বাড়িওয়ালার ছেলে । পর্ব - ০৩
একদিন দুপুরে খাবার খেতে উপরে উঠলাম। রুমে গিয়ে? মা খিদে লেগেছে খেতে দাও (আমি)।হঠাৎ, খেয়াল করলাম ভাড়াটিয়া আংকেলের ২ মেয়ে সোফায় বসে গল্প করছে আমাকে দেখে তারা দুজন একটু অবাক হয়ে গেলো? আর মনে মনে ভাবছিলো আমি এখানে কি করি? আমিও একটু অবাক হলাম এই ২ শয়তান মাইয়া এখানে কি করছে ? আমার পরিচয় যদি যেনে ফেলে তাহলে সমস্যা আমি মনে মনে ভাবছিলাম। বুদ্ধি করে আবার ডাক দিলাম? খালাম্মা খেতে দাও খিদে পেয়েছে (আমি)।
মা রান্না ঘর থেকে বেরিয়ে এলো? মা ভাবছিলো তাকে খালাম্মা আবার কে ডাকে? তারপর মা বুঝতে পারলো আমি ঐ মেয়ে দুইটাকে দেখে তাকে খালাম্মা ডাকছি।
বাবা টেবিলে বসো আমি খাবার নিয়ে আসছি (মা)।
ঠিক আছে খালাম্মা (আমি)। টেবিলে বসলাম দেখি শয়তান মাইয়া ২ টা আমার দিকে ডেপ ডেপ করে তাকিয়ে আছে। আমি আমার মতো খাবার খেয়ে নীচে নেমে পড়লাম। এভাবেই আরও ১০-১২দিন কেটে যায়। এদিকে মায়ের সাথে ভালোই সম্পর্ক হয়ে গিয়েছে শয়তান মেয়ে ২টার। প্রতিদিনই তারা দুজন মায়ের কাছে চলে আসে গল্প করতে।
রাতে খাবার খেতে উপড়ে উঠলাম দেখি শয়তান মাইয়া ২ টা মায়ের রুম থেকে বের হচ্ছে। ওরা ওদের মতো ওদের বাসায় চলে যায় আমিও আমার বাসায় ডুকে পরলাম। আচ্ছা খালাম্মা এই মেয়ে দুইটা কে?দেখি বার বার তোমার কাছে আসে (আমি)।
কি বললি ফাজিল? আমি তোর খালাম্মা হই (মা)। একটু হেসেঁ তুমি তো আমার খালাম্মাই (আমি)।
যা তোর আজ খাবার নেই (মা)। বুজলাম মা একটু রাগ করেছে। মাকে জড়িয়ে ধরে? উফফ্ মা তুমিও না ছোট বাচ্চাদের মতো কথায় কথায় শুধু রাগ করো(আমি)।
রাগ করবো না তো কি করবো? তুই আমাকে খালাম্মা বলিস কেনো (মা)। মা তুমি তো আমার বিষয়টা জানো (আমি)।
হয়েছে হয়েছে এবার খেতে বসেন স্যার (মা)।
পৃথিবীর কোনো মা তার সন্তানের উপর রাগ করে থাকতে পারে না। আর এটাই বাস্তব।
খাবার খাচ্ছি আর বলছি? আচ্ছা মা এখন বলোতো ঐ মেয়ে ২টা কে (আমি)।
আরে ওরা আমাদের বাসায় নতুন ভাড়া এসেছে (মা)। মনে মনে হুম ভাড়া এসেছে না বাসা কিনে নিয়েছে তা এইকয়দিনে হারে হারে টের পাচ্ছি।
আচ্ছা ওরা কয় ভাই বোন (আমি)। ওরা দুই বোন কোনো ভাই নেই ইশিতা ও ইলমা (মা)।
ওহ ওদের বাবা কি করে (আমি)।
ওদের বাবা পুলিশ অফিসার (মা)। আচ্ছা? বাবা ঘুষ খায় আর মেয়েরা রাস্তা ঘাটে ডং করে আস্তে করে?
কিছু বললি (মা) ।
কই না তো (আমি)।
আচ্ছা ঐ মেয়েগুলা কি করে (আমি)।
ইলমা ন্যাশনাল ভার্সিটিতে পড়ে আর ইশিতা ফ্যাশন ডিজাইন করে (মা)।
ওদের মধ্যে বড় কে (আমি)।
ইশিতা (মা)।
তারপর আর বুঝতে বাকি রইলো যেই মেয়েটা আমার সাথে একই ভার্সিটিতে সে হলো ইলমা শয়তান ছোট। আর শয়তান নাম্বার 2 হলো ঐ ইশিতা যে আমাকে লিফট্ দিয়ে উঠতে দেয় নি।
জানিস মেয়েগুলো কি ভদ্র? কি সুন্দর করে কথা বলে (মা)।
বুঝতে আর বাকি রইলো না মেয়েগুলো মা কে পটিয়ে ফেলেছে।
কি বলো মা তাই নাকি (আমি)। মার সামনে কিছু না বোঝার বাহানা করলাম।
হে রে মেয়েগুলো খুবই ভালো (মা)।
ওহ আচ্ছা তাহলে তো ভালোই (আমি)।
খাবার শেষ করে নীচে নেমে পড়লাম। আর ভাবছি মেয়েগুলোকে কিভাবে একটু শিহ্মা দেওয়া যায়।
পরের দিন সকালে ডাকছে? সাঈম উঠো বাবা তোমার ভার্সিটির সময় হয়ে গেছে (আনোয়ার মামা)। জ্বি মামা উঠছি (আমি)। ফ্রেশ হয়ে উপড়ে উঠবে এসময়?
এই একটু সাইট দেন তো আমার দেরী হয়ে যাচ্ছে আপনি সিঁড়ি দিয়ে উঠেন (ইশিতা)। কেনো আমিও তো উপড়ে উঠবো (আমি)। আপনি উপড়ে উঠবেন তো আমি কি করবো সিঁড়ি দিয়ে যান নইলে এখানে দাড়িঁয়ে থাকেন(ইশিতা)।
আপনার একা একা লিফটে্ যেতে ভয় করে না(আমি)। আমি এসব ভয় পাই না,আপনি সাইট দেন তো আমার দেরি হয়ে যাচ্ছে (ইশিতা)। এই বলে লিফটে্ উঠে সোজা চলে গেলো। আমি গাধার মতো দাড়িঁয়ে রইলাম। উফফ্ এরা তো খুব অত্যাচার করছে কিছু একটা করা দরকার।
কি আর করবো সিঁড়ি দিয়ে উঠে খাবার খেয়ে নীচে নেমে পড়লাম। মামার বাইকটা নিয়ে ছুটলাম নায়কের মতো। মানে বুঝতেই তো পারছেন আমি সেই নায়ক? বল বীর বল বীর নায়ক রাজ্জাক,,,,,,,,,।
১৮০ গতিতে ভার্সিটিতে পৌছে গেলাম। এদিকে দেখি ইলমা ভালো ভঙ্গি করছে,,, Car দিয়ে যায় Car দিয়ে আসে স্টাইলই একটু অন্য রকম।
ঘুষখুরের বেটি কিন্তু ভংগি তার কম নয়।
ক্লাস শেষ করে বের হবো এসময়?
মামা আপনি একটা বাইক কিনতে পারেন না,,প্রতিদিন সাইকেল দিয়ে আসেন এতো কষ্ট করে (ভার্সিটির দাড়োয়ান)।
তার কথা শোনে মাথা নিচু করে? আরে মামা এতো টাকা পয়সা কি আমার আছে বাইক দিয়ে ঘুরবো (আমি)। ওহ আপনি মনে হয়,অনেক গরীব তাই না,,, আপনার বাবা কিসে কাজ করে (ভার্সিটির দাড়োয়ান)।
মনে মনে এইযে খাইছে আমারে এখন কি বলি? আসলে মামা আমার বাবা রিকশা চালক (আমি)। এই বলে দাড়োয়ান মামার কাছ থেকে কেটে পরলাম। গেইটের বাহিরে এসে বাইক start দিলাম। ১৮০ গতিতে ছুটছি বাসার দিকে। মাঝ রাস্তায় দেখি ইলমার Car রাস্তার পাশে দাড়িঁয়ে আছে। আর তার গাড়ির সামনে কিছু বাচ্চা। মনে হয় বাচ্চারা ইলমাকে কিছু বলছে।
আমি আসার আগেই ইলমা তার Carনিয়ে চলে যায়। তারপর আমি বাচ্চাদের সামনে দাড়াঁলাম।
কি হয়েছে তোমাদের ভাইয়া কোনো সমস্যা (আমি)। আংকেল আমাদের স্কুলের গাড়িটা আজ নষ্ট হয়ে গেছে তাই বাসায় যেতে পারছি না (বাচ্চারা) ।
মনে মনে বলছিলাম সালারা আমি তোদের আংকেল হই,,, কচি খোকাকে তোরা আংকেল বলছিস একদম মন চায়ছে সব কয়টার কানের নীচে দেই কয়েকটা বসিয়ে।
ওহ আচ্ছা এই তাহলে তোমাদের সমস্যা (আমি)।
হ্যা আংকেল (বাচ্চারা)।
মনে মনে ইসস্ আবার আংকেল বলছে কেমনডা লাগে।
আচ্ছা তোমরা ঐ একটু যে Car টা দাড়ঁ করিয়ে ছিলে ঐ টার ভিতরে একটা মেয়ে ছিলো না (আমি)।
হ্যা,আংকেল আমরা বলেছিলাম যেনো ওনি যেনো আমাদের ঐ সামনের মোরে নামিয়ে দেয়,, কিন্তু ঐ আংটি আমাদের নিয়ে যায় নি (বাচ্চারা)
মনে মনে বেশ করেছে? সালারা তোমরা অনেক ফাজিল যাকে তাকেই আংকেল আংটি বলে ফেলো।
ওহ আচ্ছা বুঝলাম (আমি)।
আংকেল প্লিজ আপনি কিছু একটা করুন (বাচ্চারা)। মনে মনে ভাবছিলাম বাচ্চাগুলো বিপদে পড়েছে ওদের সাহায্য করতে হবে।
আচ্ছা তোমরা কয়জন (আমি)।
বেশি না আংকেল আমরা মাএ ১০জন (বাচ্চারা)।
এই খাইছে রে আল্লাহ ১০জন? এদের কিভাবে নিবো?
আচ্ছা তোমরা একজন একজন করে আমার বাইক sorry মানে সাইকেলে উঠে পরো(আমি)।
দেখি সব কয়টা একমুহূর্তের মধ্যে আমার বাইকে উঠে পরলো। ওদের জন্য সামনে কি আছে দেখা যাচ্ছে না। আবার একজন আমার ঘাড়েও বসেছে। এদেরকে বলে তো আরেক বিপদে পরলাম দেখছি,,,,,,,,,?
চলবে....
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com