বাড়িওয়ালার ছেলে । পর্ব - ০৫
এভাবেই মেয়ে ২ টা কে একটু শিহ্মা দিলাম।
আবার তার ২ দিন পর ছোট ভাই রোহানকে বলে আসলাম?
শোন ইশিতা আর ইলমা যখন আমাদের বাসায় এসে ডুকতে যাবে এসময় তুই ওদেরকে পা দিয়ে লেং মেরে ফলে দিবি (আমি)।
আচ্ছা ভাইয়া ঠিক আছে (রোহান)।
পরে তোকে চকলেট এনে দিবো(আমি)।
আচ্ছা ভাইয়া ঠিক আছে (রোহান)।
আবার আমি এসব করতে বলেছি কাউকে বলিস না (আমি)। ওকে ভাইয়া (রোহান)।
২দিন পর খবর পেলাম রোহান ওদের লেং মেরে ফেলে দিয়েছে এবং মেয়ে ২টা নাকি মুখ থুবড়ে মেঝেতে পড়ে যায়। উফফ্ খবর টা শোনার পর রোহানকে অনেক চকলেট কিনে দিলাম। সাবাস বেটা এই না হলে আমার ভাই (আমি)।
এই বলে চলে আসলাম। রুমে বসে বসে ভাবছি মেয়েগুলোর উপর ভালোই অত্যাচার,করা হয়েছে। এবার বাদ দেই, নইলে আবার বাসা ছেড়ে চলে যাবে। এভাবে প্রায় ৬ টা মাস কেটে গেলো। এখন আমাকে মোটামোটি চিনে তবে আমি বাড়িওয়ালার ছেলে এইটা জানে না। তেমন একটা ওদের ২ বোনের সাথে কথা হয় না? বলতে গেলে ইন্ডিয়া আর পাকিস্তান এর শত্রু।
ভার্সিটিতে এখন অনক বন্ধু -বান্ধব। সেমিস্টার পরিহ্মার সময় এসে পরলো।
অন্যসব চিন্তা বাদ দিয়ে পড়াশোনায় মনোযোগ দিলাম। উপর থেকে মা -বাবার দোয়া নিয়ে আসলাম।
মামা আসি দোয়া করো প্রথম পরিহ্মা (আমি)। সাঈম বাবা সাবধানে যেও (আনোয়ার মামা)।
ভার্সিটিতে গিয়ে অন্য কোথাও না? সোজা পরিহ্মার হলে চলে গেলাম।
দেখি আমার পাশে একটা মেয়ের সীট পরেছে আমারই বন্ধু তানজিলা। বড়লোক বাবার মেয়ে কিন্তু এক নাম্বারের গাধা। কিচ্ছু পারে না। পরিহ্মার ১ ঘণ্টা যেতেই বুজতেই তো পারছেন সমস্যা কি?সাধারণত পরিহ্মার হলে যা হয়ে থাকে?
সাঈম এই সাঈম একটু দেখা না প্লিজ (তানজিলা)। কেনো তুই কিছু পারিস না (আমি)। না রে দোস্ত সত্যি বলছি (তানজিলা)। বুজলাম ১ ঘন্টায়ে গাধার বাচ্চা কিছুই লিখতে পারেনি।
কি আর করবো প্রায় সবকিছু দেখালাম। আমার টা দেখে লিখতে পেরে মেয়েটা অনেক খুশি।
সত্যি কথা বলতে মানুষের এই খুশির মূহুর্তগুলো টাকা দিয়ে কিনে পাওয়া যায় না। তাই মেয়েটাকে আর কিছু বলিনি। এভাবেই সব গুলো পরিহ্মা শেষ হলো আর তানজিলা আমার সবকিছুই প্রায় কপি করেছে।
পরিহ্মার শেষ দিন সাইকেল নিয়ে ভার্সিটি থেকে বের হবো ১৮০ গতিতে ছাড়ঁবো এসময়? এই দোস্ত দাড়াঁ দাড়াঁ (তানজিলা)। কি হয়েছে (আমি)।
তানজিলা সোজা এসে আমাকে জড়িয়ে ধরলো? ধন্যবাদ দোস্ত তোর জন্য আমি এই পরিহ্মায় বেচেঁ গেলাম (তানজিলা)। ম্যাডাম বাসায় একটু পড়াশোনা করলেও তো পারিস (আমি)।
যা আমার মন চায় না পড়াশোনা করতে (তানজিলা)। একটু হেসেঁ? পড়াশোনা করবি না তো কি করবি? বিয়ে করে ফেলবি নাকি(আমি)।
যা কুওা (তানজিলা)। হুম তুই বিড়াল (আমি)।
এই বলে বাইক start দিলাম। আর আমার গতি তো আপনারা জানেনই ১৮০ ছাড়া কোনো কথা নেই।
সোজা বাসায় চলে আসলাম। প্রায় ১০ দিনের মতো ভার্সিটি বন্ধ পেলাম। উফফ্ পরিহ্মা দিয়ে ক্লান্ত হয়ে গেছি। এখন কয়েকদিন বিশ্রাম নেওয়া যাক। ২ দিন ভালোই আরাম করলাম। কিন্তু ৩য় দিন আমার আরাম আর থাকলো না । হঠাৎই মামার জ্বর এসে পড়লো।
মোটামোটি ভালোই জ্বর এসেছে আমি সারা রাত মামার পাশে বসে রইলাম আর মামার সেবা করলাম। তবুও জ্বর কমছে না। আপনারা তো জানেন এ বাসায় মামার কাছের মানুষ বলতে আমি ছাড়া আর কেউ নেই। এভাবে প্রায় সকাল হয়ে গেলো। আমি ভৌর ৫.০০টার দিকে ঘুমিয়ে পড়লাম। ৮.০০টার দিকে ঘুম ভাঙলো দেখি মামা বিছানায় নেই। রুম থেকে বের হলাম দেখি মামা তার পোশাক পরে রীতিমতো তার কর্তব্য পালন করছে।
মামার কাছে এসে মামার গায়ে হাত দিয়ে দেখলাম জ্বর মনে হয় বেড়েছে তবুও সে দাড়িঁয়ে আছে। কি বলবো আমি কোনো ভাষা খুঁজে পেলাম না। আবার মনে মনে একটু রাগও হচ্ছিল। মামা তুৃমি রুম থেকে বের হয়েছো কেন একটু রেগে (আমি)। আরে বোকা ছেলে আমি না থাকলে এই পুরো বাড়িটা দেখাশোনা করবে কে (মামা)। তাই বলে তুমি এই অসুস্থ শরীর নিয়ে এখানে দাড়িঁয়ে থাকবে (আমি)।
তো কি করবো বাবা (মামা) । মামার কথা শোনে ভাবছি কি করা যায়। হঠাৎ মাথায় আসলো বাবা কাজে একটু বাসার বাহিরে গেছে। আসতে মোটামোটি ৮-১০দিন লাগবে। তারপর মামাকে জোর করে ধরে রুমে নিয়ে গিয়ে তার সকল পোশাক খুলে তাকে বিছানায় শুয়িয়ে দিলাম।
আরে আরে দেখ? বোকা ছেলে করছে টা কি (মামা)। তুমি কোনো কথা বলবে না (আমি)।
মামাকে ঔষধ খাওয়ালাম আর বললাম? তুমি যদি বিছানা থেকে উঠো তাহলে কিন্তু ভালো হবে না (মামা) । মামা কোনো কথা না বলে শুধু আমার দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছিলো আমি কি করি। নিজের পোশাকটা টা খুলে মামার দাড়োয়ানের পোশাক গুলো পড়ে ফেললাম।
বের হবো এসময় খেয়াল করলাম মামা কাদঁছে। অবশ্য মামার কাদাঁর কারণটা তো বুঝতেই তো পারছেন। মামা তুমি রুম থেকে বের হবে না(আমি)। দেখি মামা কোনো কথা বলছে না। এই বলে আমি বাহিরে চলে আসলাম। সত্যি কথা বলতে আগেও অনেক দাড়োয়ান গিরি করেছি তবে পোশাক পড়ে নয়। আমার মনে হচ্ছিল নতুন চাকরিতে জয়েন করেছি অবশ্য ভালোই লাগছিলো।
৩০ মিনিট পর গাড়ির হর্ন? বুজলাম কেউ এসেছে গেইট টা খুললাম দেখি ইলমা ও ইশিতা দুই বোন গাড়িতে। এই খাইছে রে? ভেতরে ডুকতেই আমার দিকে তাকিয়ে আছে ওরা ২ বোন। মনে করছিলো আমি নতুন অফিসার পদে জয়েন করছি। আমার দিকে তাকিয়ে হাসঁছিলো ২ বোন। কি ব্যাপার হাসছে কেনো। মনে হচ্ছিল নতুন অফিসার আমি তাই মনে হয় ওরা হাসছে। আমি তেমন কিছু মনে করলাম না। তবে পোশাকটা একটু খেয়াল করলাম। দেখি সব ঠিক ঠাক আছে কিন্তু প্যান্টের চেইন টা খুলা।
ইসস্ এবার আর লজ্জায়ে মুখ দেখাতে পারলাম না। এক দৌড়ঁ দিয়ে একটু অন্য পাশে আসলাম। তাড়াতাড়ি চেইন টা লাগালাম। মনে মনে ভাবছিলাম ওরা কি আমার ইয়ে টা দেখে ফেলেছে,,,,, ধ্যাত দেখলে দেখছে তাতে আমার কি?
আবারও ডিওটিতে জয়েন করলাম। এভাবে দুপুর হয়ে গেলো। পোশাক টা খুলে খাবার খেয়ে আবার নীচে নেমে পরলাম। পোশাক পড়ে,অফিসে যোগদান দিলাম।
বিকালে এই নতুন দাড়োয়ান শোনেন (ইলমা)। জ্বি কিছু বলবেন আফা (আমি)। আমার সাথে বাজারে যেতে হবে (ইলমা)।
পারবো না (আমি)। মনে মনে ঘুষখোরের মেয়ের
চলবে...
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com