Breaking News

বাঁশিওয়ালা । পর্ব - ০১

তুমি বিদ্যাবান লোক মশাই। আমাদের মতো ন্যাদাভ্যাদা তো নও।

কত কেতাব ঘেঁটে এয়েছ। তোমার সামনে নিজেকে ভারী ছোষ্টটি মনে হয়। যেন এখনও দাগা বুলোনোর পাট চোকেনি। তা ওই চেয়ারটায় বোসো মশাই। কেঠো চেয়ার, পাছায় লাগবে হয়তো।

কিন্তু আর তো নেই। বলো তো একখানা বালিশ পেতে দিই। না, না, বালিশ লাগবে না। এতেই বেশ বসতে পারব। বলে মৃদুল চেয়ারখানায় বসে পড়ে। পাশেই একখানা কাঠের মজবুত টুলের ওপর গয়ানাথ। টুলখানার মাঝখানে ইংরিজি এস অক্ষরের মতো ফাঁক আছে। ওইতে আঙুল ঢুকোলে বেশ টুলটাকে এখার সেধার বয়ে নিয়ে যাওয়া যায়। ছেলেবেলায় দেখেছে মৃদুল।

মনে পড়ে। ওই কালো মোটা গয়ানাথ তাকে স্টেশনে আনতে গিয়েছিল। তাকে নাকি ছেলেবেলায় চিনত। মৃদুলের মনে পড়ে না। এটা আগস্ট মাস। গরমের ভ্যাপসা ভাবটা আছে বলে বেশ ঘামছে মৃদুল। মোটা গয়ানাথের ঘাম আরও বেশি। কিন্তু মুখের পানের টিবিতে সে এত রসস্থ হয়ে আছে যে দেহবোধে কিছু টের পাচ্ছে বালে মনে হয় না। হরপ্রসন্ন বেশ সুটকো এবং বুড়ো। ওর মেদহীনতা দেখার মতো। ক্ঠমণির ওঠানামা দূর থেকে দেখা যায়। মুখের চামড়ার নীচে করোটি ফুটে আছে। দাড়ি গোঁফ নেই। কিন্তু গালের বড় বড় গর্ভের মধ্যে ক্ষুর পৌছয় কী করে সেটাই প্রশ্ন। খানাখন্দের ড় কামানো নিশ্চয়ই সহজ কাজ নয়। একখানা কারপ্রাচীন নেড়া তক্তপোশের ওপর হরপ্রসন দুই রোগা হাতে জড়ো করা হাঁটু বেড় দিয়ে বসে আছে। গা আদুর, পরনে

চলবে...

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com