অনলাইনে প্রেম
প্রথমে গেলাম শপিংমলে। নব্বই দশকের প্রেমিকার মত সে আমার টাকায় কিছু কিনতেই চায় না।
বেশি কিছু নেয়নি শুধু তিনটা শাড়ি (একটা বেনারসি,একটা কাতান আর একটা ঢাকাই জামদানি) ,
নতুন ডিজাইনের চারটা হিজাব,দুইটা বোরকা (একটা দুবাই চেরি জর্জেট আর একটা বাটারফ্লাই ডাবল পার্ট বোরকা),একটা কুর্তি,একটা খিমার,দুইটা গাউন আর বাসায় পড়ার জন্য একসেট টপস আর জিন্স,গোলগলা দুইটা সুতি গেঞ্জি ও নিলো।সব শেষে একটা পার্টস নিয়েছে।
বুঝতেই পারছেন মেয়েটা কত হিসাবী,ও চাইলেই কিন্তু দুই জোড়া জুতাও নিতে পারতো কিন্তু সে জুতা নিয়েছে মাত্র একজোড়া।
কসমেটিকস কিনতে গিয়েও ওর ওই রকম স্বভাব আমার পছন্দ হলো না।
মাত্র চার হাজার টাকার কসমেটিকস নিয়েছে,
অথচ অন্য কোন মেয়ে হলে সাত-আট হাজার টাকার কসমেটিকস নিতো।
ম্যাক,লরিয়াল,রেভলন এসব ভালো ব্র্যান্ডের নেইল পলিশ,লিপ গ্লস,মাস্কারা,
আই লাইনার,আই স্যাডো নিলো মাত্র ২-৪টা করে।।
আমি ওর নিষ্পাপ মুখের দিকে তাকিয়ে মনে মনে ভাবলাম কতটা ভাগ্যবান হলে
এমন লক্ষী প্রেমিকা পাওয়া যায়।
তারপর গেলাম রেষ্টুরেন্টে। আমার এত রাগ হলো মানুষ কেমনে এত কম খায় হ্যা?
একটা পাস্তা,দুইটা পির্জা, দুইটা বার্গার,একগ্লাস লাচ্ছি,দুইটা আইসক্রিম
আর একটা কোকাকলা খেলেই বুঝি হয়ে যায়। এই জন্যই দিন দিন শুকিয়ে যাচ্ছে পাগলিটা।
ও কিন্তু চাইলেই পারতো বাসার জন্য রসমালাই পার্সেল নিয়ে নিতে,কিন্তু সে ঐটা করলো না,
সে নিলো মাত্র তিন প্যাকেট বিরিয়ানি। খুব প্রাউড ফিল হচ্ছিলো, গর্বে বুকটা ভরে যাচ্ছিলো।
যাই হোক ঘুরাঘুরি শেষে ওরে রিকশা ভাড়া করে দিলাম।
লক্ষ্য করলাম ও আমতা আমতা করছে,বুঝলাম ওর কিছু টাকা লাগবে।
এই মেয়ে মুখ ফুটে কিচ্ছু বলতেই পারে না এতো লজ্জা পায়।
আরে আমার টাকা তো ওরই টাকা তাই না।
মানিব্যাগ থেকে দুই হাজার টাকা দিতে গিয়ে লক্ষ্য করলাম সর্বনাশ হয়েছে।
মানিব্যাগে এক হাজার নয়শো নব্বই টাকা আছে, এখন কি হবে,
ও বিষয়টা বুঝতে পেরে এক হাজার নয়'শো আশি টাকা নিয়ে বাকি দশ টাকা দিয়ে বললো
তোমার রিকশা ভাড়া লাগবে তো বাবু।আমার চোখে জল চলে আসলো,
অন্য কোন প্রেমিকা হলে পুরোটা নিয়ে নিতো অথচ ও নিলো না।
ও চলে যাচ্ছে। আমি ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে রইলাম।এত ভালোবাসে কেনো!
সত্যিকারের প্রেমিকা তো এমনই হয়
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com