বাড়িওয়ালার ছেলে । পর্ব - ০৭
দেখি মা আমার কথা শোনে অনেক খুশি হয়েছে। কিন্তু সমস্যা হলো ইশিতা। মা ভাবছিলো ইশিতাকে কি বলবে আজ। আর ইশিতা দেখি আমার দিকে তাকিয়ে আছে। কোনো কথা বলার মতো ওর ভাষা নেই।
এই যে ইশিতা আপনার সাথে কিছু কথা আছে (আমি)। ইশিতাকে ডাক দিয়ে ছাদে নিয়ে গেলাম। জ্বি কিছু বলবেন (ইশিতা) । না বলবো না? আপনাকে এখন ছাদ থেকে থাক্কা দিয়ে ফেলে দিবো (আমি)। মানে কি? কি বলছেন এই সব পাগল হয়ে গেছেন নাকি (ইশিতা) ।
হুম হয়েছি আপনার জন্য (আমি)। দেখি ইশিতা ভয়ে তার মুখ শুকিয়ে গেছে। প্লিজ আমাকে ছেড়ে দেন আমি আপনার কি হ্মতি করেছি (ইশিতা)। এই বলে দৌড় দিতে চাইলো,,, আমি শক্ত করে হাতটা ধরে ফেললাম। কোথায় যান আজ আপনাকে আমি ছাড়বো না (আমি)।
কেনো কি করবেন আমাকে (ইশিতা) । বুঝেন না কি করে একটা ছেলে একটা মেয়েকে (আমি)। দেখি এবার কেঁদে দিবে বলে মনে হচ্ছে। মনে মনে ভাবলাম হয়েছে অনেক ভয় দেখিয়েছি এবার বাদ দেওয়া যাক।
কেঁদে কেঁদে আমাকে ছেড়ে দেন প্লিজ (ইশিতা) ।
হুম ছাড়বোই তো তবে আমার কথা গুলো খুব মনোযোগ সহকারে শোনেন(আমি)। তারপর আমার সবকিছু ইশিতাকে বললাম মামার ঘটনার কথা বললাম।
দেখি ইশিতা খুব মনোযোগ সহকারে আমার কথা গুলো শুনলো এবং বুজলো। আচ্ছা তাহলে আপনি আমাদের বাড়িওয়ালা আন্টির ছেলে (ইশিতা)। হুম? আর শোনেন আমার বিষয়ে যেনো আর কেউ কিছু জানতে না পারে( আমি)। কেনো জানলে কি হবে (ইশিতা) ।
কি হবে শোনবেন (আমি)। হ্যা শুনতে চাই (ইশিত)। কেউ জানলে আপনাকে আমি ছাদ থেকে ধাক্কা মেরে নীচে ফেলে দিবো (আমি)। এই না না প্লিজ এইসব করবেন না, আমি সত্যি বলছি কাউকে বলবো না (ইশিতা)। মনে থাকে যেনো (আমি)। এই বলে আমি আর ইশিতা নীচে নেমে পরলাম।
এভাবেই আরও অনেক দিন কেটে গেলো।
আর ইশিতার সাথে আমার ভালো সম্পর্ক হয়ে গেলো। একদিন মামা বলছিলো? আজ অনেক দিন হলো নিজের বাড়িতে যাই না, মেয়েটার কথা অনেক মনে পড়ছে (মামা)।
সত্যি কথা বলতে মামা আমাকে ছেড়ে কোথায় যেতে চায় না। এবং নিজের বাড়িতেও মনে হয় ২ বছর ধরে যায় না। আমাকে অনেক যেতে বলেছে তার বাড়িতে? কিন্তু আমি কখনো তার বাড়িতে যাই নি। আজ হঠাৎ মামার সাথে তার বাড়িতে কেনো জানি যেতে মন চাইছে। তাই আমিও বলে দিলাম? মামা আমাকে তোমার বাড়িতে নিয়ে যাবে (আমি)।
আমার কথা শোনে মামার চোখ আনন্দে অশ্রু ভরা হয়ে যায়। তুমি সত্যি আমার বাড়িতে যাবে (মামা)। হ্যা মামা প্লিজ আমাকে তোমার বাড়িতে নিয়ে যাও (আমি)। আচ্ছা ঠিক আছে বাবা (মামা) । তারপর মামা বাবার কাছ থেকে কিছুদিনের ছুটি নেয় এবং বাসের ২ টা টিকিট কাটে একটা আমার একটা মামার।
ভাবছি কিছুদিন ভার্সিটি যাবো না,, আগে মামার মামার গ্রামের বাড়ি থেকে ঘুড়ে আসি। মা বাবার থেকে বিদায় নিয়ে বের হয়ে পড়লাম।
মামা বললো তার বাড়িতে যেতে নাকি ৬-৭ ঘন্টা লাগবে। আর একটা লোকাল বাস দিয়ে যেতে হয়,, রাস্তা ভাঙা তাই ভালো বাস চলাচল করে না। একটা রাস্তার পাশে দাড়িঁয়ে আছি? মামা বাস কখন আসবে(আমি)। এখনই চলে আসবে (মামা)। ১০ -১৫ মিনিট দাড়িঁয়ে থাকার পর একটা বাস আসলো দেখি যাএীর কোনো অভাব নেই।
আসো তাড়াতাড়ি উঠে পড়ো (মামা)। মামা কোনো জায়গা তো নেই কোথায় উঠবো (আমি)। আরে বাবা ছাদে ওঠা লাগবে তাড়াতাড়ি আসো আমার সাথে বাস এখনই আবার চলে যাবে(মামা)। দাড়িঁয়ে দাড়িঁয়ে ভাবছি কিভাবে যাবো এই বাসে? মামার বাইক টা হলেও তো ভালো ছিলো ১৮০ গতিতে ছাড়তাম। কিন্তু বাইকটাও তো বাসায়। চিন্তা করতে করতে এদিকে বাস ছেড়ে দিলো।
দেখি মামা বাসের পিছনে ঝুলে পরেছে,, আমিও দিলাম এক দৌড় কোনোমতে বাসে উঠে পরলাম। মামা আর আমি দুজনই ঝুলে ঝুলে যাচ্ছি।
১ ঘন্টা যাওয়ার পর কিছু যাএী নামলো, আর আমরা বাসের ছাদে উঠে পড়লাম। এই প্রথম বার বাসের ছাদে উঠলাম। প্রাকৃতিক বাতাসে খুব ভালো লাগছিলো।
ভয় লাগছে বাবা (মামা)। আরে না মামা কি বলো ভয় লাগবে কেনো আমি কি ছোট নাকি (আমি)। ভয় করলে আমাকে বইলো (মামা) । আচ্ছা ঠিক আছে মামা (আমি)। মুহূর্তটা এতো আনন্দের ছিলো আপনাদের বলে বুঝাতে পারবো না। ৬-৭ ঘন্টা যাওয়ার পর বাস থেকে নেমে পড়লাম। কিন্তু নামতে আমার মন চায়ছিলো না।
মামা বললো এখন নাকি রিকশা দিয়ে যেতে হবে তার বাড়িতে? ১৫-২০ মিনিট লাগবে।
একটা রিকশায় দুজন উঠে পরলাম ১৫-২০ মিনিট যাওয়ার পর নেমে পরলাম। এখন একটা কাচা রাস্তা ৫-৬ মিনিট হাটলে তার বাড়িতে পৌঁছে যাবো।
আমরা হাটা শুরু করলাম সত্যি কথা বলতে খুব ভালো লাগছিলো মুহূর্তটা বলে বুঝানোর মতো নয়। আর ২ মিনিট হাটলেই মামার বাড়ি। দেখি মামার। গ্রামটা খুবই সুন্দর। চারদিকে সবুজ ফসল পুকুর খাল-বিল সত্যি বলতে খুবই ভালো লাগে। মামার বাড়িতে পৌছে গেলাম।
মামাকে দেখে তার পরিবারের লোকজন খুবই খুশি। সবাই বের হয়েছে মামাকে দেখতে এদিকে আমার? মামা হিসু ধরেছে (আমি)।
ঐ জঙ্গলে চলে যাও (মামা) বুঝলাম মামা অনেক ব্যস্ত অনেক দিন পর বাড়িতে এসেছে। তাই আমি একাই জঙ্গলে চলে গেলাম।
হিসু শেষ করে চলে আসবো এসময় দেখি Doggমামা। এই খাইছে রে? ছোট থেকেই কুকুর একটু বেশি ভয় পাই। কোনোমতেই তারা রাস্তা ছাড়ছে না? কি করি এখন? মামাকেও ডাক দিতে পারছি না। জঙ্গল থেকে মামার বাড়ি একটু দূরে।
সাহস করে নিজেই আন্ডার টাইগার হয়ে গেলাম। হাতে একটা লাঠি নিয়ে এখন বেটা কেডা আইবি আয়।
ভাবছিলাম কুকুর গুলো হয়তো আমার ভয়ে গ্রাম ছেড়ে পালাবে আজ? তাই মনে মনে অনেক খুশি হচ্ছিলাম। কিন্তু না কুকুর গুলোর সামনে যেতেই আমাকে এমন দৌড়ানি দিলো,,,,, এক দৌড়ে একটা পুকুরে গিয়ে পরলাম। অবশ্য পুকুরটায় বেশি পানি ছিলো না তাই বেচেঁ গেছে। কারণ আমি সাতার জানি না।
আর কুকুর পানি দেখে একটু ভয় পায়। পানিতে বসে বসে ভাবছি সালারা আজ আমাকে নিরীহ পেয়ে এমন দৌড়ানি দিলা আচ্ছা ঠিক আছে,,, তোমাদের যদি কখনও শহরে পাই না তাহলে বুঝবা আমি কি করি,,,,, একদম ৪ দিনের রিমান্ড ডাকবো তোমাদের জন্য হুম।
পানির উপর থেকে কুকুর গুলো গেউ গেউ করছিলো। ওদের কথা শোনে বুজলাম আমাকেও অনেক কেলাবে।
চলবে...
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com