Breaking News

সূরা আল-মুলক (রাজ্য) এর বাংলা তরজমা


আল্লাহর নামে আরম্ভ যিনি পরম করুণাময়, পরম দয়ালু।

(১) মহিমান্বিত সেই সত্তা, ধার হাতে যাবতীয় কতৃত্ব। তিনি সবকিছু করতে সক্ষম। 

(২) যিনি মৃত্যু ও জীবন সৃষ্টি করেছেন যাতে তিনি তোমাদের পরীক্ষা করতে পারেন যে, 

তোমাদের মধ্যে কে সৎকাজ করে । তিনি পরাক্রমশালী, ক্ষমাশীল। 

(৩) যিনি স্তরে স্তরে সপ্তআকাশ সৃষ্টি করেছেন। করুণাময়ের সৃষ্টিতে তুমি কোন ত্রুটি খুঁজে পাবে না। ভাল করে দেখে নাও। কোথাও কোন ত্রুটি দেখতে পাচ্ছ কি? 

(৪) বার বার দৃষ্টি ঘুরিয়ে দেখ, দৃষ্টি ক্লান্ত হয়ে অসফল অবস্থায় তোমার দিকেই ফিরে আসবে।

(৫) আর আমি নিকটবতী আকাশকে প্রদীপমালা দিয়ে সুসজ্ভ্বিত করেছি, সেগুলোকে শয়তানদের মারার মাধ্যম বানিয়েছি। আর ওর জন্য আমি নরকের শাস্তি তৈরী করে রেখেছি। 

(৬) আর যারা তাদের প্রভূকে অবিশ্বাস করেছে, তাদের জন্য রয়েছে নরক-যন্ত্রণা, আর সে গন্তব্য কত নিকৃষ্ট। 

(৭) যখন ওদের সেখানে নিক্ষেপ করা হবে তখন তারা নিঃশ্বাসের শব্দ শুনবে।

(৮) আর তা টগবগ করে ফুটতে থাকবে, মনে হবে যেন সে ক্রোধে ফেটে পড়বে । যখনই তাতে কোন দলকে নিক্ষেপ করা হবে, তার দারোগা তাকে জিজ্ঞাসা করবে, তোমাদের কাছে কি কোন সতর্ককারী আসেনি।

(৯) তারা বলবে, হ্যা, আমাদের কাছে সতর্ককারী এসেছিল। কিন্তু আমরা তাকে বিশ্বাস করিনি এবং আমরা বলেছিলাম যে, আল্লাহ কোন কিছুই অবতরণ করেননি (তোমরা বড়ই পথন্রষ্টতার মধ্যে পড়ে আছো । 

(১০) ওরা আরো বলবে, আমরা যদি শুনতাম বা বুঝতাম তাহলে নরকবাসী হতাম না। 

(১১) অতএব তারা অপরাধ স্বীকার করবে, ধিক নরকবাসীদের।

(১২) যারা না দেখেও তাদের প্রভূকে ভয় করে, তাদের জন্য রয়েছে ক্ষমা ও এক বড় পুরক্কার। 

(১৩) তোমরা তোমাদের কথা গোপনে বলো বা চিৎকার করে বলো তিনি অন্তরের কথাও জানেন। 

(১৪) যিনি সৃষ্টি করেছেন তিনি জানবেন না? তিনি সুক্্নদর্শী মহাবিজ্ঞ। 

১৫) তিনিই পৃথিবীকে তোমাদের বশীভূত করে দিয়েছেন; অতএব (তোমরা তার পথে-প্রান্তরে চল এবং তার দেওয়া জীবিকা থেকে আহার কর। তার কাছেই পুনরুথান। 

(১৬) তোমরা কি তার থেকে নির্ভয় হয়ে গেলে, যিনি আকাশে আছেন, তিনি তোমাদেরকে ভূমিতে ধবসিয়ে দিবেন এবং ভূমি কীপতে থাকবে । 

(১৭) তোমরা কি তার থেকে নির্ভয় হয়ে গেলে ধিনি আকাশে আছেন যে, তিনি তোমাদের উপর পাথর বর্ধন করার ঝড় পাঠিয়ে দিবেন এবং তখন তোমরা জানতে পারবে আমার সতর্কবাণী কেমন ছিল? 

(১৮) এদের পূর্ববর্তীরাও অবিশ্বাস করেছিল । অতএব কেমন হয়েছিল আমার অভিশম্পাত।

(১৯) তারা কি তাদের মাথার উপরে পাখীদের দিকে দেখে না ডানা মেলে আবার কখনও ডানা গুটিয়েও নেয়? করুণাময় ছাড়া কেউ নেই যে, তাদের ধরে রাখেন। নিঃসন্দেহে তিনি সবকিছুই দেখছেন। 

(২০) কে আছে যে, তোমাদের সেনা হয়ে করুণাময়ের বিরুদ্ধে তোমাদের সাহায্য করতে পারে? অস্বীকারকারীরা ধৌকার মধ্যে পড়ে আছে। 

(২১) কে আছে যে তোমাকে জীবিকা দিতে পারে, যদি আল্লাহ তার জীবিকা বন্ধ করে দেন? বরং তারা অবাধ্যতা ও অনীহার মধ্যে অটল রয়েছে।

(২২) একজন মুখে ভরদিয়ে চলে, আরেকজন সোজা হয়ে সরল পথে চলে; দুজনের মধ্যে কার পথ চলা সঠিক? 

(২৩) বলো, তিনিই তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন এবং তোমাদের জন্য কান, চোখ ও অন্তর দিয়েছেন। তোমরা খুবই কম কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করো। 

(২৪) বলো,তিনিই তোমাদেরকে পৃথিবীতে ছড়িয়ে দিয়েছেন এবং তার কাছেই তোমাদের একত্রিত করা হবে।

(২৫) আর তারা বলে সেই প্রতিশ্রুতি কখন হবে? যদি তুমি সঠিক হও ।

(২৬) বলো, সে জ্ঞান তো আল্লাহর কাছে আছে। আমি তো কেবল একজন সতর্ককারী। 

(২৭) অতএব তারা যখন তা কাছে আসতে দেখবে তখন তাদের চেহারা বিগড়ে যাবে যারা অবজ্ঞা করেছিল, আর বলা হবে যে, এই সেই জিনিষ যা তোমরা চাইতে । 

(২৮) বলো, আল্লাহ যদি আমাকে মৃত্যু দিয়ে দেন আর ওই লোকদের যারা আমার সঙ্গে আছে, অথবা আমার উপর অনুগ্রহ করেন, তাহলে অবজ্ঞাকীদের কঠিন শাস্তি থেকে কে রক্ষা করবে? 

(২৯) বলো, তিনি করুণাময়, আমরা তার প্রতি ঈমান এনেছি এবং তার উপরেই ভরসা করেছি। আর শীঘ্রই তোমরা জানতে পারবে যে, স্পষ্ট পথভ্রষ্টতায় কারা আছে। 

(৩০) বলো, তোমরা আমাকে বলো তো, যদি তোমাদের পানি ভূগর্ভে চলে যায় তাহলে কে এমন আছে যে তোমাদের জন্য স্বচ্ছ পানি নিয়ে আসবে।

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com