলিল্লাহ ভালো, আপনারা কেমন আছেন? ( হালকা হেসে)
- আমরা ভালো আছি বাবা কিন্তু সিমরান এসব কি বলছে? ( অস্ফুট স্বরে)
- ভেতরে চলুন তারপর সব বলছি,, ( সিমরানের দিকে তাকিয়ে)
- কথায় কথায় ভুলেই গেছি। এসো বাবা তোমরা ভেতরে এসো। ( চোখের পানি মুছে)
আরিয়ান সিমরানের হাত ধরে ভেতরে নিয়ে আসে।
সিমরানের কাছে সবকিছু নতুন মনে হচ্ছে। মাহিন সিমরানের হাত ধরে বলে,,
- আপুনী তুমি যাওয়ার পরে আমি প্রতিদিন তোমার রুম গুছিয়ে পরিপাটি করে রাখতাম যাতে তুমি এসে রুম পরিষ্কার দেখে খুশি হও।

- আমি তো এই বাসায় আগে কখনো আসিনি। আমার তো মনে পড়ে না। ( মাথা নিচু করে)
- আপুনী কেনো দুষ্টামি করছো বলোতো? ( বিচলিত হয়ে)
- আমি তো,, ( মাথা নেড়ে)
আরিয়ান সিমরানের দিকে তাকায়, সিমরান ও আরিয়ানের দিকে তাকায়।
আরিয়ান সিমরানের দিকে তাকিয়ে বলে,,
- সিমরান কেনো মজা করছো সবার সাথে,
এতোদিন পরে এসেছো সবার সাথে সুন্দর করে কথা বলো। ( চোখ মেরে)
- আমিতো কাউকেই চিনতে পারছি না। ( আরিয়ানের দিকে তাকিয়ে)
- আসলে কি আম্মু অনেকটা পথ জার্নি করে এসেছো তো তাই এমন উল্টো পাল্টা কথা বলছে। আমরা ফ্রেশ হয়ে আসি কেমন। ( মিস মিলির দিকে তাকিয়ে)
- হ্যাঁ বাবা তাই করো, মাহিন সিমরানকে আর আরিয়ান বাবাকে সিমরানের রুমে নিয়ে যা। আর অয়ন বাবাকে তোর রুমে নিয়ে যা। ( মাহিনের দিকে তাকিয়ে)
- ঠিক আছে আম্মু,, ( হেসে)
মাহিন সিমরান আর আরিয়ানকে তাদের রুমে নিয়ে যায়। আর অয়নকে নিজের রুমে নিয়ে যায়। আরিয়ান রুমে ঢুকেই দরজা লক করে। আরিয়ান রেগেমেগে সিমরানের হাত ধরে বলে,,,
- সমস্যা কি তোমার? ( রেগেমেগে)
- আমি,, ( আরিয়ানের হাত ধরে)
- Shut up just shut up.. ( ধমক দিয়ে)
- বকা দি,,,( কাঁদো কাঁদো সুরে)

- একটা মানুষের স্মৃতি চলে গেলেও সে তার রক্তের মা, বাবা, ভাইকে কি করে ভুলে যেতে পারে? ( অবাক হয়ে)
................( মাথা নিচু করে)
- তোমার কি কিচ্ছু মনে নেই? সব ভুলে গেছো? ( সিমরানের দিকে তাকিয়ে)
.........( মাথা নিচু করে)
- তোমার হয়তো এটাও মনে নেই যে কীভাবে আমাদের বিয়ে হয়েছিলো? ( রেগে)
.........( কাঁদতে কাঁদতে আরিয়ানের দিকে তাকায়)
- কথা বলছো না কেনো? ( ধমক দিয়ে)
- মনে পড়ছে না,, ( কাঁদতে কাঁদতে)
- তোমার সাথে আমার প্রথম দেখা কলেজ রোডে, তুমি আমার গাড়িতে উঠেছিলে বাসায় যাওয়ার জন্য। মাঝপথে তোমার ফেসবুক আইডির নাম জেনে যাই আমি। গাড়ি থামিয়ে বের হই একটা বেইমানকে শেষ করতে তখন তুমি পালিয়ে যাও। তোমার কন্টাক্ট থেকে লোকেশন ট্রেস করে তোমার বাসায় এসে তোমাকে বিয়ে করার প্রস্তাব দেই কিন্তু তুমি না করে দাও। তারপর তোমাকে জোর করে বিয়ে করে আমেরিকায় নিয়ে যাই। ( সিমরানের দিকে তাকিয়ে)
....................( আরিয়ানের দিকে তাকিয়ে শোনে)
- কীভাবে সব ভুলে গেলে সিমরান? ( বেডের ওপর বসে)
- আমি জানি না,, ( কেঁদে কেঁদে)

- আমি কিচ্ছু জানি না। কিচ্ছু মনে নেই আমার। হাজার চেষ্টা করেও কোনোকিছু মনে করতে পারছি না। কেনো আমার মনে পড়ছে না? ( কেঁদে কেঁদে)
- বাদ দাও, এসো ফ্রেশ হয়ে নেবে। ( সিমরানের হাত ধরে)
- না,, ( মাথা নেড়ে)
- চলো বলছি। ( রেগে)
- যাচ্ছি। ( চোখ মুছে)
সিমরান ফ্রেশ হতে চলে যায়। আরিয়ান দীর্ঘ নিশ্বাস ফেলে বেডে বসে। এদিকে অয়ন মাহিনের রুমে চলে আসে। অয়ন বললাগেজ রেখে বেডের ওপর বসে মাহিনের দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করে,,
- নিশা কেমন আছে? ( মাহিনের দিকে তাকিয়ে)
- নিশা আপুনী! ( অবাক হয়ে)
- হুম নিশা আপুনী,, ( মাথা নেড়ে)
- সে তো ভালোই আছে, সে যদি শোনে সিমরান আপুনী এসেছে তাহলে এখনই চলে আসবে। ( হেসে)
- আমি তো তাই চাই,, ( মনে মনে)
- চলো ভাইয়া ফ্রেশ হয়ে নেবে। ( অয়নের দিকে তাকিয়ে)
- ঠিক আছে ভাইয়া। ( দীর্ঘ নিশ্বাস ফেলে)
অয়ন ফ্রেশ হতে চলে যায় । সায়ন আরিয়ানের বাসায় গিয়ে সব ঠিকঠাক করছে। আরিয়ান বেডের ওপর বসে আছে। সিমরান ফ্রেশ হয়ে বের হয় হঠাৎ,,,,,

চলবে.....

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com