বাড়িওয়ালার ছেলে । পর্ব - ০৮
পানি বসে বসে ভাবছি কেউ কি আমাকে উদ্ধার করতে আসবে না আজ। এদিকে প্রায় সন্ধা হয়ে গেলো। মামা মনে হয় খুজতে বের হয়ে পড়েছে। কিন্তু কুকুরের দল গুলো এখনো কোথাও যাচ্ছে না। মনে হচ্ছে আমি ওদের পুরনো দিনের শএু আজ আমাকে একা পেয়ে ফেলেছে।
মনে মনে ভাবছি ঠিক আছে তোদের কথা আমার সারা জীবন মনে থাকবে। ২০ মিনিট পর একটা মেয়ে পুকুরের কাছে আসলো। আমাকে এ অবস্থায় দেখে খুব হাসা হাসি শুরু করলো। আমি চিন্তায়ে শেষ আর এদিকে সে হাসছে।
ওই কে আপনি হাসছেন কেনো (আমি)। তবুও মেয়েটা হাসি থামালো না। সত্যি কথা বলতে মেয়েটার হাসি টা দেখতে অপূরুপ সুন্দর আর মেয়েটাও অনেক সুন্দর চোখ সরাতে পারছিলাম না। কিন্তু এখন ঐ সব চিন্তা না করে আগে বাচবোঁ কিভাবে সেই চিন্তা করছি।
এই আপনি কে আর পানিতে নেমে কি করছেন (মেয়েটা) । পানিতে কি আর শখে নেমেছি,, ওই কুকুর গুলো আমাকে দৌড়ানি দিছে তাই ভয়ে পানিতে নেমেছি (আমি)। মেয়েটা,এবার আরও হাসি শুরু করলো। আমি মনে মনে ভাবছিলাম মেয়েটার মাথায় কোনো সমস্যা আছে।
আপনার বাসা কোথায়? আপনাকে তো আগে কোনোদিন দেখি নি আমাদের গ্রামে (মেয়েটা)। আমি শহর থেকে এসেছি আনোয়ার মামার বাসায় (আমি)। তো এখানে কিভাবে আসলেন (মেয়েটা)।
মাথা নীচু করে আস্তে করে বললাম এখানে হিসু করতে এসেছিলাম (আমি)। মেয়েটা তখন সব কিছু বুঝতে পারলো। অবশ্য আমার কথা শোনে একটু লজ্জা পাচ্ছিল। তারপর মেয়েটা আমাকে হাত ধরে টেনে তুলল পুকুর থেকে। কুকুর গুলো মনে হয় মেয়েটাকে আগে থেকেই চিনে তাই আর কিছু করলো না সোজা চলে গেলো। আমারও চিন্তা একটু কমলো।
আপনাকে কি বলে ধন্যবাদ দিবো সেই ভাষা আমার জানা নেই, তবে কোনোদিন শহরে গেলে আমি আপনাকে সাহায্য করবো (আমি)। মানুষ,তো মানুষকে সাহায্য করবে এটাই স্বাভাবিক (মেয়েটা)।
মেয়েটার কথা গুলো অনেকটা আনোয়ার মামার কথার ধরণের মতো। মেয়েটা আমাকে আনোয়ার মামার বাড়িতে পৌছে দিলো,। এদিকে আনোয়ার মামা আমাকে খুজতে খুজতে পাগল হয়ে গেছে বলে মনে হচ্ছে। আনোয়ার মামা মনে করেছিলো আমি হয়তো কোথাও হারিয়ে গেছি। ১০ মিনিট পর আনোয়ার মামা বাড়িতে আসে? বুজতে পারলাম আনোয়ার মামা অনেক টেনশনে পড়েগিয়েছিলো।
সাঈম বাবা কোথায় গিয়েছিলে তুমি,, আমি তোমাকে সব জায়গায় খুঁজেছি কোথাও পায় নি (আনোয়ার মামা)। তারপর মামাকে সব ঘটনা খুলে বললাম এবং আনোয়ার মামা বুঝতে পারলো সব কিছু। আচ্ছা এখন থেকে কোথাও গেলে আমাকে সঙ্গে নিয়ে যাবে (আনোয়ার মামা)।
আচ্ছা মামা ঠিক আছে (আমি)। এখন তুমি গোসল করে কাপড় বদলাও (আনোয়ার মামা) । জ্বি মামা (আমি)। এই বলে গোসল করে কাপড় বদলিয়ে একটা রুমে অবস্থান করলাম। মামার বাড়িটা ছিলো টিনের। আগে কখনও টিনের বাড়িতে থাকার অভিজ্ঞতা নেই।
দেখতে দেখতে রাত ৮.০০ টা বেজে গেলো। খাবার সময় হয়ে গেছে? সাঈম খেতে আসো সারাদিন অনেক পথ আসা হয়েছে চলো বাবা খাবার খেয়ে ফেলি (আনোয়ার মামা) । জ্বি মামা চলো আমারও অনেক খিদে পেয়েছে (আমি)।
এই বলে আমি আর মামার পরিবারের সবাই খেতে বসলাম। খেয়াল করলাম ঐ মেয়েটা যে আমাকে কুকুরের হাত থেকে বাচিয়েছে। মনে মনে ভাবলাম আমাকে বাড়িতে পৌছে দেওয়ার পর কোথায় যেনো হারিয়ে গিয়েছিলো মেয়েটাকে একটা ধন্যবাদ ও দেওয়া হয়নি।
কিন্তু কথা সেই টা না? কথা হলো মেয়েটা এখানে কি করছে? মেয়েটাকে দেখিয়ে দিয়ে আনোয়ার মামা ঐ মেয়েটা আজ আমাকে কুকুরের হাত থেকে বাচিয়েছে (আমি)। আরে মিম? ঐ তো আমার একমাএ মেয়ে (আনোয়ার মামা) । এবার আমি একটু চমকে উঠলাম। মনে মনে আনোয়ার মামার মেয়ে??
ওহ আচ্ছা (আমি)। খাবার শেষ করার পর মামা
তার পরিবারের সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দিলো। অনেক গল্প করলাম সবার সাথে ভালোই লাগলো। রাত প্রায় ১১.৫০ বেজে গেলো,,, গল্প শেষ সবাই সবার রুমে চলে যায়। মামা আমার জন্য একটা আলাদা রুমের ব্যবস্থা করে আর আমিও সেখানে চলে যাই।
রাতে কিছু দরকার লাগলে আমাকে বলো (আনোয়ার মামা)। আচ্ছা ঠিক আছে মামা তুমি যাও এখন ঘুমাও (আমি)। আনোয়ার মামা চলে গেলো। আমি শুয়ে শুয়ে ঐ মেয়েটার কথা ভাবছি। তার হাসি গুলো এখনো আমার চোখে ভেসে উঠছে কিন্তু? ঐ মেয়েটা তো আানোয়ার মামার মেয়ে এখন কি করি।
দরকার হয় নিজের জীবন দিয়ে দিবো তবুও আনোয়ার মামার মনে কষ্ট দিতে পারবো না। এই সমস্ত চিন্তায়ে আমার রাত পার হয়ে গেলো কিন্তু ঘুমাতে পারলাম না। সকাল ৭. ০০টার দিকে ঘুমিয়ে পরলাম।
৯.৩০বাজে? এই যে উঠেন বাবা আপনাকে ডাকছে মার ধরতে (মিম)। ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে কে আপনি ডিস্টার্ব কইরেন না যান এখান থেকে (আমি)। শহরের লোকজন গুলো এমন অলসই হয় সকাল ১০.০০বাজে এখনো উঠে নি, এই যে পানি ঢেলে দিলাম কিন্তু (মিম)।
চলবে....
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com